E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা / ১ এপ্রিল, ২০২২ / ১৭ চৈত্র, ১৪২৮

ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যার সুবিচার চেয়ে কলকাতায় ছাত্র-যুবদের প্রতিবাদী মিছিল


আনিস খানের হত্যার সুবিচার চেয়ে কলকাতায় ছাত্র-যুবদের মিছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আমতার প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে ৩০ মার্চ কলকাতার রাজপথে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই’র উদ্যোগে দৃপ্ত মিছিল সংগঠিত হয়েছে। এই মিছিল থেকে ছাত্র-যুব নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আদালত নির্ধারিত এক মাসের মধ্যে রাজ্য পুলিশের বি‍শেষ তদন্তকারী দল বা সিট-কে আনিস খানের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতেই হবে। অন্যথায় শান্তি রক্ষার দায় বাম ছাত্র-যুবদের থাকবে না।

এদিন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই রাজ্য কমিটির ডাকে মিছিলে অসংখ্য ছাত্র-যুব অংশ নেন। এজেসি বোস রোডে দীনেশ মজুমদার ভবন থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে পার্ক সার্কাস সংলগ্ন আইস স্কেটিং রিংক পর্যন্ত মিছিলে হাঁটেন তাঁরা। মিছিলের স্লোগানে আনিস খানের হত্যার সুবিচারের দাবির সঙ্গে রাজ্যের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দিকও উঠে আসে। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যার পাশাপাশি বসিরহাট, মালদা সহ একাধিক জেলায় যে নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তারও প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে মিছিলে।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সভায় ছাত্র-যুব নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে আইনের শাসন কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই রামপুরহাটের ঘটনা সহ নাবালিকা নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে। তাঁরা বলেছেন, সমস্ত ক্ষেত্রেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। গোটা রাজ্যে তাদের সহায়ক হিসেবে দেখা গেছে সিভিক পুলিশ বাহিনীকে। এদিনের সভা পরিচালনা করেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা। বক্তব্য রাখেন এসএফআই’র সভাপতি প্রতীক উর রহমান, সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, ডিওয়াইএফআই নেতা হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য সহ নেতৃবৃন্দ। প্রসঙ্গত, আনিস খানের হত্যার প্রতিবাদে এবং উপযুক্ত বিচারের দাবিতে ছাত্র-যুবরা রাজ্যজুড়ে ৫০ হাজার পথসভা এবং ১ কোটি সই সংগ্রহ অভিযান সংগঠিত করছে।

এছাড়াও এদিন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের সহপাঠী আনিস খানের হত্যা ও রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যার প্রতিবাদে পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিল শেষে এক বিক্ষোভ সভায় পড়ুয়ারা হুঁশিয়ার দেন, এই দুই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীরা শাস্তি না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা।