৫৯ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা / ১ এপ্রিল, ২০২২ / ১৭ চৈত্র, ১৪২৮
১৯৪৩ সালে বোম্বেতে প্রথম পার্টি কংগ্রেস
পার্টির প্রথম সাধারণ সম্পাদক কমরেড পি সি যোশী।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)’র প্রথম কংগ্রেস ১৯৪৩ সালে বোম্বেতে অনুষ্ঠিত হয়। মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে জুন মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত আট দিন ধরে এই সম্মেলন চলেছিল। কংগ্রেসে ১৩৯ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। তাঁরা তখন পার্টির ১৫ হাজার ৫৬৩ জন সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। সেসময় ১১টি ভাষায় পার্টি মুখপত্র প্রকাশ হতো। এগুলির সম্মিলিত প্রচারসংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার। হিসেব করে দেখা গিয়েছিল, এই মুখপত্রগুলি সহ পার্টি প্রকাশিত লিফলেট এবং প্রচারপুস্তিকাগুলি কমপক্ষে ৬ লক্ষ মানুষ পড়তেন। পার্টি সদস্য এবং ট্রেড ইউনিয়ন, কৃষক সভা ও অন্যান্য গণসংগঠনগুলির সামগ্রিকভাবে সদস্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
সেইসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা কমিউনিস্ট গ্রুপগুলি একত্রিত হয়ে একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার পরই এই কংগ্রেস হয়েছিল। ১৯৪১ সালে, কংগ্রেসের আগে গদর-কীর্তি গোষ্ঠী কমিউনিস্ট পার্টির সাথে মিশে যায়। বাবা সোহন সিং ভাকনা’র মতো এই গোষ্ঠীর নেতারা কংগ্রেসে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কংগ্রেসে পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ১৯৩৩ সালের শেষে থাকা পার্টির সদস্যসংখ্যা ১৫০ থেকে বেড়ে ১৯৪২ সালে হয় ৪ হাজার ৪০০ এবং ১৯৪৩ সালের মে মাসে তা পৌঁছেছে ১৫ হাজার ৫৬৩-তে। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৩৭ জন সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে পার্টিতে কাজ করছেন। এছাড়াও পার্টিতে সে সময় ছিল ৩২ হাজার ১৬৬ জন স্বেচ্ছাসেবক, কিশোর বাহিনীর ৯ হাজার সদস্য, মহিলা সংগঠনের ৪১ হাজার ১০০ জন সদস্য (যার মধ্যে ৭০০ জন পার্টি সদস্য, সেসময়ে দেশে একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টিতেই মোট সদস্যের ৫ শতাংশ মহিলারা ছিলেন), ছাত্র সংগঠনের ৩৯ হাজার ১৫৫ জন সদস্য, কৃষক সভার ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৭০ জন (এর মধ্যে পার্টি সদস্য ৫ হাজার ৫০০), ৩ লক্ষ ১ হাজার ৪০০ জন ট্রেড ইউনিয়নের (৪ হাজার পার্টি সদস্য) সদস্য। কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতা এস এ ডাঙ্গে এবং বঙ্কিম মুখার্জি যথাক্রমে ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক সভার সভাপতি নির্বাচিত হন। এই দুই গণসংগঠনে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়া দুই শ্রেণির মধ্যে কমিউনিস্টদের কাজেরই প্রতিফলন ছিল। পার্টির প্রভাব যে সমাজের সব অংশের মধ্যে ছিল তা কংগ্রেসে উপস্থিত প্রতিনিধিদের বিস্তৃত সামাজিক ও শ্রেণিগত অবস্থানের মধ্যেই পরিস্ফুট হয়েছিল। পরিচিতি পত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৩৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে ২২ জন শ্রমিক, ২৫ জন কৃষক, ৮৬ জন বুদ্ধিজীবী (এঁরা সবাই গণ আন্দোলনে কাজ করতেন, শোষিতদের মধ্যে মার্কসবাদকে জনপ্রিয় করতেন এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে মার্কসবাদী গোষ্ঠীগুলি শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করত তাদের পার্টির মধ্যে নিয়ে আনার প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল এঁদের), তিনজন জমিদার, দুজন ছোটো জোতদার এবং একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে মহিলা ছিলেন তেরো জন, তিনজন দলিত, মুসলিম তেরো জন, শিখ আট জন, পারসি দুজন এবং এক জন জৈন।
পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হওয়া সত্ত্বেও পার্টি কংগ্রেসের সময় ৬৯৫ জন পার্টি সদস্য দেশের বিভিন্ন জেলের অভ্যন্তরে ছিলেন। এঁদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ছিল ১০৫ জনের। প্রতিনিধিদের ৭০ শতাংশই এক বা তার অধিকবার কারাবাস করেছেন। এই প্রতিনিধিদের জেলজীবন যোগ করলে তা হতো ৪১১ বছর। অন্যভাবে বললে, পার্টি নেতৃত্ব তাঁদের রাজনৈতিক জীবনের অর্ধেক সময়ই কাটিয়েছেন জেলের অভ্যন্তরে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা - কল্পনা দত্ত এবং কমলা চ্যাটার্জি জেলে ছিলেন সাড়ে সাত বছর। আত্মগোপনে থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল ৫৩ শতাংশ প্রতিনিধির। প্রতিনিধিদের আত্মগোপনে থেকে কাজ করার সময়টা সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫৪ বছর।
প্রতিনিধি পরিচিতি পত্রের রিপোর্টে বয়স বিন্যাসের ছবিটিও প্রতিফলিত হয়েছে। ৬৮ শতাংশ প্রতিনিধির বয়স ছিল ৩৫ বছরের তলায়। আট জন প্রতিনিধি ছিলেন যাঁরা ১৯২৯ সালের আগে পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। কোনো প্রতিনিধি নিরক্ষর ছিলেন না। শ্রমিক ও কৃষকদের প্রতিনিধিত্বকারী বহু প্রতিনিধি ছিলেন যাঁরা আত্মশিক্ষার মাধ্যমে ইংরেজি শিখেছিলেন যা তাঁদের মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন ও স্তালিনের রচনা পড়তে এবং দেশে এর প্রয়োগে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তত্ত্ব আয়ত্ত করতে উপযোগী করেছিল।
প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্যদিয়ে পার্টি কংগ্রেসের সূচনা হয়। সমাবেশে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এসেছিলেন। সমাবেশ পরিচালনার জন্য গঠিত সভাপতিমণ্ডলীতে ছিলেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ, এস এ ডাঙ্গে, প্রবীণ শ্রমিক ও বোম্বে প্রদেশের সম্পাদক ভায়াজি কুলকার্ণি, কেরালার কৃষ্ণ পিল্লাই, কলকাতার মহিলা নেত্রী মণিকুন্তলা সেন, রেলওয়ে শ্রমিক ও বোম্বে কমিটির সম্পাদক ডি এস বৈদ্য এবং ছাত্র নেতা নার্গিস বাটলিওয়ালা। পার্টির পতাকা উত্তোলন করেন বঙ্কিম মুখার্জি। শহিদ স্মরণে প্রস্তাব পেশ করেন সোহন সিং ভাকনা।
সম্মেলনে রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক পি সি যোশী। তিনি সময় নেন নয় ঘণ্টা। বি টি রণদিভে ‘শ্রমিকশ্রেণির কর্তব্য এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা’ শীর্ষক রিপোর্ট পেশ করেন। পার্টি কংগ্রেস প্রতিদিন সকাল ছটা থেকে রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত চলত। দুপুরের ও রাত্রিরের খাবারের জন্য সামান্য সময়ের বিরতি থাকত। এই দীর্ঘ সময় ধরে রিপোর্ট পেশ, বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে আলোচনা এবং রিপোর্টের ওপর আলোচনা হতো। পার্টি কংগ্রেসে গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা, চিলি এবং কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি অভিনন্দনসূচক বার্তা পাঠায়। শ্রীলঙ্কা এবং বার্মার কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল। চট্টগ্রামের মতো ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে নিজের সন্তানদের বলিদান দিয়েছেন সেই বীর জননীরা এবং অসুস্থ পার্টি নেতৃত্বরা পার্টি কংগ্রেসে তাঁদের বার্তা পাঠিয়েছিলেন এবং পার্টির হয়ে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
বাংলার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী চিত্তপ্রসাদ - মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন এবং স্তালিনের পোট্রের্ট আঁকেন। এই ছবিগুলির সাথে গান্ধী, নেহরু এবং জিন্নাহ’র ছবি দিয়ে মঞ্চ সাজানো হয়। এই মঞ্চসজ্জার প্রেক্ষাপটে ছিল কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের পতাকা। সম্মেলনের মঞ্চসজ্জায় জাতীয় নেতৃত্বের ছবি ও দুই পতাকা ব্যবহারের মধ্যদিয়ে কংগ্রেস-লিগ ঐক্যের ওপর জোর এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তফ্রন্ট গড়ে তোলার পার্টির রাজনৈতিক-কৌশলগত বোঝাপড়াই প্রতিফলিত হয়েছে।
পি সি যোশী রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশ করতে গিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, কমিউনিস্ট পার্টির গৃহীত কৌশলগত লাইন, শিল্প ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করার আবশ্যকতা ও কারণ এবং সারা ভারতে জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা করেন। এরপর পেশ হয় বিভিন্ন প্রদেশের সম্পাদকদের রিপোর্ট। রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট প্রদেশে পার্টির কাজের বিস্তারিত বিবরণ এবং তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। এরপর সারদেশাই দেশের খাদ্য পরিস্থিতির ওপর রিপোর্ট পেশ করেন। ই এম এস নাম্বুদিরিপাদের পেশ করা রিপোর্টটি ছিল আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত। সম্মেলনে বাল সঙ্ঘম প্রসঙ্গে রিপোর্ট কুনহেনন্দন এবং মহিলাদের প্রসঙ্গে রিপোর্ট কনক, যশোদা, অন্নপুর্ণাম্মা ও পুরন মেহতা পেশ করেন। এই কমরেডরা সংশ্লিষ্ট ফ্রন্টের অবস্থা নিয়েই শুধু রিপোর্টিং করেননি, ফ্রন্টের কাজে পার্টির নীতি প্রয়োগে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তারও বর্ণনা দেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পার্টির নিয়মাবিধি সম্মেলনে পেশ করেন গঙ্গাধর অধিকারী।
পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘জাতীয় সরকার অর্জনে জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্য’। রাজনৈতিক প্রস্তাবে আহ্বান জানানো হয়ঃ এই কর্তব্য সম্পাদনের লক্ষ্যে এবং ‘সমস্ত জাতীয় নেতৃত্বে’র মুক্তির দাবিতে সমগ্র পার্টি প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করবে; খাদ্য পরিস্থিতি এবং মজুতদারির বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে ও খাদ্য দাঙ্গা যাতে না হয় তা সুনিশ্চিত করবে।
পার্টি কংগ্রেস থেকে দেশের সমস্ত শ্রমিক ও কৃষকদের কাছে ঐক্যবদ্ধ হতে, শিল্প ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে এবং ফ্যাসিবাদের পরাজয় সুনিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়। কংগ্রেস থেকে বলা হয়ঃ যতক্ষণ না শ্রমিক ও কৃষকরা এই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারছেন ততক্ষণ তাঁরা তাঁদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন না এবং ‘পর্যাপ্ত মহার্ঘ্য ভাতা, মজুরি বৃদ্ধি, বোনাস, ইউনিয়নের স্বীকৃতি, পতিত জমির বিতরণ, সেচের সুবিধা, বীজ, ভাড়া ও সুদের হারে হ্রাস কিংবা এগুলি থেকে সুরাহা’র মতো দাবিগুলিকে আদায় করতে তাঁরা পারবেন না। পার্টি কংগ্রেস থেকে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানানো হয়। শিক্ষার অধিকার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারের দাবিতে অবস্থান নিতে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
‘গণজাগরণের লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য’ হিসেবে ‘মহিলা আন্দোলনের উত্থানে’র বিষয়টিকে পার্টি কংগ্রেসে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এই মহিলা আন্দোলনের উত্থানের ঘটনা ঘটেছিল বিশেষকরে বাংলা, অন্ধ্র এবং মালাবারে। কমিউনিস্টদের কাজের ফলেই এটা ঘটেছিল। কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘মহিলা সংগঠন বিশেষকরে শোষিত মহিলাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে’। পার্টির সমস্ত শাখার কাছে উপরিউক্ত প্রচার আন্দোলনের বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে ‘গণসংগঠন গড়ে তোলার পরিকল্পনা’ ছকতে এবং একটি ‘গণ কমিউনিস্ট পার্টি’ গড়ার ভিত্তি স্থাপনের আহ্বান জানায় কংগ্রেস।
কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় - পার্টিকে ‘গণ রাজনৈতিক শক্তি থেকে গণ রাজনৈতিক সংগঠন’-এ রূপান্তর ঘটাতে হবে এবং ‘শুধু লক্ষ লক্ষ শোষিত মানুষের ওপর নয়, সামগ্রিকভাবে সমগ্র ভারতবাসীর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব’ ফেলার মতো শক্তি অর্জন করতে হবে। এছাড়াও পার্টি সদস্য সংখ্যা, সর্বক্ষণের কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, তহবিল বৃদ্ধি এবং ট্রেড ইউনিয়ন, কৃষক সভা, ছাত্র, মহিলা ও কিশোর বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধির কাজকে পার্টি কংগ্রেস গ্রহণ করেছিল।
সমস্ত প্রস্তাব, রিপোর্ট, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার ভিত্তিতে নির্ধারিত কৌশল সর্বসম্মতিতে পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত হয়। কংগ্রেসে সর্বসম্মতিতে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পি সি যোশী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। কংগ্রেস সম্পর্কে রিপোটিং করতে গিয়ে পি সি যোশী বলেন, প্রতিনিধিরা ‘এই ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে যে, কংগ্রেসে হওয়া আত্মসমীক্ষামূলক আলোচনা থেকে তারা অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন।’ তিনি এও মন্তব্য করেছেন যে, বহুবছর ধরে একসাথে কাজ করার মধ্যদিয়ে একটি সাধারণ লক্ষ্য, সাধারণ কর্মসূচি অর্জনের যে ইচ্ছা কমরেডদের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে, কংগ্রেসে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সেটাই প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুজফ্ফর আহ্মদ সভাপতিমণ্ডলীর পক্ষ থেকে কংগ্রেসে সমাপ্তি ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ‘পার্টি কংগ্রেস সমাপ্ত হলো। পার্টি তার জীবনে সবচেয়ে মহত্তম কাজ হাতে নিয়েছে। চলুন আমরা সেই কর্তব্য সম্পাদন করি।’
অনুবাদঃ শংকর মুখার্জি