৬১ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ / ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০
না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা
দেবেশ দাস
না খাউঙ্গা য়া স্রিফ মেরি পার্টি কো খিলাউঙ্গা?
২০১৭ সালে মোদি সরকার চালু করেছে ইলেকটোরাল বন্ড, যে কেউ স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে বন্ড কিনে কোনো রাজনৈতিক দলকে দিলে সেই দল ওই বন্ড ভাঙিয়ে টাকা পেয়ে যাবে।রাজনৈতিক দলগুলিকে ইলেকশন কমিশন তথা জনসাধারণকে জানাতে হয় যে তারা কত টাকার বন্ড পেয়েছে, কিন্তু সেই বন্ডের টাকা কে তাদের দিয়েছে তা জানাতে হয় না। আসলে কোটি কোটি টাকার এই বন্ড কেনে নানা বড়ো ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি, তারা কোন পার্টিকে কত টাকা গোপনে দিচ্ছে, তা কেউ জানতে পারে না।
২০১৯ সালে ছিল লোকসভা নির্বাচন। ২০১৯-এর মার্চে ও এপ্রিলে (২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থনৈতিক বছর) কিছুদিনের জন্য এই বন্ড কেনার ব্যবস্থা হয়েছিল। এই দুই অর্থনৈতিক বছরে দেশের প্রধান দু'টি দল কত টাকা ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল, তা সারণি-১ তে বলা হলো। দেখাই যাচ্ছে, বিজেপি-ই টাকা পাচ্ছে সিংহভাগ। শিল্পপতিরা বিজেপি-কে টাকা দিচ্ছে, তার বদলে নিশ্চয় কিছু পাচ্ছে।
আবার সরকার স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে জেনে যাচ্ছে, যে বন্ডগুলি কেনা হচ্ছে তার নম্বরগুলি কী ও তা কে কিনছে, আর কোন নম্বরের বন্ড কোন দলের কাছে ঢুকছে। ফলে কোনো শিল্পপতি যদি বিরোধী কোনো দলকে টাকা দেয় বন্ডের মাধ্যমে, তাহলে সরকার সেটা জানছে ও সরকার তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে বন্ডে বিজেপি'র রমরমা।
সারণি-১: ইলেকটোরাল বন্ডের টাকা বিজেপি ও কংগ্রেস কত করে পেয়েছে
সাল | বিজেপি | কংগ্রেস | অন্যান্য দল | |||
টাকা (কোটি) | শতাংশ | টাকা (কোটি) | শতাংশ | টাকা (কোটি) | শতাংশ | |
২০১৮-১৯ | ১৪৫১ | ৫৭ | ৩৮৩ | ১৫ | ৭০৫ | ২৮ |
২০১৯-২০ | ২৫৫৫ | ৭৪ | ৩১৮ | ৯ | ৫৬৮ | ১৭ |
সূত্রঃ https://adrindia.org/sites/default/files/Updated Background Note Electoral Bonds October 2023 Final.pdf
প্রতিরক্ষায় সর্বোচ্চ দুর্নীতি - রাফায়েল বিমান কেনা
২০০৮ সালে রাফায়েল বিমান কেনার কথা শুরু হয় এর প্রস্তুতকর্তা ফ্রান্সের কোম্পানি ডাসাল্টের সাথে। ১২৬টি বিমান নেওয়ার কথা। ঠিক হয়, এদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল কোম্পানি বিষয়টি দেখবে, যার নিজের বিমান বানানোর অভিজ্ঞতা আছে। মোদি সরকার এসে ঠিক করে যে মোট ৩৬টি বিমান কেনা হবে, আর প্রতিটি বিমানের দাম এখন আরও ২৭৮ কোটি টাকা করে বাড়বে। আর হ্যালের বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয় অনিল আম্বানির কোম্পানিকে, যার এই ব্যাপারে কোনো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই। এমনকী তখনো কোম্পানিটি এসব কাজ করার জন্য লাইসেন্স পর্যন্ত পায়নি। ২০১৪ সালের মে মাসের শেষে বিজেপি সরকারে আসার পর ওই বছরই ৭ মাস বাদে ডিসেম্বরের শেষে আম্বানির এই কোম্পানির শুরু। এই কোম্পানি তৈরি হওয়ার ৪ মাস বাদে ২০১৫ সালের এপ্রিলে মোদির তিনদিনের সফরে ফ্রান্স যাত্রা, সেখানে গিয়ে ডাসাল্ট কোম্পানির সাথে কথা, চুক্তি বদল ও হ্যালকে হঠিয়ে দিয়ে প্রবেশ আম্বানির।
যদি মেরা লোগ খায়ে তো কোই সমস্যা নেহি
অমিত শাহের ছেলের যে কোম্পানির ২০১৪-১৫ সালে টার্নওভার ছিল ৫০ হাজার টাকা, ২০১৫-১৬ সালে তা দাঁড়ায় ৮০.৫ কোটি টাকায়। ২০১৬ সালে ডিমনিটাইজেশনের সময়ে আহমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত শাহের ছেলে, সেই সময়ে ৫ দিনের মধ্যে ৭৪৫.৫৯ কোটি টাকা জমা পড়ে, ভারতের কোনো সমবায় ব্যাঙ্কে এর ধারে কাছেও জমা পড়েনি।
মোদি সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর পীযূষ গোয়েল নিজের কোম্পানির শেয়ার একটি কোম্পানিকে বিক্রি করে দেন। মন্ত্রী হিসাবে সম্পত্তির হিসাব সরকারকে দিতে হয়, কিন্তু তাঁর যে নিজের কোনো কোম্পানি ছিল, সরকারের কাছে দেওয়া হিসাবে তিনি তা উল্লেখ করেননি। শুধু তাই নয়, একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছে ফেস ভ্যালুর ১০০০ গুণ দামে শেয়ারগুলি বিক্রি করেন।
বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে ছত্তিশগড়ে রেশন দুর্নীতি, মধ্যপ্রদেশে পেশাগত পরীক্ষায় ভরতির জন্য দুর্নীতি ব্যাপম কেলেঙ্কারি, কর্ণাটকে মাইন নিয়ে বিশাল কেলেঙ্কারি। এসব নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই।
বিজেপি'র আমলেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ নতুন কিছু নাম শোনা গেছে যারা এদেশে চুরি করে বিদেশে পালিয়ে গেছেন - বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি ও আরও অনেকে।
চুরি বা দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি'র বিরুদ্ধে নতুন নয়। ২০০১ সালে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গিয়েছিল যে বিজেপি'র সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ নিজের হাতে ঘুষ নিচ্ছেন, বিজেপি চালিত এনডিএ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকেও ঘুষ নিতে দেখা যায় (তেহেলকা স্টিং অপারেশন)।
সরকারি কার্যো মে ঘোটালা
সম্প্রতি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) সরকারের বিভিন্ন দপ্তর নিয়ে ১২টি রিপোর্ট দিয়েছে। তাতে দেখা গেছে সরকারের নানা দুর্নীতি। তার কয়েকটি বলা হলো -
(১) পথ পরিবহণ দপ্তরঃ দিল্লি থেকে হরিয়ানার গুরুগ্রাম যাওয়ার ১৪ লেনের হাইওয়ে রাস্তা তৈরিতে হরিয়ানার দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা বানাতে খরচ হয়েছে ২৫০.৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ধার্য ছিল ১৮.২০ কোটি টাকা।
(২) স্বাস্থ্য দপ্তরঃ আয়ুষ্মান ভারতের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২.২৫ লক্ষ রোগীর হাসপাতালে যেদিন সার্জারি অপারেশনের তারিখ দেখানো হয়েছে, বাস্তবে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ হয়ে গেছে তার আগে। আয়ুষ্মান প্রকল্পে আধার কার্ড লাগে, যাতে একই লোক একাধিক জায়গা থেকে সুবিধা না নিতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, দেখা যাচ্ছে ১.৫৭ লক্ষ ক্ষেত্রে একই আধার কার্ড একাধিক জায়গায় ব্যবহৃত হয়ে টাকা উঠেছে।
(৩) রেল দপ্তরঃ ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোট ৪৭১২টি ক্ষেত্রে বিনা অনুমোদনে ৩২০১৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
(৪) বেসামরিক বিমান দপ্তরঃ প্লেন বা হেলিকপ্টার নামানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এরকম ৮৩টি ক্ষেত্রে ১০৮৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল, যেখানে কাজ শুরু হয়নি বা বন্ধ হয়ে গেছে।
সিএজি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কাজ হচ্ছে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করা। উলটে সিএজি-র যে সমস্ত অফিসার এই রিপোর্ট বার করেছেন, তাদেরকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
না খানে দুঙ্গা য়া খানা চাহতে হ্যাঁয় তো মেরা সহায়তা করে?
২০১৪ সালে বিজেপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন বিজেপি'র মূল প্রচার ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আজও সে ভাব করে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তি দিতে বিজেপি বদ্ধপরিকর। নানা জায়গায় সিবিআই এবং ইডির হানা হয়েছে ও সেই হানা বাড়ছে। ২০১৩ সালে ইডি হানা দিয়ে ৬২টি ক্ষেত্রে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, ২০২০ সালে সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৭০-তে।
যেভাবে বিজেপি সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স বিভাগকে ব্যবহার করছে তা আগে কখনো ঘটেনি। বিজেপি'র কোনো কেলেঙ্কারিতে এদের হানা হচ্ছে না, বরং আগে ওঠা অভিযোগকে চাপা দেওয়া হচ্ছে। ইনকাম ট্যাক্স বিভাগ ২০১৩ সালে বিড়লাদের কিছু কোম্পানিতে তদন্ত করতে নেমে কিছু কাগজপত্র পায় যেখানে দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে নানা রাজনৈতিক দলের নেতাদের টাকা দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে তদানীন্তন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন। পরে সাহারা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রেও একই তথ্য মেলে। কর্ণাটকের পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার লিখিত ডায়েরি থেকে জানা যায় যে, বিজেপি নেতাদের প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, এই সমস্ত ক্ষেত্রেই তদন্ত বন্ধ। দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে কিন্তু সরকারকে সমর্থনকারী দলগুলির নেতাদের বাড়িতেও হানা হয়েছিল এবং নেতা-মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছিল (লালুপ্রসাদ, এ. রাজা)।
২০১৩ সালে জয়ললিতার বিরুদ্ধে বিজেপি'র সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মামলা করে আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ললিতা বিজেপি’র সাথে ছিল না। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর জেল হয়, মুখ্যমন্ত্রী পদ যায়। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বিজেপি’র মন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন, এরপরে এআইএডিএমকে সাধারণ বাজেট, রেল বাজেট, জমি অধিগ্রহণ বিল, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংসদে বিজেপি-কে সমর্থন করে। ২০১৫ সালের মে মাসেই জয়ললিতার বিরুদ্ধে আর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, আর জয়ললিতা জেল থেকে মুক্তি পান।
২০১৪ সালের নির্বাচনে যে বিষয়টা সবচেয়ে প্রচার পেয়েছিল তা হচ্ছে ইউপিএ সরকারের কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার ২জি কেলেঙ্কারি। রাজাকে সিবিআই গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি সরকারে আসার পরে রাজার বিরুদ্ধে সিবিআই যে সমস্ত তথ্য শেষপর্যন্ত পেশ করে তাতে আদালত তাঁকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। আসলে রাজাকে ধরতে হলে আরও কিছু কোম্পানিকেও ধরতে হয়, যারা বিজেপি’র খুব কাছের।
তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ধরছে সিবিআই, ইডি। শেষপর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হবে? নাকি জয়ললিতার মতো সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে? ২০১১ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি অবধি ইডি ১৫৬৯টি কেসে ১৭০০০ হানা দিয়েছে, মাত্র ৯ জন শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত হয়েছে, তাও সামান্য অভিযোগে। আরএসএস-এর পত্রিকা স্বস্তিকার ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩-এর সংখ্যায় মমতার ভাইপো অভিষেক সম্বন্ধে লেখা হয়েছে - ‘‘খাতায় কলমে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’’ ইডি সাংসদ অভিষেকের সম্পত্তি সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে যে হিসাব আদালতে পেশ করেছে, তাতে কেবলমাত্র তার তিনটি ইন্সুরেন্স খুঁজে পেয়েছে, আর কোনো সম্পত্তির কোনও হদিশ পায়নি।
লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল পশু খাদ্য কেলেঙ্কারি। সেই কেলেঙ্কারি শুরু হয়েছিল বিহারে লালুপ্রসাদের আগের মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রের আমলে, লালুপ্রসাদ পরে এসে তার ভাগ পায়। মূল অভিযুক্ত জগন্নাথ মিশ্র, কিন্তু তিনি দু'বছর জেল খেটে পরে অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে যান। কিন্তু লালুপ্রসাদের জেল চলছে, তাঁর বিরুদ্ধে পরে আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ ও অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে ও হচ্ছে। লালুপ্রসাদ যাদব মুক্তি পাবে না, কারণ তিনি চিরকাল বিজেপি বিরোধী।
আসলে দুর্নীতিকেই আইনি মদত
ইউপিএ-২ সরকারের আমলে আন্না হাজারে লোকপাল বিলের দাবিতে যখন আন্দোলন শুরু করেছিলেন, বিজেপি ও মিডিয়া তাঁর পক্ষে প্রচারে নেমেছিল। জনজীবনের দুর্নীতি রুখতেই লোকপালের নিয়োগের কথা। সেই লোকপাল মোদি সরকারের প্রথম পাঁচ বছরে নিয়োগ হয়নি। আন্না হাজারে, রামদেব, কিরণ বেদির মতো লোকদের আইন অমান্য বা কোনো আন্দোলন করতে দেখেছেন? সাম্প্রতিক সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে, দুর্নীতির একটি অভিযোগেরও বিচার করেননি লোকপাল।
দুর্নীতি দমন আইনকে ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়েছে, যাতে সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা কঠিন হবে। ২০১৪ সালে আনা হয়েছে হুইসল ব্লোওয়ারস প্রোটেকশন আইন, যাতে সরকারের গোপন দুর্নীতি কেউ ফাঁস করলে তার কপালে নানা দুর্ভোগ আছে।
ইলেকটোরাল বন্ড চালু করার মানে কী? রাজনৈতিক দলগুলি (বিশেষত শাসক দল) কার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে, তা গোপন করার আইনি সুরক্ষা দেওয়া কি দুর্নীতিকেই চাপা দেওয়া নয়?
স্রিফ ও হি খায়েঙ্গে জিনহে ম্যায় চাহতা হু।