E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬১ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ / ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০

সঙ্ঘের সুতোয় নাচেন মোদি

দেবাশিস আচার্য


মোদি সরকারের দুবারের মোট দশ বছরের শাসন সামনের বছরের শুরুতেই শেষ হবে।২০১৪ সালে যখন প্রথমবারের জন্য নরেন্দ্র দামোদর মোদি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসীন হন, তখন সংঘের পক্ষ থেকে হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলে তাঁকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। মোদির নেতৃত্বে সরকার গঠন ভারতীয় রাজনীতিকে নতুন বাঁকের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এর আগেও দুবার বিজেপি সরকার গঠন করলেও সেই দুবারের সরকারের চেয়ে মোদির ক্ষমতালাভ নানা কারণেই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। আগের দুই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিজেপি’র অটলবিহারী বাজপেয়ী হলেও দুইবারই সংসদে বিজেপি’র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না, সরকার তাই এনডিএ জোট সরকার বলে পরিচিত ছিল। ২০১৪ ও ১৯-শে বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, আরএসএস’র একজন সর্বক্ষণের প্রচারক হিন্দুত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গুজরাট ফেরত সংঘী দেশের প্রধানমন্ত্রী।

দ্বিতীয়ত, এদেশের করপোরেট দুনিয়ার একটা বড়ো অংশ সাম্প্রদায়িকতার মনোভাবের পক্ষে ছিল না। এবার মোদির পাশে খোলাখুলি তাদের অবস্থান। আর সেই সাথে মোদির শাসনে সংসদে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে মতাদর্শগতভাবে লড়াইয়ের মূলশক্তি বামপন্থীদের সংখ্যা অনেক কম।ফলে আচ্ছেদিন স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা মোদি পুরোপুরি আরএসএস’র অ্যাজেন্ডা কার্যকর করতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছেন। নাচেন পুতুল যথা, নাচান দক্ষ আর এস এসে।

১৯২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জন্ম।শুরু থেকেই দেশের চলমান স্বাধীনতা সংগ্রাম, বহুত্ববাদ,বৈচিত্র্যময় ভারতীয় ঐক্যের তারা বিরোধী।এই সংগঠনের তাত্ত্বিক ভিত্তি ছিল ইতালির মুসোলিনি আর জার্মানির হিটলারের ফ্যাসিস্ত ও নাৎসিদের উগ্রজাতীয়তাবাদী ভাবধারা। এদের তাত্ত্বিক নেতা হিন্দু মহাসভার সভাপতি সাভারকর নিজে মুসোলিনির ভক্ত ছিলেন, তাঁর জীবনী মারাঠিতে অনুবাদ করেন। যখন এদেশের হিন্দু ও মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়ছেন, প্রাণ দিচ্ছেন, তখন তিনি লিখেছেন ‘‘হিন্দুত্ব - কে হিন্দু’’(১৯২৩)। এখানে তিনি দেখিয়েছেন, একমাত্র হিন্দুরাই আসল জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক, অহিন্দু বৌদ্ধ মুসলমানরা নয়। এবং সেকারণেই তিনি তাদের লড়াই ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নয়,অহিন্দু ভারতীয়দের বিরুদ্ধে।

আরএসএস জন্ম থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরুদ্ধে ও ব্রিটিশ শাসনের পক্ষে ছিল।এমনকী পরবর্তীকালে মুসলিম লিগ যে দ্বিজাতিতত্ত্বের কথা বলে ও দেশভাগ হয় আরএসএস প্রথম ভারতীয় রাজনীতিতে তা আমদানি করে। তারা স্বাধীনতা প্রাপ্তির চেয়ে ভারতে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণকে মূল লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করে। যার ভিত্তি হবে মনুবাদ। যে মনুবাদে বর্ণাশ্রম ব্যবস্থাকে আদর্শ মানা হয়েছে। যেখানে শূদ্র আর মহিলাদের হীন অবস্থাকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। ফলে শুধু বিধর্মী মুসলমানরা নয় হিন্দু নারী ও শূদ্রদেরও মন্দিরে প্রবেশাধিকার সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সহাবস্থান নেই। আরএসএস শুরু থেকেই তাদের রাজনৈতিক শত্রু হিসেবে কমিউনিস্টদের চিহ্নিত করে এসেছে। যা আজও সংঘের মূখ্য নেতা মোহন ভাগবতের বিজয়াদশমীর ভাষণেও বহমান।

আরএসএস যে হিন্দুত্বের কথা বলে তার সাথে আমাদের দেশের হিন্দু ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই।বরঞ্চ বৈরিতা প্রকট। হিন্দু ধর্মে রয়েছে বহুমাত্রিকতা, বৈচিত্র্যময়তা, অন্যমতের প্রতি সহনশীলতা। আরএসএস’র হিন্দুত্ব অসহিষ্ণু সর্বগ্রাসী ও সাম্প্রদায়িক মতবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দু মৌলবাদী নাথুরাম গডসের হাতে প্রাণ দিতে হয় জাতির জনক আজীবন হিন্দু রামভক্ত মহাত্মা গান্ধীকে। অথচ মোদির রাজত্বে সেই গান্ধী হত্যাকারীকে দেশপ্রেমিক আখ্যায়িত করা হচ্ছে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সাভারকর, গডসের মুর্তি, মন্দির নির্মাণ, গান্ধী হত্যার দিন ৩০ জানুয়ারি জাতীয় শৌর্য দিবস হিসেবে পালন হচ্ছে। এসবই হচ্ছে আরএসএস নির্দেশনা অনুযায়ী।

দেশজুড়ে জোরকদমে মুসলিম ও দলিতদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানো চলছে। মোদির মন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন বিজেপি-কে যারা সমর্থন করে না, তারা হারামজাদা। এক মন্ত্রী আবার সরাসরি এনআরসি বিরোধীদের গোলি মারো শালোকো বলে হুঙ্কার দেন। বিরোধীদের চাপে কিছু ক্ষেত্রে মোদি দুঃখ প্রকাশ করতে বাধ্য হলেও এই সব উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। দেশজুড়ে দলিত মুসলিম মহিলাদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ বেড়েই চলেছে।

ইতিমধ্যে বিদেশমন্ত্রী গীতা-কে জাতীয় গ্রন্থ করা, এক বিজেপি সাংসদ জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবি করেছেন।এখন তো প্রধানমন্ত্রী সংবিধানে উল্লিখিত দেশের নাম পরিবর্তনেরও কাজ শুরু করে দিয়েছেন।আসলে আরএসএস প্রথম থেকেই এদেশের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা, তেরঙা জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের ঘোষিত বিরোধী। এমনকী আরএসএস’র নির্দেশ অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহের অবয়বেরও পরিবর্তন করেছে মোদি সরকার। এমনকী সংসদের গৃহপ্রবেশের সরকারি অনুষ্ঠানে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষতাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।

আরএসএস নির্দেশিত পথে দেশের ইতিহাস রচনা, অবৈজ্ঞানিক চিন্তার প্রসার, শিক্ষাকে গৈরিকীকরণ, বিভিন্ন বৌদ্ধিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সংঘের লোক বসানো, বিভিন্ন স্টেশন ঐতিহাসিক স্থানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। দেশের ইতিহাসের অন্যতম অধ্যায় মোগল যুগ, যেখানে রয়েছে তুলসীদাসের রামচরিত মানস, মীরার ভজন, তানসেনের গান, ভারতীয় সঙ্গীত স্থাপত্য চিত্রকলার অপূর্ব ভাণ্ডার - সেই ইতিহাসকেও মুছে দিতে চাইছে। ডারউইনের বিবর্তনবাদ বাতিল হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ-এর সভাপতি করা হয়েছে রামায়ণ ও মহাভারতকে ইতিহাস বলে প্রমাণকারী এক গবেষককে। যে বৌদ্ধিক গবেষণা কেন্দ্রে ইরফান হাবিব, রামশরন শর্মা, কোশাম্বী, রোমিলা থাপারের মতো জগৎবিখ্যাত ইতিহাসবেত্তারা অলঙ্কৃত করেছেন।

মোদির প্রথম পর্বের শাসনকালের পর্বতপ্রমাণ ব্যর্থতা, জনবিরোধী নীতির পরেও মূলত ফুলওয়ামার ঘটনাকে হাতিয়ার করে উগ্র জাতীয়তাবাদের রণধ্বনি দিয়ে ২০১৯ শে আরও বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে আরএসএস’র কার্যক্রমকে লাগু করতে আরও বেশি আগ্রাসী হয়। মোদি সরকার আসলে আরএসএস’র হিন্দুত্ব আর ক্রোনি ক্যাপিটালিস্ট অর্থাৎ শাসকের বংশবদ করপোরেটের বিপজ্জনক মিশ্রণের ভয়াবহ পরিণতি। করপোরেট মহল দ্বিতীয়বারের জন্য মোদিকে ক্ষমতায় আনতে সর্বশক্তি, অর্থ লগ্নি করে। আর সেকারণেই করপোরেট নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া খোলাখুলি মোদির ভাবমূর্তি নির্মাণ করে। ক্ষমতায় আসার পর তারা মোদির প্রচার করতে করতে মোদির কোলে চড়ে গোদি মিডিয়ায় রূপান্তরিত হয়েছে।

দেশের চ্যানেলগুলোর বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ আম্বানি-আদানির মতো মোদিঘনিষ্ঠ করপোরেট এবং সুভাষ চন্দ্র, রাজীব চন্দ্রশেখরদের মতো বিজেপি সাংসদ নেতা ও মিডিয়া ব্যারনদের হাতে। আর এর বাইরে বিকল্প ধারার যাঁরা এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁদের পরিণতি নিউজক্লিকের মতো।

আরএসএস’র বিরুদ্ধ মতাদর্শের লোকেদেরও ভয়ংকর পরিণতি হয়েছে। শুধু মুসলমান কাফিল খানের কারাবাস কিংবা ফাদার স্ট্যানের কারাগারে নিষ্ঠুর মৃত্যুই নয় গোবিন্দ পানসারে,গোরী লঙ্কেশ, কালবুর্গীর মতো মুক্তচিন্তার সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মানুষদের নিষ্ঠুর পরিণতি ঘটেছে।

এই সময় কাশ্মীরের ঐতিহাসিক কারণে সংবিধান নির্দেশিত বিশেষাধিকার হরণ হয়েছে।এরপর এসেছে সন্ত্রাস দমনের নামে আনল্‌ফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট (UAPA) সংশোধন করে বিনা বিচারে গারদবন্দিকরা। এনআরসি’র মতো দেশের ঐক্য সংহতি বিরোধী আইন পাশ হয়েছে সংঘের নির্দেশনায়। এমনকী বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও মোদি সরকার আমেরিকার পদলেহন ও সম্প্রতি পালেস্তাইন প্রশ্নে রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধবিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোটদান আরএসএস’র অবস্থান অনুযায়ী।যাতে ভোটের আগে মুসলিম বিদ্বেষ ও হিন্দুত্বের পালে হাওয়া লাগানো যায়।

১৯৯২-র বাবরি মসজিদ ভাঙার মধ্যে দিয়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা, আইনের শাসন আর গণতন্ত্রের উপর যে ধাক্কা এসেছিল মোদির শাসনে তার বৃত্ত পূর্ণ হলো বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণ প্রকল্প শীর্ষ আদালতের সমর্থনের মধ্যে দিয়ে। সেদিনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েও শেষ পর্যন্ত ধ্বংসকারীদের হাতেই তুলে দেওয়া হলো তার ভার। অপরাধীরা সাজা পেলো না, এখন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের জলাঞ্জলি দিয়ে সরকারি উদ্যোগে মন্দির নির্মাণ চলছে। ভোটের আগে তা উদ্বোধন করবেন আরএসএস’র প্রচারক প্রধানমন্ত্রী। আর দলিত বলে মন্দিরের শিলান্যাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি থেকেছেন ব্রাত্য, যেমন সংসদ ভবনের অনুষ্ঠানে মহিলা আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। সংঘও যে তাদের মনুবাদী আইনে দলিত ও মহিলাদের পবিত্র স্থানে প্রবেশাধিকার দেয়নি।

সংঘ আর লিগ একে অপরের স্বার্থে যুক্ত।সাভারকর যেমন জিন্নাহর দ্বিজাতিত্ত্বের সমর্থক ছিলেন, তেমনি লিগের নেতা মওদুদী খোলাখুলি স্বাধীনতার আগেই হিন্দু শাস্ত্র ও বিধান মেনে রাষ্ট্র ও সমাজ গড়তে ভারতীয়দের আহ্বান জানান, যেমন পাকিস্তানকে তারা গড়বেন আল্লাহর নির্দেশ মেনে।

মোদির শাসনে ধনীদের পৌষমাস, আর কৃষান মজুরের সর্বনাশ। নোটবন্দি, ঋণখেলাপি ধনকুবেরদের অবাধ লুঠপাট, লাগামহীন রাষ্ট্রীয় সম্পদ (রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা, ডাক, খনি, জমি) বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশের ধনীরা ফুলে ফেঁপে উঠছে, অন্যদিকে আকাশচুম্বী বেকারি, মূল্যিবৃদ্ধি, ছাঁটাই, দারিদ্র্যে দেশের মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। নির্বাচনী তহবিলে লাগামহীন দেদার দান আইনি হয়েছে। শিক্ষা খাদ্য স্বাস্থ্য একশোদিনের কাজে অর্থ হ্রাস। আর এই ক্ষতকে আড়াল করতে এখন শেষ হাতিয়ার আরএসএস’র শতবর্ষের স্বপ্ন পূরণ হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তার আগে ভোট বৈতরণী পার হতে ‘‘রামপদ তরী’’।

চরিত্রের দিক থেকে হিন্দুত্ব আসলে নিম্নবর্গীয় অন্ত্যজ গতরখাটা মানুষের বিরুদ্ধে। তাই হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে লড়াই সেই অংশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ করার মতাদর্শের সংগ্রাম।

এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অগ্রণীবাহিনী বামপন্থীদের দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে একদিকে মতাদর্শগত সংগ্রামের সাথে আরএসএস পরিচালিত মোদি সরকারের অপসারণের লড়াই জারি রাখতে হবে।

হিন্দুত্বের একবগ্গা রথ চালিয়ে হিন্দু ধর্ম, ভারতীয় দর্শন ও সমাজ সংস্কৃতির আঞ্চলিক লোকায়ত বহুত্ববাদী ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে উদ্যত আরএসএস নিয়ন্ত্রিত সরকার। এর বিরুদ্ধে তাই সেই লোকায়ত ভারতীয় বৈচিত্র্যময় বহুমুখী সংস্কৃতির উদ্‌যাপন করতে হবে আমাদের। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য তুলে ধরতে হবে, জানাতে হবে সংঘের দেশবিরোধী ইতিহাস।

ওদের আছে ঘৃণা, হিংসা, সাভারকর গোলওয়ালকর; আমাদের আছে কবীর, নানক, চৈতন্য, লালন, ফৈয়াজ, রবীন্দ্রনাথ। ওদের দ্বেষের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর লড়াইয়ে এই ঝড়বাদল তুফানে আমাদের কম্পাস আমাদের দেশের মানুষের ব্যাপকতম ঐক্যের মধ্যেই নিহিত আছে।