৫৯ বর্ষ ৮ সংখ্যা / ১ অক্টোবর, ২০২১ / ১৪ আশ্বিন, ১৪২৮
সিপিআই(এম) হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সপ্তদশ সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর সিপিআই(এম) হিমাচল প্রদেশ রাজ্য ১৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কুলুতে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য তপন সেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করে তিনি বলেন, দেশের সামনে এখন সবচেয়ে বড়ো ইস্যু সাম্রাজ্যবাদের চাপিয়ে দেওয়া নয়া উদারনীতির রুপায়ণের জন্য বেসরকারিকরণের পথে দেশকে শাসক শ্রেণি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার জন্য ঘটছে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, বেরোজগারি, দুর্নীতি, ধনী ও গরিবের ব্যবধান বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি।
তিনি বলেন, বর্তমান বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার দেশের সমস্ত সম্পদ তাদের পেটোয়া পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন লুট করার জন্য। দেশের মানুষের ভেতরে সরকারের নীতির ফলে যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে তাকে সাম্প্রদায়িক এবং জাতিবাদের পথে ঠেলে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বৈরাচারপূর্ণ এবং জনবিরোধী আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, শাসকশ্রেণির এই সমস্ত নীতির জন্য দেশের একতা এবং অখণ্ডতা দুর্বল হচ্ছে। একটি শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টি কেবলমাত্র এইসব বিপদের মোকাবিলা করতে পারে, গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণকে সুরাহা দিতে পারে। শক্তিশালী কমিউনিস্ট পার্টিই পারে পুঁজিপতি, ভূস্বামী এবং সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির শোষণের বর্তমান অবস্থাকে বদলে দিতে। তিনি পার্টি সদস্যদের আশু কর্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের মধ্য থেকেই জনগণের আন্দোলনকে সংগঠিত করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই হিমাচল প্রদেশের ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে দেওয়া যেতে পারে। হিমাচল প্রদেশের মানুষ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত বিকল্পের সন্ধান করছেন। সঠিক পদ্ধতিতে সংগঠিত হয়ে আমাদের পার্টি আগামী দিনে হিমাচল প্রদেশের মানুষের প্রত্যাশিত সেই বিকল্প হয়ে ওঠার অঙ্গীকার করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পার্টির নিজস্ব শক্তি বাড়াতে হবে এবং বামপন্থী গণতান্ত্রিক মোর্চাকে শক্তিশালী করে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হারাতে হবে এবং তাদের দুর্বল করতে শক্তি সংগঠিত করতে হবে।
সম্মেলনের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন সম্পাদক ওমকার সাদ। সম্মেলনে মোট ১৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। ৪০ জন সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর আলোচনা করেন।
সম্মেলনে শ্রম আইনে বদলের বিরোধিতা, মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরোধিতা সহ মহিলাদের বিভিন্ন ইস্যু, দলিতদের সমস্যা, নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা, বেকার সমস্যা, জমি অধিগ্রহণ, বাগিচা চাষ, পশুপালন, বেসরকারিকরণ বিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রস্তাব নেওয়া হয়।
সম্মেলনের শেষে ৩০ জনের রাজ্য কমিটি নির্বাচিত হয় এবং সাতজনের সম্পাদকমণ্ডলী তৈরি হয়। সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন ওমকার সাদ।