E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ২ ডিসেম্বর, ২০২২ / ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

প্রয়াত কমরেড মানব মুখার্জি


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য, রাজ্যের ছাত্র-যুব আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা, বামফ্রন্ট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী কমরেড মানব মুখার্জির জীবনাবসান হয়েছে। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তিনি বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কমরেড মানব মুখার্জির বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত আগস্ট মাস থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসার পরে বাড়িতে ফিরে গেলেও সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ঈশিতা মুখার্জি এবং কন্যা হিয়া মুখার্জি রয়েছেন।

তাঁর মৃত্যুতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য সূর্য মিশ্র, এমএ বেবি, হান্নান মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী মহিলা আন্দোলনের নেত্রী মায়মুনা মোল্লা প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও শোকবিবৃতি দিয়েছেন।

৩০ নভেম্বর পার্টির রাজ্য দপ্তর সহ বিভিন্ন স্থানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর ইচ্ছানুসারে চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বার্থে দেহদান করা হয়। প্রয়াণের পর তাঁর মরদেহ সংরক্ষিত রাখা ছিল তপসিয়ার পিস ওয়ার্ল্ডে।

শেষ বিদায়

৩০ নভেম্বর বুধবার সকালে পিস ওয়ার্ল্ড থেকে তাঁর মরদেহ প্রথমে নিয়ে আসা হয় বেলেঘাটায় সিপিআই(এম)’র পূর্বতন জোনাল কমিটির দপ্তরে। এরপর ফুলবাগান এরিয়া কমিটির দপ্তর এবং নারকেলডাঙা খালপুল দপ্তর হয়ে মরদেহ নিয়ে আসা হয় এসএফআই-ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে। সেখান থেকে মরদেহ পার্টির রাজ্য দপ্তর মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে আনা হয়, তারপরে নিয়ে আসা হয় পার্টির কলকাতা জেলা দপ্তর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ এবং বামপন্থী গণআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সহ বহু মানুষ প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন, এরপর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবন থেকে ৬৭টি অর্ধনমিত রক্তপতাকা নিয়ে কমরেড মানব মুখার্জির মরদেহের সঙ্গে শোকমিছিল শুরু হয়। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড দিয়ে এগিয়ে শিয়ালদহ এবং কলেজ স্ট্রিট হয়ে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গাইতে গাইতে সেই মিছিল এগিয়ে যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের উদ্দেশ্যে। সিপিআই(এম)’র রাজ্য ও কলকাতা জেলার নেতৃবৃন্দ এবং বহু কর্মী সমর্থক, ছাত্র-যুব আন্দোলনের প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ বহু মানুষ শোকমিছিলে পা মিলিয়েছেন।

৩০ নভেম্বর বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় সিপিআই(এম) রাজ্য দপ্তরে। তাঁর মরদেহে রক্তপতাকা দেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং পার্টি নেতৃবৃন্দ। মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র, পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, পলাশ দাশ, অমিয় পাত্র, সুমিত দে, দেবব্রত ঘোষ, মৃদুল দে, দীপক দাশগুপ্ত, রঘুনাথ কুশারী, কান্তি গাঙ্গুলি সহ পার্টির নেতৃবৃন্দ। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির পক্ষ থেকে মাল্যদান করেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য নীলোৎপল বসু, হান্নান মোল্লা, এমএ বেবির পক্ষ থেকেও মাল্যদান করা হয়েছে। প্রয়াত নেতার স্ত্রী ঈশিতা মুখার্জি ও কন্যা হিয়া মুখার্জিও মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। গণশক্তির সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী, স্বাধীনতা পত্রিকার রামআহ্লাদ চৌধুরি, নন্দন পত্রিকার সম্পাদক অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, দেশহিতৈষীর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের পক্ষ থেকে অলকেশ দাস, বামফ্রন্টের বিভিন্ন শরিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। সিপিআই নেতা প্রবীর দেব ও মধুছন্দা দেব, আরএসপি নেতা দেবাশিস মুখার্জি, এমএফবি নেতা জয়হিন্দ সিং ও আশিস চক্রবর্তী, আরসিপিআই নেতা মিহির বাইন, জেডিইউ নেতা সোমা নন্দী ও রণবীর দত্ত, পিডিএস নেত্রী অনুরাধা দেব, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস শূর প্রমুখ মাল্যদান করেছেন।

বেলা বারোটা নাগাদ কমরেড মানব মুখার্জির মরদেহ নিয়ে আসা হয় পার্টির কলকাতা জেলা দপ্তর প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে। পার্টির কলকাতা জেলা দপ্তরে মরদেহে ফুল-মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যসহ পার্টির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর আগে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে কমরেড মানব মুখার্জির মরদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ছাত্র-যুব আন্দোলনের বর্তমান ও প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ। ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা গৌতম দেব, নেপালদেব ভট্টাচার্য, যুবআন্দোলনের প্রাক্তন নেতা রবীন দেব, তন্ময় ভট্টাচার্য, আভাস রায়চৌধুরী, ডিওয়াইএফআই’র সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, এসএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ আরও অনেকে এখানেই শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে সিপিআই(এম)’র পূর্বতন বেলেঘাটা জোনাল কমিটির অফিসে মরদেহে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ সহ নেতৃবৃন্দ। মরদেহ ফুলবাগান এরিয়া কমিটির দপ্তরে নিয়ে গেলে সেখানেও পার্টির কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ শ্রদ্ধা জানান। দক্ষ সংগঠক, বাগ্মী, সুলেখক মানব মুখার্জির প্রয়াণে শোকার্ত হৃদয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এদিন ছাত্র-যুব দপ্তরে ও পার্টির দপ্তরে এসেছিলেন ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরাও। আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু স্মারক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা কমিটির পক্ষ থেকে মালা দেন অঙ্কিত রায়। এদিন শোকমিছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে কমরেড মানব মুখার্জির দেহ দান করা হয় তাঁর পরিবার এবং সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে।

জীবন ও কর্মকাণ্ড

১৯৫৫ সালের ২৪ আগস্ট মানব মুখার্জির জন্ম। পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই মানব মুখার্জি সংস্কৃতি চর্চায় যুক্ত হন ও ছাত্ররাজনীতির সংস্পর্শে আসেন। স্কুলে পড়ার সময়েই তিনি সংস্কৃতি সংসদ নামের একটি সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ পাশ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি এসএফআই’র দক্ষ সংগঠক ছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে এসএফআই’র কলকাতা জেলা কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন, সংগঠনের সিইসি সদস্যও ছিলেন। ১৯৮৬ সালে মানব মুখার্জি ডিওয়াইএফআই’র সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরের বছর ডিওয়াইএফআই’র কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্বভার পান। সংগঠনের মুখপত্র যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে রবীন দেবের পরে ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।

মানব মুখার্জি সিপিআই(এম)’র কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য হন ১৯৮৬ সালে, ১৯৯৮ সালে তিনি পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য হন এবং কলকাতা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হন। পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও হয়েছিলেন ২০১৮ সালে, তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বেশিদিন সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

তাঁর সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনও বর্ণময়। কৃষ্ণপদ ঘোষের মৃত্যুর পরে ১৯৮৭ সাল থেকে কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মানব মুখার্জি পরপর পাঁচবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন পর্যায়ে যুব কল্যাণ দপ্তর, পর্যটন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন।

ছাত্র-যুব আন্দোলন থেকে সরকারের মন্ত্রক পরিচালনা সবেতেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন মানব মুখার্জি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকেই সুবক্তা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন মানব মুখার্জি। যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ভাষণের পাশাপাশি কলমের জোরও প্রমাণ করেছিলেন তিনি। যুবশক্তি পত্রিকা সম্পাদনায় এবং পত্রিকায় লেখায় তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে দার্জিলিঙ তখন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসে উত্তপ্ত। যুব আন্দোলনের নেতা হিসাবে মানব মুখার্জি, রবীন দেব, অশোক ভট্টাচার্য, রবি চম্পটির সঙ্গে দার্জিলিঙের বিজনবাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অল্পের জন্য বেঁচে ফিরে আসার পরে যুবশক্তিতে মানব মুখার্জি লিখেছিলেন, ‘সাক্ষী থাকবে কাঞ্চনজঙ্ঘা-কারা লড়ছে দেশের জন্য’। সেই শিরোনাম রাজ্যব্যাপী দেওয়াল লিখনে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন বর্ণবৈষম্যের অবসানের পরে প্রথম নির্বাচন হচ্ছে তখন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্রেটিক ইয়ুথের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে মানব মুখার্জি জোহানেসবার্গ গিয়েছিলেন। সাংবাদিকের ভঙ্গিতে তিনি তখন গণশক্তিতে বিবরণ লিখেছিলেন। পরের বছর বই হিসাবে প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা ‘একটি জাতির জন্মঃ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ’। এভাবেই তাঁর নানা সময়ে নানা লেখা বহুল প্রশংসিত হয়েছে। অনুপ্রবেশের বাহানা তুলে রাজনৈতিক অপপ্রচার ভাঙতে ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশঃ রাজনীতি এবং বাস্তবতা’ লিখেছিলেন ১৯৯৫ সালে। আরএসএস-বিজেপি’র উত্থান সম্ভাবনা দেখে ২০১১ সালেই লিখেছিলেন ‘ফ্যাসিবাদের উত্থানঃ একটি পুনর্পাঠ’। চীন নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে তিনি যুগ্ম সম্পাদনা করেছিলেন ‘চীনঃ একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন’। তাঁর লেখা রাজনৈতিক উপন্যাস ‘কাঠের ঘোড়ার সওয়ার’ও জনপ্রিয় হয়েছিল।

কমরেড মানব মুখার্জি যখন যুব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখন রাজ্যের উত্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকাবিলা, কেন্দ্রের বৈষম্যের মোকাবিলা করে রাজ্যে শিল্পায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থরক্ষা ইত্যাদি ছিল গুরুতর চ্যালেঞ্জ। হলদিয়া পেট্রোকেম, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদির জন্য বাংলার ছাত্র-যুব সমাজকে সোচ্চার করে তোলার নেতৃত্বে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন মানব মুখার্জি। সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিপদ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়েও মানব মুখার্জি অনায়াস দক্ষতায় ভাষণ দিতেন ও লিখতেন। সোভিয়েত ও পূর্ব ইয়োরোপে সমাজতন্ত্রের ভাঙনের পরেও বাংলার যুবসমাজকে বামপন্থায় শানিত রাখতে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম হয়ে থেকে যাবে কমরেড মানব মুখার্জির নাম।