৬০ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ২ ডিসেম্বর, ২০২২ / ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯
কমরেড মহম্মদ হোসেন খানের জীবনাবসান
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিপিআই (এম)’র রাজ্য দপ্তর মুজফ্ফর আহ্মদ ভবনের দীর্ঘদিনের কর্মী কমরেড মহম্মদ হোসেন খানের জীবনাবসান হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ২৮ নভেম্বর তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
গত ২৫ নভেম্বর সকালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর জীবনাবসান হয়।
তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করে সিপিআই (এম)’র প্রবীণ নেতা ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, কমরেড মহম্মদ হোসেন খান পার্টির রাজ্য দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমরেড সরোজ মুখার্জি পার্টির রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীন তাঁর সঙ্গেও তিনি কাজ করেছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি পার্টির দপ্তরেই থাকতেন।
পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্রও কমরেড হোসেন মহম্মদ খানের জীবনাবসানে শোকপ্রকাশ করেছেন।
২৮ নভেম্বর প্রয়াত কমরেডের মরদেহ সকাল ১১ট নাগাদ পার্টির রাজ্য দপ্তরে আনা হলে মরদেহে রক্তপতাকা আচ্ছাদিত করেন নেতৃবৃন্দ। মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সূর্য মিশ্র সহ পার্টি নেতা রবীন দেব, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, দেবলীনা হেমব্রম, মৃদুল দে, কল্লোল মজুমদার, অঞ্জু কর, সুখেন্দু পানিগ্রাহি, কনীনিকা ঘোষ, রূপা বাগচী প্রমুখ। শ্রমিক ভবনে কমরেড হোসেন খানের মরদেহ আনা হলে ফুলমালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন বিকালে খিদিরপুরে কমরেড মহম্মদ হোসেন খানের মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়।