৫৮ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা / ২ জুলাই, ২০২১ / ১৭ আষাঢ়, ১৪২৮
রাজ্য সরকারের অপদার্থতা ও দুর্নীতিতে বিপন্ন সুন্দরবন
মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে আন্দোলনে বামপন্থীরা
অনিল কুণ্ডু
পাথরপ্রতিমায় ইয়াসের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া বাঁধ।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কতার প্রচার সত্ত্বেও প্রথমে ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যেতে চাননি ফ্রেজারগঞ্জের বাসিন্দা মানোয়ারা বিবি। কল্পনাও করতে পারেননি সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে তাঁর ঘরবাড়ি। শেষে কোলের সন্তানকে নিয়ে এক কাপড়ে ঘর ছেড়ে বেরোতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর মতো অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন। মানোয়ারা বিবির কথায়, স্বামী ইমতিয়াজ শেখ পেশায় মৎস্যজীবী। ফ্রেজারগঞ্জে তাঁদের দরমার ঘরের মাথায় টালির ছাউনি ছিল। ইয়াস ও ভরা কোটালের জেরে ভেঙেছে ঘর। জলের তোড়ে ভেসে গেছে ঘরের সব জিনিসপত্র। সহায় সম্বলহীন হয়েছেন তাঁরা।
ফ্রেজারগঞ্জ অঞ্চল জুড়েই ধ্বংস স্তুপ। হাহাকার। ইয়াস ও ভরা কোটালের জেরে সমুদ্রের ভয়াল রূপ এর আগে তাঁরা দেখেননি। বঙ্গোপসাগরের উত্তাল জলরাশি ভাসিয়ে দিয়েছে গোটা ফ্রেজারগঞ্জের গ্রামের পর গ্রাম। ভেঙেছে মাটির কাঁচা ঘরবাড়ি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে ফ্রেজারগঞ্জ। মৌসুনির বাসিন্দা শিবরাম মাইতি। স্ত্রী কল্পনা মাইতিকে সঙ্গে নিয়ে এখন দিন কাটছে তাঁর চিনাই নদীতে। নদীর জলে ভুটভুটিতে চলছে তাঁদের সংসার। ৭৭ বছরের শিবরাম মাইতির কথায়, দুর্যোগের পর দেখলাম মাথা গোঁজার আশ্রয় টুকুও কেড়ে নিয়েছে চিনাই নদী। নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। মাটির বাড়ি ভেঙেছে। জমা জল নেমেছে। ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। ভেঙে যাওয়া ঘর এখনও তৈরি করতে পারিনি। ত্রাণ শিবির থেকে ফিরে জীবন কাটছে এখন ভুটভুটিতে।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অসহায় পরিস্থিতি। বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপের এই চিত্র এখন ফুঁটে উঠেছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। গোসাবা, বাসন্তী, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, মৌসুনি, কাকদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, ঘোড়ামারাসহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, পুকুর ভেসেছে লোনা জলে। গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। কৃষি, পানের বরোজের ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
ভরা কোটালে সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদী বাঁধ ভেঙেছে, বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের বহু এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ১৩টি ব্লক ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৬টি ব্লক নিয়ে এই দেশের সুন্দরবন। জনবসতি প্রায় ৫০ লক্ষ। বিপজ্জনক অবস্থায় সুন্দরবনের সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার নদী বাঁধ। আইলা, আমফান, বুলবুল, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছেন সুন্দরবনের মানুষ। ঘূর্ণিঝড়, ভরা কোটাল, ষাড়াষাড়ির বানের কথা শুনলেই আতঙ্ক আর আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের।
ঘোড়ামারা দ্বীপের বাসিন্দা ফারুক মোল্লার কথায়, নদী ভাঙনের কবলে এই দ্বীপ। ধীরে ধীরে গ্রাস করছে মুড়িগঙ্গা নদী। ইয়াস, ভরা কোটালে বিধ্বস্ত হয়েছে গোটা দ্বীপ। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি সব ভেঙেছে। নদীর জলে ভেসে গেছে সব কিছু। সব খুইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। এখনও হাহাকার চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত এই দ্বীপে ট্যাঙ্কের পাড়ে পলিথিন টাঙিয়ে কোনো রকমে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন অনেকেই। মুড়িগঙ্গা নদীর জমা জল সরেছে। এখনও ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণের ওপর এখনও নির্ভর্শীল। পরনের পোশাক ছাড়া তাঁদের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। দুর্যোগ কেটেছে। পরিবার নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছেন এই দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরাও। জীবন জীবিকার সংগ্রাম আর প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকা ছাড়া তাঁদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। ভাঙছে ঘোড়ামারা। নদীর গ্রাসে ক্রমশই সঙ্কুচিত হচ্ছে এই দ্বীপ। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় প্রবীণ মানুষেরা জানালেন, এক সময় সাগরদ্বীপের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল ঘোড়ামারা। প্রকৃতির ভাঙা গড়ার খেলায় ১৮৮৮ সালে সাগরদ্বীপ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এই দ্বীপ। নদীর স্রোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভাঙন। এক সময় ঘোড়ামারার আয়তন ছিল ১৩০ বর্গ কিলোমিটার। ভাঙতে ভাঙতে দ্বীপের আয়তন বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২৫ বর্গ কিলোমিটার। নদী ভাঙন ঠেকাতে না পারলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ঘোড়ামারা দ্বীপ। হয়তো সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেবল নয়, বঙ্গোপসাগরে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের করাল গ্রাসে সাগরদ্বীপের বিঘের পর বিঘে জমি তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, ভিটে মাটি গ্রাস করেছে। একই ছবি মৌসুনি দ্বীপেও। সমুদ্র, নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী সংলগ্ন এলাকায়। ঘোড়ামারা, সাগরদ্বীপ, মৌসুনি, পাথরপ্রতিমা, ব্রজবল্লভপুরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা দুর্যোগের পর ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন, সরকারি ত্রাণ নয়, চাই পাকাপোক্ত উঁচু নদীবাঁধ। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গলছে। এরফলে সমুদ্রে জলস্তর বাড়ছে। ভরা কোটালে বাঁধ ভাঙছে। বাঁধ উপচে জল ঢুকছে। এই দাবির পাশপাশি তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন - আয়লার পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত হলো না কেন। সরকার সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধ মেরামত, পুননির্মাণ করলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাঁদেরকে এভাবে বারে বারে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে হোত না। এই একই কথা শোনালেন মৌসুনির বাসিন্দা শিবরাম মাইতি। তাঁর কথায়, সুন্দরবনের গরিব কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ বড়ো অসহায়। দুর্যোগের পর নদী বাঁধের ওপর, রাস্তার পাশে পলিথিন, ত্রিপল টাঙিয়ে পরিবার নিয়ে বাস করতে হয়। স্থানীয় স্কুল, সাইক্লোন সেন্টারে কয়েকদিন আশ্রয় পেলেও ভেঙে যাওয়া ঘরবাড়ি নতুন করে তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বহু ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অস্থায়ী ভাবে পলিথিন, ত্রিপলের নিচে মাথা গুজতে হয়। বহু মানুষেরই সামর্থ্য থাকে না জল নেমে গেলে নতুন করে আবার সেই জায়গায় ঘর তৈরি করার। সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকার দিকে তাঁদেরকে তাকিয়ে থাকতে হয়। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। বললেন, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই সরকারি টাকা পাননি। সেই টাকা প্রকৃত প্রাপকদের না দিয়ে শাসক দলের নেতা, কর্মীরা আত্মসাৎ করেছে। এবারেও যে তার ব্যতিক্রম হবে না কে বলতে পারে। তিনি নিজেই এখনও ভেঙে যাওয়া ঘর নতুন করে তৈরি করতে পারেননি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন ভুটভুটিতে। তাঁর মতো অনেকেই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সুন্দরবনের জল, জঙ্গল, নদী, নালা পরিবেষ্টিত দ্বীপাঞ্চলে থাকা কষ্টসহিষ্ণু মানুষেরা নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে এভাবেই টিঁকে রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়, কোটালে বারে বারে তাঁরা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ভেঙে যাওয়া ঘরের জায়গায় কবে তাঁরা আবার নতুন ঘর বেঁধে সেখানে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখবেন এখনই কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। কেউ নৌকায়, কেউ ভুটভুটি, কেউবা নদী বাঁধের ওপর, রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচে দিনযাপন করছেন। দুমুঠো ভাতের জন্য চলছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কান্না, হাহাকার। তবে সর্বত্র এই পরিস্থিতি না থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় এখনও রয়েছে মানুষের অসহায় পরিস্থিতি। গত ১৭ জুন নামখানার দ্বারিকনগর গ্রামের বাসিন্দা কবিতা মণ্ডল (৫৬) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দরমার বেড়া দেওয়া টালির ছাউনির রান্নাঘরে বসে দুপুরে ভাত খাচ্ছিলেন কবিতা মন্ডল। ওই রান্নাঘরের পাশেই মাটির দেওয়ালের একটি পরিত্যক্ত ঘর ছিল। ছাউনি বিহীন ওই ঘরের দেওয়াল আচমকা ভেঙে পড়ে। মাটির দেওয়াল চাপা পড়লে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াস ও ভরা কোটলে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় বহু মাটির দেওয়ালের বাড়ি ভেঙেছে। প্লাবিত এলাকায় জমা জলে ভিজে ক্ষতিগ্রস্ত মাটির ঘরবাড়ি ভেঙেছে। ফলে দুর্যোগ কেটে গেলেও বহু মানুষই রাস্তার ধারে, বাঁধের ওপর অস্থায়ী ভাবে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, করোনা আবহে লকডাউনে মানুষের এই অসহায় পরিস্থিতি চলছে। নামখানার কৃষকরা জানিয়েছেন, সরকারের কাছে ধান বিক্রির টাকা এখনও বহু কৃষক পায়নি। কৃষক নেতা সজল ঘোড়ুই’র কথায়, নামখানা ইউনিয়ন কো অপারেটিভ এগ্রিকালচার সোসাইটি (৬০ কেজিতে ধানের বস্তা) ৭০ হাজার বস্তা ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করেছে। মৃল্য ৭০ লক্ষ টাকা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী এই ধান ক্রয় করা হলেও এখনও ধান বিক্রির টাকা পায়নি এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, সুন্দরবনে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার নদী বাঁধ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বাঁধ পর্যবেক্ষণে সরকারি কোনো নজরদারি নেই। ২০০৯ সালে আয়লার পর তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত ও পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ৫০৩২ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি করে। তৎকালীন মথুরাপুরের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের চৌধুরী মোহন জাটুয়া এই অর্থ বরাদ্দের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার সুন্দরবনের ৭৭৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুননির্মাণ করার জন্য ৫০৩২ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে বরাদ্দ করে। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সেই কাজ শুরু করে। ২০১১ সালে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করে। গত প্রায় দশ বছরে এই সরকার ৭৭৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, পুনির্মাণ করতে পারেনি। মাত্র ৭৮ কিলোমিটার বাঁধের কাজ হয়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ফেরত চলে গেছে বরাদ্দ ৫০৩২ কোটি টাকার মধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও বাঁধ মেরামতের নামে সরকারের কোষাগারের কোটি কোটি টাকা প্রতি বছর লুট হচ্ছে। এক শ্রেণির ঠিকাদার, শাসক দলের নেতা কর্মীরা ফুলে ফেঁপে উঠছে। এরফলে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্বল বাঁধ বারে বারে ভাঙছে। প্রতি বছর লোনা জল ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে কৃষি জমি, পুকুর। ভাঙছে ঘরবাড়ি। ক্ষয়ক্ষতির মাশুল দিতে হচ্ছে সুন্দরবনের বাসিন্দা গরিব মানুষকে। কৃষি জমির ক্ষতি হওয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষের জীবন জীবিকা। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনের নদী বাঁধ কেটে, নির্বিচারে বাদাবন কেটে নদীর চরে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে লোনা জলের ফিশারি গত দশ বছরে বেড়েছে বহু গুণ। এক শ্রেণির অসাধু মানুষ এই ফিশারির সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। বনদপ্তরের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১১ সালে এরাজ্যে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বা বাদাবন ছিল ২১৫৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১৯ সালের সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবনে বাদাবন রয়েছে ২১১২ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ ৪৩ বর্গ কিলোমিটার বাদাবন কমেছে সুন্দরবন এলাকায়। সুন্দরবনের বাসিন্দাদের কথায়, সুন্দরবনে পাকাপোক্ত নদীবাঁধ নির্মাণ ও ম্যানগ্রোভ রোপণের মধ্যে দিয়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে সুন্দরবন ও সুন্দরবনের মানুষেরা রক্ষা পেতে পারেন। মানুষের এই দাবি নিয়ে সুন্দরবন জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করছেন বামপন্থীরা।