E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা / ২ জুলাই, ২০২১ / ১৭ আষাঢ়, ১৪২৮

জরুরি অবস্থা এবং আরএসএস

দেবেশ দাস


১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। বিরোধী দলের নেতাদের তো বটেই, সাধারণ মানুষও বহু গ্রেফতার হন, কংগ্রেস থেকে মোহন ধারিয়া ও চন্দ্রশেখর পদত্যাগ করেন, তাঁরাও গ্রেফতার হন। বর্তমান বিজেপি নেতারা সেদিনের ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে আরএসএস-কে সেদিন যে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছিল তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন, তা নিয়ে লেখালেখিও করেছেন [সূত্রঃ ১, ২]। এটা ঠিক যে আরএসএস-কে জরুরি অবস্থার সময়ে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছিল, একই সাথে জামায়েত-ই-ইসলামি সংগঠনকেও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আরএসএস’র ভূমিকা সেদিন কী ছিল? যারা সেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র আরএসএস এবং জনসঙ্ঘ নেতারাই আত্মসমর্পণ করে মুক্তির পথ খুঁজেছিলেন, তার বহু প্রমাণ আছে।

পুনের ইয়ারওয়াদা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন আরএসএস প্রধান মধুকর দত্তাত্রেয় দেওরস ওরফে বালাসাহেব দেওরস। তার সাথে গ্রেফতার হয়ে একই জেলে ছিলেন মহারাষ্ট্রের আরএসএস সংগঠক ভি এন ভিদে। গ্রেফতারের ১৫ দিন বাদে ভিদে ১৫ জুলাই, ১৯৭৫ লিখলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবনকে - “সংঘ এমনকী দূর থেকেও সরকার বা সমাজের বিরুদ্ধে দূর কিছু করেনি। সংঘের কর্মসূচিতে এ জাতীয় জিনিসের কোনও স্থান নেই। সংঘ কেবল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত রয়েছে [সূত্রঃ ৩]।”

১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে দিল্লির লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। দেওরস ভাবলেন এই সুযোগ। তিনি ইন্দিরার এই বক্তৃতার প্রশংসা করে তাঁকে একটি চিঠি লিখলেন - “সপ্রেম নমস্কার, ১৫ আগস্ট তারিখে দিল্লির লালকেল্লায় রাষ্ট্রকে সম্বোধন করে আপনি যে ভাষণ দিয়েছেন, তা আমি আকাশবাণীতে এই কারগার থেকে মন দিয়ে শুনেছি। আপনার ভাষণ সময়োচিত এবং উপযুক্ত তার এর জন্য এই চিঠি লিখতে আমি প্রবৃত্ত হয়েছি” [সূত্রঃ ৪]।

লালকেল্লার ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী দেশকে গঠন করার নানা কর্মসূচিতে সাহায্য করার জন্য সমাজের সাচ্চা শক্তিগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেওরসের কাছে এই আহ্বান ছিল একটা সুযোগ। এই চিঠিতে তিনি লিখেছেন - “১৫ই আগস্টে আপনার ভাষণে 'এই কাজে সমাজের সাচ্চা শক্তিগুলিকে নিজের নিজের ক্ষেত্র নিয়ে লেগে পড়া চাই' বলে যে আহবান আপনি সমস্ত সমাজকে করেছেন তা সময়োচিতই ছিল” [সূত্রঃ ৪] । দেশের উত্থানের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর এই দেশ গড়ার আহ্বানে সংঘ যুক্ত হতে চায় সে কথাই লিখলেন দেওরস - “দেশের উত্থানের জন্য সংঘের এই শক্তিকে জোড়ার আয়োজন হওয়া জরুরি”। চিঠি শেষ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা করতে চেয়ে - “আপনি চাইলে, আপনার সাথে দেখা করতে আমার আনন্দই হবে” [সূত্রঃ ৪]।

না, ইন্দিরা গান্ধী দেখা করতে চাননি, উত্তরও দেননি। অধৈর্য হয়ে উঠলেন দেওরস। কিন্তু কী উপলক্ষ করেই বা আবার চিঠি লিখবেন? আবার সুযোগ এসে গেল। একটি সুখবর এলো ইন্দিরা গান্ধীর জন্য। ১৯৭৫ সালের ১২ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, ১৯৭১ সালে লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর জেতা অবৈধ ও বিচারপতি তাঁকে ৬ বছর কোন সরকারি পদ নেওয়া থেকে বিরত করেন। ইন্দিরা গান্ধী সুপ্রিম কোর্টে যান। ২৪ জুন সুপ্রিম কোর্ট ইন্দিরা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীত্ব চালাতে অনুমতি দেয়, কিন্তু বাকি বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। এরপরে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে বিষয়টি যায়। এই বেঞ্চ ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনে জেতাকে বৈধ ঘোষণা করে। সুযোগ পেয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখতে বসলেন দেওরস। চিঠি পোস্ট হলো ১০ নভেম্বর, ১৯৭৫ - "সাদর নমস্কার, উচ্চতম আদালতের পাঁচ বিচারপতি আপনার নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করেছেন বলে আপনাকে হার্দিক অভিনন্দন” [সূত্রঃ ৪]।

তিনি লিখলেন - "শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের প্রসঙ্গে সঙ্ঘের নাম নেওয়া হচ্ছে - এই আন্দোলনের সাথে সংঘের কোনও সম্পর্ক নেই... “আমার আপনার কাছে প্রার্থনা যে আপনি প্রকৃত পরিস্থিতি জানুন... সংঘের সম্বন্ধে সঠিক ধারণা বানান... সংঘের কয়েক হাজার লোককে মুক্তি দিন।... এটা করলে সঙ্ঘের লাখ লাখ স্বয়ংসেবকের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার শক্তি সরকারি এবং বেসরকারি পথে রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজে লাগবে ও আমাদের সকলের ইচ্ছা অনুসারে আপনার দেশ সমৃদ্ধ হবে। পত্রের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম ” [সূত্রঃ ৪]।

পত্রের উত্তর আসেনি, প্রাপ্তি স্বীকারও আসেনি। এরপরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী চ্যবনকে ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭৫ লিখলেন দেওরস - "আমি দুটি চিঠি লিখেছি প্রধানমন্ত্রীকে। ...চিঠিগুলি দিল্লীতে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।... প্রধানমন্ত্রীর মনে আরএসএস সম্বন্ধে ভুল বোঝাবুঝি আছে। এটা দূর করা প্রয়োজন।... আমি তাই প্রধানমন্ত্রীর আরএসএস সম্বন্ধে ভুল ধারনা দূর করার জন্য উদ্যোগ নিতে ও চেষ্টা করতে এবং এইভাবে এর শক্তিকে নানা গঠনমূলক কাজে সহজে ব্যবহার করতে আপনাকে অনুরোধ জানাতে চাই" [সূত্রঃ ৩]।

মুখ্যমন্ত্রী চ্যবন একটা উদ্যোগ নেন যাতে ৬০ বছরের উপরের লোকদের মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া যায়। সেই মুচলেকায় লেখা ছিল “আমি, হলফনামায় সম্মত হচ্ছি যে আমার মুক্তি হলে আমি এমন কিছু করবো না যা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনগণের শান্তি হানিকর, ...বর্তমান জরুরি অবস্থার ক্ষতিকর কোনো কাজেও আমি জড়িত হব না" [সূত্রঃ ৫]। দেওরস ১২ জুলাই, ১৯৭৬-তে লিখলেন চ্যবনকে যে আরএসএস কর্মীদের ক্ষেত্রে মুক্তির শর্ত হিসাবে কোনও কাজকর্মে জড়িত থাকবে না এই শর্ত দেওয়া ঠিক হবে না, কারণ জরুরি অবস্থা ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যেই আরএসএস তার কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে - “৬ জুলাই, ১৯৭৫-তে ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্টের ৩৩ নং রুল আরএসএস-এর উপর প্রয়োগ হয়েছে। সেই অনুসারে সংঘের কর্মাধ্যক্ষরা সংঘের সমস্ত কাজ স্থগিত রাখার ঘোষণা করেছে। তাই আরএসএস'র কাজকর্মে না থাকাটাকে মুক্তির একটা শর্ত হিসাবে রাখার প্রয়োজন নেই” [সূত্রঃ ৩]। তাঁর আরএসএস কর্মীরা সরকারের বিরোধিতা করার বদলে তাকে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়। তিনি লিখলেন - “সমাজের শুভর জন্য কাজ করার এই তাড়নার সর্বোচ্চ ব্যবহার সরকারের করা উচিত। এতে দেশের বিশাল লাভ হবে" [সূত্রঃ ৩]।

১৬ জুলাই, ১৯৭৬ ইন্দিরা গান্ধীকে দেওরসের তৃতীয় চিঠি - "আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে, দয়া করে সংঘ সম্বন্ধে যে ভুল বোঝাবুঝি বিরাজ করছে তার ঊর্ধ্বে উঠুন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন ও সংঘের উপর যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে তাকে তুলুন” [সূত্রঃ ৪]।

ইন্দিরাকে প্রভাবিত করার জন্য দেওরস চেষ্টা করেছেন অন্য পথেও। ইন্দিরা গান্ধীর খুব ঘনিষ্ট ছিলেন আচার্য বিনোবা ভাবে। তিনি জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করেছিলেন। সংবাদপত্রে বেরোয় যে তিনি ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭৬ দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সভা করবেন। তার আগে ১২ জানুয়ারি, ১৯৭৬-তে বিনোবা ভাবে-কে লিখলেন দেওরস - "পূজনীয় আচার্য শ্রী বিনোবাজির চরণের সেবায়... ‘‘আমার প্রার্থনা এই যে আপনি অগ্রসর হয়ে এমন যোগ্য পথ বার করুন যাতে সংঘ আগের মতো কাজ করতে পারে, তাতে এর শক্তিকে সৃষ্টিশীল কাজের উপযোগে আসতে পারে’’ [সূত্রঃ ৪]। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা ঘোষণার সাথে ২০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন, এই সমস্ত কর্মসূচিতেই যে আরএসএস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়, তার ইঙ্গিত ছিল দেওরসের বিনোবা ভাবে-কে লেখা পরের চিঠিতে - ‘‘আমার আপনার কাছে প্রার্থনা যে আপনি দয়া করে সংঘ সম্বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর যে ভুল ধারণা আছে তা দূর করতে প্রয়াস নিন, আর যার ফলস্বরূপ সংঘের স্বয়ংসেবকরা কারাগার থেকে মুক্ত হোক, সংঘের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠুক আর এইরকম একটা পরিস্থিতি হোক, যাতে আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে যে সর্বক্ষেত্রে উন্নতির পরিকল্পনা চলছে, তাতে সংঘ ও সংঘের স্বয়ংসেবকরা যোগদান করতে পারে’’ [সূত্রঃ ৪]।

মুচলেকা ছাড়া বেরোনো যাবে না, একে একে আরএসএস কর্মীরা জেল থেকে বেরোতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বাবা আদভও দেওরসের সাথে একই জেলে ছিলেন, তিনি নিজের চোখে যা দেখেছেন তা লিখেছিলেন - “মহারাষ্ট্রের ইয়ারওয়াদা সেন্ট্রাল জেলে লিখিত প্রশ্নগুলি তিন-চারবার প্রচার করা হয়েছিল, যেখানে বন্দিদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা কোনও অঙ্গীকার বা স্মারকলিপি সই করতে প্রস্তুত কিনা। আমি নিজের চোখে দেখেছি যে বেশিরভাগ আরএসএস বন্দি তাদের সম্মতি স্বাক্ষর করছে” [সূত্রঃ ৬]। বাইরের সংগ্রাম কমিটি থেকে বলা হলো যে, কেউ যেন আত্মসমর্পণ না করে, জয়প্রকাশ নারায়ণের চিঠি এলো। কিন্তু তবু আত্মসমর্পণ চললো আরএসএস-এর। জেলের ভিতরের অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরা মুচলেকা দিয়ে বেরোনোর বিরোধী, তাঁরা এই অঙ্গীকারে সই করা থেকে আরএসএস'র লোকদের বিরত রাখতে জেলের ভিতরে জনসঙ্ঘের নেতা মলগীর সাথে দেখা করেন। মলগী তাঁর কৈফিয়তে বলেন যে ‘‘জেলের বাইরে অবস্থিত আরএসএস এবং জনসঙ্ঘের উচ্চ নেতৃত্ব অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন’’ [সূত্রঃ ৫]।

মুচলেকা দিয়েছেন নেতারাও। সুব্রহ্মণ্যয়ম স্বামী, যিনি এখন বিজেপি-তে আছেন তিনি লিখেছিলেন - “অটলবিহারী বাজপেয়ী মহাশয় ইন্দিরা গান্ধীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র লিখেছিলেন এবং তিনি তাঁকে অনুগ্রহ করেছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না বলে লিখিত আশ্বাস দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ২০ মাসের জরুরি অবস্থার বেশিরভাগ সময়ে বাজপেয়ী মহাশয় প্যারোলে মুক্ত ছিলেন” [সূত্রঃ ৭]।

জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি)-তে হেড অফিসে ভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে উচ্চপদে কাজ করতেন বিখ্যাত আইপিএস অফিসার টি ভি রাজেশ্বর, তিনি পরে আইবি-র ডিরেক্টর হয়েছিলেন ১৯৮০ সালে। কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপালও হয়েছিলেন, পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছিলেন। আইবি দপ্তরের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন গোপন খবরাখবর সরকারকে দেওয়া। শেষ বয়সে টি ভি রাজেশ্বর তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই লিখেছেন [সূত্রঃ ৮] তাতে বিভিন্ন সময়ে আইবি দপ্তরের কিছু গোপন তথ্য আছে।

এই বইতে রাজেশ্বর লিখেছেন - ‘‘জরুরি অবস্থার প্রবর্তনে দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এর প্রধান বাবাসাহেব দেওরস নীরবে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সাথে একটি সংযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং দেশে নিয়ম ও শৃঙ্খলা প্রয়োগের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন।... আইবির একজন সিনিয়র অফিসার আরএসএস'র উচ্চস্তরের কিছু লোককে জানতেন এবং দেওরস সহ তাঁদের সাথে কিছু বৈঠক করেছিলেন। দেওরস মিসেস গান্ধী ও সঞ্জয়ের সাথে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন, তবে এটি সম্ভব হয়নি” [সূত্রঃ ৮]।

আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, এরপরে যখন জরুরি অবস্থা উঠে যায়, তখন দেওরসকে বিভিন্ন জায়গায় ফুলমালা ইত্যাদি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর আজও জরুরি অবস্থায় সেদিনের জনসঙ্ঘ ও আরএসএস নেতারা কতো লড়াই করেছেন তা নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।


সূত্রঃ
১) Amit Shah, ‘Dictorial Mindset Led To Emergency’, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২৬ জুন, ২০২১।
২) Sushil Kumar Modi. ‘A story that needs to be retold’, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৬ জুন, ২০২১।
৩) Brahm Dutt, ‘Five Headed Monster: A Factual Narrative of the Genesis of Janata Party’, Surge Publications, New Delhi, 1978.
৪) ‘হিন্দু সংগঠন আউর সত্তাবাদী রাজনীতি‘, মধুকর দত্তাত্রেয় দেওরস (বালাসাহেব দেওরস), পরিশিষ্ট, জাগৃতি প্রকাশন, নয়ডা, ১৯৯৭।
৫) D R Goyal, ‘Rashtriya Swayamsevak Sangh’, Radhakrishna Prakashan, 1979.
৬) A G Noorani, ‘The RSS A Menac to India’, Left Word, 2019.
৭) Subramanian Swamy, ‘Unlearnt lessons of the Emergency’, The Hindu, 13 June, 2000.
৮) T V Rajeswar, ‘India, The crucial years’, Harper Collins, 2015.