E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৪২ সংখ্যা / ২ জুন, ২০২৩ / ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০

পুঁজিবাদ ও পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে দু-চার কথা

পার্থিব বসু


আধ শতকের ওপর হয়ে গেল গোটা বিশ্ব - তার সঙ্গে আমাদের দেশও দেখেছে একের পর এক পরিবেশ বাঁচানোর আন্দোলন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সব আন্দোলন হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের আন্দোলন। যে প্রকৃতি-পরিবেশ সাধারণ মানুষের নিশ্চিন্ত আশ্রয় তাকে অবক্ষয় থেকে বাঁচানোর, তাকে দখল হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম। কখনো তা জঙ্গল সাফ করার বিরুদ্ধে, কখনো তা কারখানা থেকে নদীর জলে মেশা দূষণের বিরুদ্ধে, আবার কখনো বংশানুক্রমের বসত জমি থেকে উচ্ছেদ করে খনি বানানোর বিরুদ্ধে। অর্থনৈতিক অসাম্যের বিরুদ্ধে শ্রেণির লড়াই, পুজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই আর পরিবেশ বাঁচানোর জন্যে লড়াই - মেলে কি? এ প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক, কারণ বারবার একাকার হয়ে যাচ্ছে জীবন-জীবিকার সংগ্রাম আর পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই।

পুঁজিবাদের পথচলার শুরুই হয়েছে আবহমান কাল ধরে সাধারণ মানুষের ব্যবহার করে আসা নানান প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দখলদারি কায়েম করে। জল-জঙ্গল-জমি-মাটির তলার নানান রসদ যা ছিল মানুষের ব্যবহারের, তার ওপর দখলদারি কায়েম করতে প্রয়োজনে বা কখনো অপ্রয়োজনেও গায়ের জোরে আমজনতাকে তার বাস্তুতন্ত্র থেকে উচ্ছেদ করে গড়িয়েছে পুঁজির যাত্রা। ইংল্যান্ডেই রয়েছে এর দগদগে উদাহরণ। সেখানে পুঁজির আদিম সঞ্চয়ের প্রাথমিক হাসিল করা কম্মটিই ছিল ভূমিহীন সর্বহারাদের জন্ম দেওয়া। নিজেদের জমিতে চাষ করার অধিকার হারানো ভূমিহীন মানুষ রাতারাতি হয়ে গেল কৃষি শ্রমিক; এক বড়ো অংশের মানুষ পাড়ি দিল তাদেরই উচ্ছেদ করা জমির থেকে তৈরি হওয়া পুঁজির ব্যবহার করে মুষ্টিমেয় কিছু লোকের বানানো শহরের কল কারখানার দিকে। দেশে দেশে এমন উদাহরণ ছড়িয়ে আছে - এদেশে এ ঘটনা আজও ঘটে চলেছে।

সেই দখল করা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে যে পণ্যটি পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি করল তার মূল্য নির্ধারণের মধ্যে লুকিয়ে আছে পুঁজির বিস্তারের আসল প্যাঁচ-পয়জার। ‘ক্যাপিটাল’-এর একদম শুরুতেই মার্কস পার্থক্য করেছিলেন উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার মূল্য আর বিনিময় মূল্যের। জীবনযাপনের জন্যে নানান পণ্য তৈরি করতে প্রকৃতির থেকে মানুষকে যে রসদ নিতে হয় তার যা মূল্য সে হলো তার ব্যবহার মূল্য। এ মূল্য নির্ধারণ হয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যে মৌলিক লেনদেন তার ওপরে ভিত্তি করে। অন্যদিকে, পুজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় উৎপাদিত পণ্যের বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হয় একেবারেই মুনাফার লক্ষ্যে। মার্কসের জীবদ্দশায় এবং একদম গোড়ার দিকের রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জেমস মেইটল্যান্ড (১৭৫৯-১৮৩৯) - যিনি আবার লডারডেল এস্টেটের অষ্টম আর্লও ছিলেন - তিনি দেখিয়েছিলেন যে জল, বাতাসের মতো অফুরান নানান প্রাকৃতিক সম্পদের যে মূল্য সে হলো তার ব্যবহার মূল্য, আর সেই সম্পদের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ব্যক্তি মুনাফা বাড়ানোর লক্ষ্যে যে মূল্য প্রাকৃতিক সম্পদের দখলদারেরা নির্ধারণ করে সে হলো সম্পদের বিনিময় মূল্য। ধরা যাক মাটির তলার জল - যা তাবৎকাল মিলে এসেছে একদম নিখরচায় - যদি তার ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে কুয়োর জলের ওপর দাম ধার্য করা যায় তবে পকেট ফুলবে সেই একচেটিয়া বেনের-নিখরচায় লভ্য জলের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের পণ্যায়নে। মেইটল্যান্ড বলেছিলেন, ব্যক্তিপুঁজি তৈরিই হয় জনসাধারণের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর দখলদারী করে বা তার সর্বনাশ করে। মার্কস মেইটল্যান্ডের এই তত্ত্বকে সূত্রে বেঁধে বলেছিলেন ব্যবহার মূল্য আর বিনিময় মূল্য একে অপরের ব্যস্তানুপাতিক। আর এই ব্যস্তানুপাতিক সম্পর্কের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পুজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবেশ-প্রকৃতির ওপর অবক্ষয়ী প্রভাব। ফিরে যেতে হয় পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় টাকা আর পণ্যের যে সম্পর্ক মার্কস দেখিয়েছিলেন সেই সূত্রে। রসদ আর শ্রম কেনার জন্যে টাকা লগ্নি করে পণ্য - আর সেই পণ্য লগ্নি করা টাকার থেকে বেশি দামে বাজারজাত করে মুনাফার টাকা পকেটস্থ করা, বা সংক্ষেপে বললে M-C-M এই হলো পুঁজিবাদের চালিকা সূত্র। এইখানেই তৈরি হয় শ্রমের উদ্বৃত্ত মূল্য (M-C-M + উদ্বৃত্ত মূল্য)। এই ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে পুঁজিবাদকে বাড়িয়েই চলতে হয় তার উৎপাদন ব্যবস্থাকে। আর এইখানেই তৈরি হয় এক দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্ব হলো উৎপাদিকা শক্তি এবং উৎপাদনের সম্পর্কের। মুনাফাকে টিকিয়ে রাখতে হলে শোষণ বাড়িয়ে - উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি বাড়িয়ে চলতেই হবে। বাড়িয়ে চলতেই হবে পণ্য উৎপাদন। আর উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, পণ্যের জোগান বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাজারে কমবে তার চাহিদা। পুঁজিবাদের সমস্যা হলো শোষণজাত উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাকে টিকিয়ে রাখা। এক কথায় অতি উৎপাদনের সংকট। এ দ্বন্দ্ব তার অন্দরের সংকট। এই দ্বন্দ্ব থেকে পরিসর তৈরি হয় শোষণের বিরুদ্ধে পুঁজিবাদের সঙ্গে শ্রমিকশ্রেণির সংগ্রামের। কিন্তু এই উৎপাদনব্যবস্থার এই নিয়ত সম্প্রসারণের যে তাগিদ তা থেকেও তৈরি হয়ে যায় যে প্রকৃতি-পরিবেশের ওপর দাঁড়িয়ে তার এই লম্ফঝম্ফ বোলবোলাও, সেই পরিবেশের অবক্ষয়।

প্রমুখ ইকোলজিক্যাল মার্কসীয় অর্থনীতিবিদ ও’কন্নর বলছেন - এ হলো পুঁজিবাদের দ্বিতীয় আর এক দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্ব হলো উৎপাদনের সম্পর্ক এবং উৎপাদন ব্যবস্থার কিছু সহায়ক শর্তের (Conditions of production) দ্বন্দ্ব। এইসব শর্তের মধ্যে আসে জল, জঙ্গল, মাটি, বাতাসের গুণমান, শ্রমের গুণমান এবং সামাজিক পরিস্থিতির গুণমান। উৎপাদনের এই শর্তগুলির গুণমান বজায় রাখার নিশ্চয়তা দেয় বা লভ্য করে বৃহত্তর সমাজ ও প্রকৃতি। পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা তার মুনাফাকে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তার উৎপাদন ব্যবস্থার এই সব মৌলিক শর্তগুলিকেই ধীরে ধীরে ধ্বংস করে চলে। আসলে ধ্বংস করে সে নিজেকেই। মৌলিক শর্তগুলির দেখভাল করাকে অবহেলা করতে করতে তৈরি হয় এমন অবস্থা যে একটি উৎপাদন ব্যবস্থা ক্ষইয়ে ফেলে নিজেকেই; কারণ যে প্রাকৃতিক, সামাজিক ভিতের ওপর সে দাঁড়িয়ে রয়েছে ধ্বংস হয়ে গেছে সেটাই। ও’কন্নর বলেছেন, এ হলো Production-Reproduction-এর দ্বন্দ্ব। এককথায় উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি করা উৎপাদন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে এ আসলে আত্মঘাতী হয়ে যাওয়ার বিপদ। পুঁজিবাদের প্রথম অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্ব যদি হয় চাহিদা টিকিয়ে রাখার - তার দ্বিতীয় দ্বন্দ্ব হলো উৎপাদনের খরচের ভারসাম্য বজায় রাখার। মুনাফা টিকিয়ে রাখতে এবং বাজারে টিকে থাকতে তাকে বাধ্য হয়ে উৎপাদনের শর্তগুলির স্বাস্থ্য বজায় রাখার যে খরচ তাকে ছেঁটে ফেলতেই হয় পণ্যের দাম থেকে। এই দ্বিতীয় দ্বন্দ্বের কারণ তাই পুঁজিবাদের যাবতীয় প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানের, ভূপ্রকৃতির খুল্লামখুল্লা ব্যবহার এবং তার ফলে ধীরে ধীরে সেগুলির ধ্বংসসাধনের সাথে সাথে নিজের উৎপাদনের শর্তগুলিরই বারোটা বাজানো। পুঁজিবাদের এই দ্বিতীয় দ্বন্দ্বের থেকে তবে তৈরি হয় পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ-প্রকৃতিকে বাঁচানোর লড়াইয়ের ক্ষেত্র।

এর সঙ্গে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা যে কম্মটি করেছে তা হলো মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যে স্বাভাবিক নাড়ির টান - ছিন্ন করেছে সেটিকে। মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে সে তৈরি করে চলেছে এক ক্রমপ্রসারমান বিচ্ছিন্নতা। মার্কস চিনেছিলেন এই ঘটনাকে। বলেছিলেন, এ হলো মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে মিথস্ক্রিয় বিছিন্নতা বা Metabolic Rift। এর থেকে অবক্ষয় পরিবেশের। মার্কসের কাছে জ্বলজ্বলে উদাহরণ ছিল লগ্নিপুঁজি দিয়ে গড়ে ওঠা নতুন নতুন শিল্পশহরগুলিকে নিরন্তর গ্রাম থেকে উৎপাদিত শস্য-তন্তু সরবরাহ করতে গিয়ে গ্রামের মাটির বারোটা বেজে যাওয়া। গ্রামের মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়ামের ব্যবহার করে শহরকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যে যে উৎপাদন ব্যবস্থা, তাকে মার্কসের সমসাময়িক জার্মান ভূ-রসায়নবিদ লিবিগ বলেছিলেন - ‘ডাকাতি তন্ত্র’। মার্কসের Metabolic Rift তত্ত্ব এই লিবিগের বক্তব্যের ওপরে ভিত্তি করেই। মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির যে সম্পর্ক পুঁজিবাদ বিনাশ করে চলেছে লড়াই হলো সেই আন্তঃসম্পর্কের পুনর্নিমাণের জন্য। লড়াই হলো এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। মার্কস বলেছিলেন, (পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা) disturbs the metabolic interaction between man and the earth, i.e. it prevents the return to the soil of its constituent elements consumed by man in the form of food and clothing; hence it hinders the operation of the eternal natural condition for the lasting fertility of the soil...। মার্কস পুজিবাদের অভিঘাতে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতি ও পরিবেশের যে বিচ্ছিন্নতার কথা শুনিয়েছিলেন সেই সময়কার ইয়োরোপের কৃষির উদাহরণ দেখিয়ে, সেই বিচ্ছিন্নতা আজ আরও বিস্তৃত - আরও নানান ধরন সে বিচ্ছিন্নতার।

M-C-M-এর ঘূর্ণায়মান জাঁতাকল পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রকে নিয়ে এসেছে তার বহন করার ক্ষমতার (Carrying capacity) শেষপ্রান্তে। এই গরমিলটা যে বিশ্ব পুঁজিবাদ বোঝে না, তা নয়। কেবল মুনাফার লক্ষ্যে সীমাহীন অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ন্যূনতম এবং সর্বোপরি এই বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভালো থাকা যে মৌলিকভাবে হাত ধরাধরি করে চলতে পারে না এ কথা সাম্প্রতিক দশকগুলিতে ক্রমে জোরালো হয়েছে।

এর উত্তর হিসেবে উঠে এসেছে সুস্থায়ী উন্নয়নের ধারণা। পরিবেশের স্থায়ীত্বকে বজায় রেখে এমন এক উন্নয়নের ধারা যা হবে টিকবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে। গত তিন দশকে এই সুস্থায়ী উন্নয়নের ধারণা উঠে এসেছে অন্যতম প্রধান চর্চিত উন্নয়ন আদর্শ হিসেবে। এমন এক আদর্শ যা বলে প্রকৃতিকে-পরিবেশকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের কথা। এমন এক উন্নয়ন আদর্শ যা স্বীকার করে এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মের মধ্যে উন্নয়নের সমতার কথা। উচ্চারণ করে অর্থনৈতিক সমতা, সামাজিক সমতা এবং সর্বোপরি পরিবেশগত সমতার কথা। বলে দারিদ্র্য থেকে উত্তরণই হলো রাস্তা। সমস্যা হলো এই সুস্থায়ী উন্নয়নের যে মডেল বিশ্বসভাগুলিতে উচ্চারিত হয়েছে সেখানেও কখনও সোচ্চারে কখনো ঠারেঠোরে মেনে নেওয়া হয়েছে এ কাজে মুক্তবাজারের কেন্দ্রীয় ভূমিকার কথা। ১৯৯১-তে রিও শীর্ষ সম্মেলন। সে সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা ২১ দিশা দেখায় সেই মুক্তবাজার অর্থনীতিরই। সেখানে বলা হয় যে, বিশ্ব অর্থনীতিকে পরিবেশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে, আর সুস্থিত সেই উন্নয়ন হাসিল করার হাতিয়ার হবে বিশ্ব বাণিজ্যের উদারীকরণ (United Nations Conference on Environment and Development, 1992, sec. 2.3)। অ্যাজেন্ডা ২১-র ছত্রে ছত্রে রয়েছে যে একমাত্র মুক্তবাজার অর্থনীতিই পারে পরিবেশ ও উন্নয়নকে একসঙ্গে মিলিয়ে পথ হাঁটতে। তবে?

এ সত্ত্বেও এ কথা মানতে হয় যে দারিদ্র্য, ক্ষুধা থেকে মুক্তি আর পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের অঙ্গাঙ্গী যোগ দেখিয়েছে এই সুস্থায়ী উন্নয়নের ধারণাই। তবে সে উন্নয়ন নয়া-উদার অর্থনীতির সূত্র মেনে চলা মুক্তবাজারের নেতৃত্বে হবে না - হবে পুঁজিবাদী উন্নয়নের মডেলকে ছুঁড়ে ফেলে মানুষের নেতৃত্বে প্রকৃত সুস্থায়ী উন্নয়নের পথে। পুঁজিবাদ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দেবে তা হয় নাকি! সোনার পাথরবাটি! দারিদ্র্য থেকে মুক্তির সে লড়াইকে তাই হতে হবে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে শ্রেণির লড়াই। লড়াই প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ পুঁজিবাদের থাবা থেকে সুরক্ষিত রাখার লড়াই - সম্মানজনক জীবনজীবিকা নির্বাহ করার স্বাধীনতার লক্ষ্যে লড়াই - সে স্বাধীনতা ভাবী প্রজন্মের জন্যেও সুরক্ষিত রাখবার লড়াই। প্রকৃত সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্যে সংগ্রামকে তীব্র থেকে তীব্রতর করাই হলো স্লোগান। পরিবেশের বাঁচানোর লড়াই আর পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে শ্রেণির লড়াই আসলে একটাই সম্পৃক্ত লড়াই।