৬০ বর্ষ ৪ সংখ্যা / ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ১৬ ভাদ্র, ১৪২৯
‘‘দেউচা-পাঁচামী খোলামুখ কয়লা খনি’’ প্রকল্পের নামে করপোরেট লুঠ বন্ধ করার লড়াই সফল হবেই
রামচন্দ্র ডোম
দেউচা-পাঁচামী কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে কলকাতায় মিছিল।
বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের অধীন ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী এলাকার মূলত তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাজুড়ে এই বিতর্কিত কয়লা ব্লকটি অবস্থিত - যার প্রকল্প নামকরণ হয়েছে - ‘‘দেউচা-পাঁচামী- হরিণসিঙ্গা’’ কয়লা খনি প্রকল্প।
এই ব্লকটি বিগত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯-এ ভারত সরকারের কয়লা মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম (ডব্লিউবিপিডিসিএল)কে বরাদ্দ করে। প্রায় ১,২২৮ হেক্টর এলাকাজুড়ে এই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বিস্তৃত। জিএসআই-র প্রযুক্তিগত অনুসন্ধানের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৮৫০ মিটার গভীরে এই কয়লা স্তর রয়েছে; সম্প্রতি রাজ্য সরকার তার পুলিশ-প্রশাসনের ব্যাপক বন্দোবস্তের মাধ্যমে নিবিড় সমীক্ষার কাজ করছে। বিশদ খনি পরিকল্পনা তৈরির কাজ এখনও দূর অস্ত!
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে ২০২১-এর মাঝামাঝি সময়ে তথাকথিত প্যাকেজ ঘোষণা করার সাথে সাথেই একাংশের অধিবাসীদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস দেখা যায় - ঠিক একইভাবে বড়ো অংশের বাসিন্দাদের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। প্রসঙ্গত, এই প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৪,৩২১টি পরিবার আছে, মোট জনসংখ্যা প্রায় ২১,০০০ - যারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ আদিবাসী ও তপশিলি জাতিভুক্ত - যারা বাস্তুহারা হবেন। বাকি অধিবাসীরা সাধারণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। এই ব্যাপক অংশের মানুষের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা এবং চাষবাস জীবন-জীবিকা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনার কারণেই এক ভয়ঙ্কর অনিশ্চয়তাজনিত তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত আদিবাসী-মূলবাসী মানুষদের ব্যাপক অংশের মধ্যে সঙ্গতকারণেই এই ক্ষোভের মাত্রা অত্যন্ত প্রকট হয়েছে। রাজ্য সরকারের ঘোষিত তথাকথিত প্যাকেজ বাস্তব কারণেই জনজাতীয় মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে পারছে না।
তাই প্রথম থেকেই বহু টুকরো টুকরো প্রতিবাদ সংঘটিত হয় এই তথাকথিত প্রকল্পের বিরুদ্ধে। ক্রমশ এই টুকরো টুকরো আন্দোলনগুলি ‘জমি-জীবন-জীবিকা-পরিবেশ’ বাঁচানোর বৃহৎ আন্দোলনের মঞ্চে পরিণত হয়।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই আন্দোলন ভাঙার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে - এমনকী পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে আদিবাসী মহিলাদের উপর শারীরিক নির্যাতন করে। আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হাজত পর্যন্ত খাটানো হয়। নানা প্রলোভন ও হুমকি তো আছেই। কিন্তু আন্দোলনকারী আদিবাসী নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধভাবে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। আন্দোলনের স্থায়ী মঞ্চ চালু হয়েছে বারোমেশিয়ায় - পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে। নিয়ম করে প্রতি রবিবার বড়ো সমাবেশ ও মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে - পশ্চিমাঞ্চলের এই অহল্যা ভূমিতে অনুরণিত হচ্ছে সোচ্চার ঘোষণা ‘‘সিধু-কানহু-জিৎকৌর’’ - ‘‘আমরা জমি-ভিটা ছাড়বোক নাই’’ - ‘‘কয়লাখনি বাতিল করো’ - হাজারো আদিবাসী-মূলবাসী মানুষের হৃদয়ের মাঝে জমা বঞ্চনা - প্রতারণার ধ্বনি!
আন্দোলনের ঢেউ প্রত্যন্ত পাহাড়ঘেরা গ্রাম এলাকা থেকে দফায় দফায় মহম্মদবাজার ব্লক প্রশাসনিক দপ্তরের সামনে এবং জেলা সদর সিউড়িতে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে আছড়ে পড়েছে; হাজারো আদিবাসী-মূলবাসী এবং অ-আদিবাসী মানুষের সোচ্চার প্রকল্প বিরোধী আওয়াজ ঘোষিত হয়েছে। কিন্তু, লুঠেরা-করপোরেটের সেবক রাজ্য সরকার-প্রশাসন নির্বিকার; পুলিশ-প্রশাসনকে দিয়ে গাজোয়াড়ি করে এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য আগ্রাসী হয়েছে। সম্প্রতি ‘‘সার্ভে-বোরিং’’-এর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমগ্র এলাকায় গত প্রায় একমাসব্যাপী সহস্রাধিক পুলিশি সমাবেশ করেছে। কিন্তু এই তীব্র প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির পরেও আন্দোলনকারী মানুষের মনোবল ভাঙাতে পারেনি - তারা গ্রামে গ্রামে মানুষকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নিবিড় প্রচার বৈঠকের মাধ্যমে ‘‘গ্রামসভা’’ গড়ে তুলছেন, যা চলতি আন্দোলনের ভিতকে ক্রমশ মজবুত করছে।
আর একটি বিষয় বিশেষভাবেই উল্লেখনীয়, সাম্প্রতিক অতীতে পাথর শিল্প এলাকার বাসিন্দা আদিবাসী এবং পাথর শিল্প মালিকদের দ্বন্দ্ব-সংঘাত হয় - যার দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি ‘সাম্প্রদায়িক’ রূপ পায়। উভয়পক্ষেই স্বার্থান্বেষী রাজনীতির ভূমিকা ছিল; প্রায় একশো বছরের আদিবাসী-সংখ্যালঘু মানুষের মিলে-মিশে থাকার ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র ছিল! কালের নিয়মে এবং বিশেষত চলতি কয়লা প্রকল্প-বিরোধী আন্দোলনের প্রবাহ অতীতের ঐ দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রাচীর ভেঙে ফেলে এক সামাজিক মেলবন্ধন ঘটানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে মজবুত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় প্রায় আট দশক ব্যাপী গড়ে ওঠা ‘‘পাথর শিল্প’’ নিবিড় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জেলার অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। যদিও, এই পাথর শিল্পেরও জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর কিছু উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব আছে।
কিন্তু সম্প্রতি রাজ্য সরকার ও প্রশাসন এবছরের পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে এই পাথর শিল্পের ঝাঁপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে, খড়াক্লিষ্ট বীরভূম জেলার গ্রামীণ কর্মসংস্থানহীন পরিস্থিতিতে জীবন-জীবিকার একমাত্র সহায় এই পাথর শিল্পও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এই পরিস্থিতিতে জেলার পাথর শিল্পের সঙ্গে ও পরোক্ষভাবে যুক্ত প্রায় লক্ষাধিক মালিক ও শ্রমিকরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। ফলত চলতি আন্দোলনের পরিসর বিস্তৃত হওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সামাজিক আন্দোলনের ভূমিকাঃ
দেউচা-পাঁচামীর কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলন মঞ্চে এখন অনেক ধরনের গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠন তথা অসরকারি সংগঠন (এনজিও) যুক্ত আছে। আদিবাসী অধিকার মঞ্চ প্রত্যক্ষভাবে এই আন্দোলন মঞ্চে শামিল আছে। ছাত্র-যুব সংগঠন, মহিলা সংগঠন, কৃষক-খেতমজুর সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন, জনবিজ্ঞান সংগঠনসহ নানা সাংস্কৃতিক সংগঠন এই আন্দোলনের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই আন্দোলন এখন শুধুমাত্র দেউচা-পাঁচামী এলাকার মানুষের মধ্যেই গণ্ডিবদ্ধ নেই - তার পরিসর অপরাপর জেলায় এবং রাজ্য-রাজধানীতে লহর তুলেছে।
গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’-র উদ্যোগে দেওয়ানগঞ্জের মঞ্চে প্রকল্প-বিরোধী আন্দোলনের প্রাথমিক ঢেউ ওঠার পর এবছর ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রানুচ্ছায়া মঞ্চ থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিভিন্ন গণসংগঠনের সহযোগিতায় - ‘জনচেতনা মঞ্চ’ সপ্তাহব্যাপী প্রচার জাঠা শুরু হয় - বীরভূমের দেউচা-পাঁচামী এলাকার উদ্দেশ্যে। সপ্তাহব্যাপী এই প্রচার জাঠা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পরিক্রমা করে ২১ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানগঞ্জের ময়দানে সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে মিলিত হওয়ার কর্মসূচী ছিল। বিভিন্ন জেলায় সফলভাবে এই জাঠা অতিক্রম করার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বোলপুরে পৌঁছানোর পর পুলিশ-প্রশাসন জোর করে জাঠার কর্মসূচি বন্ধ করে দেয় এবং সংগঠকদের কয়েকজনকে থানায় আটক করে। পরেরদিন সকালে বোলপুরের রাস্তায় সুসজ্জিত বর্ণাঢ্য এই সাংস্কৃতিক জাঠা শহর পরিক্রমা করার পর - সিউড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় মাঝপথে শাসকদের সংগঠিত দুষ্কৃতীরা পুলিশের মদতে রাস্তা আটকে জাঠা বন্ধ করে দেয়। পরে দুপুরে জাঠা কর্মীদের আবাসস্থলে পুলিশের মদতে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা কোলকাতা থেকে আসা সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেপরোয়া মারধর করে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে। সেখান থেকেই জাঠা কর্মসূচি স্থগিত করে জাঠাদলের নেতা প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব জয়রাজ ভট্টাচার্য ও অন্যান্যরা কলকাতা ফিরে যান।
এবছরের প্রথমার্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের রাজ্য কমিটির উদ্যোগে কলকাতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এক নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনভেনশনে বিশেষজ্ঞরা দেউচা-পাঁচামী কয়লা খনি প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব, সামাজিক প্রভাব, প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বিষয়ে বিশদ মূল্যবান আলোচনা করেন। এই কনভেনশন থেকেই এই প্রকল্পের নেতিবাচক, অবৈজ্ঞানিক ও জনবিরোধী ভূমিকার বিষয় পরিষ্কার হয়।
পরবর্তীতে ৩ আগস্ট কলকাতায় সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের ও বিভিন্ন গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের যৌথ আহ্বানে - ‘‘দেউচা-পাঁচামী’’ খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য এবং ‘‘দেউচা-পাঁচামী’’ প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে এক মহতি নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
এই কনভেনশন থেকে ‘‘দেউচা-পাঁচামী খনি প্রকল্পের’’ বিরুদ্ধে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় ও তিলাবনী পাহাড় ধ্বংস করার বিরুদ্ধে এবং ফরাক্কায় আদানি কোম্পানির উদ্যোগে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য হাইটেনশন গ্রিড লাইন টানার ফলে আম ও লিচু বাগিচা ধ্বংসের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক অশোকনাথ বসুকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ‘‘দেউচা-পাঁচামী প্রকল্প’’ বিরোধী আন্দোলনের পাশে থাকার জন্য একটি ‘‘সংহতি মঞ্চ’’ গড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এই কনভেনশন থেকে।
গত ১০ আগস্ট দুপুরে ‘‘নাগরিক মঞ্চের’’ আহ্বানে ‘‘দেউচা-পাঁচামী কয়লাখনি রুখে দাও - সব আন্দোলন এক হও’’ - এই আওয়াজ তুলে বিভিন্ন সংগঠনের এবং দেউচা-পাঁচামী এলাকার আন্দোলনকারীদের অংশগ্রহণে কয়েক হাজার মানুষের এক দৃপ্ত মিছিল শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কলকাতা কর্পোরেশন পর্যন্ত পরিক্রমা করে এবং শেষে প্রতিবাদ সভা হয় কর্পোরেশন প্রাঙ্গণে।
একইভাবে ২৮ আগস্ট সিউড়িতে জনবিজ্ঞান আন্দোলনের আহ্বানে এক নাগরিক কনভেনশনের মঞ্চ থেকেও ‘‘দেউচা-পাঁচামী কয়লা খনি’’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে এই সংগঠিত গণআন্দোলনকে ভেঙে ফেলার জন্য শাসকদল তৃণমূল, রাজ্য সরকার ও প্রশাসন নানাধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে; স্বল্প সংখ্যায় হলেও আন্দোলনকারীদের মধ্যে দালালের অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাছাড়া চাকরির প্রলোভন, ভয়ভীতি, পুলিশ প্রশাসনের চাপ - সব কিছুই সক্রিয় আছে।
এই সবকিছুকে উপেক্ষা করেই প্রকল্প বিরোধী এই আন্দোলন শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে আঞ্চলিক পরিসর অতিক্রম করে আজ রাজ্য পর্যায়ের বৃহত্তর গণআন্দোলনের পর্যায়ে ক্রমশ উত্তীর্ণ হচ্ছে। সর্বোপরি রাজ্য বামফ্রন্টও রাজনৈতিক সমর্থন প্রসারিত করেছে ‘‘দেউচা-পাঁচামী’’সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের করপোরেট লুঠের প্রকল্পের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য।
এই সমস্ত রকমের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র-ভয়ভীতি-প্রলোভনকে উপেক্ষা করেই আদিবাসী-মূলবাসী মানুষের অধিকার রক্ষার এই লড়াই বিজয়ী হবেই - লুঠেরারা পিছু হটতে বাধ্য হবেই।