E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ / ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮

দারিদ্র্য, বেকারিতে বিপর্যস্ত মানুষের কাছে কলকাতার আসন্ন পৌরভোট

দেবেশ দাস


জিনিষের দাম বাড়ছে। কী রাজ্য, কী কেন্দ্র, কারো হেলদোল নেই। আর হেলদোল হবেই বা কেন? দাম তো বাড়ে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়লে (যেহেতু পরিবহণে খরচ বাড়ে)। দাম বাড়ছে কেন্দ্রের ট্যাক্সে, আর যত দাম বাড়বে, তাতে রাজ্যের ভাগও বাড়ে। এই গত অক্টোবরেই ডিজেলের দামে কেন্দ্র নিত লিটার প্রতি প্রায় ৩৩ টাকা, রাজ্য নিত প্রায় ১৫ টাকা (১৭ শতাংশ ভ্যাট), সব মিলিয়ে দাম ছিল ১০২ টাকা। পেট্রোলে রাজ্যের ভ্যাট আরও বেশি, ২৫ শতাংশ। সামনে উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন, চাপে পড়ে কেন্দ্র এখন তার ট্যাক্স কিছুটা কমিয়েছে (ভোট হয়ে গেলেই নিশ্চয়ই আবার বাড়াবে), রাজ্য অবশ্য ভ্যাটের পরিমাণ কমায় নি। ফলে সবকিছুরই দাম বাড়ছে। শীতের বাজারে দাম কমে এখন পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা, লঙ্কা ১০০ টাকা। গ্যাসের দাম প্রায় হাজার ছুঁল কেন্দ্রের সরকারের কল্যাণে।

বাসভাড়া নিয়ে রাজ্য সরকার বলছে তারা দাম বাড়ায় নি। কিন্তু বাস মালিকরা ইচ্ছামত ভাড়া নিচ্ছে, অটোর ক্ষেত্রেও তাই। সরকার চুপ করে দেখছে।

রাজ্য সরকার আর গোয়েঙ্কার যুগলবন্দিতে কলকাতায় বিদ্যুতের দাম বেশি। ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের যে কোনো গ্রাহককে দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের গ্রাহকের তুলনায় বেশি দাম দিতে হয়। এই বিষয়ে সারণি-১ দেখুন।

সারণি-১: বিভিন্ন শহরে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি কত চার্জ নিচ্ছে (টাকায়)

ইউনিট কলকাতা মুম্বাই (আদানি) হায়দরাবাদ (বিএসইএস) দিল্লি বেঙ্গালুরু ভুবনেশ্বর চেন্নাই
৫০ ২৯৬.৭৫ ২৯৩.৫০ ৯৭.৫ ১৯০ ২৭৬.৫০ ১৬৫
১০০ ৬২১.৬৫ ৫১৭ ২৩২.৫ ৩৪০ ৬০২.৫০ ৩৮০
২০০ ১৩৭৫.১৫ ১১৯৯ ৮৮০ ৭৫০ ১৩৫১.৫০ ৮১০ ১৬০
৩০০ ২১৩৭.১৫ ১৮৪১ ১৭৮০ ১২০০ ২১৩১.৫০ ১৩৪০ ৫১৫
৫০০ ৩৯৭৯.১৫ ৩৪৮৫ ৩৫৫০ ২৩০০ ৩৬৯১.৫০ ২৪৪০ ১১২৫

সূত্রঃ Reports of Electricity Regulatory Commissions of different states and bills of different customers in those states.

অথচ, সিইএসসি’র সংবাদপত্রগুলিতে বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন যে, কলকাতায় নাকি বিদ্যুতের দাম কম। আসলে গরিবের জন্য (৫০০ ইউনিট পর্যন্ত) বিদ্যুতের দাম কলকাতায় বেশি, ওরা বড়োলোকের জন্য দাম কমিয়ে, অন্যভাবে গড় হিসাব করে ভিন্ন কায়দা করে বিজ্ঞাপন দেয়।

দাম বেশি, সংসার চালানো কষ্ট, অথচ চাকরি নেই। কলকাতা পুরসভায় ২৮০০০ শূন্যপদ, নিয়োগ নেই। এসএসসি পরীক্ষা গত ১০ বছরে একবার হয়েছে, টেট হয়েছে একবার। যতটুকু নিয়োগ হয়েছে, তাতে চরম দুর্নীতি। পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে নাম বেরিয়ে গেছে, তবু নিয়োগের বালাই নেই বছরের পর বছর। পরীক্ষায় পাশ করা কিছু প্রার্থীকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা জিতে নিজেদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়েছে। সরকারি বহু পদ খালি। রাজ্য সরকার তার অধীন সংস্থাগুলি তুলে দিচ্ছে। রাজ্যে শিল্প নেই, চাকরি হবে কোথা থেকে?

সাম্প্রতিককালে নীতি-আয়োগ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে যে, কলকাতায় শিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষদের মাত্র ৭ শতাংশের চাকরি জোটে, কেরালার কোচি শহর এক্ষেত্রে প্রথম, সেখানে শিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষদের ৯৪.৫ শতাংশের চাকরি হয়। নীতি-আয়োগের এই রিপোর্ট দেশের ৫৬টি শহর নিয়ে নানা বিষয়ে তুলনা করেছে (https://sdgindiaindex.niti.gov.in/urban/#/ranking)। এই রিপোর্টের নির্যাস বেরিয়েছে আনন্দবাজারে গত ২৬ নভেম্বর, ২০২১। আনন্দবাজারে প্রকাশ - বৃদ্ধি ও ভদ্রস্থ কাজে কলকাতার স্থান সবচেয়ে নিচে, ১০০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৩ পেয়েছে কলকাতা, যেখানে বেঙ্গালুরু ৭২, চেন্নাই ৩৬, ভুবনেশ্বর ৫৮। নীতি আয়োগের এই রিপোর্টের কলকাতা আর চারটি শহরের তথ্য দেওয়া হলো সারণি-২ তে।

রাজ্য সরকার খাদ্যসাথী নিয়ে চারিদিকে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, ওদিকে নীতি আয়োগ দেখাচ্ছে যে, ক্ষুধায় কলকাতা ৫৬টি শহরেরর মধ্যে ৫৪-তম। চাকরি নেই, মানুষের পকেটে পয়সা নেই, তাই ব্যবসা করে বেঁচে থাকাও চলে না, চপের দোকান দিলেও চপ কেনারও লোক নেই। চারিদিকে ভয়ানক দারিদ্র্য। দারিদ্র্যেও কলকাতা ৫৬টি শহরের মধ্যে ৫৪ তম অবস্থানে। আনন্দবাজারে সংবাদটি বেরিয়েছে।

কন্যাশ্রী হয়েছে, নারীদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড মেয়েদের নামে - সবই ভালো ব্যপার। তদুপরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তাতে নারীদের প্রতি অপরাধ কিন্তু কম নয়। মহিলাদের প্রতি অপরাধে ৫৬টি শহরের মধ্যে কলকাতার অবস্থান ৩২-এ, মানে ৩১ টি শহরে এই আক্রমণ কলকাতার চেয়ে কম হয়। তাও রাজনৈতিক চাপে বিভিন্ন সময় থানায় ডাইরি লিপিবদ্ধ হয় না। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলেও নারীর উপর আক্রমণ করতে দুষ্কৃতীদের আটকাচ্ছে না। নারী শিশুদের প্রতি যৌন অত্যাচারে কলকাতার অবস্থান ৩৭, ৩৬টি শহরের নিচে। কলকাতায় গার্হস্থ্য হিংসাও তুলনামূলকভাবে বেশি। এব্যাপারে কলকাতার অবস্থান ৫৬টি শহরের মধ্যে ৪৩তে । কন্যাশ্রী করে মেয়েরা কতটা এগোল? কলকাতায় মেয়েরা কী এগোচ্ছে অন্য শহরের তুলনায়? তথ্য তা বলছে না। সামগ্রিকভাবে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণে (পুরুষ নারীর অনুপাত, নারী নিরাপত্তা, নারী সাক্ষরতা, ইত্যাদি মিলিয়ে) কলকাতার অবস্থান ৫৬টি শহরের ৪৮তে।

সারণি-২: ৫৬টি শহরের মধ্যে তুলনায় বিভিন্ন বিষয়ে কলকাতা এবং আরও ৪টি শহরের অবস্থান
- কলকাতা বেঙ্গালুরু চেন্নাই ভুবনেশ্বর কোচি (কেরালা)
বৃদ্ধি ও ভদ্রস্থ কাজ পেতে ৫৬ ৩০ ২৫
ক্ষুধা ৫৪ ৩১ ১১ ৪০
দারিদ্র্য ৫৪ ৩৩ ১০ ৪৩
নারীদের প্রতি অপরাধ ৩২ ২৭ ১০ ৪৮ ১৪
নারী শিশুদের উপর যৌন অত্যাচার ৩৭ ১৫ ৩০ ৪২
নারীদের প্রতি গার্হস্থ্য হিংসা ৪৩ ১৮ ১০ ২৮ ১৪
লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ ৪৮ ১৭ ৩৩
বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট ৫৪ ২২ ১৮ ৫৩
বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ৫৬ ৩১ ১১ ৪৪
বায়ু দূষণ-পিএম ১০ ৩৩ ১৯ ১৫ ২০

কলকাতার শিক্ষার হাল কী তার কিছুটা প্রকাশ করেছে নীতি-আয়োগের রিপোর্ট। করোনার সময়ে তো বিদ্যালয়গুলি বন্ধ হয়ে গেল। বলা হলো অনলাইনে ক্লাস হবে। এই গরিব মানুষজনের কতজনের কাছে স্মার্টফোন আছে, যেখানে ইন্টারনেটের সংযোগ লাগিয়ে ক্লাস করা যাবে? মানুষজনের কথা না হয় বাদ দিলাম, কলকাতার ক’টি বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট আছে? নীতি-আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতার মাত্র ২৪ শতাংশ বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট আছে, ওই ৫৬ টি শহরের মধ্যে মাত্র দুটি শহর আগরতলা ও আগ্রায় কলকাতার চেয়ে কম শতাংশ বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট আছে (যথাক্রমে ২০ ও ১৫ শতাংশ), অর্থাৎ কলকাতার অবস্থান ৫৪-তে। সবচেয়ে বেশি আছে চণ্ডীগড়ে (৯৭.৪ শতাংশ), তারপরে কেরালার কোচি (৯৬.৭ শতাংশ)। এখন কম্পিউটার থাকলে তো ইন্টারনেটের প্রশ্ন। কলকাতার বিদ্যালয়গুলির ৩০ শতাংশের কম বিদ্যালয়ে কম্পিউটার আছে। এই ৫৬টি শহরের মধ্যে সবচেয়ে কম। কলকাতার বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার না শিখিয়ে রাজ্য কীভাবে শিল্প আনবে? বিদ্যালয়ে কম্পিউটার সবচেয়ে বেশি আছে চণ্ডীগড়ে, (প্রায় ১০০ শতাংশ), তারপরে কেরালার কোচি (প্রায় ৯৯ শতাংশ)। কলকাতা পুরসভার বিদ্যালয়গুলিতে বাম আমলে ছাত্র বেড়েছিল, এখন ধুঁকছে।

পকেটে পয়সা নেই, শ্বাস নেওয়াও কলকাতায় কষ্ট। বায়ুদূষণ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। সরকার নীরব দর্শক। নীতি আয়োগের রিপোর্টে বাতাসে পিএম ১০ ধূলিকণার পরিমাণে কলকাতার অবস্থান ৫৬টি শহরের মধ্যে ৩৩-এ। এর ফলে কলকাতায় ফুসফুস ও হার্টের অসুখ বাড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, অসুস্থ হলে মানুষ চিকিৎসা করাবে কোথায়?

কলকাতার হাসপাতালগুলির বেহাল অবস্থা টের পাওয়া গেল করোনার সময়ে। এই হাসপাতালগুলিতে বাম আমল থেকে কলকাতার প্রান্তিক মানুষেরা চিকিৎসা পেয়ে আসছে। তৃ‌ণমূল সরকার আসার পর, হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। ভালো উদ্যোগ। এখন কী অবস্থা? ওষুধ সব পাওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড়ো কথা, চিকিৎসার সমস্যা। ডাক্তার প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে, নার্সরাই প্রেসক্রিপশন লিখবেন। রং করা ছাড়া হাসপাতালের ভিতরে নতুন যন্ত্রপাতি, চিকিৎসার উন্নতি বন্ধ। করোনার সময় হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়ল। করোনা ছাড়া অন্য রোগীদেরও চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেল। ক্যান্সারে, হার্ট, কিডনি, ইত্যাদির অসুখে মানুষ মরল প্রচুর। এই সরকারের আমলে হাসপাতালগুলি ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

করোনার ক্ষেত্রে চিকিৎসায় সরকারের ব্যর্থতা চরম। করোনার সময়েই বোঝা গেল, রাজ্যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলি সুপার স্পেশালিটি হওয়া দূরের কথা, কোনো স্পেশালিটিই সেগুলিতে নেই। করোনায় এগুলির কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ার পর বোধ হয় লজ্জা পেয়েই সরকার এখন আর সুপার স্পেশালিটি নিয়ে প্রচার করে না। করোনার তথ্য নিয়ে নানা কারচুপি। করোনায় মৃতদের জন্য নির্ধারিত শ্মশানে, কবরখানায় মোট শেষকৃত্যের সংখ্যার সাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের সংখ্যা মিলবে না। পাছে বেশি করোনা রোগী ধরা পড়ে, তার জন্য সরকার করোনা পরীক্ষাও কম করিয়েছে। এত কারচুপি সত্ত্বেও সরকারি হিসাবে করোনায় মৃতদের হার কিন্তু কলকাতায় কম নয়। সারণি-৩ দেখুন, সে তথ্য বোঝা যাবে। এটাও বোঝা যাবে যে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরীক্ষাও কম হয়েছে। কেরালায় অনেক করোনা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি যে শহরে হয়েছে তার নাম এরনাকুলাম, কিন্তু তাদের মৃতের হার কম, করোনার পরীক্ষার সংখ্যাও বেশি, চিকিৎসা যে সেখানে উন্নত তা তথ্যই বলবে। সারণি-৩ তে যে সমস্ত শহর দেখানো হয়েছে, দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে কলকাতাতেই রোগীর সংখ্যা কম, আসলে করোনার পরীক্ষাই তো অনেক কম হয়েছে । করোনা হয়েও, পরীক্ষা যাদের হলো না, তাদের কেউ কেউ করোনাতে মরে গেলেও সরকারের খাতায় আর এলো না কলকাতায়। ডাক্তার,স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুতে এই রাজ্য উপরের দিকে, বোধহয় প্রথম।

সারণি-৩: ১ নভেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হার (সূত্রঃ covidinindia.org)
- আক্রান্ত মৃত ১০,০০০ রোগী পিছু মৃত রাজ্যে প্রতি হাজারে করোনা টেস্ট
কলকাতা ৩,২২,৫৪১ ৫,১৫২ ১৬০ ২০৮
ব্যাঙ্গালোর ১২,৫১,৮৭২ ১৬,২৮১ ১৩০ ৭৪৬
চেন্নাই ৫,৫৪,৬৭২ ৮,৫৪৬ ১৫৪ ৬৪৭
এরনাকুলাম, কেরালা ৬,০২,৮০০ ৩,৫৫৫ ৫৯ ১,০৬১
দিল্লি ১৪,৩৯,৮৭০ ২৫,০৯১ ১৭৪ ৯৩০
মুম্বাই ৭,৫৬,৭৪৯ ১৬,২৪৭ ২১৪ ৫০৫

সূত্রঃ আনন্দবাজার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১; নীতি আয়োগ রিপোর্ট (https://sdgindiaindex.niti.gov.in/urban/#/ranking).

অভুক্ত, বিপর্যস্ত মানুষের কাছে যে শহর আরও বিপদ হয়ে উঠছে, সেই কলকাতায় আর কদিন বাদেই পৌরসভার ভোট। পৌর পরিষেবার কথা তো হবেই, কিন্তু মানুষ কীভাবে ভুলে যাবে দৈনন্দিন জীবনযন্ত্রণার কথা? সেই জীবনযন্ত্রণার কথা ভুলিয়ে দিতেই বিজেপি এবং তৃণমূলের খেউর চলবে। সাম্প্রদায়িকতার প্রচার (চাপা বা প্রকাশ্যে), পাল্টা প্রচার দুই দল চালাবে। সেসব ছাপিয়ে বলতে হবে অভুক্ত, বেকার, বিপন্ন মানুষগুলির জীবনযন্ত্রণার কথা, লড়াইয়ের কথা, বিকল্পের কথা।