৫৯ বর্ষ ১৬ সংখ্যা / ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ / ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
কলকাতার পরিবেশ রক্ষা এবারের রাজনৈতিক লড়াইয়ের অংশ
তপন মিশ্র
পূর্ব কলকাতার জলাভূমি।
দক্ষিণে নিম্নচাপ কাটতেই কলকাতায় শীত একটু একটু করে জানান দিছে। সঙ্গে বাতাস একটু একটু করে যেন ঘন হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর একটু দূরে তাকালে মনে হয়, যেন শহরের আলোগুলো ঘোলাটে দেখাচ্ছে। আসলে এ হলো দূষিত বাতাসের কেরামতি। বিজ্ঞানের ভাষায় একে ইনভারশন ট্রাপস এয়ার পলিউশন (inversion traps air pollution) বলা হয় যা স্মগ বা ধোঁয়াশা হিসাবেও পরিচিত। ইদানীংকালে কম বাতাসের গতি, নিম্ন তাপমাত্রা এবং প্রতি বছর শীতকালে দূষণের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে এমনটা ঘটে। শীতকালে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে এমনিতেই চারগুণ বেশি হতে পারে। আই পি সি সি (Intergovernmental Panel on Climate Change)-র গত অক্টোবর মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে বিজ্ঞানীরা কলকাতার জন্য খুব খারাপ খবর শুনিয়েছেন। ২০৩০-এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের আঘাত পড়তে চলেছে আমাদের উপর। রাজ্য সরকার, কলকাতা কর্পোরেশন তাদের নাগরিকদের বাঁচাতে কী আদৌ কোনো চেষ্টা করছে?
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রির্পোটে সাম্প্রতিক সময়ে কলকাতায় সর্বাধিক দূষিত এবং ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল হলো মৌলালি, মিন্টো পার্ক, ডানলপ ব্রিজ, বেহালা চৌরাস্তা, বৈষ্ণবঘাটা, কাশীপুর থানা, বিটি রোড, ডালহৌসি স্কোয়ার, লালবাজার পুলিশ হেডকোয়ার্টার, কসবা ইত্যাদি। কলকাতা ধীরে ধীরে ১৯৫২-র লন্ডন শহরে পরিবর্তিত হতে চলেছে। সেই বছর লন্ডন শহরজুড়ে মটর তরকারির ঝোলের মতো ঘন বাতাসে ছেয়ে যায়। এই ঘটনাকে ‘pea soup smog’ বলা হয়; যার কারণে লন্ডনে সে বছর বেশ কয়েকজন মানুষ ফুসফুসের রোগে মারা যান।
বামফ্রন্ট সরকারের বায়ুদূষণ বন্ধের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ‘দ্য ইকনমিক টাইমস’ (The Economic Times) পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি পুরনো হলেও এই সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। খবরের শিরোনাম ছিল ‘Kolkata breathes easy sansits old vehicles’ - অর্থাৎ ‘পুরনো গাড়ি বাদ দিয়ে কলকাতা এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে’। খবরে বলা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক বাস এবং ট্যাক্সি ১ আগস্ট থেকে (২০০৯ সালের) রাস্তায় চলা নিষিদ্ধ করেছে।
তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার ২০০৬ সাল থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। শেষমেশ মাননীয় হাইকোর্টের গ্রিন বেঞ্চ সরকারের এই প্রচেষ্টার পক্ষে রায় দান করে। পরে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট এই রায় বহাল রাখে। এই রায়ের পরে কলকাতা শহরে প্রায় ২০,০০০ বাস এবং ৬,৮০০ ট্যাক্সি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করে। এর ফলে অনেক অসুবিধা হয় ঠিকই কিন্তু বায়ুদূষণের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পায়। দূষণ কমাতে তখন কলকাতা এবং আশেপাশে প্রায় ৬৫০০০ ‘টু স্ট্রোক ইঞ্জিন’ অটোকে ‘ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন’ অটো এলপিজি-তে পরিবর্তিত করার নির্দেশও সরকার দেয়। নতুন বাস এবং অটোর ইঞ্জিন পরিবর্তনের জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা সরকার করে। একসময়ে অটোর কাটা তেলের দাপটে কলকাতার বাতাসে দূষণ ছড়াতো। বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে দ্রুত কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে এলপিজি’র ব্যবস্থা করা হয়।
কলকাতার বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন কণার পরিমাণ এখন সহনশীল মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিজেরই যন্ত্রে এটা ধরা পড়েছে। কিন্তু এগুলির উৎস কী তা এখনও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানে না। কলকাতা কর্পোরেশন বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এব্যাপারে কোনো মাথাব্যথাও নেই। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক বিজ্ঞানীর বক্তব্য হলো - কোনো উপাদান কতটা বিষ ছড়াচ্ছে, তার পরিমাণ নির্ধারণ না করতে পারলে দূষণের মোকাবিলা করার জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। যে দূষক (পলিউট্যান্ট) বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে, তার মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটা না জানলে অন্ধকারে পথ বার করা অসম্ভব। এব্যাপারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কলকাতাতে এই সংস্থার একটি দপ্তরও আছে। কলকাতা কর্পোরেশন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ কোনো দিন তাদের এই পরীক্ষা করার অনুরোধ আদৌ করেছে কীনা তা জানা নেই। তবে নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, কলকাতার বাতাস বিষিয়ে তোলার পিছনে গাড়ির ধোঁয়া মুখ্য দায়ী এবং তারপর অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের ধূলো, কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া ইত্যাদি। এর সাথে ছোটোখাটো শিল্প, প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন জঞ্জাল ও গাছের ডালপালা ও পাতা শীতকালে পোড়ানোর প্রবণতা কিছুটা সমস্যার কারণ তো বটেই।
দূষণের এই উৎসগুলির নিয়ন্ত্রণে কোনো ক্ষেত্রেই কর্পোরেশন বা রাজ্য সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। গত ২৯ নভেম্বর কলকাতার গড় বাতাসের গুণমান সূচক বা একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ১৩৪ এবং আমেরিকার কনস্যুলেট অফিসের সামনে (পার্ক স্ট্রিট-থিয়েটার রোড এলাকা) ১৬৫। মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য এই পরিমাণ অত্যন্ত খারাপ। ওই দিন দিল্লির গড় একিউআই ছিল ১৯৯ অর্থাৎ এক্ষেত্রে কলকাতা এবং দিল্লির পার্থক্য খুব একটা নেই। কেবল দিল্লিতে দূষণের ফলে হই চই বেশি হয় এবং কলকাতার সংবাদমাধ্যমের এব্যাপারে মাথাব্যথা নেই।
কলকাতার জলাভূমি
একটু বর্ষা হলে পুরো কলকাতাটাই যেন জলাভূমি। জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব পডছে ঠিকই কিন্তু এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া (adaptation)-র জন্য যে পরিকল্পনা বা দূরদৃষ্টি থাকা দরকার তা না আছে সরকারের না পুরসভার। ২০১২ সালে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (West Bengal State Action Plan on Climate Change) ঘটা করে প্রকাশিত হয় যেখানে নিয়মমাফিক অভিযোজনের বা মানিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। এই তালিকায় প্রথম ছিল ‘Protection against increase in intensities of cyclones’ অর্থাৎ বিগত ১০ বছরে এমন কিছু পুরসভা বা সরকার করতে পারেনি যার মধ্য দিয়ে কলকাতার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শহরে যে জল জমা হয় তা থেকে মুক্তি পেতে পারে। এই তালিকায় তিন নম্বরে ছিল ‘Promote alternate livelihood opportunities’– কলকাতা পুরসভায় জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধিতো দূরের কথা বরং কমেছে। ২০১৭ সালে আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০১৭-২০২২ প্রকাশ করে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কী কী করা দরকার তার খতিয়ান দেয়। এই নিদান বিজ্ঞানী-প্রযুক্তিবিদ্দের। তাতে কার কী? একটাই উপায় সরকার আবিষ্কার করেছে - তাহলো কিছু বিদ্যুৎচালিত বাস চালানোর ব্যবস্থা করা। এবং এটা দিয়েই জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ শেষ। আর বাকি সবই কথার কথা থেকে গেছে।
২০০২ সালে অনেক চেষ্টার পর পূর্ব কলকাতা জলাভূমি (ইস্ট কলকাতা ওয়াটারবডি) বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি (রামসার সাইট) হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এই উদ্যোগের ১৫ বছর পর, ২০১৭ সালে আইআইটি খড়গপুর সহ আরও কয়েকটি সংস্থার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভায় উঠে আসে যে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, প্রমোটারদের অসামাজিক হস্তক্ষেপ, ময়লা ফেলে জলাভূমি সংকোচন ইত্যাদির ফলে এই ঐতিহ্যমণ্ডিত জলাভূমির অনেকটাই দখল হয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ বছরের আগে এবং এখনকার চিত্রের মধ্যে অনেক ফারাক। ইতিমধ্যে এই জলাভূমির অনেকটাই ভরাট হয়ে গিয়েছে। একটি মামলার প্রেক্ষিতে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে গত মে মাসে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত (ন্যাশনাল গ্রিন টাইব্যুনাল)। সেই কমিটির রিপোর্টেই জলাভূমি ভরাট হওয়ার যে বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে, তাতে রীতিমতো উদ্বেগে পরিবেশকর্মীদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, রামসার কনভেনশেন অনুযায়ী এই এলাকা ‘আন্তর্জাতিক গুরুত্বসম্পন্ন জলাভূমি’ হিসেবে ঘোষিত। সেই সঙ্গে সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর বিস্তৃত এই জলাভূমি শহরের সমস্ত বর্জ্য প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধনের কাজ করে। ফলে সামাজিক-অর্থনৈতিক দিক থেকে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
উন্নয়নের নামে কাজী নজরুল ইসলাম সরণির দু’ধারে নয়নজুলি ভরাট হয়ে যাচ্ছে আর সরকার তা চুপ করে দেখছে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সরকারের প্রতিনিধিরা এই কাজে মদত দিচ্ছে এবং তাই সরকার নীরব দর্শক। ছোটো জলাভূমির উপর বেআইনি নির্মাণ এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে আবর্জনা ফেলা এখন যেন নিয়ম হয়ে গেছে।
আর এক মামলার সূত্রে উঠে আসে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির মোল্লারভেড়ির দূষণের বিষয়টিও। মোল্লারভেড়ির দূষণ ঠেকাতে সময়মতো ব্যবস্থা না-করায় বিধাননগর পুরসভাকে এর আগে মোটা টাকা জরিমানা করেছিল আদালত। আদালতে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, তারা মোল্লারভেড়িতে নতুন করে আর বর্জ্য ফেলছে না। কিন্তু এখনও বিধাননগর পুরসভার পাশাপাশি নবদিগন্ত এলাকার বর্জ্যও ফেলা হচ্ছে বেশ কয়েকটি জলাভূমিতে। বস্তিবাসীদের কাছে এখনও খালের পাড়গুলি মলত্যাগের স্থান। তার বড়ো কারণ শৌচালয় ব্যবহার করার জন্য যে জল দরকার তার অপ্রতুলতা।
জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিপদ আসছে
আজকে যে শিশু জন্মাবে, সে ২৫ বছর বয়সে যে পৃথিবী দেখবে তখন সমুদ্রতলের উচ্চতা ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিমবাংলার কলকাতা এবং সমুদ্রের কাছাকাছি আরও কিছু শহরে সমুদ্রের জল প্রবেশ করবে। অতি বৃষ্টিপাতে জল হুগলি নদী এবং বিদ্যাধরীর মাধ্যমে নিষ্কাশিত হতে পারবে না কারণ সেই সব নদীর জলের তল অনেকটাই উপরে উঠে যাবে। এই পরিস্থিতিতে জল নিষ্কাশন কীভাবে হতে পারে তার পরিকল্পনা না থাকার কারণে আমাদের দুর্দশা যে বৃদ্ধি পাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কলকাতা শহরে বৃক্ষ আচ্ছাদন মাত্র ২ শতাংশেরও কম। সাধারণ একটি হিসাব বলে যে, প্রায় ৫ লক্ষ বৃক্ষ আছে কলকাতায়। গত বছর আমফানে পুরসভার তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৫০০০ গাছ ভেঙে যায়। এবছর ইয়াস-এও বেশ কয়েকটি গাছ নষ্ট হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনে কলকাতার সবুজ বাড়াতে তেমন কোনো পরিকল্পনা চোখে পড়েনি। এমনকী প্রতিবছর বড়ো বড়ো গাছগুলি রক্ষা করার জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া দরকার, যেমন গাছের আচ্ছাদনের ভার কমানো (pruning), সঠিক প্রজাতির নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বৃক্ষরোপণ (species selection), মাটির নিচের জলের লাইন, কেবিল লাইন ইত্যদির ম্যাপ তৈরি করে বৃক্ষরোপণের স্থান নির্বাচন ইত্যদির কোনো পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার নেই।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সর্বাধিক ক্ষতি হবে কলকাতার বস্তিবাসী এবং প্রান্তিক মানুষদের। এই পরিস্থিতিতে বস্তির পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৈরি জলবায়ু পরিবর্তন নথিতে নেই। কলকাতার সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষা কিন্তু নির্ভর করে হুগলি নদীর জল দূষণ নিয়ন্ত্রণ, সুন্দরবন সংরক্ষণ, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষা, পরিবহণ ব্যবস্থাকে পরিবেশবান্ধব করা ইত্যাদির উপর। সেই পরিকল্পনা রাজনৈতিক সদিচ্ছার উপর নির্ভরশীল। অটোর কাটা তেল বন্ধ, পুরনো গাড়ি বন্ধ করে দূষণ হ্রাস করার মতো ঐতিহাসিক, দৃষ্টান্তমূলক এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সদিচ্ছা এই সরকারের নেই। একদিকে সাহসী সিদ্ধান্ত এবং অন্যদিকে মানুষের স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছা না থাকলে কলকাতার পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়। কলকাতার পরিবেশ রক্ষার অর্থ হলো, এই শহরের মানুষের জীবন এবং জীবিকা রক্ষা। যাদের এই রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই, তাদের বিরুদ্ধে কেবল নির্বাচনী লড়াই নয় প্রতিনিয়ত লড়াই জারি রাখতে হবে।