৫৯ বর্ষ ৪২ সংখ্যা / ৩ জুন, ২০২২ / ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯
মূল্যবৃদ্ধি বেকারত্ব ও লাগামহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে বামপন্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি
৩১ মে রানি রাসমণি রোডে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন বিমান বসু।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে গত ২৫ থেকে ৩১ মে দেশব্যাপী প্রতিবাদ আন্দোলনের কর্মসূচি পশ্চিমবঙ্গেও জেলায় জেলায় পালিত হয়েছে। বামপন্থী দলগুলির ডাকা এই সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মিছিল, পথসভা, বিক্ষোভ সভা, সমাবেশ ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছেন অগণিত মানুষ। সিপিআই(এম), সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি এবং সিপিআই(এমএল) লিবারেশন-এর পক্ষ থেকে দেশব্যাপী এই প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
যে গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলিকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী এই প্রতিবাদ আন্দোলনের কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল সেগুলো হলো -
(১) পেট্রোপণ্যের সেস, সারচার্জ প্রত্যাহার করতে হবে;
(২) গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে গম সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে হবে;
(৩) সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিশেষ করে ডাল এবং ভোজ্যতেল সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে গণবণ্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে;
(৪) আয়কর দিতে হয় না এমন পরিবারগুলিকে সরাসরি নগদ ৭,৫০০ টাকা করে প্রতি মাসে দিতে হবে;
(৫) এম এন রেগা প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। বেকারদের ভাতা দিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে;
(৬) শহরাঞ্চলে একটি কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের জন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে;
(৭) সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে সর্বভারতীয় এই দাবিগুলির পাশাপাশি রাজ্যে তৃণমূলের অপশাসন, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ, খুন, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সীমাহীন বেকারত্বের অবসান ও জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলিও প্রচার আন্দোলনে যুক্ত করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৫টি বামপন্থী ও সহযোগী দল কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রচার আন্দোলনে শামিল হয়েছিল।
সপ্তাহব্যাপী এই প্রচার আন্দোলন কর্মসূচির শেষদিন ৩১মে কলকাতার রানি রাসমণি রোডে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ সমাবেশ। জেলায় জেলায় সংগঠিত হয় অবস্থান ও মিছিল।
কলকাতার সমাবেশ
এদিন কলকাতার সমাবেশের আগে কলকাতা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকটি মিছিল এসে মিলিত হয় সমাবেশ স্থলে। এদিনের এই সমাবেশে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, এটা লড়াই-আন্দোলন কর্মসূচির শেষদিন নয়। লড়াই এবার শুরু হলো। গত ৪৭-৪৮ বছরের মধ্যে এমন কর্মহীনতা দেখা যায়নি। বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি চরম আকার নিয়েছে। ওদিকে মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার মানুষ। তারা দেখছেন দেশের ও রাজ্যের সরকার ঘুমিয়ে রয়েছে। চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছে দুই সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এরাজ্যে সমস্ত কাজ নিয়মমাফিক হচ্ছে। তাহলে এতদিন অন্যায়ভাবে অনেককে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হলো কী করে? এই প্রশ্নগুলি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে আমাদের। এই বেনিয়মের পাশাপাশি বেড়ে চলেছে লুটপাট। এসবের বিরুদ্ধে জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে আরও বেশি বেশি করে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে।
সমাবেশে সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, গরিব মানুষ চোখের জল ফেলছে, আর অন্যদিকে মুনাফার পাহাড় তৈরি হচ্ছে কিছু মানুষের। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তা মানতে রাজি নয় দেশের সরকার। সবার রেশন কার্ড নেই, মানুষ গম পাচ্ছেন না - এর উত্তর কে দেবে? তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যে তো শুধু নাটক চলে। কোনো প্রশ্ন উঠলে একদিকে রাজ্যপাল আর অন্যদিকে পিসি-ভাইপোর ট্যুইট খেলা চলতে থাকে। সরকারি পয়সায় তামাসা করে একে ওকে বকা দিয়ে রাজ্যের মানুষকে বোঝানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী কত জনদরদি। এটাই আসলে চালাকি। এই চালাকি আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের সামনে উন্মোচিত করতে হবে।
সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সূর্য মিশ্র বলেন, চাকরি নেই কারণ নতুন কলকারখানা নেই। ফলে উৎপাদনও বাড়ছে না দেশে। বাজারে চাহিদাতে টান পড়েছে। কারণ মানুষের হাতে কেনার পয়সা নেই। এই সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কিন্তু তাই বলে পুঁজির বাড়বাড়ন্ত বেড়েই চলেছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়লো কেন, এ রাজ্যে এই দাম এত বেশি কেন - কোনও উত্তর নেই। আসলে ফ্যাসিবাদ, দক্ষিণপন্থীদের লক্ষ্য এটাই। ঐক্যবদ্ধভাবে এদের প্রতিহত করতে হবে।
আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, মোদি ও মমতা সরকারের ওপর বীতশ্রদ্ধ মানুষ। আরএসএস-বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করছে। আর তাদের নেতা মোহন ভাগবতকে ফুল পাঠাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এরাজ্যে সমস্ত সরকারি দপ্তর দুর্নীতিতে ভরে গেছে। সংবাদ মাধ্যমকেও হুমকির মুখে এবং আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে দেশে ও রাজ্যে। এর বিরুদ্ধে একমাত্র লাল ঝান্ডাই প্রতিবাদ-প্রতিরোধের বার্তা দিতে পারে।
সিপিআই’র রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি বলেন, মানুষ তৃণমূল এবং বিজেপি-কে চিনতে শুরু করেছে। আরএসএস’র মতো রাষ্ট্রদ্রোহীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে তৃণমূল। মন্দির-মসজিদ প্রসঙ্গ সামনে এনে বিভাজন তৈরিই আরএসএস-র উদ্দেশ্য।
এদিনের সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সঞ্জীব চ্যাটার্জি, সিপিআই(এমএল)’র কার্তিক পাল, পিডিএস’র অনুরাধা দেব, সিআরএলআই’র অসীম চ্যাটার্জি, সিপিবি’র বর্ণালী মুখার্জি, এনসিপি’র হৃষিকেশ পয়রা, জেডিইউ’র সোমা নন্দী, এমএফবি’র আশিস চক্রবর্তী এবং আরসিপিআই’র সুভাষ রায় প্রমুখ।
এদিনের এই সভা পরিচালনা করেন সিপিআই নেতা প্রবীর দেব।
জেলায় জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচি
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে, তীব্র বেকারির বিরুদ্ধে, রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলায় জেলায় বামপন্থী দলের ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত হয়েছে। বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলায় অসংখ্য স্থানে বিক্ষোভ, মিছিল, প্রচার সভা হয়েছে।
৩১ মে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরের মহুয়াচকে বামপন্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই মানুষকে প্রতারণা করছে। এই দুই সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তীব্র করার ডাক দেন তিনি। এছাড়াও এখানে বক্তব্য রাখেন সিপিআই’র জেলা সম্পাদক অশোক সেন, আরএসপি’র জেলা সম্পাদক শক্তি ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সুকুমার সিং, সিপিআই(এমএল) নেতা শৈলেন মাইতি প্রমুখ।
কৃষ্ণনগরে বামপন্থী সহযোগী দলের প্রতিবাদ কর্মসূচী।
এদিন কৃষ্ণনগরে বামফ্রন্ট ও সহযোগী দল সমূহের ডাকে কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিপিআই(এম) নেতা মেঘলাল সেখের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য রমা বিশ্বাস, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অরুণ ধর, আরএসপি নেতা ত্রিদিবেশ ভট্টাচার্য, সিপিঅই(এমএল) নেতা জয়তু দেশমুখ প্রমুখ। এই কর্মসূচিতে কৃষ্ণনগর, তেহট্ট ও রানাঘাট মহকুমার শ্রমজীবী মানুষ অংশ নেন।
ঝাড়গ্রামে মিছিল।
ঝাড়গ্রাম শহরে এদিন বামদলগুলির ডাকে মিছিল সংগঠিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার সাতটি ব্লক দপ্তর সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে।
এদিনের মিছিল থেকে পানীয় জলের তীব্র সংকট, নদীর নুড়ি সংগ্রহকারীদের কাজে নিশ্চয়তা, বনাঞ্চলের মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ওঠে। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রদীপ সরকার, সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য পুলিনবিহারী বাস্কে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক অশোক ব্যানার্জি প্রমুখ।
এদিন বনগাঁ শহরে বামফ্রন্টের ডাকে মহকুমা ভিত্তিক মশাল মিছিল হয়। মিছিলের শুরুতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হুগলি জেলার ইটাচুনার ধামাসীন থেকে চন্দ্রহাটি ফুটবল মাঠ পর্যন্ত সিপিআই(এম)’র ডাকে মিছিল হয়েছে।
পূর্বস্থলীর লক্ষ্মীপুর বাজারে সিপিআই(এম) পূর্বস্থলী এরিয়া কমিটির ডাকে প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
গত ৩০ মে বীরভূম জেলার বিভিন্ন স্থানে বামফ্রন্টের ডাকে মিছিল, অবস্থান বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে নলহাটিতে অবস্থান ও ডেপুটেশন কর্মসূচি হয়। জেলার দুবরাজপুর, খয়রাশোল, রামপুরহাট-১ ব্লকে মিছিল হয়েছে।
এদিন পূর্ব বর্ধমানের কালনা-১ ব্লকের ধর্মডাঙা মোড় থেকে এক বিশাল মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় কালনা-২ ব্লকের জিউধারায়।
বর্ধমান শহরে রেল স্টেশন থেকে এক মিছিল শুরু হয়ে জি টি রোডে এসে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মিছিল শেষে সমাবেশে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধিক্কার ধ্বনিত হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ডিভিসি মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে মিছিল হয়েছে।
এদিন লালঝান্ডার মিছিলে উত্তাল হয়েছে বাঁকুড়া শহর। জেলার তিনটি মহকুমার সদর কেন্দ্র বাঁকুড়া, খাতড়া এবং বিষ্ণপুরে বামফ্রন্টের ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে বিশাল মিছিল হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর গাড়ুলিয়ার চিনিকল মোড় থেকে এক মশাল মিছিল পলতা বাদামতলা পর্যন্ত যায়। এছাড়াও নিউটাউন, বিধাননগর, বাজারহাট, দমদম, নিউ বারাকপুরে মিছিল ও সভা হয়েছে। বাগুইহাটিতে হয়েছে মশাল মিছিল। বারাসতে মিছিল হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সভায় অংশ নিয়েছেন অগণিত মানুষ। জেলার চৈতন্যপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সভা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে একটি মিছিল সংগঠিত হয়েছে। মিছিল শেষে ডব্লিউ বি সি এস প্রিলিমিনারিতে ফেল করা কেউ কীভাবে মূল পরীক্ষায় পাশ করে সেই অভিযোগে পথ অবরোধ করেন বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলের সদস্যরা। কালচিনির বিডিও’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে বামফ্রন্টের ডাকে মহামিছিল শেষে দেবীনগর পোস্ট অফিসের সামনে পথসভায় অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। এছাড়াও মিছিল হয়েছে ইটাহারে।
বামফ্রন্টের ডাকে কোচবিহার শহরে মশাল মিছিল হয়েছে। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা হয়। দিনহাটা, সিতাই অঞ্চলেও মিছিল হয়।
ধূপগুড়ি শহর সংলগ্ন বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা বাজারে মিছিল হয়েছে।
কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ২৫ থেকে ৩১মে বামফ্রন্ট ও সহযোগী দলগুলির ডাকে প্রতিবাদ সভা, মিছিল হয়েছে।
কলকাতায় মহিলাদের মশাল মিছিল
জিনিসপত্রের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ৩১মে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি-সহ বিভিন্ন বামপন্থী মহিলা সংগঠনের ডাকে মশাল মিছিল সংগঠিত হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় রানি রাসমণি রোড থেকে চাঁদনি মার্কেট পর্যন্ত মিছিল যায় এবং ওই পথেই মিছিলটি ফিরে এসে রানি রাসমণি রোডের সমাবেশে যোগ দেয়। মিছিলের চলার পথে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী, সাম্প্রদায়িক নীতি, দুর্নীতি-কেলেঙ্কারি ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে স্লোগান ওঠে।
এদিনের এই প্রতিবাদী মশাল মিছিলে অংশ নেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, নিখিল বঙ্গ মহিলা সঙ্ঘ, পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি, সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতির নেত্রী ও সদস্যরা।