E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ২৯ সংখ্যা / ৩ মার্চ, ২০২৩ / ১৮ ফাল্গুন, ১৪২৯

সময় থেমে থাকে না

শমীক লাহিড়ী


গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সিপিআই(এম) প্রার্থীদের আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের।

১৪ই মে, ২০১৮। সেদিন শতাব্দীর অন্যতম সেরা প্রহসন দেখেছিল বাংলার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ - এই ত্রিস্তরে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৫৮,৭৯২টি। এর মধ্যে ২০,৬৯৮টি আসনে কোনো বিরোধী দলকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ প্রতি ১০০টা আসনের মধ্যে ৩৫টিরও বেশি আসনকে বিরোধী শূন্য করা হয়েছিল নির্বাচনের আগেই।

সেই সময়ের ২০টি জেলাজুড়েই তৃণমূলী গুন্ডা-পুলিশ-প্রশাসন সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্রের এই হত্যালীলায় অবতীর্ণ হয়েছিল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। এর মধ্যে ৭টি জেলা ছিল এই হত্যালীলার মূল বধ্যভূমি। দক্ষিণ ২৪পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ছিল ভয়ংকর। বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র বীর কেষ্টর জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮৭.৫৩ শতাংশ আসনে কোনো বিরোধী দলকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ৬৩-৬৪ শতাংশ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। হুগলিতে ৪২.৬৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৬.৩৬ শতাংশ আসন ছিল বিরোধী শূন্য।

মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের দিকে নজর ফেরালেই বোঝা যায়, কীভাবে সেদিন গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের লোকসভা আসনের চেহারাটা নিম্নরূপ -

৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা - ১,০৮১। পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন - ২০৮। জেলা পরিষদের মোট আসন - ২০। এই ৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৮টিতে কোনো টিএমসি-বিরোধী দলকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসি জিতেছিল ১,০০৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে, ১৯৭টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে এবং ২০টি জেলা পরিষদের আসনে।

ঠাকুরপুকুর-মহেশতলা ব্লকের যে ৪টি পঞ্চায়েতে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিল, সেই ব্লকের বিডিওকে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীনই শাস্তিমূলক বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য ভোটের দিন এবং ভোট গণনার দিন এই ব্লকের কোনো বিরোধী প্রার্থী বা এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে বা গণনা কেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তাই ভাইপোর লোকসভা কেন্দ্রে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ কোথাও ১জনও বিরোধীদলের প্রতিনিধি খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ এই কেন্দ্রে ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে টিএমসি ভোটের নিরিখে বিরোধীদের চাইতে পিছিয়ে ছিল। এই লোকসভা কেন্দ্রেই সম্মিলিত বিরোধী ভোট ২০১৪ সালে শাসকদলের চাইতে ১,৯২,৬০৭টি বেশি ছিল এবং ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের চাইতে ১৬,০৩৫টি ভোট বেশি পেয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কোন জাদুবলে সেখানে ৯৩.০৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল, তার ব্যাখ্যাটা কি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেন?

গত ১২ বছরে তৃণমূলী শাসনে মানুষ লুঠ দেখেছে। লুঠেরাদের হাতে বোমা-বন্দুক-পিস্তল দেখেছে। এই লুঠেরা বাহিনীর ভোট লুঠও দেখেছে। হত দরিদ্র গরিব মানুষ তার বাড়ির টাকা চুরি করতে দেখেছে। গ্রামের মানুষ তার বাড়ির সামনের রাস্তার টাকা চুরি করে তৃণমূলী নেতাদের সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত দেখেছে। পুকুর-খালের টাকা চুরি করে এদের ফুর্তি করতে দেখেছে। সারদা-রোজভ্যালি সহ অনেক চিট ফান্ডের টাকা লুঠ করে তৃণমূলী নেতা-মন্ত্রীদের সাতমহলা বাড়ি হতে দেখেছে। চাকরি চুরি আর বিক্রি করে নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকার বান্ডিল দেখেছে।

এই সব কিছু দেখতে দেখতে ক্রমশ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। ২০২০ সালে আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া উপকূলবর্তী গ্রামের মানুষ তাদের ত্রাণের টাকা লুঠের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন। বহু তৃণমূলী প্রধান-নেতাদের কিছুদিনের জন্য হলেও ভয়ে গা ঢাকা দিতে হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে আবাস যোজনার টাকা লুঠের বিরুদ্ধে মানুষ প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বোমা-বন্দুক-পুলিশ দিয়ে এই বিক্ষোভ আটকাতে পারেনি রাজ্যের লুঠেরা তৃণমূল সরকার।

মানুষ তৃণমূলের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ তার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের সময়। রাজ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ আসনে মানুষ তৃণমূলকে পরাস্ত করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের বিকল্প শক্তিরূপে অনেকেই বিজেপি-কে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের ধারণা ছিল বোমা-বন্দুক-পিস্তল-লুঠ-দাঙ্গা এই সব থেকে বাংলার মানুষকে হয়ত মুক্ত করতে পারবে বিজেপি। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি’র দিকে ঝুঁকে পড়েন অনেক মানুষ। এই প্রশ্নে করপোরেট নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যেই মানুষের পছন্দকে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রবল প্রচারের ঝড় তোলে, অবশ্যই আইনি-বেআইনি অর্থ প্রাপ্তির বিনিময়ে।

২০২১ সালের নির্বাচনের পরেই ধীরে ধীরে মানুষের ধারণার পরিবর্তন ঘটতে থাকে অভিজ্ঞতার বিনিময়ে। মানুষ দেখে - যে তৃণমূল নেতারা টাকা আর ভোট লুঠ করেছে, তারাই বিজেপি’র প্রার্থী তালিকায় স্থান পাচ্ছে। যে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, নিশীথ প্রামাণিক সহ তৃণমূল নেতারা দুর্নীতি আর ভোট লুঠের দায়ে অভিযুক্ত, তারাই বিজেপি’র নেতা হয়ে যাচ্ছে। আবার চন্দন মিত্র সহ একগুচ্ছ বিজেপি নেতা ভোটের টিকিট পাওয়ার জন্য তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া একদল নেতা আবার তৃণমূলে ফেরত আসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছে। অর্থাৎ এদের একটাই লক্ষ্য। কোন দলে গেলে ক্ষমতা আর আইনি-বেআইনি পথে টাকা লুঠ করা যাবে, তার ভিত্তিতেই সকাল-বিকাল দল পরিবর্তন করতে থাকো।

মানুষ ক্রমশ অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন - আসলে এই দুই দলের নেতা বা নীতির কোনো ফারাক নেই। এদের নীতি একটাই - ক্ষমতা দখল করো আর দেদার লুঠ চালাও। এটাও মানুষ অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারছেন যে, তৃণমূলের সব দুর্নীতির তদন্তকে ধামাচাপা দিয়ে কার্যত তৃণমূল সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ২০১৪ সালের সারদা মামলার তদন্ত বিশ বাঁও জলে পাঠিয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নারদ ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত তো করলই না বিজেপি’র সরকার তৃণমূলের সাংসদ আর মন্ত্রীদের বাঁচাতে। একইভাবে আদালতের নির্দেশে চলা চাকরি বিক্রির মামলায় প্রবল ঢিলেমি করেই চলেছে ইডি-সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।

মানুষ অভিজ্ঞতায় এটাও দেখছেন - এই রাজ্যের মন্ত্রী-নেতারা যেমন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের অর্থ চিট ফান্ডগুলি থেকে চুরি করেছে, তেমনই বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কে রাখা মানুষের সঞ্চয়ের অর্থ অবাধে লুঠ করছে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে। লুঠের প্রশ্নে মোদি-মমতা ভাইবোন, কোনো তফাত নেই এই দুই দলে। ওদিকে মোদির সরকার কয়লা-গ্যাস-তেলের খনি তুলে দিচ্ছেন আদানি-আম্বানীর মতো হাঙরদের হাতে, এদিকে দেউচা পাঁচামীর জমি, বন্দর আদানিদের ডেকে হাতে তুলে দিচ্ছে মমতার সরকার। ওদিকে রেলের প্ল্যাটফর্ম সহ জমি, বিমানবন্দর, জাহাজবন্দর সব আদানি-আম্বানীদের মতো হাঙর ব্যবসায়ীদের বেচে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, আর এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি বাস-ট্রাম-নদীর চর-শিল্প তালুকের জমি সব তুলে দিচ্ছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ লুঠেরা প্রমোটারদের হাতে।

আবার বাংলার মানুষ গত ১২ বছরে এটাও দেখেছেন, প্রবল আক্রমণ-সন্ত্রাস-মিথ্যা মামলা-গুন্ডা পুলিশের হামলার মুখোমুখি হয়েও কেমনভাবে লড়াইয়ের ময়দানে টিকে রয়েছেন বামপন্থীরা। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে লালঝান্ডার কর্মীরাই। শ্রমজীবী মানুষের মজুরি বৃদ্ধির লড়াই, ১০০ দিনের কাজের জন্য লড়াই, পঞ্চায়েত থেকে নবান্ন পর্যন্ত ছড়ানো দুর্নীতির জালের বিরুদ্ধে লড়াই, চাকরি চুরি ও বিক্রির বিরুদ্ধে লড়াই - সব জায়গাতেই রয়েছে লালঝান্ডার কর্মীরা। এই লড়াই লড়তে গিয়ে রাজ্যে ২৩৩ জন বামফ্রন্ট কর্মী শহিদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২২৪ জন শহিদই সিপিআই(এম) কর্মী। লক্ষাধিক মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে বামপন্থীদের। তৃণমূলী দুষ্কৃতী-পুলিশের আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়েও লড়াইয়ের ময়দান থেকে পালায়নি লালঝান্ডার পার্টি।

২০১৮ ভোটের আগের রাতেই গোটা রাজ্যে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধী দলের কাছে আতঙ্কের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল কাকদ্বীপের দেবু দাস ও উষারানি দাসকে। তাঁদের একমাত্র সন্তান দীপঙ্কর দাস বাড়ির বাইরে কাজে থাকার জন্য সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানানো এই হত্যালীলায় শিউরে উঠেছিল মানুষ।

২০২৩ আর ২০১৮ সাল এক নয়। এরপর ৫ বছর কেটে গেছে। সেই দীপঙ্কর দাস আজ কৈশোর পেরিয়ে তরুণ আইনজীবী হয়েছেন। নিজের বাবা-মায়ের নৃশংসতম হত্যালীলার খুনীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আজ শামলা গায়ে দিয়ে নিজেই সওয়াল করছেন আদালতে, সব ভয়ভীতি আতঙ্ককে উপেক্ষা করেই। এই ৫ বছরে দীপঙ্করের মতোই বাংলার মানুষ আতঙ্ক কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূলী সন্ত্রাস-ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করেই। সময় কখনো দাঁড়িয়ে থাকে না। নদীর জলের স্রোত কখনোই থেমে থাকে না। সময়ের সাথে মানুষ অভিজ্ঞতা আর সাহস দুই খুঁজে পায়।

এর ভিত্তিতেই গ্রাম-গঞ্জে মানুষ জোটবদ্ধ হচ্ছেন। ভয়-ভীতি-আক্রমণ-আতঙ্ক এসব মোকাবিলা করেই লুঠেরাদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে, মানুষের হাতে পঞ্চায়েত তুলে দেওয়ার লড়াই করতে বদ্ধপরিকর লালঝান্ডার সৈনিকরা। এই যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে গ্রামে গ্রামে। রাজ্যজুড়ে গ্রামের আল বেয়ে লালঝান্ডার পদযাত্রা মানুষকে সাহস জুগিয়েছে। এখন বাড়ি বাড়ি চলছে লুঠেরাদের হারিয়ে মানুষের হাতে পঞ্চায়েত ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচার। লুঠ হয়ে যাওয়া ভোটের অধিকার ফেরানোর জন্য বুথে বুথে রুখে দাঁড়ানোর বাহিনী প্রস্তুত হচ্ছে। ফিরিয়ে আনতেই হবে বাংলার গর্ব মানুষের পঞ্চায়েতি ব্যবস্থা। হঠাতেই হবে লুঠেরাদের। ছদ্মবেশে আসবে লুঠেরাদের দল। কেউ বিজেপি’র নামে আবার কেউ আমপাতা-জোড়াপাতা-বটগাছ প্রতীক নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে লুঠেরাদের হাতে পঞ্চায়েত রেখে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে।

গ্রামের সব মানুষের রাস্তা-পুকুর-খাল-বাড়ির ছাদ-ত্রাণের টাকা লুঠ হয়েছে। সেই সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই চলছে। আর যাতে লুঠেরারা ফিরে আসতে না পারে তাই ব্যাপক মানুষকে সমবেত করতেই হবে। তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী যত মানুষ-সংগঠন-রাজনৈতিক দল আছে, তাদের সবাইকে জোটবদ্ধ করে লুঠেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েত উদ্ধার করে মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার কাজই এখন বামপন্থীদের অন্যতম কর্তব্য।