৬০ বর্ষ ২৯ সংখ্যা / ৩ মার্চ, ২০২৩ / ১৮ ফাল্গুন, ১৪২৯
সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহার
নন্দিনী মুখার্জি
বিগত চার দশক সময় ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার শুধু যে তথ্য প্রযুক্তিতে অভিনব চিন্তা ভাবনা এবং প্রয়োগের নতুন দিশা দেখিয়েছে তাই নয়, সামাজিক জীবনেও নিয়ে এসেছে বহু পরিবর্তন। আজকের তরুণ প্রজন্ম চায়ের দোকানে, কফি হাউসে বা কলেজ ক্যান্টিনে আড্ডা দেওয়ার থেকে বেশি সময় কাটায় ভার্চুয়াল জগতে। এই ভার্চুয়াল পৃথিবীর অন্যতম হলো সামাজিক মাধ্যমগুলি যার মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে দূরবর্তী সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়। আর নিজেদের অন্তরঙ্গদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করা, নিজেদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের খবরাখবর সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যও আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি এই মাধ্যমগুলি।
আশির দশকে ইন্টারনেট পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরে ১৯৯৪ সাল থেকেই নানাধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তৈরি হতে থাকে। প্রথম এই ধরনের যে পরিষেবাটি তৈরি হয় সেটির নাম হল জিওসিটিস (Geocities)। তবে জিওসিটিস মূলত ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহৃত হতো। পরে এই মিলেনিয়ামের সূচনায় লিঙ্কডিন, মাইস্পেস নামে বেশ কিছু সোশ্যাল নেটওয়ার্ক পরিষেবা তৈরি হয়, যার মূল লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন। ২০০৪ সালে 'অর্কুট' নামে একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যার জনপ্রিয়তা অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রায় ৩০ কোটি মানুষ এই অর্কুটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালে গুগল কোম্পানি, যারা এই অর্কুটের মালিক এবং তত্ত্বাবধায়ক ছিল, তারা এই পরিষেবাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এই মুহূর্তের সর্বাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ফেসবুকেরও জন্ম ২০০৪ সালে। শুরুতে মার্ক জুকারবার্গ নামে এক কলেজ পড়ুয়া তার বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করার জন্য ফেসবুক তৈরি করে। পরবর্তীকালে এই ফেসবুকের ব্যবহার পৃথিবী জুড়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২৭০ কোটির কাছাকাছি। ফেসবুক সার্বাধিক জনপ্রিয় হলেও ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, গুগল+ সহ অন্তত হাজার খানেক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিষেবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহু মানুষকে যুক্ত করতে পেরেছে।
সমস্যা হলো সাধারণ মানুষ নিয়মিতভাবে সামাজিক মাধ্যমগুলি ব্যবহার করলেও, এই মাধ্যমগুলি কীভাবে কাজ করবে তার উপর ব্যবহারকারীর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এই পর্যন্ত শুনে কেউ যদি বলেন যে ফেসবুক, ট্যুইটার - এইসব কোম্পানি পরিষেবা দিচ্ছে, সুতরাং তারাই ঠিক করবে কীভাবে কাজ হবে; ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ থাকবেই বা কেন? তাহলে বলতে হয় নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা ছেড়েই দিলাম, এই সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষা করাটাই এদের নীতি।
সামাজিক মাধ্যমগুলিতে আমরা যখন কোনো কথা, ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি, তখন তা কার কার কাছে পৌঁছাবে তা ঠিক হয় বিভিন্ন অ্যালগরিদম-এর মাধ্যমে। কম্পিউটারের পরিভাষায় অ্যালগরিদম হলো একগুচ্ছ নির্দেশ যা কম্পিউটারকে পরিচালনা করে। ফেসবুক, ট্যুইটার এইরকম কিছু অ্যালগরিদম ব্যবহার করে তাদের সাইটে করা পোস্টগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। অনেকসময়েই এই অ্যালগরিদমগুলি ব্যবহারকারীদের কাছে ব্ল্যাকবক্সের মতো, অর্থাৎ কীভাবে কাজগুলি সম্পন্ন হবে, বা আরও ভেঙে বললে কোন কোন পোস্ট বেশি গুরুত্ব পাবে, কোন কোন পোস্ট কার কাছে পৌঁছাবে তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। কেন কোনো একটি পোস্ট ভাইরাল হলো, কেন একটি পোস্ট যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পরেও সামান্য কয়েকটি লাইক পেয়েই হারিয়ে গেল - সেটা বুঝে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তার সঙ্গে যুক্ত থাকে কোম্পানিগুলির আকস্মিক সিদ্ধান্ত যেগুলি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিকভাবে বা পুঁজিবাদী সমাজের ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রেণির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি 'মেটা'-তে একগুচ্ছ প্রযুক্তিবিদের দল প্রতিনিয়ত এই অ্যালগরিদমগুলি পরিবর্তন বা পরিমার্জন করে থাকেন। সাম্প্রতিককালে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং-এর বেশ কিছু কলাকৌশল যুক্ত করে অ্যালগরিদমগুলিকে আরও শক্তিশালী ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন করে তোলা হয়েছে। তবে ভালো খবর হলো অ্যালগরিদমগুলির প্রায়োগিক বিষয়গুলি গোপনীয় থাকলেও গত কয়েক বছরে ফেসবুক কিছু নির্দেশিকা এবং টিউটোরিয়াল প্রকাশ করেছে যেগুলি পোস্টগুলিকে কীভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় বা গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা যায় সে বিষয়ে সহায়তা করতে পারে।
ফেসবুক প্রত্যেকটি পোস্ট, ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপন, রিল বা স্টোরির সঙ্গে একটি ক্রম (rank) যুক্ত করে যাকে বলা হয় personalized ranking বা ব্যক্তিগতকৃত ক্রম। অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পৃথকভাবে এই ক্রম নির্ধারিত হয় এবং এই ক্রমের ভিত্তিতেই সেই ব্যবহারকারী যখন ফেসবুক ব্যবহার করেন তখন তাঁর কাছে পোস্ট ইত্যাদি ক্রমান্বয়ে উপস্থিত হয়। প্রত্যেকবার ফেসবুক রিফ্রেশ করলে নতুনভাবে এই ক্রম নির্ধারিত হয়। এই ক্রম বা রাঙ্ক নির্ধারণের জন্য ফেসবুক মূলত সেই ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত যোগাযোগ, বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে অ্যালগরিদমটিকে পরিচালিত করে। বর্তমানে মূলত তিনটি সংকেত ব্যবহার করে এই ক্রম বা রাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়। এই সংকেতগুলি হলো -
১) কে পোস্টটি করেছে - অর্থাৎ যে ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক সংস্থার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার বেশি যোগাযোগ, তাদের পোস্টটি আপনার জন্য রাঙ্কিংয়ে উপরদিকে থাকবে।
২) কি ধরণের পোস্ট - অর্থাৎ আপনি যদি ভিডিও বেশি দেখেন এবং ওই ধরনের পোস্টে বেশি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তাহলে আপনার কাছে (আপনার ফিডে) ভিডিও-সহ পোস্ট বেশি পৌঁছাবে। আপনি ছবি-সহ পোস্টে বেশি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে ফেসবুক সেই ধরণের পোস্ট আপনাকে বেশি দেখাবে।
৩) পোস্টটির উপর কারা বেশি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন - অর্থাৎ আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিদিন যাঁদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ রাখেন তাঁরা বিভিন্ন পোস্টে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন, তার উপর নির্ভর করে পোস্টগুলির রাঙ্ক নির্ধারিত হয়।
উপরের তিনটি মূল সংকেত থেকেই বিভিন্ন পোস্টের রাঙ্ক নির্ধারিত হয় এবং সেই রাঙ্ক অনুযায়ী ব্যবহারকারীর ফিডে প্রত্যেকটি পোস্ট দেখানো হয়।
বেশ কয়েক বছর আগে থেকে ফেসবুক লাইক বা থামস্ আপ এর সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ইমোজি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ করে দেয়। এইগুলি হলো 'love', 'haha', 'wow', 'sad', 'angry'। যাঁরা নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই ইমোজি প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন। ২০২১ সালে 'ওয়াশিংটন পোস্ট'-এ একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয় যে, সাধারণ লাইক প্রতিক্রিয়ার থেকে ইমোজি প্রতিক্রিয়ার জন্য ফেসবুক পাঁচগুণ বেশি নম্বর যুক্ত করছে রাঙ্ক নির্ধারণ করার সময়। এমনকী অ্যাংরি বা রাগত প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও পাঁচগুণ নম্বর যুক্ত করা হয়। কিন্তু ফেসবুকের কর্মীরাই এবার কোম্পানির অন্দরমহলে প্রশ্ন তোলেন যে, অ্যাংরি প্রতিক্রিয়ায় যদি এতটা গুরুত্ব আরোপ করা হয়, তাহলে কিছু পোস্ট, যেগুলি বাস্তবে হয়তো বিতর্কিত এবং ব্যবহারকারীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছ সেগুলি বেশি গুরুত্ব পাবে। এই পোস্টগুলি হয়তো কোনো স্প্যাম বা অবমাননাকর হতে পারে। ২০১৯ সালে ফেসবুকের ডাটা সায়েন্টিস্টরা জানালেন যে প্রকৃতপক্ষে অ্যাংরি ইমোজিতে বেশি গুরুত্ব দিলে নিম্নমানের পোস্ট বা ভুল সংবাদ বেশি রাঙ্ক নিয়ে ব্যবহারকারীদের ফিডে বেশি প্রদর্শিত হয়। এই ধরনের ইমোজি, যা মানুষের আবেগকে প্রকাশিত করে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা নির্ধারিত করা সবসময়ে সঠিক কিনা তাই নিয়ে ফেসবুকের অন্দরমহলে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে।
তবে শুধু ইমোজি নয়, পোস্টের রাঙ্ক নির্ধারণের জন্য এইরকম আরও অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করা হয় যেগুলি উপরে বর্ণিত তিনটি মূল সংকেতগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে একটি পোস্টের জন্য কী ধরণের মন্তব্য বা কমেন্ট করা হচ্ছে এবং এই কমেন্টগুলির দৈর্ঘ্য কতটা, ভিডিও প্রদর্শিত হলে তা লাইভ না রেকর্ডেড, কমেন্টগুলি সাদামাটা বাক্য নাকি কার্টুন অবতার নিয়ে তৈরি ইত্যাদি। এই সমস্ত ক্ষেত্রে গুরুত্ব একইরকম নয়, বরং গুরুত্ব কম-বেশি হওয়ার ফলে তার সঙ্গে যুক্ত নম্বর বা মানও ওঠানামা করে। ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলি বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই মান নির্ধারণ কীভাবে করা হচ্ছে তা প্রকাশ করে না। তবে বিভিন্ন সংস্থা তাদের গবেষণার মাধ্যমে এই সমস্ত বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করে থাকে। যেমন 'পেজলিভার' নামক একটি সংস্থা ফেসবুক পোস্টগুলির মধ্যে কোনটি কেমন গুরুত্ব পাচ্ছে তা বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছে যে, সাধারণ লাইকের থেকে কমেন্ট থাকলে পোস্ট-এর গুরুত্ব বাড়ে এবং তার থেকেও গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয় যদি পোস্টটি শেয়ার করা বেশি হয়। আবার ফেসবুকের ক্ষেত্রে সবসময়েই মৌলিক ভিডিও-র উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়, এবং একই সাথে রেকর্ডেড ভিডিও-র থেকে লাইভ ভিডিও থাকলে পোস্টের সঙ্গে যুক্ত নম্বর বৃদ্ধি পায়।
একটি পোস্ট কোন সময়ে করা হচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে পোস্ট করা হলে পোস্টের গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় এবং বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানো যায়। কিন্তু এই সঠিক সময় কীভাবে বোঝা যাবে? সাধারণভাবে একটা কথা বলা যেতে পারে যে, যখন কোনো ব্যবহারকারীর অধিকাংশ অনুগামী (follower) অনলাইন থাকেন, সেই সময়টিই ওই ব্যবহারকারীর জন্য পোস্ট করার সবচেয়ে ভালো সময়। কিন্তু এটি শুনতে যত সরল লাগছে, বিষয়টি ততটা সরল নয়। কারণ অনুগামীদের মধ্যেও সকলে একই সময়ে অনলাইন থাকবেন তা বলা যায় না। তার উপর তাঁদের সামাজিক ব্যবহার দিনের বিভিন্ন সময়ে, সপ্তাহের মাঝখানে এবং সপ্তাহের শেষে বা অন্য বেশ কিছু বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে পরিবর্তিত হয়। সুতরাং নিজের পোস্ট যাতে বেশি বন্ধু বা অনুগামীদের কাছে পৌঁছায় তার জন্য একজন ব্যবহারকারীকে সচেতন হতে হবে। যেমন তাঁর জানা প্রয়োজন যে যাঁদের কাছে তিনি তাঁর বক্তব্য পৌঁছাতে চান, তাঁদের অধিকাংশ কোন অঞ্চলে বা কোন শহরে থাকেন, তাঁদের প্রাত্যহিক অভ্যাস কীরকম ইত্যাদি। তার সঙ্গে অতীতের পোস্টগুলি কখন করা হয়েছে এবং সেগুলি কতটা বিভিন্ন অনুগামী বা বন্ধুদের কাছে পৌঁছেছে তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেতে পারে। এই বিষয়ে ইন্টারনেটে বেশ কিছু টুল বা কম্পিউটার প্রোগ্রাম পাওয়া যায় যা ব্যবহারকারীদের এই ধরনের বিশ্লেষণে সহায়তা করতে পারে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, আপনি কার জন্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করছেন সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখা। আপনার অনুগামী বা বন্ধুরা যদি আপনার পোস্ট সম্পর্কে উৎসাহিত বোধ না করেন, তাহলে সেই পোস্টটি অচিরেই গুরুত্ব হারাবে এবং হারিয়ে যাবে। পোস্টটি যদি অর্থপূর্ণ বা তথ্য সংবলিত না হয়, তাহলে তা অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। মিথ্যা খবর সংবলিত পোস্ট বা যে সমস্ত সংবাদের কোনো প্রমাণ নেই সেই ধরনের পোস্ট সবসময়েই ব্যবহারকারীর জন্য সমস্যা তৈরি করে থাকে। সুতরাং সৃজনশীল বিষয়বস্তু, কিন্তু যা আপনার বন্ধু ও অনুগামীদের আকর্ষিত করবে এবং তাঁদের আপনার পোস্টটিতে লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে, সেই ধরণের বিষয়বস্তুর উপরই জোর দেওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিষয় নয়, যা সামাজিক মাধ্যমে প্রাসঙ্গিক, সেই ধরনের বিষয়বস্তু তুলে ধরাই একজন সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীর কাছে প্রত্যাশিত।