৬০ বর্ষ ২৯ সংখ্যা / ৩ মার্চ, ২০২৩ / ১৮ ফাল্গুন, ১৪২৯
‘‘তুই পঞ্চম স্বরে কারে ডাকিস?’’
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভরা বসন্ত। গাছপালা, রাস্তাঘাট-চারিদিকে কু-উ কু-উ ডাক। পঞ্চম সুরে কোকিলের কু-ডাক যতই শ্রুতিমধুর, মনের কু-ডাক ততই কর্কশ, চিন্তার। সেখানে সু-এর বড়োই অভাব। এই বিষয়ে আমি যদিও নিতান্তই অর্বাচীন। বলে তো গেছেন খোদ কমলাকান্ত চক্রবর্তী, বকলমে বঙ্কিম খোলসা করে কবেই। “'কু-উঃ'! ভাল, তাই; ও কলকণ্ঠে কু বলিলে কু মানিব, সু বলিলে সু মানিব। কু বৈ কি? সব কু। লতায় কণ্টক আছে; কুসুমে কীট আছে; গন্ধে বিষ আছে; পত্র শুষ্ক হয়, রূপ বিকৃত হয়...”। তবে এর চেয়েও ভালো বোধহয় এর পরের বাক্যবন্ধ। “গলাবাজিতে সংসার শাসিত হয় বটে, কিন্তু কেবল চেঁচাইলে হয় না; যদি শব্দ-মন্ত্রে সংসার জয় করিবে, তবে যেন তোমার স্বরে পঞ্চম লাগে-বে-পর্দা বা কড়িমধ্যমের কাজ নয়।” বঙ্কিম তো লিখেই খালাস। কিন্তু গলাবাজিই যেখানে অন্তিম সম্বল সেখানে বোঝে কে? ঘোর কলিতে তাই আশপাশ থেকে ‘কু-উ-উ’ শব্দ ভেসে এলেই মন কু-ডাকতে শুরু করে দেয়। এই বোধহয় আবার কারোর বিপদ ঘনিয়ে এলো। তা সে মহাতীর্থের কাকু-উ-উ-ই হোক বা অন্য কেউ। শেষ কয়েক মাসে কাটাকুটির খেলায় কম ঘুড়ি তো কেটে আকাশ থেকে ধপাস করে মাটিতে পড়ল না। সেখানে রথী মহারথী থেকে চুনোপুঁটি, আমলা থেকে গামলা, বেলচা থেকে চামচা - বাদ যায়নি কেউই। এর আগে কে কে চোর সেই নামের লিস্টি আগেভাগে শুনে ফেলার পর ঘটনাটা কী ঘটেছিল তা তো আমাদের সবারই জানা। যাদের যাদের নাম ধরে হাঁক পাড়া হয়েছিল তাঁদের সবাই একবার করে ভেতর থেকে ঘুরে এসেছেন। বিষয়টা তাহলে দাঁড়াচ্ছে, “তুই পঞ্চম স্বরে কারে ডাকিস? আমিই বা কারে? বল্ দেখি, পাখী, কারে?” এবার কার পালা?
এক গাধার গল্প বলা যাক। বলাই বাহুল্য এটাও বঙ্কিমকে ধার করে। “হে গর্দ্দভ! কে বলে তোমার পদগুলি ক্ষুদ্র। যেখানে সেখানে তোমারই বড় পদ দেখিয়া থাকি। তুমি উচ্চাসনে বসিয়া, স্তাবকগণে পরিবৃত হইয়া, মোটা মোটা ঘাসের আঁটি খাইয়া থাক। লোকে তোমার শ্রবণেন্দ্রিয়ের প্রশংসা করে।” “হে প্রকাণ্ডোদর”, “তোমারই প্রতি লক্ষ্মীর কৃপা-তুমি নহিলে আর কাহারও প্রতি কমলার দয়া হয় না। তিনি তোমাকে কখনও ত্যাগ করেন না, কিন্তু তুমি তাঁহাকে বুদ্ধির গুণে সর্ব্বদাই ত্যাগ করিয়া থাক।” নজরুল লিখে গেছিলেন “হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও...” “চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর/ভয়-ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।।” আর রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “অহো, কী দুঃসহ স্পর্ধা! অর্জুনে যে করে অশ্রদ্ধা/সে কোনখানে পাবে তার আশ্রয়!” মহাভারতের দ্বাপর যুগ তো কবেই পেরিয়ে এসেছি। ঘোর কলিতে এসে সবকিছুকে মিলিয়ে মিশিয়ে দেওয়া যেতেই পারে। এই দুটোকে মিলিয়ে জুলিয়ে দিলে বিষয়টা খুব একটা খারাপ দাঁড়ায় না। কারণ সময় প্রমাণ করেছে দ্বাপর হোক বা কলি - অর্জুন চিরকালই দোর্দণ্ডপ্রতাপ। যুদ্ধে হোক বা প্রেমে। একদিকে যেমন অর্জুনকে অশ্রদ্ধা করে কোথাও আশ্রয় পাওয়া যায় না তেমনই চিত্তের অবসাদ দূর করতে সারথিদের বাজানোও থামে না। অতএব সবকিছুই রসেবশে চলে। তবে মাঝে মাঝে সুর কাটে। তখন আর সারথিরা চেষ্টা করেও পাঞ্চজন্য শঙ্খে আওয়াজ বের করতে পারেন না। বন্ধ হয়ে যায় প্রশ্রয়দাত্রীর ফোন ধরা। কে না জানে, হাতি যখন খানায় পড়ে, চামচিকেতেও লাথি মারে। অতএব জ-এ জগ আর ম-এ মগ। জগে থাকে জল, মগে থাকে মল। জেলে দোলটা একটু আগেই হয়ে গেছে এই যা। রঙের বদলে মল ছুঁড়ে হোলি হ্যায় পালন। হঠাৎ করে বর্ণহীন হয়ে যাওয়া এক মানুষকে একটু রাঙিয়ে দেবার চেষ্টা।
বিষয় লঘু করে যদিও লাভ নেই, তবু কিছু কিছু কথা মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দিতে হয়। রাজ্যের এক মন্ত্রীকে যেমন আমরা স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় ভিডিও-তে গম্ভীর ব্যবসায়িক কথাবার্তা বলতে শুনেছি, দেখেছি। সেই তিনিই ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘‘ডিএ নিয়ে বিরাট বিরাট কথা হয়। কিন্তু মানুষের কাছে কোনটা বেশি জরুরি? যারা বঞ্চিত অবহেলিত তাদেরকে কিছু দেওয়া নাকি যারা পাচ্ছে তাদেরকে আরও বেশি পাইয়ে দেওয়া? বেশি পাইয়ে দেওয়াটা আমার কাছে পাপ মনে হয়। আমি বলছি, না পোষালে ছেড়ে দিন। সেন্ট্রাল গভর্মেন্ট যখন অনেক টাকা দিচ্ছে সেখানে গিয়ে যোগ দিন।’’ যার উত্তরে বিক্ষোভ দেখান কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ফিরহাদ হাকিমের শিক্ষার অভাব আছে। শিক্ষার অভাব না থাকলে মেয়র এই কথা বলতেন না। সংবিধানে বলা আছে রাজ্যের হাতে কী থাকবে আর কেন্দ্রে হাতে কী থাকবে। উনি হয়তো ভুলে গেছেন উনি রাজনৈতিক কর্মী। আগে কংগ্রেস করতেন পরে তৃণমূল। ভবিষ্যতে হয়তো অন্য দলে যাবেন। কিন্তু সরকারি কর্মীরা এক দপ্তর টপকে অন্য দপ্তরে যেতে পারবে না। আর আমরা তো ওনার মতো গেঞ্জি পরে টাকা নিই না। আমরা শ্রম দিয়ে টাকা রোজগার করি।” মন্ত্রী বনাম সাধারণ মানুষের এই বাগযুদ্ধে আমার না ঢোকাই শ্রেয়। তাই সে পথে যাচ্ছি না। সময় এলে মানুষ নিজেই হিসেব বুঝে নেবে। বিষয়ে আসি।
গত বছরের ২৩ জুলাই এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে একটানা ২৭ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর ঠিক আগের দিন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ কুড়ি কোটি টাকার বেশি। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানিয়েছেন, সমস্ত নিয়োগ করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে। ইডি এই ঘটনায় যে যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তার মধ্যে আছে নগদ ৪৯.৮০ কোটি টাকা, ৫.০৮ কোটি টাকার গয়না সহ মোট ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পদ। আরও জানা গেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির ৩১টি জীবনবিমা পলিসির বার্ষিক প্রিমিয়াম ১.৫ কোটি টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেই এই জীবন বিমা পলিসির বেশিরভাগের নমিনি। এর কোনোটাই অবশ্য আমি বলিনি। ইডি বলেছে।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ এরকমটা ভাবলে অবশ্য ভুল ভাবা হবে। পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক নাম সামনে এসেছে, আর একের পর এক প্রভাবশালী প্রেপ্তার হয়েছেন। কে নেই সেই তালিকায়? শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, কল্যাণময় গাঙ্গুলি, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, চন্দন মণ্ডল, শাইদ ইমাম, আবদুল খালেক, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রী ঘোষ, শতরূপা ভট্টাচার্য, শৌভিক ভট্টাচার্য, সুব্রত সামন্ত রায় সহ একাধিক ব্যক্তি। নাম এসেছে গোপাল দলপতি, হৈমন্তী গাঙ্গুলির। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এঁদের সকলের মধ্যেই একটা কমন ফ্যাক্টর আছে। এঁরা হয় কেউ তৃণমূল, নাহলে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ, নয়তো বা তৃণমূলের কোনো নেতার সহযোগী। অর্থাৎ এক কথায় খুব সহজেই বলা যেতে পারে দুর্নীতি আর তৃণমূল সমার্থক। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি আর তৃণমূল সমার্থক। কাজেই কে কাকে জুতো ছুঁড়লো অথবা কে কাকে মগ ভরতি করে কী ছুঁড়লো অথবা কে কাকে ঘুষখোর বললো তাতে খুব একটা কিছু যায় আসে না।
ঠিক এরকমই আরও এক নেতার কথা আমরা সাম্প্রতিক সময়ে শুনেছি। অর্শের সমস্যা, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কথা বলে বারে বারে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে গিয়েও তিনি শেষরক্ষা করতে পারেননি। গোরু পাচার, বালি পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে তিনিও এখন জেলে। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সেই তৃণমূল নেতা গত বছরের ১১ আগস্ট থেকে বন্দী।
গোরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথমেই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ের নামে প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। তদন্ত যত এগোয় একের পর এক বিপুল টাকার সন্ধান পায় তারা। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে কোটি কোটি টাকার লেনদেন সম্পর্কে জানা গেছে। তিনটি ব্যাঙ্কের আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত ৪ বছরে জমা পড়ে ১৬ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।
আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, বিদ্যুৎ বরণ গায়েন, প্রয়াত স্ত্রী ও দুই সংস্থার নামে। তাতে ২০১৭ সালে মাঝামাঝি সময় থেকে ২০২১ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়ে। সবটাই নগদে জমা করা হয়। অনুব্রত মণ্ডল এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাইস মিল, বিপুল পরিমাণ সম্পদ ছাড়াও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা দাবি করেছিল, অনুব্রতর জামাইবাবু কমলাকান্তর ১৮টি সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে হাটসেরান্দি মৌজা এলাকায় ৩টি জমি, বোলপুর গোবিন্দপুর মৌজায় এলাকায় ১টি জমি ও কালিকাপুর মৌজায় কমলকান্তর নামে ২টি জমি আছে। এছাড়া, শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লিতে একটি বাড়িতে থাকেন কমলাকান্ত। সেই বাড়ি কার তা অবশ্য জানা যায়নি। গোটা বীরভূম সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ের নামে ৪৫টি জমির হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ১৮ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট সহ নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের নামে। যেহেতু অনুব্রত মণ্ডলও একজন তৃণমূল জেলা সভাপতি, অতএব এই দুর্নীতি সম্পর্কেও তৃণমূল কিছু জানত না সেটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে কারোর কারোর অভ্যেস আছে সাফাই গাওয়ার, যে তিনি কিছুই জানতেন না। সেই সারদা কাণ্ডের সময় থেকেই রাজ্যবাসী সেই বাণী শুনতে অভ্যস্ত। পরে যদিও বারবার প্রমাণ হয়েছে তিনি যা বলছেন, যা বলেন তা আদ্যন্ত মিথ্যে।
কপালকুণ্ডলা নাকি পথ হারিয়ে ফেলেছিল মাহেশের রথের মেলায়। এই তথ্য আমার নয় অবশ্য। যিনি বলেছিলেন তাঁর কাছ থেকেই এই বিষয়ে বিশদে জেনে নেওয়া যেতে পারে। তবে সম্প্রতি খবরে আসা কালীঘাটের কাকুর বাড়ির নাম রাধারানি। কে জানে কার অবচেতনে কী থাকে। সেটাই ঘুরেফিরে মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে। যাই হোক। সেই কাকু জানিয়েছেন, “কুন্তল ঘোষ আমায় কাকু বলত। সবাই আমাকে কাকু বলত।” এই কাকুই এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রতি বলেছেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মালিক, তিনিই আমার অন্নদাতা।” “আমার সাহেব এইভাবে নিজেকে ঠিক রাখেন, যাতে আপনারা কাদা ছেটাতে না পারেন।” “তাঁকে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।” মুশকিলটা হলো দুর্নীতিকাণ্ডে যুক্ত থাকা একাধিকজনের মুখে ঘুরেফিরে এসেছে এক কাকুর নাম। আপাতত এটুকুই।
ওপরের সমস্ত ঘটনাগুলোয় সবথেকে বড়ো প্রশ্ন বোধহয় একটাই। বহুদিন আগে তৃণমূলেরই এক সাংসদ ৭৫ শতাংশ আর ২৫ শতাংশর তত্ত্ব শুনিয়েছিলেন। বেশ খোলসা করে বলেছিলেন কতটা নিজের কাছে রাখতে হবে আর কতোটা প্রণামি চড়াতে হবে। রাজ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে, কয়লা কেলেঙ্কারি, বালি কেলেঙ্কারি সহ অন্যান্য কেলেঙ্কারিতে যে কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে তার কতটা এঁরা নিজের কাছে রেখেছিলেন আর কতোটা মহাতীর্থে প্রণামি চড়িয়েছিলেন সেই হিসেবটা কোথা থেকে পাওয়া যাবে সেটাই এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
অতএব, “হে মহাপৃষ্ঠ! তুমি কখন রাজ্যের ভার বহ, কখন পুস্তকের ভার বহ, কখন ধোবার গাঁটরি বহ। হে লোমশ! কোন্টি গুরুভার, আমায় বলিয়া দাও। তুমি কখন ঘাস খাও, কখন ঠেঙ্গা খাও; কখন গ্রন্থকারের মাথা খাও; হে লোমশ! কোন্টি সুভক্ষ্য, অর্ব্বার্চ্চীনকে বলিয়া দাও।”