৬০ বর্ষ ৫১ সংখ্যা / ৪ আগস্ট, ২০২৩ / ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩০
তিন মাস অতিক্রান্ত - জ্বলছে মণিপুর
প্রধানমন্ত্রীকে যেতে বলুন - রাষ্ট্রপতিকে আর্জি বিরোধী মঞ্চের
মণিপুরে ‘ইণ্ডিয়া’র প্রতিনিধিদল।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মণিপুরের ভয়াবহ পরিস্থিতি স্বচক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেখে আসা উচিত বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন বিরোধীদের মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা। গত ২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ‘ইন্ডিয়া’র ৩১ জন প্রতিনিধি। তাঁরা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি এবং ওই রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির পরিস্থিতি ফিরে আনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে তার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতিকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই স্মারকলিপিতে মণিপুরের ভয়াবহ ঘটনার পাশাপাশি হরিয়ানার নুহুতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিরোধীদের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনের একেবারে শেষবেলায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৮-১০ আগস্ট এই আলোচনা হবে বলে লোকসভার কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের বয়কটের সুযোগে ১ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, জবাবি ভাষণে মণিপুর নিয়ে বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুর ভয়াবহ হিংসায় দীর্ণ হলেও, কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী সংসদে আলোচনা এড়িয়ে যায়। বিভিন্ন ইস্যুতে মুখর থাকলেও, প্রধানমন্ত্রী একবার মাত্র সামান্য কুম্ভীরাশ্রু বর্ষণ করে বক্তব্য এড়িয়ে যেতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরে লাগাতার জাতি সংঘর্ষ, হিংসা ও বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে ১ আগস্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত তীব্র অসন্তোষপ্রকাশ করে বলেছে, ‘মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সাংবিধানিক ব্যবস্থা বলে সেখানে কিছু অবশিষ্ট নেই।’ মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘ওরা হিংসা ঠেকাতে পারেনি। তদন্তের কাজেও গড়িমসি করছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে পুলিশ।’ এসবের জবাব দেবার জন্য মণিপুরের পুলিশের ডিজি-কে আগামী ৭ আগস্ট সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর আগের দিন, ৩১ জুলাইও দেশের সর্বোচ্চ আদালত তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে প্রকাশ্য এজলাসে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে। মণিপুরে বর্তমানে চলা জাতিদাঙ্গা এবং কুকি সম্প্রদায়ের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে প্রকাশ্যে ঘোরানো ও নির্যাতনের ঘটনায় ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
মণিপুরে মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানোর ভিডিয়ো-কে ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, ‘মণিপুরে বেনজির মাত্রায় হিংসা চলছে। রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের বিন্দুমাত্র ভরসা নেই। এই পুলিশই গত ৪ মে কুকি সম্প্রদায়ের দুই অসহায় মহিলাকে উন্মত্ত হিংসাশ্রয়ী জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল। তাই রাজ্য পুলিশের হাতে তদন্তের দায়িত্ব দেবার প্রশ্নই নেই।’
মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনা সহ সব মামলার তদন্তভার সিবিআই’র হাতে তুলে দিতে রাজ্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কার্যত খারিজ করে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন বুঝিয়ে দিয়েছে, বিশ্বাসযোগ্যতাহীন কোনো সংস্থাকে দিয়ে ‘এমন বেনজির মাত্রার’ হিংসার তদন্ত করানো যায় না।
এদিন শুনানির শুরু থেকে নানা ধরনের বক্তব্য পেশ করে মণিপুরের আসল পরিস্থিতি থেকে আদালতের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকে কেন্দ্র ও রাজ্যের কৌঁসুলিরা। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে মণিপুরের ঘটনায় নাকি যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও বলা হয়, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা কেবল মণিপুরেই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, কেরালার মতো রাজ্যেও ঘটছে। তাই আদালত যে নির্দেশ দেবে, তা যেন সারা দেশের জন্যই প্রযোজ্য হয়।
সরকারি আইনজীবীদের এই বক্তব্যে দৃশ্যতই বিরক্ত বিচারপতিরা বলেন, সারাদেশেই মহিলাদের ওপর অপরাধ হচ্ছে, এটা ঠিক। কিন্তু সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সংঘর্ষে দীর্ণ মণিপুরের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। নজিরবিহীন মাত্রায় এই হিংসায় মহিলাদের উপর বর্বরতা কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়।
এদিন মণিপুরের প্রকৃত ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর কৌশল ব্যর্থ করে দিতে বিচারপতিরা যে একের পর এক প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করতে থাকেন, তার একটিরও জবাব সরকারি কৌঁসুলিদের ছিল না। পরিপূর্ণ এজলাসে প্রশাসন ও পুলিশকে একেবারে পর্যুদস্ত করে সরকারি আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, ওই দুই অসহায় মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনা মণিপুর পুলিশ জানতে পারে ৪ মে। কিন্তু পুলিশ এফআইআই নথিভুক্ত করে ১৮ মে। অর্থাৎ ১৪দিন পরে! কী করছিল আপনাদের পুলিশ? ওই ভিডিয়ো সংক্রান্ত এফআইআর ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয় ২৪ জুন। অর্থাৎ এক মাস তিনদিন পরে! এরপরে আপনাদের আর কী বলার থাকতে পারে?
বিচারপতিদের তীব্র ক্ষোভের মুখে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য বিচারপতিদের কাছে কয়েকদিন সময় চান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তাঁর আরজি নাকচ করে দিয়ে স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের হাতে আর কোনো সময় নেই। ওই রাজ্যে যাঁরা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, এমনকী ভালোবাসার মানুষদেরও হারিয়েছেন, তাঁদের চোখের জল আর মনোকষ্টে অনুভূতির স্পর্শ দিতে হবে এখনই। এটিই সময়ের চাহিদা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের শাসকদল এবং প্রশাসন দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দিলেও, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কয়েকদিন আগে দুই মহিলার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই’র হাতে তুলে দেয় সরকার। এদিন আদালতে সেই প্রসঙ্গ উঠলে বিচারপতিরা জানান, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সুতরাং, মণিপুরে ‘বেনজির মাত্রার’ হিংসা পরিস্থিতির তদন্ত তদারকির দায়িত্ব কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। অথবা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেও তদন্ত চালানো যেতে পারে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, মণিপুরে মহিলা নির্যাতনের ভয়াবহ ভিডিয়ো দেখে গত ২০ জুলাই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এ ব্যাপারে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই বিজেপি-শাসিত সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এরপরেও সরকার যদি চুপ করে বসে থাকে, তাহলে আমরাই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এদিকে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে সংঘর্ষ, হিংসার ঘটনা অব্যাহত থাকলেও রাজ্যসভায় সরকারপক্ষ স্বল্প সময়ের আলোচনা চেয়ে দায় এড়াতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা এতে তীব্র আপত্তি জানায়। ওদিকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার ব্যাপারেও কোনো উচ্চবাচ্য করছেন না অধ্যক্ষ। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সুকৌশলে বিবৃতি দেওয়া এড়িয়ে যাচ্ছেন। ৩১ জুলাই বিরোধীদের মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা রাজ্যসভায় ২৬৭ ধারায় মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। ৬৫ জন বিরোধী সাংসদ ২৬৭ ধারায় আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ দেন। তবে সরকারপক্ষ চাইছে ১৭৬ ধারায় আলোচনা। সংসদের এই ধারায় স্বল্প সময়ের জন্য আলোচনা হয়ে থাকে। তাতে ভোটাভুটি হয় না। স্বাভাবিকভাবেই সরকারপক্ষের এই স্বল্পকালীন আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দূরে থাক, তিনি উপস্থিতও হচ্ছেন না।
মোদি সরকার সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে কোনো আমল না দিয়ে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে চলেছে। বিরোধীরা গত সপ্তাহে সংসদে মোদী সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনে নোটিশ দেয়। তা গৃহীতও হয়। সংসদীয় আইনে বলা আছে, ১০দিনের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি করে তার ফয়সালা করতে হবে। কিন্তু প্রস্তাব পেশের পর কয়েকটা দিন পেরিয়ে গেলেও সংসদীয় রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে একের পর এক বিল পাশ করে যাচ্ছে মোদি সরকার।
এর আগে ২৯ জুলাই মণিপুরের ভয়াবহ অবস্থা সরেজমিনে দেখতে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের অন্তর্গত বিরোধী দলগুলির ২১ জন সাংসদ দু’দিনের সফরে মণিপুর যান। প্রতিনিধিরা চুড়াচাঁদপুর, বিষ্ণুপুর ও পূর্ব ইম্ফল জেলার চারটি শিবির পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তাঁরা চূড়াচাঁদপুর এবং ইম্ফল শহরে কয়েকটি সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা বলেন। মণিপুরের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার শেষে ৩০ জুলাই প্রতিনিধিরা দিল্লি ফিরে আসার আগে রাজ্যপাল অনসূয়া উইকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের অভিজ্ঞতা সবিস্তারে জানিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মণিপুরবাসী। দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে ত্রাণ শিবিরগুলি। একেকটি শিবিরে চার থেকে পাঁচশো মানুষ গাদাগাদি করে বাস করছেন। শিবিরে করুণ অবস্থায় আছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আগে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন সাংসদরা। রাজ্যপাল প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে আমি রাজ্য সরকারকে বলেছি। সরকার ও বিরোধীপক্ষ মিলে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বললে আরও ভালো হতো।
তখন বিরোধী সাংসদরা বলেছেন, বিরোধীরা বার বার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মণিপুরে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠাতে প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, দু’দিন ধরে ঘুরে আমরা যা বুঝলাম, মণিপুরকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি সরকার। পাহাড়ের মানুষ উপত্যকায় যেতে পারছেন না, উপত্যকার মানুষ পাহাড়ে যেতে পারছেন না। মনে হচ্ছে একটি ছোট্ট রাজ্য মেইতেইল্যান্ড ও কুকিল্যান্ডে ভাগ হয়ে গেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এখনও নীরব। তিনি সম্রাট নিরোর মতো বাঁশি বাজাচ্ছেন।
সিপিআই(এম) সাংসদ এ. এ. রহিম বলেন, মণিপুরে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র - দুই সরকারই মানুষের পাশে নেই। রাজ্যে কাজ ও খাদ্যের সংকট তীব্র আকার নিয়েছে। শিবিরগুলিতে ওষুধ নেই, খাবার নেই। রাজ্যের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে রেশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। শিবিরগুলিতে সরকারি সাহায্য মিলছে না। বিভিন্ন এনজিও শিবিরগুলি চালাচ্ছে।
‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন কংগ্রেস দলের অধীররঞ্জন চৌধুরি, গৌরব গগৈ ও ফুলোদেবী নিতম, জনতাদল (ইউ)-র লালন সিং এবং অনিল হেগড়ে, তৃণমূলের সুস্মিতা দেব, ডিএমকে-র কানি মোঝি, সিপিআই(এম)-র এ এ রহিম, সিপিআই-র সন্দোশকুমার, আরজেডি’র মনোজ ঝা, সমাজবাদী পার্টির জাভেদ আলি খান, জেএমএম-র মহুয়া মাজি, এনসিপি’র মহম্মদ ফইজল, আইইউএমএল-র মহম্মদ বশির, আরএসপি’র এন কে প্রেমচন্দ্রন, আপ’র সুশীল গুপ্ত, শিবসেনা (উদ্ধব)-র অরবিন্দ সবন্ত, ভিসিকে-র রবি কুমার ও থিরুমাভালাম এবং আরএলডি’র জয়ন্ত চৌধুরি।
মণিপুরে জাতি সংঘর্ষের শিকার মানুষরা বিরোধী সাংসদদের কাছে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘ভিডিয়ো ফাঁস না করতে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলে সব ভিডিয়ো আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ফাঁস করবো। তখন বিশ্ববাসী দেখবেন আমাদের ওপর কীভাবে পাশবিক অত্যাচার চলছে।