৫৯ বর্ষ ২৫ সংখ্যা / ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ২১ মাঘ, ১৪২৮
কেন্দ্রীয় বাজেট জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা
বিশেষ সংবাদদাতাঃ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতি অনুসারী কর্পোরেটমুখী ও জনবিরোধী বাজেটেরই নমুনা দেখা গেল এবারে ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২২সালের জন্য যে সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন তাতে দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে সেগুলি সুরাহার কোনো দিশা নেই। বিশেষ করে বেকারি, মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলার পাশাপাশি বিপন্ন অংশের মানুষকে সরাসরি অর্থ দেওয়া ইত্যাদি কোনো উদ্যোগই দেখা যায়নি কেন্দ্রের বাজেটে। এছাড়া গ্রামীণ দরিদ্র মানুষদের উপর কোপ বসিয়ে একশো দিনের কাজে বরাদ্দ ২৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। তাছাড়া কৃষি ও কৃষকরা যে গভীর সংকট আবর্তে - সেদিকটি পুরোপুরি উপেক্ষা করে কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বরাদ্দ সব মিলিয়ে প্রায় ১লক্ষ কোটি টাকা ছাঁটাই করা হয়েছে। ভরতুকি কমানো হয়েছে খাদ্য, সার ও পেট্রোপণ্যে। করোনা অতিমারীর আঘাত সহ দেশে যে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন থেকে আর্থিক উন্নয়ন ও বৃদ্ধির অজস্র প্রতিশ্রুতি বিলিয়ে বাস্তবে দেশের মানুষকে গভীর সংকটের আবর্তেই রেখে তঞ্চকতা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
এবারের এই বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো একে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি পলিট ব্যুরো কেন্দ্রের বাজেট সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেছে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এমন একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ২০২২সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন যখন বেশিরভাগ মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং জনগণের প্রকৃত আয় ব্যাপক হ্রাসের সম্মুখীন। চলতি আর্থিক বছরে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) মহামারী-পূর্ব সূচককে অতিক্রম করবে বলে সরকারের অনুমান। মহামারী-পূর্ব অবস্থার তুলনায় ব্যক্তিগত খরচ খাতে ব্যয়ের হার এখনও অনেকটাই কম এবং কম শক্তি ব্যবহার করে এমন শিল্প-উৎপাদন সংস্থাগুলিও মূলত দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে চাহিদার ঘাটতির কারণে ক্রমবর্ধমান মজুতের (ইনভেন্টার) সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রয়োজন ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া। এই বাজেট সেই প্রেক্ষিতে একটি বড়ো ধাক্কা, এই বাজেট এসব সমাধানে ব্যর্থ। প্রয়োজন ছিল শহরে কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিম প্রবর্তনের। বিপরীতে এই বাজেটে এমজিএনআরইজিএ-কর্মসংস্থান খাতে ২৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং খাদ্য, জ্বালানি ও সার সবেতেই ভরতুকি হ্রাস করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও গ্রামীণ উন্নয়নেও ব্যয় বরাদ্দ ছাঁটাই করা হয়েছে।
এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২১-২২ সালের বাজেট ঘোষণার ভিত্তিতে এবারের বাজেটে মোট ১৭,৪৯৯ কোটি টাকার ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। জিডিপি’র শতাংশ হিসেবে মোট ব্যয় (২০২০-২১ সালে ছিল ১৭.৮শতাংশ), ২০২২-২৩ সালের বাজেটে ১৫.৩শতাংশ। যা আসলে অবনমন। রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি হয়েছে কারণ, কর্পোরেট সংস্থাগুলি মহামারী চলাকালীন অবস্থাতেও মুনাফা করেছে। কর্পোরেশন কর আদায় বৃদ্ধিতে সেই প্রতিফলন দেখা গেছে এবং সাধারণ মানুষের ওপর আরোপিত পরোক্ষ কর থেকে জিএসটি এবং পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমেও সরকার আয় করেছে। তবে সরকারের ব্যয়ের বহর রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির তুলনায় অনেকটাই কম এবং প্রকৃত অর্থে এহেন বৃদ্ধি গত বছরের বাজেটে ভবিষ্যতে আয় সংক্রান্ত সংশোধিত অনুমানের চেয়েও কম হয়েছে।
পলিট ব্যুরো বলেছে, ব্যয়ের চাপ কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের খরচের কারণেই বাড়েনি। জাতীয় সম্পদের বিক্রির অর্থ থেকে রাজ্যগুলিকে বাদ রাখা হয়েছে। ফলে রাজ্যসরকারগুলিকেও আয়ের উদ্দেশ্যে একই কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ২০২১-২২সালের সংশোধিত আয় সংক্রান্ত অনুমান জিডিপি’র ৬.৯১শতাংশ হলেও ২০২২-২৩ সালে সেই বৃদ্ধি ৬.২৫শতাংশে নেমে আসবে।
পলিট ব্যুরো আরও বলেছে, কৃষকদের জন্য সমস্ত বড়ো প্রকল্পের বরাদ্দ বাজেটে কাটছাঁট হয়েছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য সংস্থা (এফসিআই) এবং বিকেন্দ্রীকৃত সংগ্রহ প্রকল্পের অধীনে খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে ২৮শতাংশ। এমনটা করা হলো যখন কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি নিশ্চয়তার জন্য লড়াই করছে। সারে ভরতুকির জন্য তহবিল বরাদ্দে ২৫ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। পি এম-কিষান-এর অধীনে ১২.৫ কোটি কৃষক পরিবারকে ৬০০০টাকা দেবার জন্য মোট বরাদ্দ প্রয়োজন ৭৫,০০০কোটি টাকা। অথচ ৬৮,০০০কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শস্য বিমা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দও প্রায় ৫০০কোটি টাকা হ্রাস পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে শিশু কল্যাণে স্বল্প বরাদ্দটুকুও ব্যয় করেনি সরকার। শিশুদের কল্যাণে ব্যয়ের জন্য সংশোধিত অনুমান ছিল বাজেটে ঘোষিত বরাদ্দের চেয়ে ৫,৭০০কোটি টাকা কম। শিশুদের স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধের বিধ্বংসী প্রভাব মোকাবিলায় কিছুই করা হয়নি।
তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের কল্যাণের জন্য তহবিল বরাদ্দের পরিসংখ্যানে প্রান্তিক বৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকৃত অর্থে বরাদ্দ হ্রাস পেয়েছে। একইভাবে পিএম পোষণ প্রকল্প হিসাবে মিড-ডে মিল স্কিমের নাম পরিবর্তন করে বরাদ্দ বাড়েনি। গত বছরে ৩৫শতাংশ শিশু মিড-ডে মিল না পেয়েও খরচ হয়েছে ১০,২৩৪ কোটি টাকা। নারীশক্তি উন্নয়নের নামে অর্থমন্ত্রী ২লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে উন্নত করার কথা বললেও সংশোধিত ব্যয়ের ২০,০০০ কোটি টাকার বরাদ্দ আটকে দেওয়া হয়েছে।
পলিট ব্যুরো বিবৃতিতে বলেছে, গত দুই বছরে এলপিজি ভরতুকিতে ব্যাপক ঘাটতি হয়েছে। গত বছর, ৬০শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ কমানো হয়, ২০২২-২৩-এর বাজেটে আরও ৬০শতাংশ কমানো হয়েছে। ই-শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে নথিভুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য এখনও কোনো নতুন বরাদ্দ নেই।
গত দুই বছর মহামারীতে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। অক্সফ্যামের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলির সম্পদ ২০২১ সালে রেকর্ড সূচকে পৌঁছেছে। ভারতে শীর্ষ দশজন ধনীর হাতে মোট সম্পদের ৫৭শতাংশ রয়েছে। তবুও এই অতি মুনাফার উপর কর আরোপ করার এবং সেই সম্পদকে ব্যবহার করে জনগণের দুর্ভোগে স্বস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোনো প্রস্তাব এই বাজেটে নেই।
সুতরাং, ২০২২-২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট সাধারণ মানুষের স্বার্থে অগ্রাধিকারগুলি চিহ্নিত করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। কার্যত এই বাজেট জনগণের সঙ্গে এক বিশ্বাসঘাতকতা।
দেশের জনগণের কাছে এই জনবিরোধী, কর্পোরেটদের স্বার্থবাহী বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। আয়কর সীমার বাইরে থাকা পরিবারবর্গের জন্য প্রতি মাসে ৭,৫০০টাকা সরাসরি নগদ অর্থ হস্তান্তরের এবং বিনামূল্যে খাদ্য-কিট বিতরণের দাবি জানিয়েছে পলিট ব্যুরো।
এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সিপিআই(এম)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বাজেট কার? সবচেয়ে ধনী ১০শতাংশের হাতে ৭৫শতাংশ সম্পদ। নিচের তলার ৬০শতাংশের হাতে সম্পদ ৫শতাংশের কম। তবুও বিপুল ধনী অংশের করের হার বাড়ানো হলো না কেন? জনতার জীবন-জীবিকায় নিষ্ঠুর আঘাত করেছে বাজেট।
কেন্দ্রীয় সরকারের এবারের বাজেটের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সারা ভারত কৃষক সভার পক্ষে সংগঠনের সভাপতি অশোক ধাওয়ালে এবং সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা এক বিবৃতিতে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কৃষকদের প্রতি যে কতটা প্রতিহিংসাপরায়ন তা এই বাজেটের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। এই বাজেট সম্পূর্ণতই গরিব বিরোধী, কৃষক বিরোধী। কৃষকদের যথাযথ দাবি সম্পর্কে এই বাজেট উদাসীন। শস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেই শুধু বাজেট ছাঁটাই করা হয়েছে তা নয়, খাদ্য-সার এবং রেগা প্রকল্পে বরাদ্দ ছাঁটাই করা হয়েছে। কৃষি মজুরদের কিছুটা সুরাহা দেবার জন্য এই বাজেটে কোনো কিছুই করা হয়নি। ফসলের লাভজনক মূল্যের নিশ্চয়তা এই বাজেটে দেওয়া হয়নি। ঋণ মকুবের ক্ষেত্রেও এই বাজেট সম্পূর্ণ উদাসীন থেকেছে।
কৃষকসভা মনে করে এই বাজেট বৈষম্য, দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং ক্ষুধা আরও বাড়াবে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সারা ভারত কৃষক সভা।
সিআইটিইউ-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘হাই ডেসিবেল’ শব্দের দাপট দেখিয়ে বাজেট পেশ হলেও তার মধ্যে আসল ‘পদার্থ’ তেমন কিছুই নেই। একদিন আগে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষার নিষ্ঠুর প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। পরিকাঠামো, কারখানায় পণ্য উৎপাদন এবং খনি ক্ষেত্রের বেপরোয়া ও ধ্বংসাত্মক বেসরকারিকরণের প্রেক্ষাপটে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, দেশের সম্পদকে জাতীয় তহবিল থেকে দেশি-বিদেশি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। সাধারণ মানুষ কাজ হারিয়েছেন, আয় কমছে, অন্যদিকে লাগামছাড়া হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বেড়েছে অনাহার। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে বাজেট পেশের সময় ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশ’ এবং ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি’ শব্দগুলি বিজেপি সরকারের ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। মহামারীর জেরে শ্রমিকশ্রেণি কী দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এবং তা থেকে তাদের বের করে আনার ব্যাপারে কোনো গুরুত্বই দেয়নি কেন্দ্রীয় বাজেট। একইভাবে, ধান-গমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বরাদ্দ ১১হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই জনবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণিকে সরব হবার আহ্বান জানিয়েছে সিআইটিইউ। ২৮-২৯ মার্চ দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট সফল করার আহ্বানও জানিয়েছে সিআইটিইউ।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি কেন্দ্রীয় বাজেটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, কেন্দ্রীয় বাজেটে সাধারণ মানুষকে ফাঁকিই দেওয়া হয়েছে। উপেক্ষা করা হয়েছে তাঁদের সমস্যাগুলিকে। পাশাপাশি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মোদি সরকারের কাছে মহিলাদের কোনো স্থান নেই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাবিত বরাদ্দের ০.১০ শতাংশের নিচেই রয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বাড়তে থাকায় ‘মিশন শক্তির’ মতো প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু সামগ্রিকভাবে তা বরাদ্দকৃত খরচের ১ শতাংশেরও কম। মহিলা, শ্রমিক, কৃষক কাউকেই গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রীয় বাজেট। ছাত্র-যুবদের সঙ্গে মহিলারাও এই জনবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনে শামিল হবে।
ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে কর্মসংস্থান নিয়ে বাজেটে কোনো সংগঠিত প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। কাজের দাবিতে দেশের যুবরা পথে নেমে আন্দোলন করছেন। কিন্তু বাজেটে সে অর্থে যুবদের কোনও আশ্বাসই দেওয়া হয়নি। এই জনবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে যুব ফেডারেশন।
কংগ্রেস এই বাজেটকে ‘নিষ্ফলা’ এবং বেতনভুক ও মধ্যবিত্তের প্রতি বেইমানি বলে সমালোচনা করেছে।