৫৯ বর্ষ ২৫ সংখ্যা / ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ২১ মাঘ, ১৪২৮
দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ২৮ ও ২৯ মার্চ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট হবে ২৮ ও ২৯ মার্চ। এর আগে ঠিক হয়েছিল ধর্মঘট হবে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি। ২৮ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সভায় ধর্মঘটের পরিবর্তিত দিন ঘোষণা করা হয়েছে।
সিআইটিইউ-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন ২৮জানুয়ারি জানিয়েছেন, শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংসদের বাজেট অধিবেশন চলার সময়ে এই ধর্মঘট হবে। সংসদ অধিবেশনের বিশদ কর্মসূচি হাতে আসার পরে দেখা যাচ্ছে ২৮-২৯ মার্চ অধিবেশন চলবে। এছাড়াও ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়সূচির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এই দুই কারণে ধর্মঘটের দিন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে গত ১১ নভেম্বর দিল্লিতে শ্রমিকদের জাতীয় কনভেনশনে কেন্দ্রের জনবিরোধী, শ্রমিক বিরোধী, দেশবিরোধী পদক্ষেপ রুখতে এবং শ্রমিক ও কৃষকদের ১২ দফা দাবিতে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের কর্মসূচি নেবার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৩ ডিসেম্বর যৌথ মঞ্চের বৈঠকে সেই ধর্মঘটের দিন স্থির হয়। ৬ ডিসেম্বর তা ঘোষণা করা হয়। শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থন করে সংযুক্ত কিষান মোর্চাও ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সাধারণ ধর্মঘটের সঙ্গেই গ্রাম ভারত ধর্মঘট হতে চলেছে। ধর্মঘটের মূল আহ্বান ‘জনগণকে বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’।
ধর্মঘটের আহ্বায়ক যৌথ মঞ্চে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে সিআইটিইউ, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এইচএমএস, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, সেবা, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, ইউটিইউসি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মচারী ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন সমূহ।
যে ১২ দফা দাবির ভিত্তিতে এই ধর্মঘটের আহ্বান জানানো হয়েছে সেগুলো হলো -
(১) শ্রমকোড আইন বাতিল করো।
(২) সংযুক্ত কিষান মোর্চার ৫ দফা দাবি কার্যকর করো।
(৩) ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পলিসির (এনএমপি) নামে ঢালাও বেসরকারিকরণ চলবে না।
(৪) মহামারীতে বিপর্যস্ত অবস্থায় আয়করের আওতার বাইরে থাকা সকল নাগরিককে মাসে নগদ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
(৫) রেগায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে, শহরে রেগা প্রকল্প চালু করতে হবে।
(৬) সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করতে হবে।
(৭) অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করতে হবে।
(৮) মহামারীতে সামনের সারিতে থেকে রোগীর চিকিৎসার কাজে যুক্তদের যথার্থ নিরাপত্তা ও বিমার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৯) কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পে সরকারের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
(১০) পেট্রোল, ডিজেলে কর কমিয়ে দাম কমাতে হবে।
(১১) বিভিন্ন প্রকল্পের ঠিকা কর্মীদের স্থায়ীকরণ করতে হবে, স্থায়ী কর্মীদের হারে তাঁদের বেতন বাড়াতে হবে।
(১২) ন্যাশনাল পেনশন প্রকল্প (এনপিএস) বাতিল করে সকলের জন্য সর্বজনীন পেনশন চালু করতে হবে।