৫৯ বর্ষ ২৫ সংখ্যা / ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ২১ মাঘ, ১৪২৮
দেওচা-পাঁচামির কয়লা উত্তোলনঃ কিছু প্রযুক্তি ও পরিবেশ সংক্রান্ত প্রশ্ন
(পর্বঃ এক)
তপন মিশ্র
দেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকা।
খনি প্রকল্প প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বাস্তুতন্ত্রের ধ্বংসের একটি বড়ো কারণ। খনি প্রকল্প যারা রূপায়ণ করবে তাদের উপর এই প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বর্তায়। দেওচা-পাঁচামি এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা কোলব্লকের কয়লা উত্তোলনের প্রযুক্তি এবং তার পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সরকার সহ আমরা সবাই অন্ধকারে হাতড়াচ্ছি। এই অস্বচ্ছতা না কাটানোর মধ্যে সরকারের একটা উদ্দেশ্য আছে নিশ্চয়ই। যদি এমনটা বলা হয় যে, বর্তমান অবস্থায় সরকারি আইন অনুযায়ী যে সমস্ত ধাপ অতিক্রম করে দেওচা-পাঁচামি এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা কোলব্লকে প্রথম কয়লা উৎপাদন হবে সে পর্যন্ত যদি ১২ ইঞ্চির একটি স্কেল ধরা হয় তাহলে বিগত তিন বছরে মাত্র ০.৫ ইঞ্চির অগ্রগতি ঘটেছে।
এই কয়লা ব্লকটি CBA rule 2017 এবং MMDR Act 1957 অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর (Allotment order No. F. No. CBA1-38011/2/2017-CBA1, FTS: 334295) ভারত সরকারের কয়লা মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (ডব্লিউবিপিডিসিএল) কে বরাদ্দ করে। এটা নিশ্চিত যে, ডব্লিউবিপিডিসিএল কিংবা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে বিস্তারিত অনুসন্ধান থেকে শুরু করে পর পর ধাপগুলি অতিক্রম করার মতো প্রযুক্তি বা অর্থ বিনিয়োগের ক্ষমতা নেই। একারণে অন্য যে কোনো বেসরকারি সংস্থা যাদের একাজে অভিজ্ঞতা আছে, সরকার হয়তো তাদের এই কাজ হস্তান্তর করতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সেই সংস্থা বা সংস্থাগুলি তখনই উৎসাহিত হবে যখন তারা নিশ্চিত হবে যে, এই ধাপগুলি অতিক্রম করার জন্য যে বিনিয়োগ তারা করবে, মুনাফা সহ তা তারা আয় করতে পারবে।
মনে রাখতে হবে যে, বর্তমান কয়লা ব্লক সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য কেবল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই)’র ‘রিজিওনাল প্রোবিং’ থেকে প্রাপ্ত। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এই ব্লক ভারত সরকারের কয়লা মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে বরাদ্দ করেছে মাত্র। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখন জিএসআই, কোল ইন্ডিয়া, ভারত সরকারের কয়লা মন্ত্রক বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নেই এবং কেবল এই স্বল্প অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে আধুনিককালে কোনো খনি পরিকল্পনা হয় না। এই খনির কয়লার গুণগত মানের বিচারে কেবলমাত্র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহারের উপযোগী। মানের বিচারে দেওচা-পাঁচামি ব্লকে G3-G14 এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা ব্লকে G6-G14 নন-কোকিং কয়লা পাওয়া যাবে। এখনও এই দুই ব্লকের কয়লা সম্পদ সম্পর্কে বিশদ তথ্য অজানা।
তথ্যের অভাব কেন?
দেওচা-পাঁচামি এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহাতে যে কয়লা আছে এবং এর উত্তোলনের পদ্ধতি কী হবে সে সম্পর্কে যে তথ্য এখন বিভিন্ন মাধ্যম এমনকী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে আছে তা নিতান্তই অপর্যাপ্ত এবং তা বিজ্ঞান-সঙ্গতও নয়। তথ্যের অপ্রতুলতাই সরকারের ভরসা। দমনমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে মানুষের কাছে যত কম তথ্য দেওয়া যায় ততই শাসকের সুবিধা। এই ১২.২৮ বর্গ কিলোমিটার (দেউচা-পাঁচামি ব্লকে ৯.৭ বর্গ কিলোমিটার এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা ২.৫৮ বর্গ কিলোমিটার) বা ১২২৮ হেক্টর কয়লা ব্লকে মাত্র ৩৬টি বোরহোল (borehole) ড্রিল জিএসআই দ্বারা ৮৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতিকে আঞ্চলিক অনুসন্ধান (regional probing) বলা হয় এবং এই অনুসন্ধান কেবল প্রাথমিক ধারণা তৈরির জন্য। এখানকার কয়লা সম্পদের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ, কোন কোল-সিমে কয়লা উত্তোলনের জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে, কী পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদিত হবে ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে হলে কম করে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮ থেকে ৯ টি বোরহোল করা বিধিসম্মত (আইএসপি, ২০১৭)। ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড প্রোসিডিওর (আইএসপি) হলো একটি কয়লা উত্তোলন সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত পদ্ধতি যা জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড ইত্যাদি সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত। অতএব এই কোলব্লকের ক্ষেত্রে কম করে ১০০ থেকে ১১০ টি বোরহোল না করলে ডিটেইলড এক্সপ্লোরেশন (detailed exploration) বা কয়লা উত্তোলন সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানা সম্ভব নয়।
খোলামুখ খনির জন্য তাঁবেদারি
কয়লা খনি দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি খোলামুখ (Open Cast) এবং দ্বিতীয়টি ভূগর্ভস্থ (Underground)। খোলামুখ খনিতে পাকাপাকিভাবে ভূমিরূপের পরিবর্তন (Land-use change) হয়ে থাকে। ফলে পরিবেশরক্ষার ক্ষেত্রে এই ধরনের পরিবর্তন এক বড়ো চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। কিন্তু এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (natural ecosystem) একবার ধ্বংস হলে তা ফিরে পাওয়া যায় না। বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদরা কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে তা বুঝে পরিবেশ সংরক্ষণের কিছু ব্যবস্থার সুপারিশ করে থাকেন। এই সুপারিশকে এনভায়রনমেন্টাল ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) বলা হয়।
ভূগর্ভস্থ খনির ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠে ভূমিরূপের খুব একটা পরিবর্তন না হলেও মাটির নিচে যে পরিবর্তন হয় তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। বরাকর-রানিগঞ্জ, ঝরিয়া কয়লা খনি এলাকায় মাঝে মাঝে ধস নামার ঘটনা ঘটার কারণ এই ধরনের পরিত্যক্ত খনি। একারণে উভয় ক্ষেত্রেই নির্দিষ্টভাবে খনি বন্ধ করার পরিকল্পনা (mine closure plan) পরিবেশ এবং মানুষের জীবনজীবিকা রক্ষার জন্য জরুরি।
কোনো মাইনিং প্লান তৈরি না করেও এটা প্রচারিত হচ্ছে যে, এখানে পুরোটাই (১২২৮ হেক্টর) খোলামুখ কয়লা খনি হবে এবং তাই সমগ্র এলাকায় বসাবাসকারী মানুষদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। খোলামুখ কয়লা খনির গভীরতা যত বাড়তে থাকে তার ‘স্ট্রিপিং-রেশিও’ (stripping ratio) ও তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর অর্থ ১ টন কয়লা তুলতে যে পরিমাণ বর্জ্য উত্তোলন করতে হয় তার তুল্যমূল্য বিচার। যদি বর্জ্যের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে ‘স্ট্রিপিং-রেশিও’ স্বাভাবিক নিয়মে বেশি হবে। কয়লার ক্ষত্রে এই বিচার হয় বর্জ্যের পরিমাণ/কয়লার ওজন (Volume of the Over burden/weight of Coal) হিসাব করে। যদি অঙ্ক কষে দেখা যায় যে ‘স্ট্রিপিং রেশিও’ অনেক বেশি হচ্ছে তা হলে সেই নির্দিষ্ট গভীরতার পর খোলামুখ কয়লা খনি অর্থনৈতিক এবং পরিবেশ রক্ষার দিক দিয়ে টেকসই (sustainable) হয় না। একারণে ভারতে বর্তমান এমন কোনো কয়লা খনি নেই যার গভীরতা ২৫০ মিটারের বেশি। যদি কয়লার মান খুব উন্নত হয় তাহলে খুব বেশি হলে সেই গভীরতা ৩০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। ভূগর্ভস্থ কয়লা খনির ক্ষেত্রে স্ট্রিপিং-রেশিও হিসাব করার দরকার হয় না কারণ সেক্ষেত্রে খনি গর্ভ থেকে বর্জ্য তোলার দরকার হয় না।
জিএসআই’র তথ্য অনুযায়ী দেওচা-পাঁচামি ব্লকে ভূস্তরের ১৩৫ থেকে ৮৫০ মিটার পর্যন্ত গভীরতা এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা ব্লকে ১২ থেকে ৩৮৬ মিটার গভীরতায় কয়লা রয়েছে। অর্থাৎ অনেক ক্ষেত্রেই গভীরতা ২৫০ মিটারের বেশি। বিশদ তথ্য না থাকলেও বলা যায় যে, যে অংশে কোল-সিমের গভীরতা ২৫০ মিটারের বেশি সেখানে খোলামুখ খনি খনন এক অবৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিহীন কাজ। এটাই যদি ঘটনা হয় তাহলে, পুনর্বাসনের বিষয়টিও নতুন করে ভাবতে হবে এবং প্রকল্প এলাকার বড়ো অংশ থেকে গ্রামবাসীদের স্থানান্তর করা আবশ্যক হবে না।
মাইনিং-প্লানের অপেক্ষায়
পরিবেশগত প্রভাব কী হবে বা কতটা হবে তা জানতে হলে খনি পরিকল্পনা (mining plan) তৈরি জরুরি। খনির প্রকৃতি কী হবে (খোলামুখ না ভূগর্ভস্থ), কয়লা উত্তোলনের আগে কী ধরনের ভূমিরূপের পরিবর্তন (land-use change) করতে হবে, কতটা প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র (natural ecosystem) যেমন বনাঞ্চল, জলাভূমি ইত্যাদির পরিবর্তন হবে, খননের সময় যে বর্জ্য (over-burden) উৎপন্ন হবে তা কোথায় এবং কী ভাবে রাখা হবে, যারা কয়লা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন তাদের বাসস্থান ইত্যাদির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং তার পরিকল্পনা, কয়লা ইত্যাদির লোডিং ও তার পরিবহণের পথের পরিকল্পনা, খননের সময় যে দূষিত জল পাম্প করে বাইরে তুলতে হবে তা কোথায় ফেলতে হবে এবং তার পরিশোধনের ব্যবস্থা কী হবে ইত্যাদি খনি পরিকল্পনার মধ্যে থাকে।
এই মাইনিং প্লানের সঙ্গে থাকতে হবে মাইনিং ক্লোজার প্লান (Mining Closure Plan) অর্থাৎ কয়লা উত্তোলনের পর পরিত্যক্ত খনির পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার পরিকল্পনা (উভয় খোলামুখ এবং ভুগর্ভস্থ খনির ক্ষেত্রে)। খোলামুখ খনির ক্ষেত্রে ভূমিরূপের যে পরিবর্তন হয় তা সামগ্রিক পরিবেশের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। মাটির নিচের খনির ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন চোখে না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ফলে উভয় ক্ষেত্রেই মাইনিং ক্লোজার প্লান খনি খনন পরিকল্পনার একটি জরুরি উপাদান।
এই মাইনিং প্লান কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের নিযুক্ত কোয়ালিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (কিউসিআই) এবং এনবিইটি অনুমোদিত সংস্থার দ্বারা তৈরি করতে হয়। তৈরি হওয়ার পর এই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হয়। কয়লা মন্ত্রক সন্তুষ্ট হলে তবেই প্রথম ধাপটি অতিক্রান্ত হয়। বর্তমানের ইআইএ আইন ২০০৬ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে তৈরি। এই আইনের কিছু পরিবর্তন এনে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে তথাকথিত শিল্পবান্ধব (আসলে কর্পোরেট বান্ধব) করতে ২০২০ সালের লকডাউনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এই কোলব্লকের উপর প্রায় সমস্ত অংশে একটি মোটা আগ্নেয় শিলার (ব্যাসাল্ট) স্তর আছে যা ভেদ করা এক বড়ো চ্যালেঞ্জ। কেউ কেউ মনে করেন, এই স্তর ভেদ করতে বিদেশি প্রযুক্তি জরুরি। এই স্তর থেকে উৎপন্ন পাথরের বাণিজ্যিক মূল্য আছে কারণ এই পাথরের নির্মাণ শিল্পে চাহিদা রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, এই ব্যাসাল্টের পরিমাণ আনুমানিক ১৪০০ মিলিয়ন টন।
পরিকল্পনাহীন পরিবহণ
যে কোনো খনির ক্ষেত্রে খনিজ সম্পদের পরিবহণের সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার প্রসঙ্গ যুক্ত। খনি থেকে কয়লা তোলার পর তা জমা রাখার স্থান নির্ধারণ, আনলোডিং-লোডিংয়ের ব্যবস্থা, এবং তারপর পরিবহণের পরিকল্পনা এক জরুরি বিষয়। ট্রাকের মাধ্যমে সড়ক পথে পরিবহণ দূষণের এক বড়ো উৎস। এক্ষেত্রে রেল পরিবহণ অনেকটা পরিবেশবান্ধব (eco-friendly)।
রাজ্য সরকার কিংবা ডব্লিউবিপিডিসিএল পরিবহণের পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে মুখ খোলেনি। সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে এলাকার মাফিয়া চক্রের উৎসাহ বেশি। দেওচা-পাঁচামি-দেওয়ানগঞ্জ-হরিনসিংহা কোলব্লকের আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দূরে মল্লারপুর রেলস্টেশন। মল্লারপুর থেকে রেললাইন পাতার ক্ষেত্রে কোনো পরিকল্পনা না থাকার কারণে রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনাও নেই। এই সিদ্ধান্তহীনতা খনি খননের ক্ষেত্রে অনেক প্রশ্ন তৈরি করেছে।
জমি অধিগ্রহণে অস্বচ্ছতা
কতটা জমি অধিগ্রহণ করা দরকার সে সম্পর্কে সর্বস্তরে অস্বচ্ছতা রয়েছে। ১২২৮ হেক্টর কোলব্লকে খোলামুখ খনি হলে তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা দরকার। যদি পুরোটাই খোলামুখ হয় তাহলে সাধারণভাবে ১:১৬ অনুপাতে (১৬ মিটার গভীরতার জন্য ১ মিটার গড়ান) আরও বেশ কয়েকশত হেক্টর জমি এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বর্জ্য জমা রাখার জন্য জমি (overburden dump), যার পরিমাণ খনির আকারের থেকে কোনভাবে কম নয়, এবং ধরে নেওয়া যেতে পারে যে কয়েক দশকের জন্য এই জমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও সঙ্গে যুক্ত হবে কয়লা জমা রাখার জমি (dumping yard), রেল পরিবহণের জমি ইত্যাদি। ভূগর্ভস্থ খনির কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো ধস নামে (subsidence) তার জন্যও জমি সরকারকে আগে থেকেই অধিগ্রহণ করতে হয়।
(শেষাংশ আগামী সংখ্যায়)