E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৯ বর্ষ ২৫ সংখ্যা / ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ / ২১ মাঘ, ১৪২৮

পরিবর্তনের বাতাস উত্তরপ্রদেশে

শান্তনু দে


ভোটের দু’মাস আগে, বাহাত্তর ঘণ্টায় যোগীর মন্ত্রিসভা থেকে তিন-তিনজন মন্ত্রীর ইস্তফা!

স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, দারা সিং চৌহানের পর ধর্ম সিং সাইনি। তিনজনই বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন অখিলেশ যাদবের শিবিরে। তিনজনই অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর। এবং প্রত্যেকেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তুলেছেন দলিত এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ। সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন অন্তত বারোজন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে তিনজন ব্রাহ্মণ, যা আসলে ঠাকুর শ্রেণির প্রতি যোগীর বাড়বাড়ন্তের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণদের একটি বড়ো অংশের অসন্তোষের প্রতিফলন। একজন দলিত। দু’জন ছেড়ে এসেছেন আপনা দল, কুর্মি-কেন্দ্রিক যে দলটি প্রায় একদশক ধরে বিজেপি’র জোট শরিক। ওবিসি-র মধ্যে যাদবদের পরে কুর্মিদের জনসংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, জাতপাতের দ্বন্দ্বে যারা প্রথমে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, পরে বিজেপি’র পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যাদব, কুর্মিদের পরেই তৃতীয় বৃহত্তম হলেন মৌর্যরা। জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা আসনের অন্তত একশ’টিতে যাঁদের রয়েছে নজরকাড়া উপস্থিতি। দারা সিং চৌহান নোনিয়া সম্প্রদায়ের, ওবিসি’র মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা অংশ, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে যাঁরা জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ।

হিন্দুত্বের মোকাবিলায় ধর্মনিরপেক্ষতা ও বহুত্বের পুনরুত্থানে ঐক্যবদ্ধ কৃষক আন্দোলন যদি জোরালো বার্তা দিয়ে থাকে, তবে উত্তরপ্রদেশে ওবিসি-দের (অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়) সামাজিক ন্যায়বিচারের স্লোগান এখন কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিজেপি’র।

দিল্লি, কিংবা লক্ষ্ণৌর যেসব রাজনৈতিক ভাষ্যকার-বিশ্লেষক বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র ‘সহজ জয়’ দেখেছিলেন, তাঁরাই এখন নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্ক করছেন। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরে দু’দিনও কাটেনি। যোগী বলে বসেছিলেন ‘এবার ৮০ বনাম ২০ শতাংশের লড়াই।’ উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যার ১৯-২০ শতাংশ মুসলিম। রাজ্যের ভোটকে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিমদের লড়াই হিসেবে তুলে ধরতেই ছিল এই বার্তা। রাত পোহাতেই ম্যাচ যে ‘টোয়েন্টি-টোয়েন্টি’ হয়ে যাবে, সম্ভবত বিজেপি’র বড়ো মাথারাও তা আঁচ করতে পারেননি।

এখন কেউ কেউ বলছেন, এবারে হতে চলেছে মণ্ডল বনাম কমণ্ডলের লড়াই। জাতপাত-ভিত্তিক পরিচিতি সত্তার ‘মণ্ডল’ রাজনীতি বনাম হিন্দুত্বের সঙ্গে জাতপাত-ভিত্তিক পরিচিতিসত্তার মিশেলে ‘কমণ্ডল’ রাজনীতির লড়াই। বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের মণ্ডল রাজনীতির মোকাবিলা করতে একদিন আদবানিরা জন্ম দিয়েছিলেন কমণ্ডল রাজনীতির। তিনদশক আগে। এবারে উত্তরপ্রদেশে কমণ্ডল রাজনীতির ঢেউ সামলাতে মণ্ডল রাজনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে দেখছেন অনেকে।

যদিও, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ক্ষোভ এই প্রথম নয়। বছরচারেক আগে ১০০ জনের বেশি বিজেপি বিধায়ক, যাঁদের অধিকাংশ অনগ্রসর সম্প্রদায়ের, বিধানসভার ভিতরেই বসেছিলেন ধরনায়। স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁদের নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে। শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ আর আশ্বাসে সেই ক্ষোভ তখনকার মতো প্রশমিত হয়। গতবছর ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে শোচনীয় ফল করে বিজেপি। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসী, ‘শ্রীকৃষ্ণের’ মথুরা, ‘রাম জন্মভূমি’ অযোধ্যার মতো জেলাতেও রীতিমতো ধরাশায়ী। তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো জয় পায় অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি।

এই সময়ে বিজেপি’র মেরুকরণের রাজনীতিকে ভেঙে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে জাঠ-মুসলিম বিভাজনে এক অভূতপূর্ব সেতুবন্ধন করেছে কৃষক আন্দোলন। সম্প্রতি মুজফ্‌ফরনগর দেখেছে এক বেনজির ঐক্যের ছবি। অথচ, এই মুজফ্‌ফরনগরেই ২০১৩ সালের জাঠ বনাম মুসলিম দাঙ্গা গোটা রাজ্যকে কার্যত দু’ভাগ করে দিয়েছিল। ২০১৪-র লোকসভা, ২০১৭-র বিধানসভা, কিংবা ২০১৯-র লোকসভা ভোটে যার ফায়দা পুরোমাত্রায় ঘরে তুলেছিল বিজেপি। এবারে সেই মুজফ্‌ফরনগরে কৃষক সমাবেশ উপলক্ষে নানা মোড়ে দাঁড়িয়ে সমাবেশে যোগ দিতে আসা কৃষকদের হাতে জল-খাবার এগিয়ে দিয়েছেন মুসলিমরা। জাঠ নেতারা মোদি, বিজেপি-কে নিশানা করে স্লোগান তুলেছেন, ‘আব বাতা হাকিম, হামে ক্যায়সে করোগে জুদা!’ সমাবেশে গলা মিলিয়ে সকলে বলেছেন ‘হিন্দু মুসলিম শিখ ঈশাই, আপাস মে হ্যায় ভাই ভাই’! তাছাড়া, এমনিতেই কৃষি আইনের কারণে ক্ষুব্ধ স্থানীয় জাঠ কৃষক সমাজ। উপরন্তু ফসলের ন্যূনতম দামকে আইনি স্বীকৃতি না দেওয়া, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মূল ফসল আখের দাম না পাওয়া, সারের বর্ধিত দামের কারণে বিজেপি’র উপরে ভরসা হারিয়েছেন কৃষকরা।

রাজ্যে জাঠদের জনসংখ্যার হার ৪ শতাংশ হলেও, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তা প্রায় ১৭ শতাংশ। আর মুসলিমদের প্রায় ৩২ শতাংশ। জাঠবহুল এলাকাগুলিতে নতুন করে জনসমর্থন ফিরে পেয়েছেন সমাজবাদী পার্টির শরিক রাষ্ট্রীয় লোক দলের (আরএলডি) নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। গোড়া থেকেই কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে থাকায় বেড়েছে তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা।

গত অক্টোবরেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছে ওমপ্রকাশ রাজভড়ের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)। রাজ্যে রাজভড়দের জনসংখ্যার হার ৩-৪ শতাংশ হলেও, গাজীপুর, বালিয়া, বারাণসী, চান্দৌলি, আজমগড়, আম্বেদকর নগর, মহারাজগঞ্জে তা প্রায় ১৭ শতাংশ। রাজভড় সম্প্রদায়ের উপর বেশ ভালো প্রভাব রয়েছে এসবিএসপি-র। গত বিধানসভা ভোটে জিতেছিল চারটি আসনে। তবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে অন্তত ১২টি জেলায় যথেষ্ট প্রভাবশালী এই দলটি। এই রাজভড়দের দলের সাহায্যেই সতেরোর ভোটে এই এলাকায় দুর্দান্ত ফল করে বিজেপি।

যোগী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ মোটেই অবাক করার মতো কাণ্ড নয়। পাঁচবছর আগে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। আর তা সম্ভব হয়েছিল যাদব এবং মায়াবতীর জাটভ সম্প্রদায় বাদে সমস্ত ওবিসি এবং তাদের রাজনৈতিক দলের সমর্থন জোটানোর সঙ্ঘের সফল কৌশলী চালের মধ্যে দিয়ে। এতদিন হিন্দি বলয়ে জাতপাতের রাজনীতির দুই প্রধান চরিত্র ছিলেন মুলায়ম সিং যাদব আর মায়াবতী। জাতপাতের যোগবিয়োগে যে যখন সফল হয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। অমিত শাহের আমলে বিজেপি এই পাটিগণিত বদলে দিয়েছে। হিন্দু উচ্চবর্ণ, ব্রাহ্মণের সঙ্গে ওবিসি, দলিত সবই জুড়ছে নিজস্ব ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ। পাঁচবছর আগে যাদব এবং জাটভ সম্প্রদায় বাদে সমস্ত ওবিসি’র কাছে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতি ছিল বহুজন সমাজ পার্টি, সমাজবাদী পার্টির সরকারের সময়ের মতো আর তাঁদের অবহেলিত থাকতে হবে না। সঙ্গে ছিল কাজ, উন্নয়ন আর মাফিয়ারাজ অবসানের আশ্বাস।

পাঁচ বছর আগে বিধানসভা ভোটে ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩১২টি আসনে। সমাজবাদী পার্টি মাত্র ৪৭টিতে। আর সেসময় তার সহযোগী কংগ্রেসের শিকেয় জুটেছিল সাকুল্যে ৭টি আসন। বহুজন সমাজ পার্টি জিতেছিল ১৯টি আসনে। বিজেপি’র পক্ষে সমর্থনের হার ছিল ৩৯.৬৭ শতাংশ। আর সেসময় সমাজবাদী পার্টি-কংগ্রেস-রাষ্ট্রীয় লোক দলের মিলিত সমর্থনের হার ছিল ২৯.৮৫ শতাংশ, যার মধ্যে সমাজবাদী পার্টির ভাগ ছিল ২১.৮২ শতাংশ। কংগ্রেসের ৬.২৫ শতাংশ।

করোনার সময় গঙ্গায় অসংখ্য মৃতদেহ ভাসতে দেখে শিউরে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশ। দেখেছে গঙ্গার তীরে হাজার হাজার দেহ। ভিড় করছে চিল-শকুনের দল। লখিমপুর খেরিতে দেখেছে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর গাড়িতে পিষে মন্ত্রীপুত্রের চারজনকে হত্যা। জাতপাত, ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ ক্ষুব্ধ দারিদ্র্য, বেকারি, ছাঁটাই, মূল্যবৃদ্ধি, আয়-ছাঁটাইয়ের কারণে।

নীতি আয়োগের দারিদ্র্য-সূচকে তিন নম্বরে উত্তরপ্রদেশ। প্রথমে বিহার। দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড। যোগীর রাজ্যে দারিদ্য সীমার নিচে মানুষের সংখ্যা ৩৭.৭৯ শতাংশ।

২০১২-তে উত্তরপ্রদেশের স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ শতাংশ। যোগী আদিত্যনাথের জমানায় ২০১৯-এ তা পৌঁছছে ৫১ শতাংশে। মাধ্যমিক পাশ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে তিন গুণ। আর উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চার গুণ। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমাধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৬ শতাংশ। আর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্ব ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ শতাংশ। এই সময়ে সামগ্রিকভাবে বেকারত্ব বেড়েছে আড়াই গুণ। তরুণদের ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ গুণ।

‘উত্তরপ্রদেশে, কাজ করতে সক্ষম এমন বয়সি মানুষের সংখ্যা ২০১৬-তে যেখানে ছিল ১৪ কোটি ৬৯ লক্ষ, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৬ কোটি ৯২ লক্ষ। অন্যদিকে, কাজ রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা এই সময়ে ৫ কোটি ৬৪ লক্ষ থেকে কমে হয়েছে ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ। কাজ হারানোর সংখ্যার অধিকাংশই ঘটেছে মহামারীর আগে - যা আসলেই মানব কল্যাণের পরিবর্তে মেগা প্রকল্প-অভিমুখী নীতির পরিণতি।’ বলেছেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু। ২০১৯-২০, উত্তরপ্রদেশে মাথাপিছু আয় (৪১,০২৩ টাকা) ছিল গোটা দেশের গড়পরতা আয়ের (৮৬,৬৫৯ টাকা) অর্ধেক। দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের স্থান ছিল ৩২-তম।

প্রচারে নেমে তাই ক্ষোভের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক-সাংসদরা। ক’দিন আগেই নিজের কেন্দ্র সিরাথুতেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। মহিলারা তাঁর মুখের সামনে সশব্দে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। নিজের লোকসভা কেন্দ্র আমেথিতে নিগৃহীত হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। নিজের খাসতালুক শামলিতে আখচাষিদের রোষের মুখে পড়েছেন রাজ্যের আখমন্ত্রী সুরেশ রানা। ক্ষোভের মুখে পড়েছেন আমেথির বিধায়ক সুরেশ পাসি। নিজের তল্লাটে মানুষ তাড়া করেছেন বিজেপি বিধায়ক পুনম প্রকাশকে। নিজের এলাকায় প্রচারে ভিডিয়ো বার্তায় দেবেন্দ্র সিং লোদী এখন পাঁচবছরের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছেন। ভবিষ্যতে এমন ভুল হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

পূর্বাভাস জানিয়ে 'ফ্রন্টলাইন' পত্রিকা শুনিয়েছে, রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের সাধারণ ভাষ্য হলোঃ আজকের পরিস্থিতিতে বিজেপি’র বিরুদ্ধে কৃষকদের তুমুল ক্ষোভ, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মোহমুক্তির কারণে সমাজবাদী পার্টির পক্ষে সমর্থনের হার আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। পর্যবেক্ষক-সহ বিরোধীদের হিসেব, পাঁচবছর আগে বিজেপি যে সমর্থন পেয়েছিল, এবারে তা পেতে চলেছে সমাজবাদী পার্টি ও তার শরিকরা। সঙ্গে সামাজিক ও রাজনৈতিক টানাপড়েন বার্তা দিচ্ছে কমবে বিজেপি’র সমর্থনের হার।

তবে মায়াবতীর খেলায় বিজেপি’র লাভ হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। মুসলিম ভোট কাটার জন্য যথারীতি আছেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও।