৫৮ বর্ষ ৪২ সংখ্যা / ৪ জুন, ২০২১ / ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮
ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার, সরকার প্রশাসনের দেখা নেই
সরকারের অপদার্থতাই মানুষকে চরম দুর্ভোগের কবলে ঠেলে দিয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবের পর সাতদিনেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে। কিন্তু রাজ্যের দুর্গত মানুষের বিপদ কাটেনি। একদিকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাস এবং মুষলধারে বৃষ্টি - এই ত্রিফলা আক্রমণের অভিঘাতে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সহ পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। এখনও অনেক জায়গা জলপ্লাবিত। বাড়ি ঘর সহায় সম্বল খুইয়ে দুঃসহ জীবন কাটছে বিপন্ন মানুষদের। সর্বত্র পানীয় জল, খাবার ও আশ্রয়ের জন্য হাহাকার উঠেছে। অথচ সরকার,পঞ্চায়েতের দেখা মিলছে না। ত্রাণ বণ্টনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার। বিভিন্ন জায়গায় অসহায় মানুষ উপায় না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো উদ্ধার করা মানুষের সংখ্যাও নিজের মতো করে ঘোষণা করেছেন, ১৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নাকি সরিয়ে আনা হয়েছে। বাস্তবে কিন্তু এত মানুষকে রাখার মতো পরিকাঠামোই নেই সুন্দরবন অঞ্চলে। যদি মুখ্যমন্ত্রীর দাবিই সঠিক বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে এই মানুষদের জীবন নির্বাহের মতো ন্যূনতম সাহায্য মিলছে না।তাই সর্বত্র ক্ষোভ বাড়ছে।
মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে রাত জেগে দুর্যোগ মোকাবিলার তদারকি করেছেন। প্রচার মাধ্যমে তা ফলাও করে প্রচার হয়েছে। তিনি নিজেই ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়েছেন। তিনি সাড়ম্বরে ঘোষণা করেছেন, 'দুয়ারে সরকারে'র মতো 'দুয়ারে ত্রাণে'র ব্যবস্থা করা হবে। তবে এটাও জানিয়েছেন, জুলাই মাসের আগে মিলবে না ত্রাণের টাকা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব অনুযায়ী ১৫ লক্ষ মানুষের এতদিন দিনগুজরান কীভাবে হবে, তারা মাথার আশ্রয়টুকুর ব্যবস্থা কীভাবে করবেন, তাদের জমিজিরেত ফসলের ক্ষতিপূরণের কী হবে তার কোনো উত্তর মেলেনি মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।
আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এবারেও দেখা গেল এত বড়ো একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়েও সব কিছু সামাল দিচ্ছেন একা মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত, ত্রাণ, সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী থাকলেও তাদের কোনো উপস্থিতি আজ অবধি টের পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসনের আদৌ কোনো অস্তিত্ব আছে কিনা বোঝার উপায় নেই। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ বণ্টনেও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের বাদ রেখে 'দুয়ারে ত্রাণে'র দায়িত্বে রেখেছেন শুধু আমলাদের। তৃণমূল জমানায় পঞ্চায়েতের গুরুত্ব কমে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই ওগুলো লুটে খাওয়ার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তা না হলে বছর বছর মানুষকে এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। দেখা যাচ্ছে একা মুখ্যমন্ত্রীই যেন সমস্ত মুশকিল আসান। এমনকী তিনি অন্যান্য যাবতীয় বিষয়ে নানা উপদেশ ও ঘোষণার পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ মরে যাওয়ায় নিদান দিয়েছেন, মরা মাছ ভালো করে নুন হলুদ মাখিয়ে শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করার। যদিও তাঁর এই মরা মাছ 'ড্রাই করে ফ্রাই' করার পরামর্শ কেউই গ্রহণ করেননি, তাঁর দলের পঞ্চায়েতের মাতব্বররাও নন, কারণ তা বাস্তবে একেবারেই সম্ভব নয়। তিনি তাঁর অনুগত মুখ্যসচিবকে নিয়ে আকাশপথে দুর্গত এলাকা বিহার করলেন, মাঝে কলাইকুন্ডায় নেমে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের নামে একপ্রস্ত নাটক করলেন, তারপর দীঘায় গিয়ে 'প্রশাসনিক বৈঠক' সেরে কলকাতায় ফিরে এলেন। এখন স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাঁর এইসব তৎপরতায় দুর্গত মানুষদের কী উপকার হলো?
নামখানার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়, নারায়ণপুর থেকে মৌসুনি - দুঃসহ অবস্থা গ্রামবাসীদের। ওদিকে সন্দেশখালি থেকে হিঙ্গলগঞ্জ, পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরি, নন্দীগ্রাম, দীঘা সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এদিকে বিপন্ন মানুষের কথা ভেবে সিপিআই(এম), বিজ্ঞান মঞ্চ সহ বিভিন্ন গণসংগঠন, ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে ত্রাণের কাজে। এই কাজেও বাধা দিচ্ছে তৃণমূলের স্থানীয় মাতব্বররা। ওরা বলছে, ওদের কথা মতো ত্রাণ দিতে হবে। নামখানা, কাকদ্বীপ, হিঙ্গলগঞ্জে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলীরা কেবল বাধা দেওয়াই নয়, মারধর,হুজ্জুতি এমনকী হিঙ্গলগঞ্জের ডাসা নদীর পাড়ে ত্রাণ বিলি করতে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের লক্ষ করে বোমা পর্যন্ত ছুঁড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এমন অমানবিক ও উন্মত্ত আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে শাসক দল আশ্রিত দুর্বৃত্তদের। সরকার বা প্রশাসনের দেখা না মিললেও প্রায় সমস্ত দুর্গত এলাকাতেই সাধ্যমতো ত্রাণের কাজে নেমেছেন পার্টিকর্মী সহ বিভিন্ন গণসংঠন, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও স্টুডেন্টস হেলথ হোমের উদ্যোগে দুর্গতদের চিকিৎসা চলছে, পার্টি ও গণসংগঠনগুলির উদ্যোগে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া চলছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, করোনা আক্রান্ত মানুষদের সেবায় রেড ভলান্টিয়াররা যেভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছে, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও তারা বিভিন্ন জেলায় অনলস পরিশ্রম করছে। দুর্গত মানুষদের নানাভাবে সাহায্যের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, ত্রাণ শিবির ও দুর্গত এলাকায় স্যানিটাইজেশন করার কাজ করে চলেছে রেড ভলান্টিয়াররা।
এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অগণিত মানুষ যখন সর্বস্ব খুইয়ে সীমাহীন যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন, তখন তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে তৃণমূলীরা তাদের স্বভাব অনুযায়ী ত্রাণের চাল চুরিতে মগ্ন। আমফান থেকে ইয়াস-এর মাঝখানে বিপুল ভোটে জিতে পুনরায় ক্ষমতায় আসীন তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু পুরনো অভ্যাসের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। এবারেও তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে চাল চুরির অভিযোগ। ইয়াসের বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই এমন ব্লকেই আসছে ত্রাণের চাল,আর চলছে শাসক দলের অবাধ লুট। খড়্গপুর গ্রামীণ-২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রামের তৃণমূল নেতার এই অবৈধ কারবার হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামের মানুষ। তার বাড়ি থেকে ১০ বস্তা ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হয়।স্থানীয় মানুষ দীর্ঘক্ষণ এই দুর্নীতিবাজ নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনায় প্রকাশ, পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সরাসরি এই চাল ঢুকেছে তার ঘরে। এভাবে আরও চাল পাচার হয়ে গেছে বলে স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ। এই অপরাধ সত্ত্বেও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে এবং গোটা ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রশাসন। এই খড়্গপুরেই আরও দু'জনকে রেশনের চাল ও আটা বেআইনিভাবে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থেকে রেশনের খাদ্যশস্য বাংলাদেশে পাচারের অভিযোগে শাসক দলের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ একজনকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এসব ঘটনায় স্পষ্ট, মহামারী থেকে ঘূর্ণিঝড় - মানুষের অসহায়ত্ব,দুর্দশাকে বিন্দুমাত্র গ্রাহ্য না করে শাসক দলের মদতে কীভাবে চলছে বেপরোয়া লুটের কারবার। রাজ্যবাসীর স্মরণে আছে, গতবছর আমফান ঝড়-পরবর্তী সময়েও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিপন্ন মানুষের ত্রাণসামগ্রী, অর্থ আত্মসাৎ করছিল। এ নিয়ে রাজ্যজুড়ে তুমুল বিক্ষোভের জেরে অনেক জায়গায় তৃণমূলীরা চুরি করা ত্রাণ সামগ্রী ও অর্থ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপট এটাই প্রকট করেছে যে, গত দশ বছরে যদি বাঁধের কাজ ঠিকমতো হতো, ৭৭১ কিলোমিটার আয়লার পাকা বাঁধের জন্য প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা ফেরত না যেত, সেইসঙ্গে আবাস যোজনায় মাটির বাড়িগুলি পাকা হতো তবে মানুষকে এত দুর্ভোগের কবলে পড়তে হতো না। সুন্দরবন এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধগুলি ভেঙেছে। অনেক জায়গায় বাঁধগুলি এতটাই দুর্বল হয়েছিল যে, জলোচ্ছ্বাসের দাপটে অল্প সময়ের মধ্যে সেসব ধুয়ে মুছে গেছে। সরকারের এই চরম ব্যর্থতা প্রকট হয়েছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি ইয়াসের তাণ্ডবে বাঁধগুলো ভেঙে ধুয়েমুছে যাবার পর নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন, "বাঁধের টাকা কি জলেই চলে গেছে?" তাঁর এই প্রশ্নেই স্পষ্ট হয়েছে বাঁধ মেরামতির কাজ কিছুই হয়নি, উলটে দেদার চুরি হয়েছে এবং তা হয়েছে নিজের দলের স্থানীয় মাতব্বরদের মাধ্যমেই। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর টনক নড়েছে। তিনি এ নিয়ে তদন্ত করে দেখতে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন।
একইভাবে তিনি দীঘার ভাঙন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের খেয়ালখুশি মতো দীঘাকে 'গোয়া' বানাতে গিয়ে সরকারি কোষাগার ভেঙে অপরিকল্পিতভাবে যথেচ্ছ নির্মাণ করেছেন। সেইসব ইয়াসের তাণ্ডবে ভেঙেচুরে গেছে। তাই তিনি দীঘা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন, "দীঘায় ভাঙলো কী করে? মনিটরিং করো না তোমরা? সব তো কংক্রিটের, তাও ভাঙলো? " তাঁর এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন দীঘার নির্মাণের কাজে কী পরিমাণ ফাঁকিবাজি ও দুর্নীতি হয়েছে। এছাড়াও প্রশ্ন উঠেছে, প্রকৃতির ক্ষতি করে দীঘা সৈকতে নির্মাণ আদৌ সঠিক হয়েছে কী না। গতবছর আমফানের পর সুন্দরবনে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ পোঁতার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এবারে সেই ম্যানগ্রোভ পোঁতার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও বন দপ্তরের জানা ছিল একবছরের মধ্যে ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ খেয়াল হয়েছে আমফানের সময়ে যে কলকাতায় কয়েক হাজার গাছ পড়েছিল সেগুলির কী হলো? সকলেরই জানা, তাঁর প্রশাসন ও দলের মাতব্বররা ছাড়া এই গাছের হদিশ আর কে দিতে পারবে! মুখ্যমন্ত্রী তিন দিনের মধ্যে আমফানে পড়ে যাওয়া গাছের হিসাব চেয়েছেন, কিন্তু এই গাছগুলিও যে তাঁর দলের কর্তা-ব্যক্তিদেরই অঙ্গুলি হেলনে অদৃশ্য হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শাসক দলের চূড়ান্ত অপদার্থতা ও দুর্নীতিকে একেবারে বেআব্রু করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আইলার পর তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সুন্দরবনের বাঁধ মেরামতিতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু তখন গ্রামবাসীদের 'জমি কেড়ে নেওয়া হবে' বলে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে পাকা বাঁধ নির্মাণের কাজে বাঁধা দিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির দল। শুধু তাই নয়, রাজ্যকে টাকা দিতে বারণ করে তখন কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া। সেসময় আইলায় সুন্দরবনের ৭৭৮ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সুন্দরবনে জমি অধিগ্রহণ করে পাকা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সুন্দরবনে আইলা বিধ্বস্ত এলাকায় জমিদাতা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজন করে রাজ্য সরকারের চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই কাজের বিশেষ কিছুই হয়নি। উলটে কেন্দ্রের দেওয়া ৪ হাজার কোটি টাকা ফেরত চলে গেছে। আজ তৃণমূল সরকারের এই অপদার্থতারই মাশুল গুনছেন সুন্দরবনের অগণিত মানুষ।