E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪২ সংখ্যা / ৪ জুন, ২০২১ / ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮

কারও চুরাশি মাস, কারও সর্বনাশ

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


গতরাতে মস্তকে ঈষৎ কমলাকান্ত ভর করিয়াছিলেন। চাটুজ্জে মশায়ের বঙ্কিম লেখনীতে ভর করিয়া হৃদয়ঙ্গম করিতেছিলাম ‘বসন্তের কোকিল’-এর অসামান্য বাক্যবিন্যাস। ‘তুমি বসন্তের কোকিল, বেশ লোক। যখন ফুল ফুটে, দক্ষিণ বাতাস বহে, এ সংসার সুখের স্পর্শে শিহরিয়া উঠে, তখন তুমি আসিয়া রসিকতা আরম্ভ কর। আর যখন দারুণ শীতে জীবলোকে থরহরি কম্প লাগে, তখন কোথায় থাক, বাপু? ...যখন নসী বাবুর তালুকের খাজনা আসে, তখন মানুষ-কোকিলে তাহাঁর গৃহকুঞ্জ পুরিয়া যায়... আর যে রাতে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হইতেছিল, আর নসী বাবুর পুত্রটির অকালে মৃত্যু হইল, তখন তিনি একটি লোক পাইলেন না।’ নিদ্রার ঘোরমধ্যেই নসী বাবুর উদ্দেশ্যে বলিয়া ফেলিলাম - কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষায় থাকুন। আমি রেড ভলান্টিয়ারসের সহিত সংযোগ স্থাপন করিতেছি। ইহারা বসন্তের কোকিল নহে। ইহাদের রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে - বিপদে পড়িয়া স্মরণ করিলেই উদিত হয়। অস্ত যাইবার নাম নাই। বারবার তিনবার খেদাইয়া দিলেও ফিরিয়া ফিরিয়া আসে। সদর্পে পার্শ্বে থাকিবার বার্তা রাখিয়া যায়। মনে বড়ো খেদ রহিয়া গেল। আহা। কমলাকান্তকে যদি বারেকের তরে রেড ভলান্টিয়ারদিগকে দেখাইতে পারিতাম।

আমাদের বারোমাস্যায় বারো ভূতের লুটোপুটি। যদিও ১২ সংখ্যাটা বড়ো বিপজ্জনক। ১২-র সান্নিধ্য পেয়ে কারো কারোর যেমন বারোটা বেজে যেতে পারে, তেমনই আবার পরীক্ষায় চিরকাল শূন্য পেয়ে আসা কেউ একবার ১২ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেই পারে। আবার ১২ পেয়ে কারোর পোয়াবারোও হতে পারে। বঙ্গ, বিহার, ন্যাশনাল, স্টেট, গুলিয়ে যেতে পারে। তবে পোয়াবারো হবার পর আচমকাই পুরো বারোটা বেজে যাওয়ার ঘটনাওখুব একটা কম নেই। হাতের তালুতেই তার ঢের ঢের নজির। একবার মনে মনে কৃষ্ণ স্মরণ করলেই টাইম মেশিন পেছনে ফিরিয়ে দেবে। বারো ঘর এক উঠোনে থাকার কথা মুখে বলা আর ভেতর থেকে অভ্যেস গড়ে তোলা এক নয়। সেই অভ্যেস গড়ে না উঠলে মাটির প্রদীপের ‘ভাই’ ডাক শুনলে কেরোসিন শিখার গলা টিপে দেবার ইচ্ছে জেগে ওঠাতে কোনো দোষ নেই। চাঁদ তখন ‘দাদা’ হয়ে যায়। তবে হ্যালুসিনেশন বলেও তো শব্দভাণ্ডারে একটা শব্দ আছে। তেষ্টায় গলা সম্পূর্ণ শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ‘পোয়াবারো’র খোয়ারি কাটেনা। ততদিন মরীচিকায় মরূদ্যানের ভ্রম সযত্নে লালিত-পালিত হোক। অতএব, খেলা চলুক, খোয়ারি চলুক। খোশামোদে, তোষামোদে সবাই খুশি থাকুক। খোলাবাজারে, খোলামনে সবকিছু খুলে বলার আপাতত দরকার নেই।

ভারতের স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে দীর্ঘ যে ইতিহাস প্রতিদিন জমা হচ্ছে, সেখানে বছরে বারো মাসের হিসেবে ৮৪০ মাসের বেশি সময়ের হিসেব ধরা আছে। আবার টাইম স্প্যান কমিয়ে নিলে শেষ সাত × বারো = ৮৪ মাসের হিসেব আরও বেশি বেশি করে ধরা আছে। থাকবেও। সাত কাণ্ড রামায়ণ শোনার পরেও যেমন কেউ কেউ বোকার মত প্রশ্ন করে ফেলেন ‘সীতা কার বাপ’ তেমনই ইদানীং সাত বছর পর কেউ কেউ ভুল করে প্রশ্ন করে ফেলছেন ‘আচ্ছে দিন’ কোথায়? থরে থরে সাজিয়ে রাখা উন্নয়নের পরেও যারা কেন্দ্রে অথবা রাজ্যে এইসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা আর যাই হোন দেশপ্রেমী নন। দেশের প্রতি এঁদের কোনো ভালোবাসা নেই। ‘এরা’ হয় পাকিস্তানের দালাল, কিংবা চীনের। নাহলে নির্ঘাত কমিউনিস্ট।

আচ্ছে দিন ১

২০১৪ সালের ১৩ জুন দেশের চার মেট্রো শহর - দিল্লি - কলকাতা - মুম্বাই - চেন্নাইতে পেট্রোলের দাম ছিলো যথাক্রমে ৭১.৪১ - ৭৯.২৬ - ৮০.০০ এবং ৭৪.৬০। ৩ জুন ২০২১-এ দিল্লিতে পেট্রোলের দাম ৯৪.৪৯। কলকাতায় ৯৪.৫০। মুম্বাইতে ১০০.৭২ এবং চেন্নাইতে ৯৫.৯৯। ম্যাক্রোট্রেন্ডস-এর ওয়েবসাইট জানাচ্ছে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ৯৩.১৭ ইউ এস ডলার। ওই বছরে ব্যারেল পিছু (প্রায় ১৫৯ লিটার) সর্বোচ্চ দাম ১০৭.৯৫ ডলার এবং সর্বনিম্ন দাম ৫৩.৪৫ ডলার। সাল ২০২১। এই বছর আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের ব্যারেল পিছু দাম শুরু হয় ৬০.৩২ ডলারে। সর্বোচ্চ দাম এখনও পর্যন্ত উঠেছে ৬৭.৭২ ডলার এবং সর্বনিম্ন দাম ৪৭.৬২ ডলার। ডিজেলের ক্ষেত্রেও একইরকম। ১ লিটার ডিজেলের দাম শহর ভেদে আলাদা আলাদা হলেও মোটামুটি ৯০ এর দোরগোড়ায়। বিষয়টা জটিল লাগলে সরল যোগ বিয়োগের অঙ্ক করে নেওয়া যেতে পারে। এ এক অদ্ভুত জটিল ধাঁধা। যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশের বাজারে দাম বাড়ে। আর পেট্রোপণ্যের দামের ওঠানামার ওপরেই যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও ওঠানামা করে তাই সেসবের দামও কী ছিলো আর কী হয়েছে তা ভক্তভোগীরা না জানলেও ভুক্তভোগীরা জানেন।

আচ্ছে দিন ২

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (CMIE) প্রধান মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন - দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং গত বছরের মহামারীর শুরুর সময়ের তুলনায় প্রায় ৯৭ শতাংশ বাড়িতে রোজগার কমেছে। সিএমআইই-র সমীক্ষা অনুসারে গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে বেকারত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে দেশে বেকারত্বের হার ছিলো ৮ শতাংশ। যা মে মাসের শেষে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে। গ্রামাঞ্চলে এই হার ১০.৬৩ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে এই হার ১৪.৭৩ শতাংশ। যে হিসেব অনুসারে এই সময়ে কাজ হারিয়েছেন ১ কোটির বেশি মানুষ।

তিনি আরও জানিয়েছেন - এই সময়ে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের পক্ষে ফের কাজ খুঁজে পাওয়া যথেষ্টই সমস্যার। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ দ্রুত ফিরে এলেও সংগঠিত ক্ষেত্রে এই সমস্যা মিটতে অনেকটাই বেশি সময় লাগবে। সিএমআইই এই সময়েই দেশের ১.৭৫ লক্ষ বাড়িতে এক সমীক্ষা চালিয়েছে। যে সমীক্ষায় মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, গত ১ বছরে তাঁদের রোজগার বেড়েছে। ৫৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের রোজগার কমে গেছে। আর ৪২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের রোজগার একই জায়গায় আছে। অর্থাৎ শেষ ১ বছরে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষের রোজগার কমেছে। হ্যাঁ। এই হিসেবের মধ্যে কিন্তু রাজ্যও পড়ে। যেখানে বেকারত্বের হার ১৯.৩ শতাংশ। গ্রেটার এভিল লেসার এভিলের ছায়াযুদ্ধে ঢুকে পড়লেও বারোটা বাজা আটকে থাকবে না।

২০১৪ সালে দেশের জাতীয় নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিলো বছরে ২ কোটি চাকরি। যেখানে শুধুমাত্র শেষ ক’মাসে চাকরি হারিয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষ। বছরে ২ কোটি চাকরি তো দূরের কথা গত ২০ মে রেল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উমেশ বালুন্দা রেলের সব ক'টি জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, গোটা দেশে চলতি বছরের ১৩ হাজার ৪৫০টি শূন্যপদ তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করবেন না।

আচ্ছে দিন ৩

সীতারাম ইয়েচুরি বহুদিন থেকে দেশের মানুষের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, ভ্যাক্সিনেশনের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছিলেন। সে কথায় সরকার কান দেয়নি। আর এই সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ মহামারীর সময় অত্যাবশ্যকীয় সরবরাহ শীর্ষক এক সুয়ো মটু মামলার পর্যবেক্ষণে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেছে - কেন্দ্রীয় বাজেটে ভ্যাকসিনের জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত কীভাবে এবং কত খরচ করা হয়েছে। আদালতের আরও প্রশ্ন, এই তহবিল থেকে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন করা হচ্ছে না কেন। ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন না দেবার প্রশ্নে আদালতের পর্যবেক্ষণ - এই নীতি দৃশ্যত স্বৈরাচারী এবং যুক্তিহীন।

রাজ্যগুলো কেন কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে প্রস্তুতকারক কোম্পানি থেকে টিকা কিনবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। আদালতের প্রশ্ন, "সরকার কেন টিকার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে? গোটা জাতির জন্য দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত ছিল।" টিকাকরণের জন্য "ডিজিটাল ডিভাইডের" প্রসঙ্গ তুলে আদালত প্রশ্ন তুলেছে, "টিকা নেওয়ার জন্য কোউইন অ্যাপে প্রত্যেককে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের লোকেদের ক্ষেত্রে কোউইন-এ নাম নথিভুক্ত করা কি বাস্তবসম্মতভাবে সম্ভব?"

দেশে করোনা টিকাকরণের যা গতিপ্রকৃতি তাতে ঠিক কীভাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ আইএমএ-র। তবে আপাতত টিকাকরণ ঠিকঠাক ভাবে না চললেও সেন্ট্রাল ভিস্টা প্রকল্পের কাজ ঠিকমতই চলছে। এমনকি আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য শুরু হয়ে গেছে বিজেপির প্রস্তুতিও। ২২ -এর পরেই তো ২০২৪ ও আছে।

আচ্ছে দিন ৪

বলা হয়েছিল ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির কথা। তবে দেশের বহু কিছু বেচেবুচে তার ধারেকাছে এখনও যাওয়া না গেলেও গত ৭ বছরে দেশে প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়ে গেছে নিঃশব্দে। তথ্য অনুসারে, ২০১৪-১৫ তে ১৯,৪৫৫ কোটি টাকা (৪,৬৩৯টি ঘটনা), ২০১৫-১৬তে ১৮,৬০৮ কোটি টাকা (৪,৬৯৩টি ঘটনা), ২০১৬-১৭তে ২৩,৯৩৩ কোটি টাকা (৫,০৭৬টি ঘটনা), ২০১৭-১৮তে ৪১,১৬৭ কোটি (৫,৯১৬টি ঘটনা), ২০১৮-১৯-এ ৭১,৫৩৮ কোটি (৬,৭৯৩টি ঘটনা), ২০১৯-২০তে ১,৮৫,৪৬৮ কোটি (৮,৭০৩টি ঘটনা) এবং ২০২০-২১-এ ১,৩৮,৪২২ কোটি (৭,৩৬৩টি ঘটনা)। মোট করলে দাঁড়াবে ৪,৯৮,৬৭৭ কোটি টাকা। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তালিকায় আছে বাঘা বাঘা নাম। সেখানে যেমন আছেন ‘মেহুল ভাই’ তেমনই আছেন ‘বাবা রামদেব'।

আচ্ছে দিন ৫

করোনা মহামারী আবহে জিডিপি'র সংকোচন হবে, তার একটা আভাস ছিলই। কিন্তু তা যে এতটা হবে, অনুমান করা যায়নি। কেন্দ্র আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল যে, সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সংকোচনের মুখে পড়তে পারে ভারতীয় অর্থনীতি। গত অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি'র সংকোচন হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। যা দেশের অর্থনীতিতে রেকর্ড। ফোর্বস-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে শেষ ৪০ বছরে এই প্রথম এত বড়ো পতন। ১৯৫০-এর পর ভারতীয় অর্থনীতিতে এত দ্রুত পতন আগে দেখা যায়নি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতাসীন হবার সময়ের তুলনায় এই অবস্থা ভয়াবহই। ২০১০-১১ সালে এই হার ছিল ১০.৭৮ শতাংশ। শেষবার ১৯৭৯-৮০ সালে জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ৫.২ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের উচিত এই অবস্থায় খরচ নিয়ন্ত্রণ করা। জরুরি খরচ বাদে সরকারের খরচ সংকোচন করা। না হলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল। জিডিপি হ্রাস পাওয়ার ফলে দেশের রেটিং পড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে।

লেখা চালিয়ে গেলে আচ্ছে দিন ৬, ৭, ৮, ৯ - এভাবে চালিয়ে যাওয়া যেতেই পারে। জাতীয় স্তরে বিগত ৭ বছর এবং রাজ্যে বিগত ১০ বছরে এত ঘটনা ঘটে গেছে যে, সেই হিসেব কোথায় গিয়ে থামবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সেখানে যেমন নোটবাতিল, জিএসটি-র মতো বিষয় আসতে পারে তেমনই আসতে পারে চাল চুরি, ত্রিপল চুরি থেকে শুরু করে নারদ, সারদা দুর্নীতি, টেট কেলেঙ্কারি সবই। কোনটা আপনার মনে ধরবে সেটা বেছে নিতে হবে আপনাকেই। বারো ভূতের লুটোপুটি কতদিন সহ্য করবেন সেটাও। মেকি শিরদাঁড়ার গল্প নিয়ে আলাপ করতে ভালো লাগতে পারে। বাস্তব অবশ্য অন্য কথা বলে। তাই এভিল স্কোয়ারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আপনাকেই বেছে নিতে হবে আপনার পথ।