E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪২ সংখ্যা / ৪ জুন, ২০২১ / ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৮

করোনা সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক প্রতিক্রিয়া

লালন ফকির


বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায়ের মধ্য দিয়ে আমরা চলেছি। ৩১ মে পর্যন্ত সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি১২ লক্ষ ৫৮হাজার ৭৭৮ এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৫লক্ষ ৬১হাজার ৪৪৭। ঐ সময় পর্যন্ত ভারতের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২,৮০,৪৭,৫৩৪, মৃতের সংখ্যা ৩,২৯,১০০। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং মারা যাওয়ায় সারা বিশ্বে মানবসম্পদের ওপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলেছে এবিষয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু এর অর্থনৈতিক সামাজিক প্রতিক্রিয়া আদৌ কম নয়। সম্প্রতি পিউ রিসার্চ সেন্টারের (পিআরসি) পক্ষ থেকে বিশ্বের সাতটি অঞ্চল জুড়ে এক সমীক্ষা চালানো হয়েছে, এর মধ্যে ভারতও রয়েছে। সমীক্ষক সংস্থাটির সমীক্ষা প্রধানত পাঁচটি আয়কারী গোষ্ঠীর ওপর করা হয়েছে। এগুলি হলোঃ ১) দরিদ্র, ২) নিম্ন আয়কারী, ৩) মাঝারি আয়কারী, ৪) উচ্চ-মাঝারি আয়কারী, ৫) উচ্চ আয়কারী। বিভিন্ন পর্যায়ের আয়কারীদের মধ্যে বিভাজনের ক্ষেত্রে সমীক্ষক সংস্থাটি বিশ্বব্যাঙ্কের সূত্রকে অনুসরণ করেছে। ২০২০-২১ সালের তথ্য এক্ষেত্রে অনুসৃত হয়েছে। এই মাপকাঠিটি হলো, ১) যাদের দৈনিক আয় ২ ডলার বা তার কম তারা দরিদ্র শ্রেণিভুক্ত, ২) দৈনিক ২ ডলার থেকে ১০ ডলার আয়কারীদের নিম্ন আয়কারী বলা হয়েছে, ৩) দৈনিক ১০ ডলার থেকে ২০ ডলার আয়কারীদের মাঝারি আয়কারী, ৪) দৈনিক ২০ ডলার থেকে ৫০ ডলার আয়কারীদের উচ্চ-মাঝারি আয়কারী, এবং ৫) দৈনিক ৫০ ডলারের উপরে যাদের আয় তাদের উচ্চ আয়কারী বলা হয়েছে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কোভিড মহামারী ৫ কোটি ৪০ লক্ষ মধ্যবিত্তের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। যা শেষপর্যন্ত ১৩ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যে নিক্ষেপ করেছে। মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে মধ্যবিত্তের সংখ্যা হ্রাস সবথেকে বেশি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। সমীক্ষক সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই প্রবণতা সবথেকে বেশি দক্ষিণ এশিয়া এবং সাব-সাহারান আফ্রিকায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মধ্যবিত্তের সংখ্যা হ্রাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ভারতে।

আন্তর্জাতিক আঙিনায় মহামারীর প্রকোপে নিম্ন আয়কারী মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ১০ লক্ষ, উচ্চ-মধ্য আয়কারী ৩ কোটি ৬০ লক্ষ এবং উচ্চ আয়কারীদের সংখ্যা ৬ কোটি ২০ লক্ষ হ্রাস পেয়েছে। সমীক্ষক সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালে দরিদ্র মানুষের আনুমানিক সংখ্যা ছিল ৬৭ কোটি ২০ লক্ষ। কিন্তু ২০২১ সালে এই সংখ্যা ৮০ কোটি ৩০ লক্ষে পৌঁছতে পারে বলে অনুমান। বিশ্ব দারিদ্র্য সূচক পৌঁছতে পারে ১০.৪ শতাংশে। এই হার ২০১৭ সালের হারের প্রায় সমান। এবং আগের অনুমিত হার ৮.৭ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।

লক ডাউনের সময়ে লক্ষ লক্ষ কর্মরতর কর্মচ্যুতি ঘটেছে। বিপুল সংখ্যক কর্মরত চাকরিচ্যুত হয়েছে এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ছাঁটাই মেনে নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সমীক্ষক সংস্থাটির প্রতিবেদনে ভারতীয় অর্থনীতিতে চার মাসব্যাপী লক ডাউনের কোনো প্রভাব নিয়ে সুসংহত আলোচনা হয়নি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক মহামারী পর্বে ২০২০ সালে অনুমান করা হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্তের সংখ্যা ১৩৮ কোটি হবে। কিন্তু মহামারী পর্বে এই সংখ্যা ১৩২ কোটি হবে বলে অনুমান। উন্নত দেশগুলিতে উচ্চ আয়কারীদের সংখ্যাধিক্য একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোভিড মহামারীর কারণে এবং অর্থনৈতিক মহামন্দার পরিণতিতে এইসব দেশে উচ্চ আয়কারীদের এক উল্লেখযোগ্য অংশ মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। উন্নত দেশগুলিতে ২০২০ সালে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের এই আর্থিক অবনমন ঘটেছে।

রিপোর্ট বলা হয়েছে, উচ্চ আয়কারীদের পর্যায়ভুক্তরা উচ্চ-মাঝারি আয়কারীদের থেকে উন্নত দেশগুলিতে সংখ্যার দিক থেকে খুব একটা কম নয়।এইসব উন্নত দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ উচ্চ আয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই পর্যায়ে মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেলে তাতে জীবনযাত্রার অবনতির মাত্রা বোঝা যায়। রিপোর্টের মতে কৌতুকের বিষয়, এইসব দেশে উচ্চ আয়কারীদের সংখ্যা হ্রাসের পরিণতিতে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মধ্যবিত্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় বর্তমানে নিম্ন আয়কারীদের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি নিম্ন আয়কারীদের আর্থিক অবস্থার আরও অবনতি হয়ে দরিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে দরিদ্রের সংখ্যা ১১০ কোটি থেকে হ্রাস পেয়ে ৬ কোটি ১০ লক্ষ হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ব দারিদ্র্য হার বার্ষিক ৪ কোটি ৯০ লক্ষ হারে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারীর পরিণতিতে বিপরীত প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে ১৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ নতুন করে দরিদ্র তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।একইসঙ্গে ২০১৯ সালে যেখানে দারিদ্র্য বৃদ্ধির হার ছিল ৯ শতাংশ, ২০২০ সালে সেখানে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১০.৪ শতাংশ। একইসঙ্গে উচ্চ আয়কারী মানুষের সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল মোট জনসংখ্যার ৭.৫ শতাংশ। ২০২০ সালে তা হ্রাস পেয়ে ৬.৮ শতাংশ হয়েছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের আলোচ্য গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে, এশিয়ায় মধ্যবিত্ত হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই হ্রাস ৩কোটি ২০ লক্ষ। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই পরিমাণ ১ কোটি ৯০ লক্ষ। এশিয়া মহাদেশের দেশগুলির মধ্যে আঞ্চলিক পার্থক্য প্রকট। বিশ্বে মধ্যবিত্তদের মধ্যে পূর্ব এশিয়া ও চীন সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এর পরিমাণ ৬৭ কোটি ২০ লক্ষ। ইয়োরোপ ও মধ্য এশিয়ায় মধ্যবিত্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৩০ লক্ষ। দক্ষিণ এশিয়ায় এদের সংখ্যা ১২ কোটি ৩০ লক্ষ। রিপোর্টে বলা হয়েছে,সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে অর্থনৈতিক পরিবর্তন বিভিন্ন স্তরের আয়কারীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যবিত্তদের সংখ্যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক অধোগতির সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়ে চলেছে। সর্বোপরি দক্ষিণ এশিয়ার ২৬ শতাংশ বা ৩ কোটি ২০ লক্ষ মধ্যবিত্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই হ্রাসের পরিমাণ ৩ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো,প্যানডেমিকের আগে সাব সাহারান আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করত (১১৪ কোটি মানুষের মধ্যে ৪৯ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ) যা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার থেকে বেশি, কিন্তু দরিদ্রদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার সাব সাহারান আফ্রিকায় যেখানে ৮ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ায় তা ৭৫ শতাংশ।এক্ষেত্রে ভারতে দরিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির হার সবথেকে বেশি।তুলনামূলকভাবে ইয়োরোপ, মধ্য এশিয়া, লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে দারিদ্র্য বৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ। পশ্চিম এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ। বিপরীত পক্ষে উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে সংকোচনের পরিমাণ ১০ শতাংশ।

রিপোর্টের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যবিত্তদের এই আর্থিক অধোগতির কারণ হলো এই অঞ্চলে আর্থিক বৃদ্ধির নিম্ন হার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার মতো মহামারী এবং লকডাউনের ঘটনা। তার সঙ্গে রয়েছে নিম্নমানের সামাজিক নিরাপত্তা এবং শ্রমজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকারি নীতির ব্যর্থতা। এসবই পরিস্থিতিকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। করোনা মহামারী ও লকডাউন এবং জিডিপি'র হ্রাস/বৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে রিপোর্টে আলোচনা করা হয়েছে।বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট থেকে মহামারী পর্বে জিডিপি'র মাথাপিছু বৃদ্ধির হার অনুমান করা হয়েছিল ৪ শতাংশ হবে। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জিডিপি সংকোচনের হার ৭.৮ শতাংশে দাঁড়ায়। এটা ঠিক, এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সংকোচনে তারতম্য রয়েছে কিন্তু সংকোচনের প্রবণতা সর্বত্র বিদ্যমান। যেমন, পূর্ব এশিয়ায় হ্রাসের হার ৪.৭ শতাংশ। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে জানায়, দেশান্তরী শ্রমিকদের কর্মচ্যুতি বা মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা তাদের কাছে নেই। আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রথম লকডাউন পর্বে ২০ শতাংশ শ্রমিক কর্মহারা হয়েছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি ছিল। ২০২১ সালে প্রকাশিত অক্সফ্যামের ‘অসাম্য রিপোর্ট'- এ উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা মহামারী ও লকডাউনের মধ্য দিয়ে সম্পদশালীদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা তারা দ্রুততার সঙ্গে পূরণ করতে পেরেছে। বিভিন্ন দেশের ২৯৫ জন অর্থনীতিবিদের মধ্যে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৮৭ শতাংশ মনে করেন তাঁদের দেশে করোনার সময়ে আর্থিক অসাম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

অক্সফ্যামের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১০০০ জন বিলিওনেয়ার তাদের করোনা পর্বে ক্ষতির পরিমাণ মাত্র ৯ মাসের মধ্যে পূরণ করতে পেরেছেন। অন্যদিকে দরিদ্র জনসংখ্যার তা পূরণ করতে ১৪ বছর লেগে যাবে। বর্তমান বিশ্বে ৫৬ শতাংশ মানুষকে দৈনিক ২ থেকে ১০ ডলার আয়ের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয়। এদের অধিকাংশই অসংগঠিত ক্ষেত্রের। যেমন গিগ ওয়ার্কার্স, ড্রাইভার, গার্হস্থ্য কর্মী, কারখানার শ্রমিক, সেলুন কর্মী, রান্নার কাজে যু্ক্ত শ্রমিক প্রভৃতি। অক্সফ্যামের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রাক্ করোনা পর্বেই ৩০০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। তিন-চতুর্থাংশ মানুষ চাকুরিচ্যুত হলে কোনো সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল না।

বিভিন্ন দেশের প্রেরিত রিপোর্টে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দেশে বিশেষত ব্রিটেনে ধনীরা তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করলেও লকডাউনের সময়ে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন সংকোচন ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা সংকোচন মেনে নিয়ে কাজ করতে হয়েছে।

নব্বই শতাংশ দেশের তথ্যে দেখা যায় কোভিড মহামারীর প্রথম ৬ মাসে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ১৪৭টি দেশের প্রথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোভিড মহামারীর চিকিৎসা করতে মানুষকে ব্যয়বহুল বেসরকারি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষকে কোভিড মহামারী সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করেছে। নিম্ন ও মাঝারি আয়ের মানুষদের জন্য জিডিপি’র খুব সামান্য অংশই স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হয়। এশিয়াতে এইখানে ব্যয়ের পরিমাণ খুবই সামান্য। ভারতে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে এই ব্যয়ের পরিমাণ জিডিপি’র মাত্র ০.৮ শতাংশ। চীন প্রাথমিকভাবে অতিমারীর ধাক্কা খেলেও পরে তা সামলে নেয়। শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, অতিমারীর দ্বিতীয় পর্যায়কে সামাল দিতে তারা সক্ষম হয়েছে।

পিউ রিসার্চ সংস্থা এবং অক্সফ্যামের প্রতিবেদন প্রমাণ করে, নব্য উদার আর্থিক নীতি কোভিডের মতো মহামারীর অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক কুপ্রভাবকে সামলে নিতে পারে না। বরং এই নীতি এইসব কুপ্রভাবকে আরও বৃদ্ধি করে।তাই কোভিড অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে নব্য উদারনীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে যুক্ত করেই আমাদের অগ্রসর হতে হবে।