৫৯ বর্ষ ২৯ সংখ্যা / ৪ মার্চ, ২০২২ / ১৯ ফাল্গুন, ১৪২৮
দয়া বা করুণা নয়ঃ কৃষকের চাই অধিকার
সুপ্রতীপ রায়
টেলিভিশন চ্যানেল আর প্রিন্ট মিডিয়াতে দেশের কৃষক-শ্রমিকদের সমস্যাগুলি স্থান পাচ্ছে না। নির্বাচনী সংবাদ আর শাসক দলগুলির অনুকূলে সংবাদই প্রাধান্য পাচ্ছে। মোদির সঙ্গে মমতার লড়াইয়ের কল্পিত কাহিনি নির্মাণে ব্যস্ত মূল ধারার মিডিয়া। যদিও উভয়ের নীতিতে মিল প্রচুর। কেন্দ্রীয় সরকার আর তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষিনীতিতে ফারাক বিশেষ নেই। উভয় সরকারই কৃষি ও কৃষক বিষয়ে বিকৃত, বিভ্রান্তিকর, মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে চলেছে।
কৃষকের আয় সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিয়ে চলেছে। তৃণমূল সরকার বলছে, বাংলার চাষির বছরে আয় তিন লক্ষ টাকা। কিন্তু সর্বভারতীয় সমীক্ষা বলছে, বছরে আয় নব্বই হাজার টাকার কাছাকাছি। রাজ্য সরকারের দাবি, রাজ্যের প্রায় ২২ লক্ষ কৃষক ২০২০ সালে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) পেয়েছেন। কিন্তু নীতি আয়োগের নমুনা সমীক্ষা (২০১৬) বলছে, পশ্চিমবঙ্গে একজন চাষিও ধান বিক্রি করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাননি, ফড়েরাই সরকারকে ধান বিক্রি করেছে।
রাজ্য সরকার কৃষকদের নিয়ে গালভরা কথা বললেও সমস্যা বাড়ছে। রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরে কর্মী সংখ্যা অপ্রতুল। কোন সার কতটা দেওয়া দরকার, তা জানার জন্য নির্ভর করতে হয় সারের ডিলারদের উপর। কারণ কেপিএস-এর প্রচুর পদ ফাঁকা। সারাদেশের সঙ্গে বা পশ্চিমবাংলাতেও বেসরকারি কোম্পানির হাতে চাষ চলে যাচ্ছে। ঠিকা চাষ, চুক্তি চাষ গত এক দশকে ক্রমবর্ধমান। বিমা নিয়ে রাজ্য সরকার নানা কথা বললেও বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলি কৃষকদের প্রতারিত করছে। রাজ্য সরকার নীরব। আড়তদার-ব্যবসায়ী চক্র এবং বীজ-সার-কীটনাশকের উৎপাদকরা কৃষককে প্রতারিত করে চলেছে।
কৃষি বাজারের নিয়ন্ত্রণ চাষির হাতে নেই। কৃষি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে হিমঘর মালিক, চালকল মালিক, সার-কীটনাশকের ডিলার, ফড়ে-আড়তদাররা। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি কৃষক বন্ধু নয়। সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক ও ছোটো চাষিরা। চাষি যেন সরকারের করুণার পাত্র হয়ে উঠেছে। বাংলায় বিপুল পরিমাণে সবজি চাষ হলেও, সরকারি ক্রয় নেই। মোট ধানের এক-চতুর্থাংশ কেনে সরকার, আলু আর পাট কেনে সামান্য। বীজ, কীটনাশক, সেচের জ্বালানিতে রাজ্য সরকারের ভরতুকি নেই। সারাদেশেই কৃষিতে ভরতুকি কমছে (কেরালা বাদে)। খুব সঙ্গত কারণেই স্বামীনাথন ২০১৫ সালে ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি ঘোষণার পর বলেছিলেন, কৃষিই হলো ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি উদ্যোগ।
কৃষকের যে সমস্যাগুলি প্রধানতম তার মধ্যে অন্যতম হলো ঋণ সমস্যা। সরকার মাঝে মাঝে কৃষকদের ঋণ মকুব ঘোষণা করলেও সে ঘোষণা হলো ফাঁকা আওয়াজ। আসলে এমএসপি’র পরিমাণ বৃদ্ধি এবং এমএসপি’র আইনি স্বীকৃতি প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে চণ্ডীগড়ের ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনের অধিকর্তা অধ্যাপক প্রমোদ কুমারের অভিমতঃ ‘‘শুধুমাত্র ঋণ মকুব কৃষকদের জীবনে সাময়িক স্বস্তি আনে মাত্র। এতে উপকার নাও হতে পারে। তাদের আয় না বাড়লে এবং তারা সামাজিক নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ভাগ্য কিছুই পরিবর্তিত হবে না। ...এমএসপি বাড়িয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মধ্যেই (তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের) সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।’’ (ইন্ডিয়া টুডে, ১৯-১২-১৮)।
আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মিথ্যা কথা বলার দক্ষতা প্রমাণিত। কৃষির তিনটি আইন বাতিল ঘোষণার পর মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, তিনি কৃষকদের পাশে আছেন। এটি একটি নির্জলা মিথ্যা কথা। রাজ্য সরকারের স্বজনপোষণ আর ভ্রান্ত নীতিতে কৃষক দিশেহারা। কৃষকমান্ডিগুলি ফড়ে আর চালকল মালিকদের দখলে। কৃষক মান্ডিতে ধান দিতে গিয়ে তিন চার মাস পর বিক্রির তারিখ পায়। বাংলায় একটি কথা চাষিদের মুখে মুখে ঘুরছে, ‘‘সরকার যত বেশি ধান কিনবে, ফড়ের পকেট তত বেশি ভরবে’’, ৭০ শতাংশ ধান ফড়েরাই সরকারকে সরবরাহ করে।
ধান কেনার সরকারি ঘোষণা চাষির কাজে আসে না। কারণ কবে ধান কেনা হবে, চাষি সঠিক সময়ে খবর পান না। আগাম খবর চলে যায় ফড়েদের কাছে। আবার শিবিরে গিয়েও ধান নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। চালকল ধান কিনলেও প্রতি কুইন্টালে প্রায় সাত কেজি করে বাদ দিচ্ছে। যদিও ফড়েদের এত ধান বাদ পড়ে না।
এমএসপি’র বিষয়ে সরকার যেভাবে বিভিন্ন মরশুমে ঘোষণা করে তা শুনতে ভাল লাগে। যদিও সরকারি ঘোষণা আর বাস্তবতার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। সরকার ক্রয়মূল্য ঘোষণা করে। ধান ওঠার সময় সরকার ঘোষণা করে - মান্ডিতে, চালকলে বা অস্থায়ী শিবির খুলে সরকারি লোকেরা ধান কিনবে, চাষি পাবে এমএসপি।
আগে চাষিদের সরকারি মান্ডিতে ধান বিক্রির জন্য নিজেদের জমির রেকর্ড, মালিকানা সংক্রান্ত প্রামাণ্য নথি নিয়ে মান্ডিতে যেতে হতো। নাম নথিভুক্ত করে ডাক আসার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। নাম নথিভুক্ত করার পর তাকে ফোন করে ডেকে পাঠালে তবে সে ধান নিয়ে কিষান মান্ডিতে যেতে পারবে। দেখা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে নাম নথিভুক্ত করলে ডাক আসত মার্চে। ফলে চাষি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে না পেরে খোলা বাজারে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হতো। এমএসপি থেকে যা অনেক কম। নিটফল অভাবী বিক্রি বৃদ্ধি।
অতি সম্প্রতি সরকারি মান্ডিতে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে ‘খাদ্যসাথী’ অ্যাপ দিয়ে। নাম নথিভুক্ত করার বারংবার নিয়ম বদল হচ্ছে। অ্যাপ মানে অ্যান্ড্রয়েড ফোন। বাধ্য হয়ে দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছে চাষি। অ্যাপ মারফত নাম নথিভুক্ত করার পর ফর্ম ভরে জমা দেওয়ার পর জানানো হচ্ছে ফর্ম জমা পড়েছে। কিন্তু কোনো ক্রমিক সংখ্যা অনেকের ক্ষেত্রে আসছে না। বলা হচ্ছে মেশিন খারাপ। ফলে অনেকে ধান মান্ডিতে নিয়ে যাওয়ার ডাক পাচ্ছেন না। আবার মান্ডিতে ধান বিক্রির ডাক এলেও সরকার দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক চাষির কাছ থেকে ধান কেনেন। ফলে কবে ধান মান্ডিতে বিক্রয় করতে পারবে চাষি তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
কিন্তু এই ডাক না আসার পিছনে গল্প আছে। চাষি ডাক পান না কারণ ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে চালকল মালিক আর খাদ্য দপ্তরের মালিকদের দুর্নীতি আছে। অনেক ধান কেনা হয় কেবলমাত্র কাগজে-কলমে। ধান ‘অডিট’ হয় না। আর সরকারের চালের প্রয়োজন হলে চাল কিনে দেয় মিল মালিকরা। বামফ্রন্ট আমলে চাষির কাছ থেকে ধান ক্রয় করত স্বনির্ভর গোষ্ঠী, কৃষি সমবায়গুলি। তৃণমূলের আমলে সেগুলি মৃত। আর চালকলে সরকারি ধান বিক্রির টোকেন চলে যায় তৃণমূলের মাফিয়াদের হাতে। এ চিত্র বাংলার সর্বত্র।
কৃষকের দাবি - সরকারকে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন করতে হবে এবং উৎপাদন খরচের দেড়গুণ দাম দিতে হবে। রাজ্য সরকার ঘোষিত দামে ফসল কিনছে না। ফলে কৃষকের লোকসান বাড়ছে। আসলে কৃষকের বন্ধু সেজে শত্রুতায় নেমেছে সরকার। বিজ্ঞাপনে যা বিজ্ঞাপিত হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে কৃষককে দয়া বা অনুগ্রহ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। আবার বিগত বছরগুলিতে সরকার এমএসপি ঘোষণায় যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, তাতে প্রকৃত এমএসপি যা হওয়া উচিত ছিল, তা প্রতিফলিত হয়নি। কারণ উৎপাদন খরচের হিসাবে কারচুপি করা হয়। বিবেচনায় রাখা হয় সার, বীজ আর পারিবারিক শ্রমকে। জমির খাজনা ও সুদ সহ ঋণশোধের দায়কে (C2) হিসাবের বাইরে রাখা হয়।
আসলে এমএসপি কী? এমএসপি কোনো বিধি নয়, সরকারি নির্দেশনামা মাত্র। এমএসপি ঘোষণা করা হয় ২৩টি ফসলের ক্ষেত্রে। আবার এমএসপি ঘোষণার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির বাধ্যবাধকতা নেই। এমএসপি বিধিবদ্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফসল ক্রয়ের ক্ষেত্রে উদাসীন। এমএসপি অনুযায়ী ফসল ক্রয়ের নিশ্চয়তা চাষির প্রয়োজন। কারণ বাজারে যাতে ফসলের দাম হঠাৎ না পড়ে যায়, সেজন্য সরকার মান্ডির মাধ্যমে কিছুদিন ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল কেনে - এটাকে বলে ‘প্রাইস স্টেবিলাইজেশন স্কিম’। এর জন্য সরকারের নির্দিষ্ট অর্থ সংস্থান আছে - একে বলে ‘প্রাইস স্টেবিলাইজেশন ফান্ড’। এছাড়া আছে রেশন মারফত চাল কেনার ব্যবস্থা। কিন্তু যে সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে, তাতে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা সরকারকে ফসল বিক্রি করতে পারে না।
চলতি কৃষক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ দাবি - ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র আইনি স্বীকৃতি। আসলে মোদি ও মমতা দেশি-বিদেশি কর্পোরেটদের হাতে কৃষিক্ষেত্রকে তুলে দিতে চায়। কোম্পানিগুলি চায় তারাই ঠিক করুক বাজারে কৃষিজাত ফসলের দাম। এর মানে বড়ো বড়ো কর্পোরেট সংস্থাগুলোই মূলত ফসলের দাম নির্ধারণ করবে। এমএসপি’র আইনি স্বীকৃতি থাকলে তা সম্ভব নয়। এমএসপি’র আইনি স্বীকৃতির অর্থ - সরকার ফসল এমএসপি’তে কিনবে এবং এমএসপি’র বাইরে ফসল কেনাকে বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করতে হবে। এমএসপি নিয়ে আইন তৈরি হলে সরকারের পক্ষে ইচ্ছেমতো আইন পালটে ফেলে এমএসপি’কে বাতিল করতে পারবে না।
মোদি মিডিয়া গত এক বছর ধরে একটা প্রচার তুলেছে। বলছে এমএসপি’র সুবিধা পায় মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক। শান্তাকুমার রিপোর্টে বলা হয়েছিল - ২০১২-১৩ সালে দেশের মোট কৃষক পরিবারের ৫.৮ শতাংশ কৃষক ধান ও গম বিক্রি করেছিল। এ তথ্য থেকে এটা কখনই বলা উচিত নয় মাত্র ৬ শতাংশ কৃষক এমএসপি’র সুবিধা পান। কারণ ২৩টি ফসলের ওপর এমএসপি চালু আছে। ফলে ৬ শতাংশ নয়, অনেক বেশি চাষি সরকারি সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এমএসপি’তে তাদের ফসল বিক্রয় করে।
সরকার যখন এমএসপি’তে ফসল কেনে তখন খোলাবাজারে ফসলের দামও বাড়ে, যার সুবিধা কৃষক পায়। যদি প্রকৃতই কৃষকবন্ধু সরকার হয় তাহলে সরকার সমস্ত কৃষকের কাছ থেকে ফসল কিনে সরকারি দোকান তৈরি করে সেখান থেকে ফসল বিক্রয় করবে। এতে কৃষকের বিক্রির নিশ্চয়তা থাকবে।
সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেই চলেছে। সরকার ২৩টি ফসলের জন্য এমএসপি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সরকারি মান্ডিগুলিতে তো স্থির এমএসপি মূল্যে সরকার প্রধানত কয়েকটি ফসল সংগ্রহ করে। ফলে ২৩টি পণ্যের বাজারমূল্য সাধারণত ঘোষিত এমএসপি’র থেকে অনেক কম। এই কারণে সরকার যে সব পণ্য ক্রয় করে না সেসব কৃষকদের কম দামে বিক্রি করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না।
স্বামীনাথন কমিশনের এমএসপি বিষয়ে সুপারিশগুলি ছিল নিম্নরূপ -
(ক) কৃষকদের উৎপাদনভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা, যাতে তারা সরাসরি উপভোক্তাদের কাছে উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করতে পারে।
(খ) ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। ধান এবং গম ছাড়াও অন্যান্য ফসলের জন্য এমএসপি চালু করা।
(গ) ন্যূনতম সংগ্রহ এমনভাবে নির্ধারণ করা যেন তা গড় উৎপাদন খরচের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি হয়।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকারে আসলে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করবে। কিন্তু গত সাত বছরের অভিজ্ঞতা হলো, ফসলের সরকারি ক্রয় খুব কম ও কৃষকরা এমএসপি’র থেকে অনেক কম দামে ফসল বিক্রয় করতে বাধ্য হন। কৃষকের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে অস্বীকার করা হচ্ছে।
সংযুক্ত কিষান মোর্চা খুব সঠিকভাবেই দাবি তুলেছেঃ ‘‘সব কৃষককে তাদের সব কৃষিজাত পণ্যের জন্য চাষের সম্পূর্ণ খরচের উপর ভিত্তি করে (সি ২%+৫০%) ন্যূনতম সহায়কমূল্য পাওয়ায় একটি আইনি অধিকার দিতে হবে। যাতে দেশের প্রতিটি কৃষক তাদের সব ফসল কমপক্ষে সরকার দ্বারা ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বিক্রি হওয়ার নিশ্চয়তা পায়’’।
কৃষি ও কৃষকের প্রশ্নে মোদি ও মমতা উভয়েই মিথ্যাচার করে চলেছেন। মোদি বারবার বলছেন, চাষির রোজগার দ্বিগুণ করবেন আর মমতা ব্যানার্জি বলেছেন তিনি নাকি তিন গুণ করে দিয়েছেন। বাস্তবটা কী? পশ্চিমবাংলায় চাষির থেকে ধান কেনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির জন্য সহায়তা প্রদান, বৃদ্ধ চাষির পেনশন প্রদান, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের অনুদান - এই চারটি খাতে ২০১৯-২০ সালে কৃষকের কাছে মাত্র ৯৭৭.৭ কোটি টাকা গিয়েছে। অর্থাৎ সব কৃষক সব প্রকল্পের সুযোগ পাননি।
২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কৃষকদের ভালো ভালো কথা বলেছিল। নিচের তথ্যটির দিকে তাকালে বোঝা যায় আসলে তৃণমূল মিথ্যাচার করে চলেছে।
কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষকদের নিয়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন পরিচালিত হবে। আওয়াজ উঠেছে - দয়া বা করুণা নয়, কৃষকের চাই অধিকার।