E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ২৫ সংখ্যা / ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ / ২২ মাঘ, ১৪২৭

বিধানসভায় কৃষি আইন সম্পর্কিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় সুজন চক্রবর্তী


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কৃষক স্বার্থবিরোধী কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী কেন্দ্রের আইন বাতিলের পাশাপাশি রাজ্যের তৈরি কৃষক স্বার্থবিরোধী আইন বাতিলের দাবিও সোচ্চারে তুলে ধরেন। ২৮ জানুয়ারি অনেক টালবাহানার পর রাজ্য বিধানসভায় এ সম্পর্কে প্রস্তাব আনা হয়। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে বিস্তর বাক্‌বিস্তার করলেও তাঁর সরকারের ২০১৪ সালে তৈরি কৃষক স্বার্থবিরোধী আইন সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।

সরকার পক্ষের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও বেশ কয়েকটি সংশোধনী জমা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং সিপিআই(এম) বিধায়ক প্রদীপ সাহা। তাঁরা কেন্দ্রের আইন বাতিলের দাবির পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় একইরকম কৃষক বিরোধী আইনটিও বাতিলের দাবি জানান। সুজন চক্রবর্তী তাঁর ভাষণে কেন্দ্রের কৃ‍‌ষি আইনের সর্বনাশা দিকগুলো উল্লেখ করার পাশাপাশি ২০১৪ সালে রাজ্য সরকারের তৈরি ‘দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০১৪’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং অ্যাক্ট ২০১৭’-এর কৃষক স্বার্থবিরোধী নানা দিক তুলে তা ধরে বাতিলের দাবি জানান। তিনি স্পষ্টতই বলেন, ২০২০ (আইন) বাতিলের দাবি আমাদের সবার। ২০১৪ এবং ২০১৭ (রাজ্য সরকারের আইন) তাকেও বাতিল করা হোক।

তিনি ২০১৪ সালে রাজ্য সরকারের তৈরি আইনের একটি অংশের উল্লেখ করে বলেন, ‘দেশীয় একচেটিয়া পুঁজির হাত ধরে পিছনের রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করবে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি, তারাই বেচে খাবে’। ...তা যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা ২০১৪ কেন বাতিল করছি না? ২০২০ আমরা বাতিল করব, এটাও বাতিল করতে হবে।

প্রসঙ্গত, এদিন কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী আইন বাতিলের দাবিতে আরেকটি বেসরকারি প্রস্তাব বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে ২০১৪ সালের আইনটি বাতিলের দাবিতে একটি সংশোধনী জমা দেওয়া হয়েছিল। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কোনোটিরই অনুমতি দেননি।

সুজন চক্রবর্তী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, আমাদের দে‍‌শের শ্রমশক্তির ৪৩.৩ শতাংশ হচ্ছে কৃষিজীবী - ব‍‌ড়ো ছোটো সব মিলিয়ে। এই আন্দোলনটা শুধুমাত্র বড়ো কৃষকদের, মাঝারি কৃষকদের, ছোটো কৃষকদের এইভাবে চিহ্নিত না করে এটা সার্বিকভাবে কৃষকদের লড়াই, অধিকার রক্ষার লড়াই। সার্বিকভাবে আমি মনে করি নিশ্চয় সবাই সহমত হবেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার যে লড়াই তার সঙ্গে এটা যুক্ত। ...এই লড়াই ফিনান্স ক্যাপিটালের বিরুদ্ধে, কার্যত কর্পোরেট পুঁজির বিরুদ্ধে। আমাদের দে‍‌শের সমস্ত ধরনের কৃষকদের একটা ঐক্যবদ্ধ লড়াই। ...এই লড়াইটা হচ্ছে অর্ডিন্যান্স জারির সময় থেকে। অর্ডিন্যান্সটা জারি হলো জুন মাসে, যখন লকডাউন চলছে। লক্ষ লক্ষ কৃষক সেই লড়াইয়ে যুক্ত হলেন। সেই আন্দোলন চলতে চলতে শীতের মধ্যে যেভাবে তাঁরা লড়াইতে আছেন, আমরা সবাই জানি, অভিভূত হতে হয়। তারপর কৃষক প্যারেড, আমিতো মনে করি এনভায়রনমেন্টাল ক্রিমিনাল বলসোনারো (ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট)-কে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে নিমন্ত্রণ করা আমাদের মর্যাদা বাড়ায় না। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে বস্তুত পক্ষে অতিথি ছিলেন আমাদের কৃষক প্যারেডের বন্ধুরা। তাঁদের মনোভাব ছিল তাঁরা রাজাতন্ত্র চান না, তাঁরা রানিতন্ত্র চান না। তাঁদের মূল কথা হচ্ছে প্রজাতন্ত্র ফিরিয়ে দাও। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকতেই হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, দিল্লিতে রয়েছে একটা উগ্রজাতীয়তাবাদী সরকার, যারা সাম্প্রদায়িক ও কর্পোরেট শক্তিকে ঐক্যবদ্ধকরে ক্ষমতায় রয়েছে। তারা উদার অর্থনীতির গহ্বরে দেশটাকে ফেলছে। দেশীয় কর্পোরেট এবং তার পিছনে বিদেশি বহুজাতিক সংস্থা দে‍‌শের সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে একের পর এক দখল নিতে চাইছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলি দেশের শিল্পক্ষেত্র, ব্যবসাক্ষেত্র, খনিগুলো দখলের পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রও যে দখল নিতে চাইছে তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষিক্ষেত্রকে দখল করার বিরুদ্ধে, জমির ফসল, জমির চাষ, কৃষক তাঁর লড়াই, সেই লড়াইটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে। নাহলে দেশি কর্পোরেটদের হাত ধরে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থা আমাদের দেশে কৃষিক্ষেত্রে ঢোকার সুযোগ নেবে। তাকে ঠেকানোটা জরুরি। কৃষিক্ষেত্রে এবং বিপণনে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল, সেগুলো উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পেট্রোল, ডিজেল যখন বিনিয়ন্ত্রিত হয় তখন আমরা আপত্তি করেছিলাম, অনেকে বোঝেননি, তখন ছিল এনডিএ সরকার। সর্বনাশটা এখন আমরা টের পাচ্ছি। বিদ্যুৎক্ষেত্র কার্যত প্রায় বিনিয়ন্ত্রণের মতো বন্দোবস্ত করে আইন করতে চায় দিল্লি। সবাই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।

কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের ফলে কৃষকের যে সর্বনাশ ঘটবে তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, আদানি-আম্বানির হাত ধরে কা‍‌র্গিল আসার জন্য তৈরি হয়ে আছে। বিশ্ব বহুজাতিক ক্ষেত্র চায় ওদের পছন্দমতো চাষ। যেখানে ওদের লাভ বেশি হবে। কৃষকের পছন্দে চাষ নয়। যা মূলত হবে চুক্তি চাষ এবং খুশিমতো দাম। দামের নিয়ন্ত্রণ এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) ওরা চায় না। সেই মনোভাব থেকেই চায় এমএসপি বাতিল করতে। সেইসঙ্গে চায় খুশিমতো মজুত করতে। চায় আরও বেশি মুনাফা। সেই মনোভাব থেকেই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন করে মজুতদারি ও কালোবাজারি রোখার যে আইন ছিল তা বাতিল করতে চায়। এতে বিপদ বাড়বে কৃষকের, উৎপাদনের সমস্যা হবে এবং যেভাবে পরনির্ভরশীলতা বাড়বে তাতে কৃষকের বিপদ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। দে‍‌শের মানুষ, কৃষক সমাজের যাতে সর্বনাশ হয় এবং আদানি-আম্বানিদের পৌষ মাস হয় - সেই লক্ষ্যেই চলছে দিল্লির সরকার। এনডিএ-র আমল থেকেই এই প্রচেষ্টা চলছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী তখন প্রধানমন্ত্রী। সেই সরকারে তৃণমূলও ছিল।

তিনি উল্লেখ করেন, কোভিডের সময়ে মানুষ যখন বিপদে তখন গায়ের জোরে, জবরদস্তি দেশের সংসদীয় রীতিনীতিকে খুন করে ২০২০-র সেপ্টেম্বরে তিনটি কৃষি বিল পাস হয়ে গেল। শ্রমিকের সর্বনাশ করার জন্য শ্রম কোড তৈরি করলো কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুন মাসে অর্ডিন্যান্স জারির পর থেকে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে আমাদের এখানে প্রতিবাদ করার সুযোগ ছিল, আমরা করিনি। পাঞ্জাব, কেরালা, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভা ডেকে এই আইনের বিরোধিতা করে প্রস্তাব এনেছে। আমি এবং মান্নান সাহেব (আবদুল মান্নান) যৌথভাবে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সুজন চক্রবর্তী ক্রোনোলজি বোঝাতে গিয়ে তুলে ধরেন, কেরালা সরকার এই সময়ে ১৫টা পণ্যের ওপর ন্যূনতম সহায়কমূল্য ধার্য করেছে এবং তা প্রতিষেধকমূলক হিসেবে চালু করে দিয়েছে। পাঞ্জাবে ‘স্পেশাল প্রোভিশন ফর পাঞ্জাব’ বলে তিনটি নির্দিষ্ট বিল পাস করানো হয়েছে। এভাবে চলতে চলতে ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে সর্বভারতীয় ধর্মঘট হয়েছে। ৮ডিসেম্বর সংযুক্ত কিষান মোর্চা কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় ধর্মঘট করেছে। এরপর ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে অভূতপূর্ব কিষান প্যারেড।

রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব নিতে কেন পাঁচ মাস সময় নষ্ট করল সেই প্রশ্ন তুলে উল্লেখ করেন যে, তিনি সরকারের আনা প্রস্তাবের মূল স্পিরিটটা সমর্থন করছেন, কিন্তু তা আংশিক। কারণ এর আরও একটি অংশ আছে যা তিনি তার দেওয়া অ্যামেন্ডমেন্টের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। তা গ্রহণ করা না হলে প্রস্তাবটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই সূত্রেই তিনি বলেন, আমি অ্যামেন্ডমেন্ট দিয়েছি যে, রাজ্যের অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে। সংবিধানে সপ্তম তপশিলে কৃষি, খাদ্য, বাজার ইত্যাদি রাজ্য তালিকাভুক্ত। রাজ্যের তালিকাভুক্ত বিষয়ে দিল্লি আইন করেছে, রাজ্যগুলোর মত নেয়নি, বিধানসভার অনুমোদন নেয়নি। এ‍‌ই ব্যাপারে আমাদের প্রতিবাদ নেই কেন? প্রস্তাবে কেন এটা উল্লেখ করা হলো না? এটা কি দ্বিচারিতা মনে হবে না? তিনি স্পষ্টতই বলেন, ২০২০ সালের কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে আপত্তি করতে হলে ২০১৪ সালের রাজ্যের আইন নিয়েও আপত্তি করা উচিত। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৭ সালের আইন নিয়ে ১৮০ডিগ্রি ঘুরে যাওয়া হলো - যেটি হলো অ্যাগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং রেগুলেশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০১৪, পরে যা ২০১৭ সালে অ্যামেন্ডমেন্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় আইনের যে মূল জায়গাগুলোয় আপত্তি জানানো হয়েছে, তাতে আমরা সহমত পোষণ করি। ব্যক্তি, কোম্পানি, কর্পোরেট সেক্টর সরাসরি কৃষিপণ্য কিনবে। মজুতদারি, কালোবাজারি করবে - তা কিছুতেই মানা যাবে না। এই আইনে এমএসপি-র নিশ্চয়তা নেই। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ নেই। সারা দেশজুড়ে আমরা এর বিরোধিতা করছি। ২০১৪ সালের আইনে একইভাবে মাঠে ফসল কেনার অধিকার বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। যেকোনো ব্যক্তি, যেকোনো কোম্পানি, সংস্থা, এজেন্সি সরাসরি কৃষিপণ্য কিনতে পারবে। সেকশন টু ক্লজ থ্রি, সিএ, সিবি দেখে নিন। এই আইনেই কমিশন এজেন্ট নিয়োগের অধিকার দেওয়া হয়েছে ক্রেতাকে দেখে নিন। সেকশন টু ক্লজ ফোর ডি ছোটো ছোটো আইন, কেন্দ্রীয় আইনের মতো, ই-ট্রেডিং, বিদেশে বসে সেখানকার সংস্থা পিছনের দরজা দিয়ে অধিকার পাবে।

তিনি বলেন, রাজ্যের আইনে এমএসপি নিয়ে একটি কথাও নেই। ইচ্ছামতো ফসল কেনা যাবে। মানে কারও কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। তিনি কৃষি বিপণন মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, এবছর কুইন্টাল প্রতি ধানের এমএসপি কত? হয়ত জানা নেই। ১৮৮৮ টাকা - ১৮৬৮ প্লাস ২০ টাকা বোনাস। এখানে সবাই আমরা এমএলএ-রা রয়েছি। গ্রামে থাকি। কোন্‌ কৃষক ১৮৮৮ টাকাতে ধান বিক্রি করতে পেরেছে? ১২০০, ১১৫০, ১৩০০ টাকা কুইন্টালে কেন ধান বিক্রি করতে হয়েছে? কেরালায় এমএসপি নিয়ে নতুন করে আইন করা হয়েছে, ২৭৬০ টাকা প্রতি কুইন্টাল। ওরা পারলে আমরা কেন পারব না?

তিনি ২০২০-র কেন্দ্রীয় আইনের সেকশন টুএ-র সাথে ২০১৪-র রাজ্যের আইনের সেকশন টু ফাইভ ইসি; ২০২০ সালের আইনের সেকশন টুডি-র সাথে ২০১৪-র টু টেন, এমডি এবং ২০২০-র টু সি বাই ওয়ান-এর সঙ্গে টু ওয়ান এ ইত্যাদি সেকশনের মিল প্রসঙ্গে বলেন, একই জায়গা থেকে এগুলো এসেছে। সিলেক্ট কমিটিতে শাসকদল ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দল নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছিল। তখনই বলা হয়েছিল এটা সংশোধনী দিয়ে হবে না, গোটা স্পিরিটটাই সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সেই সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। তখনই বলা হয়েছিল কর্পোরেট, বহুজাতিক সংস্থা, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ইত্যাদি উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে।

পরিশেষে তিনি বলেন, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ২০২০-র আইন করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যেমন এমএসপি নেই, তেমনি ২০১৪ সালের আইনেও নেই। তাহলে ২০২০ সালের আইনে যে যে কারণে বিরোধিতা করে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে, সেই কারণগুলির জন্য ২০১৪-র আইনকেও মেনে নেওয়া যায় না। এমনকি আজকের যে প্রস্তাব তার ক্লজের পর ক্লজ তুলে দেখাব যে, এটা মানা যায় না। সেই কারণে যুক্তিসঙ্গত উপসংহার হলো - ২০২০ সালের আইন বাতিলের দাবি আমাদের সবার। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের রাজ্যের আইনও বাতিল করা হোক।