৫৮ বর্ষ ২৯ সংখ্যা / ৫ মার্চ, ২০২১ / ২০ ফাল্গুন, ১৪২৭
দেশের স্বার্থে বিজেপি’কে, রাজ্যের স্বার্থে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে
ডি রাজা
সিপিআই’র সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা ব্রিগেডের বিপুল জনসমাবেশ সম্পর্কে বলেন, এই সমাবেশ দেশের স্বার্থে কেন্দ্র থেকে বিজেপি-কে হঠাতে, বাংলার স্বার্থে তৃণমূলকে এ রাজ্যের শাসন ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য মানুষের সমাবেশ। তিনি বলেন, আমাদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো দেশকে বাঁচানো, দেশের সংবিধানকে বাঁচানো। ব্রিগেডের মহাসমাবেশ ও জনজোয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট বিজেপি এবং স্বৈরাচারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিকল্প সংযুক্ত মোর্চার জোট সরকার চাইছে। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে দেশ হলো ধর্মনিরপেক্ষ, কল্যাণকামী রাষ্ট্র। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ দেশের সংবিধানকে মানে না। বিজেপি-আরএসএস হিন্দু ফ্যাসিস্ট শক্তি যারা ভারতের ভারসাম্য নষ্ট করছে।
এরা ব্রিটিশের চরবৃত্তি করত। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হবার ১ বছর পর গান্ধীকে হত্যা করল বিজেপি’র পূর্বসূরিরা। আর এরা আমাদের দেশপ্রেম শেখাতে আসে! আর সেই জন্যই এরা সাম্রাজ্যবাদের দোসর। কর্পোরেটের স্বার্থে কাজ করে। ভোটের স্বার্থে বাংলায় এসে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে নাটক করে মোদী-অমিত শাহ’রা।
রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলায় তৃণমূল সরকারের ১০ বছরের ইতিহাসও ন্যক্কারজনক। এরা মোদীর মতোই মনে করে রাজ্যে একটিমাত্র দল থাকবে। এরা বদল নয়, বদলার রাজনীতি করেছে, দলতন্ত্র কায়েম করেছে। তাই সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং স্বৈরাচারী তণমূলের বিরুদ্ধে এই জনজোয়ার পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বিকল্পকেই আহ্বান জানাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের আসন্ন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিজেপি’র হারের ধারা শুরু হবে। এ রাজ্যে গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানুষের অধিকারের স্বার্থে পরাস্ত করতে হবে তৃণমূলকে। জয়ী করতে হবে সংযুক্ত মোর্চাকে।