৬০ বর্ষ ৩৮ সংখ্যা / ৫ মে, ২০২৩ / ২১ বৈশাখ, ১৪৩০
ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা ও রবীন্দ্রনাথ
সুদিন চট্টোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথ নিজের ধর্ম সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছিলেন, “কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম আমার ধর্ম নয়।... আমি ব্রাত্য, আমি মন্ত্রহীন, আমি পঙ্ক্তিহারা, আমি তোমাদেরই লোক।” তাই বলে রবীন্দ্রনাথ ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাসী হয়ে ‘ধর্মহীন’ও ছিলেন না। উপনিষদে, মহাকাব্যের দর্শনে আপ্লুত হয়ে ভারতের তিন হাজার বছরের জীবন সাধনার সার্থক বাণীবাহক রূপে তাঁর আহ্বান ছিল, “শৃনন্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রাঃ”। বিশ্ব মানবের কোনো ধর্মীয় ও স্বতন্ত্র সাম্প্রদায়িক পরিচয় নেই, তাঁর কাছে সকল মানুষ ‘অমৃতের সন্তান’। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘বিশ্বভারতী’ও মানুষের তৈরি সমস্ত ভেদ এবং ভিন্নতার ঊর্ধ্বে বিশ্ব মানবের একত্রে মিলিত হওয়ার ঠাঁই। “যত্র বিশ্ব ভবত্যেক নীড়ম্”। রবীন্দ্রনাথের ধর্ম ও ঈশ্বর তাই একান্তভাবেই মানবকেন্দ্রিক। রবীন্দ্রনাথের আধ্যাত্মচিন্তা তাঁর কাব্যে, সংগীতে, সাধনায় এবং তাঁর সৃষ্টির কূলে উপকূলে ছড়িয়ে আছে। তা অতলস্পর্শী, অতুলনীয়, গভীর মানবপ্রেমের চিরন্তন প্রবাহ। তাঁর ধর্ম, ঈশ্বর বা আধ্যাত্মবাদ মানুষকেই ‘দেব সিংহাসনে’ স্থাপন করেছে। তাই দেবতার আলাদা আসন নিয়ে টানাটনিকে তিনি বরদাস্ত করেননি।
রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বর মুক্তির মন্ত্রের জন্য নয়, আত্মসুখের আকাঙ্ক্ষার জন্য নয়, বিপদ শোক ও দুঃখের নিবৃত্তির জন্যও নয়। তাঁর ঈশ্বর সত্যের কঠিন ও দুঃসহ পথে অতন্দ্র অগ্নিশিখায় আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনায়াস অকম্পিত আহ্বান।
বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার অনুসরণে আজ আমরা স্পষ্ট জেনেছি, সভ্যতার বিবর্তনের পথ বেয়ে ভয় ও অনিশ্চিত জীবন যাপন ‘ধর্ম’ নামক এক অস্ফুট বোধের জন্ম দেয়। আরও পরে ভীতি ও নির্বোধ বিশ্বাস বাড়তে থাকে, উদ্ভব হয় ‘ধর্মগুরু’দের, জন্ম হয় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের, ভাগাভাগি হয় উদারতার আকাশ। স্বার্থান্বেষী মানুষ ধর্মকে ক্ষুদ্র, খণ্ড, শতধা বিচ্ছিন্ন করে তার অস্তিত্ব বিপন্ন ও তাকে অপ্রয়োজনীয় ও অনিষ্টকর করে তোলে। ধর্মকে ভাগ করে বিদ্বেষ বিতরণের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘নৈবেদ্য’র ৫০ নম্বর কবিতায় স্পষ্ট করেই তাঁর মনের কথা বলেছেনঃ
“তোমারে শতধা করি ক্ষুদ্র করি দিয়া
মাটিতে লুটায় যারা তৃপ্ত-সুপ্ত-হিয়া,
সমস্ত ধরণী আজি অবহেলাভরে
পা রেখেছে তাহাদের মাথার উপরে।”
এরা ধর্মকে কৌশলী দর্জির মতো নিজের নিজের মাপ অনুযায়ী কেটে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারায় অন্যকে তার বাইরে রেখে বিশ্বব্যাপী ঘোর অন্ধকার ও অরাজকতা তৈরি করে চলেছে। রবীন্দ্রনাথের তাই দুর্ভাবনা, “কিন্তু এমনি আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই ধর্মকেই মানুষ সংসারের সর্বাপেক্ষা জটিলতা দ্বারা আকীর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। তাহা অশেষ তন্ত্রে-মন্ত্রে, কৃত্রিম ক্রিয়াকর্মে, জটিল মতবাদে, বিচিত্র কল্পনায় এমনি গহন দুর্গম হইয়া উঠিয়াছে যে, মানুষের সেই স্বকৃত অন্ধকারময় জটিলতার মধ্যে প্রত্যহ এক-একজন অধ্যবসায়ী এক-এক নূতন পথ কাটিয়া নব নব সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করিতেছে। সেই ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় ও মতবাদের সংঘর্ষে জগতে বিরোধ-বিদ্বেষ অশান্তি-অমঙ্গলের আর সীমা নাই।”
রবীন্দ্রনাথ নাস্তিক নন, তাঁর ধর্মবোধ সংকীর্ণতা মুক্ত মানবতার উদ্বোধন, ক্ষুদ্র ‘আমি’ থেকে বৃহৎ ‘আমি’তে উত্তরণ। তবু ধর্মের নামে এই যে উন্মত্ত আচার সর্বস্বতা ও নির্বিকার নরমেধ, তার চেয়ে নাস্তিকতাকে তিনি অনেক শ্রেয় মনে করেছেন। কারণ নাস্তিকেরা ধর্মের আড়ালে বিচারের পথ রুদ্ধ করে মানব মঙ্গলকে বিপন্ন করে না, প্রতিহত করে না সত্যের ও মুক্তির পথঃ
“নাস্তিক সেও পায়ে বিধাতার বর,
ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর।
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,
শাস্ত্রে মানে না, মানে মানুষের ভালো।”
।। দুই ।।
আমাদের দেশে হিন্দু মুসলমানের বিরোধ রবীন্দ্রনাথকে সবসময়েই ব্যথিত করেছে। তিনি এই আত্মঘাতী সাম্প্রদায়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজেছেন জীবনভর। সেই কবে, তাঁর যৌবনকালে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, “যে-দেশে প্রধানত ধর্মের মিলেই মানুষকে মেলায়, অন্য কোনো বাঁধনে তাঁকে বাঁধতে পারে না, সে-দেশ স্বয়ং ধর্মকে দিয়ে যে-বিভেদ সৃষ্টি করে সেইটে সকলের চেয়ে সর্বনেশে বিভেদ।” মনুষ্য-সৃজিত এই হিন্দু-মুসলমান বিভেদকে তিনি অন্যায় এবং পাপ বলে চিহ্নিত করে লিখেছেন, ‘এ পাপ অনেক দিন হইতে চলিয়া আসিতেছে।’ ১৩১৪ বঙ্গাব্দে প্রবাসী পত্রিকায় তাঁর অন্তর্ভেদী নিবেদন, “আমরা এক দেশে এক সুখদুঃখের মধ্যে একত্রে বাস করি, আমরা মানুষ, যদি এক না হই তবে সে লজ্জা, সে অধর্ম।” এই বছরেই পাবনায় ভারতীয় কংগ্রেসের প্রাদেশিক সম্মিলনীতে সভাপতির ভাষণে তিনি আবার হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক বিরোধের উল্লেখ করে সমবেত রাজনীতিকদের বললেন, “এদিকে একটা প্রকাণ্ড বিচ্ছেদের খড়্গ দেশের মাথার উপর ঝুলিতেছে। কত শত বৎসর হইয়া গেল, আমরা হিন্দু ও মুসলমান একই দেশমাতার দুই জানুর উপরে বসিয়া একই স্নেহ ভোগ করিতেছি। তথাপি আজও আমাদের মিলনে বিঘ্ন ঘটিতেছে।” তিনি আক্ষেপ করে বললেন, আমরা কথায় কথায় শাস্ত্রের দোহাই পাড়ি “অথচ শাস্ত্রে হিন্দু-মুসলমান সম্বন্ধে পরস্পরকে এমন করিয়া ঘৃণা করিবার তো কোনো বিধান দেখি না।” অতঃপর দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখাবার জন্য যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মিলিত হয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “মানুষকে ঘৃণা করা যে দেশে ধর্মের নিয়ম, প্রতিবেশীর হাতে পানি খাইলে যাহাদের পরকাল নষ্ট হয়,... (সে দেশে) স্বদেশ-জাতি-স্বরাজ্যের প্রতিষ্ঠা কোনোদিন হইবে না।”
সংঘর্ষ... রক্তাক্ত দাঙ্গা, নারকীয় হত্যা, হানাহানি ও হাহাকারে রুদ্ধ বিচারের পথ। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ৩১ বৈশাখ দাঙ্গায় জ্বলছে কলকাতা, কবি ফিরছেন হাওড়া থেকে বোলপুরে, রেলের কামরায় চিন্তাক্লিষ্ট, ব্যথায় বিধ্বস্ত কবি রচনা করলেন ‘ধর্মমোহ’ কবিতাঃ
“বিধর্ম বলি মারে পরধর্মেরে,
নিজ ধর্মের অপমান করি ফেরে,
পিতার নামেতে হানে তাঁর সন্তানে,
আচার লইয়া বিচার নাহিকো জানে,...”
এই যে আচারে বন্দি ‘ধর্ম’, রবীন্দ্রনাথ তার থেকে মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন, ভাঙতে বলেছিলেন সে পূজার বেদিঃ
“যে পূজার বেদি রক্তে গিয়েছে ভেসে
ভাঙো ভাঙো, আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে -
সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রচলিত ধর্মের এই হৃদয়হীন পাষাণবদ্ধ কারাগার থেকে তিনি মানুষের মুক্তি চেয়েছেন, ভেঙে চুরমার করার ডাক দিয়েছেন কপটতায় ক্লিন্ন সব ঈশ্বরের ভজনালয়। একমাত্র শিক্ষা ও বিচারবোধই পারে অন্ধকারে আচ্ছন্ন সময়ের ভয়াবহ আবরণ মোচন করে আলোর আশীর্বাদ আনতেঃ
‘‘ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো,
এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো।’’
এই উন্মত্ত আচরণকে রবীন্দ্রনাথ ‘ধর্ম’ বলেন না, তাঁর মতে এ হলো বিকারগ্রস্ত ‘ধর্মতন্ত্র’। ‘কালান্তর’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ ধর্ম আর ধর্মতন্ত্রের পার্থক্য বুঝিয়েছেন নিবিড় যুক্তিপরম্পরায়ঃ ‘‘ধর্ম বলে, মানুষকে যদি শ্রদ্ধা না কর তবে অপমানিত ও অপমানকারী কারও কল্যাণ হয় না। কিন্তু ধর্মতন্ত্র বলে, মানুষকে নির্দয়ভাবে অশ্রদ্ধা করিবার বিস্তারিত নিয়মাবলী যদি নিখুঁত করিয়া না মান তবে ধর্মভ্রষ্ট হইবে।...ধর্ম বলে, অনুশোচনা ও কল্যাণ কর্মের দ্বারা অন্তরে বাহিরে পাপের শোধন। কিন্তু ধর্মতন্ত্র বলে, গ্রহণের দিনে বিশেষ জলে ডুব দিলে, কেবল নিজের নয়, চোদ্দপুরুষের পাপ উদ্ধার।’’
১৯৩০-এ রাশিয়া ঘুরে আসার পর, প্রচলিত ধর্ম ও ধর্মতন্ত্রের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের আরও দৃঢ়ও শক্তিশালী অবস্থান আমরা লক্ষ করলাম। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন, “...পুরাতন ধর্মতন্ত্র এবং পুরাতন রাষ্ট্রতন্ত্র বহু শতাব্দী ধরে এদের (রুশদের) বুদ্ধিকে অভিভূত এবং প্রাণশক্তিকে নিঃশেষপ্রায় করে দিয়েছে; এই সোভিয়েট-বিপ্লবীরা তাদের দুটোকেই দিয়েছে নির্মূল করে। এত বড়ো বন্ধন জর্জর জাতিকে এত অল্পকালে এত বড়ো মুক্তি দিয়েছে দেখে মন আনন্দিত হয়।”
তারপর অসাধারণ মুক্ত মন ও যুক্তিবাদের প্রয়োগে ধর্মের সঠিক পরিচয় তুলে ধরলেন, “এ-পর্যন্ত দেখা গেছে, যে রাজা প্রজাকে দাস করে রাখতে চেয়েছে সে রাজার সর্বপ্রধান সহায় সেই ধর্ম যা মানুষকে অন্ধ করে রাখে। সে ধর্ম বিষকন্যার মতো; আলিঙ্গন করে সে মুগ্ধ করে, মুগ্ধ করে সে মারে।”
১৯৩৪ সালে একই কথা লিখেছিলেন হেমন্তবালা দেবীকে, “যে বাহ্য আচার মানুষে মানুষে ভেদ ঘটিয়ে প্রাচীর তুলে বেড়ায়, মানবপ্রেমকে, ঈশ্বরদত্ত বুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে শাস্ত্রের অক্ষর বাঁচাবার জন্যে খুনোখুনি করতেও অগ্রসর হয় তাকে বর্জন করে নাস্তিক অধার্মিক পদবী নিতে আমার কোনো সংকোচ নেই।”
আমাদের দেশে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, মুসলমান সংখ্যায় লঘু, শিক্ষায় পশ্চাৎপদ ও সুযোগে বঞ্চিত। এ অবস্থায়, হিন্দুর সামাজিক কর্তব্য ছিল তাদের আগলে রাখা এবং এগিয়ে দেওয়া, এ ভাবনা রবীন্দ্রনাথের। তিনিই লিখেছেন, “আমরা যে মুসলমানদের... যথার্থ হিতৈষী তাহার কোন প্রমাণ দিই নাই। অতএব তাহারা আমাদের হিতৈষিতায় সন্দেহ করিলে তাহাদিগকে দোষী করা যায় না।... আমাদের মনের মধ্যেও যে তাহাদের প্রতি ভ্রাতৃত্ব ভাব অত্যন্ত জাগরূক - আমাদের ব্যবহারে এখনো তাহার কোনো প্রমাণ নাই।’’ খুব খোলাখুলি তিনি নির্মম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন এই বলে যে, স্বদেশের আন্দোলনে আমরা মুসলমানদের ডাক পাঠিয়েছিলাম প্রয়োজনের তাগিদে, অন্তরের আবেগে নয়। “স্বদেশীযুগে আমরা দেশের মুসলমানদের...ভাই বলিয়া ডাকাডাকি শুরু করিয়াছিলাম।... একদিনের জন্যও ভাবি নাই, আমাদের ডাকের মধ্যে গরজ ছিল কিন্তু সত্য ছিল না...। বাংলার মুসলমান যে এই বেদনায় আমাদের সাথে সাথে এক হয় নাই তাহার কারণ তাদের সাথে আমরা কোনোদিন হৃদয়কে এক হইতে দিই নাই।’’
রবীন্দ্রনাথ আজীবন বিশ্বাস করেছেন, বলেছেন এবং লিখেওছেন, হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ, বিতর্ক ও বিবাদ দূর হতে পারে শিক্ষার প্রসার এবং সামাজিক মেলামেশা, চেনাজানা ও সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যে দিয়ে।
কুসংস্কার, জাতিভেদ, ধর্মানুশাসনে ক্ষত বিক্ষত রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসের গোরা কঠিন দুঃখের মধ্যে দিয়েই একদিন পরম সত্য আবিষ্কার করেছিল, হিন্দুয়ানির গোঁড়ামির বাঁধ ভেঙে সে ভাসতে পেরেছিল ভারতীয়ত্ব ও বিশ্বমানবতার প্লাবনে...
পরেশবাবুর পদতলে বিনত নম্রতায় গোরার স্বীকারোক্তিঃ “...আজ আমি মুক্ত, পরেশবাবু... আমি যা দিনরাত্রি হতে চাচ্ছিলুম অথচ হতে পারছিলুম না, আজ আমি তাই হয়েছি।” তারপর... “আজ আমি ভারতবর্ষীয়। আমার মধ্যে হিন্দু মুসলমান, খ্রিস্টান কোনো সমাজের কোনো বিরোধ নেই। আজ ভারতবর্ষের সকলের জাতই আমার জাত, সকলের অন্নই আমার অন্ন।… সেই দেবতার মন্ত্র দিন যিনি কেবল হিন্দুর দেবতা নন, তিনি ভারতবর্ষীয়ের দেবতা... ”
কবির দেখানো পথের দিকেই তাকিয়ে আছি আমরা, কবে হিন্দু মুসলমান পরস্পরকে সম্পূর্ণ করে জানবে, অকারণ হিংসা বিদ্বেষ মুছে গিয়ে সকলের পরিচয় হবে ভারতীয়, সকলের দেবতা হবে “ভারতবর্ষীয়ের দেবতা’’...