E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৩৮ সংখ্যা / ৫ মে, ২০২৩ / ২১ বৈশাখ, ১৪৩০

কর্ণাটক নির্বাচন - অপারেশন লোটাস-এর স্বর্গরাজ্যে নড়বড়ে বিজেপি

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


আজ ৫ মে। ঠিক হাতে গোনা ৫ দিনের মাথায় কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন। তার ৩ দিনের মাথায় ফল ঘোষণা। অর্থাৎ, পরের সপ্তাহের শনিবারের আগে জানা যাবে না আগামী ৫ বছর কর্ণাটকে কারা সরকার চালাবে এবং কারা বিরোধী হবে। যদিও আমাদের দেশের বর্তমান ধারা অনুসারে নির্বাচনে জিতলেই যে পাঁচ বছর সরকার চালানো যাবে এমনটা নয়। উদাহরণ দিয়ে শব্দ খরচ করে লাভ নেই। কারণ ঘোড়ার ব্যবসায়ীরা মূল্যবোধের গোড়া ধরে উপড়ে ফেলতে এখন অনেক বেশি সড়গড়। কাঞ্চনমূল্যের ঝনঝনানির সামনে মূল্যবোধের অসহায় আত্মসমর্পণ গত ৮ বছরে আমরা অনেকটাই রপ্ত করে ফেলেছি। এ আর এমনকী গোছের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর, যে ভদ্রমহিলার এইসব বিষয়ে কড়া নজর রাখার কথা, তিনি চোখ বেঁধে হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেই কোন যুগ থেকে। তাঁর পাল্লা কোন দিকে ভারি সেটাও যেমন ক্রমশ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তেমনই তাঁর চোখের পট্টি এখন যে আর কালো নেই, গেরুয়া হয়ে যাচ্ছে সেটা বুঝতেও অসুবিধে হচ্ছে না।

যেহেতু কর্ণাটক নিয়ে কথা হচ্ছিল, অতএব কর্ণাটকে ফিরি। নির্বাচন সেই কর্ণাটকে, যেখানে ‘অপারেশান লোটাস’-এর স্বর্গরাজ্য। নির্বাচন সেই কর্ণাটকে, যেখানে নির্বাচিত সরকারকে হেলায় ভেঙে ফেলে বিজেপি সরকার গঠন করেছে একাধিকবার। নির্বাচন সেই কর্ণাটকে, যেখানে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য মানুষ বাম ট্রেড ইউনিয়নের হাত ধরে আন্দোলনে শামিল হলেও, ভোটের সময় যেখানে বড়ো হয়ে দাঁড়ায় জাতপাতের সমীকরণ। লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগা, মুসলিম, দলিত ইত্যাদি। উত্তর এবং মধ্য কর্ণাটকে লিঙ্গায়েতরা প্রভাবশালী এবং দক্ষিণ কর্ণাটকের ১১ জেলায় প্রভাবশালী ভোক্কালিগারা। পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১৪-১৬ শতাংশ লিঙ্গায়েত এবং ১০-১১ শতাংশ ভোক্কালিগা। যদিও ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে ২২৪ আসনে অর্ধেকের বেশি প্রার্থী এই দুই গোষ্ঠী থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভার ভোটে ৫,২১,৭৩,৫৭৯ জন ভোটারের সিংহভাগ কংগ্রেস, নাকি বিজেপি অথবা জেডি(এস) কোন পক্ষে থাকবে তা জানার জন্য ১৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

বিগত পাঁচ বিধানসভা নির্বাচন

১৯৯৯ থেকে ২০১৮। কর্ণাটক বিধানসভার বিগত পাঁচ নির্বাচনে কংগ্রেস দু’বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ১৯৯৯ এবং ২০১৩। একবারও নির্বাচনী ফলাফলের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি এবং বাকি দু’বার হয়েছে জোট সরকার। যদিও এই দু’বারের জোট সরকার বেশিদিন চলেনি এবং 'অপারেশন লোটাস' করে ক্ষমতা বদল হয়েছে এবং সরকার গড়েছে বিজেপি।

২০০৪-এর নির্বাচনে ২২৪ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৬৫ আসন। বিজেপি পায় ৭৯ আসন এবং ৫৮ আসন পায় জেডিএস। কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ক্ষমতায় বসে। মুখ্যমন্ত্রী হন কংগ্রেসের ধরম সিং। যদিও ২০০৬ সালের শুরুতেই সমর্থন প্রত্যাহার করে জেডিএস এবং বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হন এইচ. ডি. কুমারস্বামী। রফা হয় ২০ মাস তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন এবং ২০ মাস মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি’র ইয়েদিউরাপ্পা। যদিও নির্ধারিত ২০ মাস শেষে ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকার করেন কুমারস্বামী। যার জেরে সরকার পড়ে যায় এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।

পরবর্তী ভোট হয় ২০০৮-এ। যে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৩টি আসন কম, ১১০ আসন পায় বিজেপি। যদিও সেবার ক্ষমতায় বসে বিজেপি এবং বিজেপি'র (৩৩.৮৬ শতাংশ ) থেকে শতাংশের বিচারে ভোট বেশি পেয়েও (৩৪.৭৬ শতাংশ) ৮০ আসনে জয়লাভ করা কংগ্রেস বিরোধী আসনে বসে। এই পর্বে বিজেপি পাঁচ বছর শাসন ক্ষমতায় থাকলেও তিন বার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়। প্রথমবার জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ২০১১ সালে ইস্তফা দেন বি. এস. ইয়েদিউরাপ্পা। মুখ্যমন্ত্রী হন বি. এস. ঘনিষ্ঠ সদানন্দ গৌড়া। এর ১১ মাস পর গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পদত্যাগ করেন গৌড়া এবং মুখ্যমন্ত্রী হন জগদীশ শেট্টার। (এই জগদীশ শেট্টার এবছর বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন এবং এবারও তিনি হুব্বালি-ধারওয়াদ কেন্দ্রের প্রার্থী। যে কেন্দ্রে তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে বিধায়ক। যদিও এবার তিনি কংগ্রেস প্রার্থী।) ২০১৩ সালের নির্বাচনে আবার পালাবদল। এবার ৩৬.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে ১২২ আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। ১৯.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ৪০ আসন পায় বিজেপি এবং ২০.২ শতাংশ ভোট পেয়ে ৪০ আসনে জয়ী হয় জেডিএস।

২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৬.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয় ১০৪ আসনে। ৩৮.১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেস জয়ী হয় ৮০ আসনে এবং ১৮.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জেডিএস জয়ী হয় ৩৭ আসনে। কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার ক্ষমতাসীন হয়। যদিও ২০১৯-এর জুলাই মাসে এই সরকার পড়ে যায় এবং 'অপারেশন লোটাস'-এর পর ক্ষমতাসীন হয় বিজেপি।

২০২৩ নির্বাচন ও জনমত সমীক্ষা

এ তো গেল বিগত নির্বাচনগুলোর কথা। এবারের কর্ণাটক নির্বাচন প্রসঙ্গে একাধিক জনমত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। যেসব সমীক্ষার অধিকাংশের ফলাফল অনুসারে এবার কর্ণাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় ফেরার প্রবল সম্ভাবনা কংগ্রেসের এবং এবারের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান ইস্যু দুর্নীতি। এছাড়াও কর্ণাটকে এইবার যেভাবে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা লক্ষ করা যাচ্ছে তা বিগত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।

অতি সম্প্রতি 'ইন্ডিয়া টুডে-সি ভোটার'-এর সমীক্ষা জানিয়েছে, বিজেপি এই নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে পেতে পারে ৭৪-৮৬ আসন। যা আগেরবারের চেয়ে ২৪টি কম। ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা ১০৭ থেকে ১১৯ আসন। কংগ্রেসের লাভ হতে পারে ৩৩টি আসন। জেডি(এস) ১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হতে পারে ২৩ থেকে ৩৫টি আসনে।

এই সমীক্ষা অনুসারেই ৪২ শতাংশ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়াকে এবং ৩১ শতাংশ মানুষ চাইছেন বিজেপি’র বাসবরাজ বোম্মাইকে। এনডিটিভি-র করা ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে চাইছেন’ এই সমীক্ষাতে সিদ্দারামাইয়া পেয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোট, বাসবরাজ বোম্মাই পেয়েছেন ২২ শতাংশ ভোট, কুমারস্বামী পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট, বি. এস. ইয়েদিউরাপ্পা পেয়েছেন ৫ শতাংশ এবং ডি. শিবকুমার পেয়েছেন ৪ শতাংশ ভোট।

'টিভি৯-সি ভোটার'-এর সমীক্ষা অনুসারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেস পেতে পারে ১০৬ থেকে ১১৬ আসন। ৩৩.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি পেতে পারে ৭৯ থেকে ৮৯ আসন এবং ১৮.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জেডিএস পেতে পারে ২৪ থেকে ৩৪ আসন।

'লোক পোল'-এর করা সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে ৩৯ থেকে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেস পেতে পারে ১২৮ থেকে ১৩১ আসন, ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি পেতে পারে ৬৬ থেকে ৬৯ আসন এবং ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জেডিএস পেতে পারে ২১ থেকে ২৫ আসন।

'এনডিটিভি-লোকনীতি-সিএসডিএস' সমীক্ষার ফলাফল জানাচ্ছে, ৫৯ শতাংশ মনে করেন বিজেপি সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পরিবারতন্ত্রে জড়িত দল। ৫৫ শতাংশ মনে করেন বিজেপি-তে গোষ্ঠীকোন্দল বেশি। অন্যদিকে ৪৭ শতাংশ মনে করছেন উন্নয়নের প্রশ্নে এগিয়ে কংগ্রেস, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশ্নে ৪৯ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে ভোক্কালিগাদের মধ্যে যথাক্রমে ৩৪ এবং ৩৬ শতাংশ ভোটার কংগ্রেস এবং জেডি(এস)-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। লিঙ্গায়েতদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি’র প্রতি। অন্যদিকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৯ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসের প্রতি।

ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যেও এবারের নির্বাচনী জনমত সমীক্ষায় স্পষ্ট বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে। গরিবদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং ২৩ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি-কে। বাকি ২৭ শতাংশের সমর্থন অন্যান্যদের প্রতি। ধনীদের মধ্যে ৩১ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসের প্রতি এবং ৪৬ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি’র প্রতি। বাকি ২৩ শতাংশের সমর্থন অন্যান্যদের প্রতি।

এডিনার করা জনমত সমীক্ষা জানাচ্ছে, এই নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হিসেবে ৬৮ শতাংশ ভোটারের বিবেচনায় প্রথম স্থানে আছে দুর্নীতি। মূল্যবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ৪৭ শতাংশ, বেকারিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ৩৪ শতাংশ, মহিলাদের নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ১৩ শতাংশ, পানীয় জল এবং বিদ্যুতের সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ১৩ শতাংশ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ১২ শতাংশ এবং ১০ শতাংশর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অপরাধ, হিংসা ইত্যাদি।

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে আরও এক সমীক্ষা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল 'বিবিসি'-র নাম দিয়ে। যেখানে দাবি করা হয়েছিল কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৩০ থেকে ১৪২ আসনে জয়লাভ করতে চলেছে। যদিও 'বুম'-এর ফ্যাক্ট চেক জানাচ্ছে বিবিসি এই ধরনের কোনো সমীক্ষা করেনি এবং এই সমীক্ষার ফলাফল হিসেবে যা প্রচারিত হচ্ছে তার সবটাই ভুয়ো।

এবারের নির্বাচনে সিপিআই(এম) প্রার্থী

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই(এম) প্রার্থীরা। এই চারটি আসন হলো বাগেরপল্লি (চিক্কাবল্লাপুরা জেলা), কে আর পুরম (বেঙ্গালুরু আরবান জেলা), গুলবর্গা গ্রামীণ (কালবুরগি জেলা) এবং কে জি এফ (কোলার জেলা)। এর মধ্যে তিনটি আসনে সিপিআই(এম)-কে সমর্থন দিচ্ছে জেডি(এস)। এই চার আসনের মধ্যে অন্যান্য প্রার্থী ছাড়াও মধ্যে গুলবর্গা গ্রামীণ আসনে প্রার্থী আছে এসইউসিআই(সি)-র, কে আর পুরমে প্রার্থী আছে সিপিআই(এম-এল)-এর, এবং কেজিএফ আসনে সিপিআই-এর। এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক ইউ. বাসবরাজ জানিয়েছেন, বহু আলোচনা সত্ত্বেও বাম দলগুলির মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা করা বা বোঝাপড়ায় আসা সম্ভব হয়নি। যে যে দলের যেখানে যেখানে উপস্থিতি আছে তারা সেখানে সেখানে প্রার্থী দিয়েছে। আমরা এটাকে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হিসেবেই দেখছি।

এই চার আসনের মধ্যে বাগেরপল্লি আসনে এবার সিপিআই(এম)-এর সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার এই কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী ডঃ অনিল কুমার। কংগ্রেস প্রার্থী এস. এন. সুব্বা রেড্ডি এবং বিজেপি'র সি. মুনিরাজু। ২০১৮ নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ১৪,০১৩ ভোটে পরাজিত হয়েছিল সিপিআই(এম)। গত নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জেডিএস ভোট পেয়েছিল ২৩.২৮ এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৯.৯৪ শতাংশ ভোট। সিপিআই(এম)-এর ভোট ছিল ৩১.৪২ শতাংশ। এবার এই কেন্দ্রে জেডিএস সিপিআই(এম)-কে সমর্থন করায় ভোট শতাংশের হারে হেরফের অবশ্যম্ভাবী। অতীতেও ১৯৮৩, ১৯৯৪ ও ২০০৪ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল সিপিআই(এম)।

এবার অপেক্ষার পালা। আরও ৮ দিন। আগামী সপ্তাহের শনিবার, ১৩ মে ছাড়া জানা যাবে না কংগ্রেস অথবা বিজেপি, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ পাবে, নাকি আবারও ত্রিশঙ্কু হয়ে ঘোড়া কেনাবেচা অথবা 'অপারেশন লোটাস'-এর পথ সুগম করবে কর্ণাটক। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে গড্ডালিকা স্রোতেই গা ভাসাবে কর্ণাটক, নাকি নতুন দিনের পথ সুগম করবে। অপেক্ষা করতেই হবে ১৩ মে পর্যন্ত।


কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন - ২০২৩ এক নজরে

মোট আসন ২২৪
সংরক্ষিত আসন (এস.সি.) ৩৬
সংরক্ষিত আসন (এস.টি.) ১৫
মোট ভোটার ৫,২১,৭৩,৫৭৯
মোট বুথ ৫৮,২৮২
মহিলা পরিচালিত বুথ ১,৩২০
পুরুষ ভোটার ২.৬২ কোটি
মহিলা ভোটার ২.৫৯ কোটি
৮০ বছরের বেশি বয়সি ভোটার ১২.১৫ লক্ষ
১০০ বছরের বেশি বয়সি ভোটার ১৬,৯৭৬

ভোট গ্রহণ - ১০ মে
ফলাফল ঘোষণা - ১৩ মে