E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ২১ সংখ্যা / ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ / ২১ পৌষ, ১৪২৯

বিচারবিভাগের ব্যর্থতায় বঞ্চনার রাষ্ট্রনীতি

শামিম আহমেদ


দেশকে ঔপনিবেশিক শৃঙ্খলমুক্ত করার লক্ষ্যে যাঁরা জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই ভাবেননি, স্বাধীন দেশের বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন হতে হবে।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়, বরং তা বহুলাংশে একজন বিচারকের ন্যায়িক সততার ওপর নির্ভরশীল। সার্বিকভাবে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা রক্ষার ক্ষেত্রে একজন বিচারকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন বিচারকের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে আমাদের সম্যকভাবে অবহিত হওয়া প্রয়োজন।

ভারতের সংবিধানের চতুর্থ ও পঞ্চম ভাগে যথাক্রমে দেশের শীর্ষ আদালত ও রাজ্যগুলির উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও তাঁদের শপথের বিষয় বিস্তৃতভাবে বর্ণনা করা আছে। সংবিধানের তৃতীয় তফশিলে শপথবাক্যের নির্দিষ্ট বয়ান উল্লিখিত আছে। সংবিধান-নির্দিষ্ট সেই শপথবাক্যের বয়ান পাঠ ও বিশ্লেষণ করলেই একজন বিচারকের দায়বদ্ধতার স্বরূপ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যায়। একজন বিচারক শপথ নেন, তিনি দেশের সার্বভৌমতা ও অখণ্ডতা রক্ষা করবেন। তিনি বিশ্বস্ত ও যথাযথভাবে তাঁর সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে তাঁর জ্ঞান ও ন্যায়বিচারের ক্ষমতা দিয়ে তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন। এবং দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কোনো ভয়ভীতিতে বিচলিত হবেন না, পক্ষপাতদুষ্ট হবেন না, কোনো অনুরক্তি বা বৈরিভাব তাঁর বিচারকে প্রভাবিত করবে না। বিচারক হিসেবে সংবিধান ও দেশের আইনকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরাই হবে তাঁর অভীষ্ট।

আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা বা মুখবন্ধ রাষ্ট্রের লক্ষ্য হিসেবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় সুনিশ্চিত করার কথা বলে। সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে চিন্তার, মত প্রকাশের, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ধর্মপালনের স্বাধীনতা দিয়েছে। বলা হয়েছে রাষ্ট্র হবে সমদর্শী - অর্থাৎ নাগরিকে নাগরিকে কোনো বিভেদ না করার কথা এবং প্রত্যেক নাগরিকই পাবেন আইনের চোখে সমভাবে বিবেচিত হওয়ার অধিকার। সর্বোপরি বলা হয়েছে, বহুত্ববাদী দেশে প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার মধ্যে দিয়ে সৌভ্রাতৃত্ববোধকে তুলে ধরা এবং দেশের একতা বা অখণ্ডতা রক্ষা করা।

সংবিধানে কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ রাষ্ট্রের কয়েকটি সংস্থাকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার স্বাধীনতা দিলেও বিচারব্যবস্থাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা চালনার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ত্রুটি বা অন্যায়কে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশোধনের দায়ভার বিচারব্যবস্থার উপর। এমনকী উপরিউক্ত নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থাগুলিও তাদের কাজে ভুল করলে তা বিচারের ভারও সাংবিধানিক আদালতের।

রাষ্ট্রনায়কদের মতোই বিচার ব্যবস্থাও যে স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তা বুঝে নেওয়ার জন্য অধিক বিশ্লেষণের প্রয়োজন নেই। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে দেশের গরিব সম্প্রদায় আরও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে ধনিক শ্রেণি আরও ধনী হয়েছে। ১৯৫১-৮০ থেকে ১৯৮০-২০১৫ মধ্যেকার পরিসংখ্যানের উপর অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী মাথাপিছু রোজগার ১.৭ শতাংশ থেকে ৩.৩ শতাংশ হলেও ৫০ শতাংশেরও বেশি গরিব মানুষের রোজগার কমে ২.২ শতাংশ থেকে ১.৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আবার যারা ধনী এমন ১০শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ১.২ শতাংশ থেকে ৫.১ শতাংশ হয়েছে। সব থেকে বেশি ধনী যারা এমন ১ শতাংশ ক্ষেত্রে ০.২ শতাংশ থেকে ৬.৬ শতাংশ যা বাকিদের সঙ্গে তুলনা সম্ভব নয়। আজও দেশের সকল মানুষ রোজগারে সক্ষম নন, আজও তাদের কাছে বিনা পয়সায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছায় না, আজও জীবনদায়ী ওষুধ ক্রয় করতে না পেরে প্রাণ হারায় এদেশের নাগরিক। অথচ দেশের অর্থনীতি নিয়ে বা রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেনি রাজ্যের উচ্চ আদালত বা দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ যে অর্থনীতির কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষ মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার অধিকার হারিয়েছে, তাকেই পক্ষান্তরে সিলমোহর দিয়েছে আদালত এবং তথাকথিত নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা। একথা ঠিকই যে, নির্বাচিত সরকারের নির্ধারিত রাষ্ট্রনীতিতে আদালতের অযথা হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়, তবে যে অর্থনীতি স্বাধীন দেশের নাগরিকের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে ব্যর্থ হয়, মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তা কখনোই যুক্তিপূর্ণ নীতি হতে পারে না। আইনের ভাষায় arbitrary decision – যা আদালত সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে বাতিল করতে পারে।

সংবিধান প্রণেতারা এই সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা জানতেন। এই বৈষম্য কোনো নতুন ঘটনা নয়। সামাজিক বৈষম্য দূরের ক্ষেত্রে অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংবিধানে পিছিয়ে পড়া অংশের এই বৈষম্য দূর করার জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হলেও তার প্রয়োগ যে ব্যর্থ হয়েছে, ২০১৪ সালের ‘Report of the high level committee on sociology- economic, health and educational status of tribal communities of India’ তার প্রমাণ দেয়। শুধু আদিবাসী কেন সমাজের অন্যান্য পিছিয়ে পড়া অংশও একই অবস্থার সম্মুখীন। অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ে মূলত যেসব বঞ্চনার কারণে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অপুষ্টি। দেশের অর্থনীতির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এই সমস্ত ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যয় বরাদ্দ নগণ্য। সংবিধানের পাশাপাশি আমাদের দেশে The Right of Children to Free and Compulsory Education Act or Right to Education Act, 2009, The National Food Security Act, 2013-এর মতো আইন থাকলেও, রাষ্ট্রীয় নীতি এইসব আইনের সঠিক প্রয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদিচ্ছা এবং সক্রিয় বিচার ব্যবস্থা ন্যায় বিচারের মাধ্যমেই পারে এই জনবিরোধী রাষ্ট্রনীতিকে বাতিল করতে।

আইনসভা, কার্যনির্বাহক বা প্রশাসকদের কাজে আদালত কখন হস্তক্ষেপ করতে পারে এ বিতর্ক দীর্ঘদিনের। who will judge the judges? Who will govern the government? বিচার করবে ভারতীয় সংবিধান ও অন্যান্য আইন। যে রাষ্ট্রনীতি স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও দেশের নাগরিকের সাধারণ মৌলিক অধিকার প্রদানে ব্যর্থ হয় আর যে বিচার ব্যবস্থা তা দেখতে পেয়েও না দেখার ভান করে বা বিভিন্ন তাত্ত্বিক তর্কের মধ্য দিয়ে (অজুহাতে) হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকে, সে বিচার ব্যবস্থা কখনোই নিরপেক্ষ হতে পারে না।

৮০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করার দায় বিচার ব্যবস্থাও এড়াতে পারে না। তবে দায় এড়ানোর প্রশ্ন তখনই আসে যখন মানুষ তার দায় উপলব্ধি করতে পারেন। স্বাধীনতার পর থেকে যারা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতার প্রসঙ্গে। দেশের অর্থনৈতিক নীতি সংবিধানের মৌলিক মর্মবস্তুর পরিপন্থী হলেও আদালত তা কখনো বিচার্যের মধ্যে আনেনি কেন? স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। তা যদি দেশের অর্থনৈতিক নীতির কারণে হয়ে থাকে তাহলে আদালত কেন সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বাতিল করার মতো সাহস দেখায়নি।

আসলে প্রশ্ন সাহসিকতার নয়, বিষয়টি সদিচ্ছার মধ্যে নিহিত আছে। বৈষম্যহীন সমাজের যে ধারণা আমাদের সংবিধান দেয় তার বাস্তবায়ন ততদিন সম্ভব নয়, যতদিন বিচারকের ভূমিকায় থাকা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকা অংশের মানুষ তা উপলব্ধি করছেন। অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে এই বিচার ব্যবস্থার মধ্যেও আমরা এমন কিছু বিচার পেয়েছি যা সাধারণ মানুষের স্বার্থ সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। PUDR vs Union of India বিচার করতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত উল্লেখ করেছেন minimum/ living wage নির্ধারণ আদালতের কাজ না হলেও আদালতের দায়িত্ব নিশ্চিত করা যাতে রাষ্ট্র সেই দায়িত্ব পালন করে। Uma Devi vs State of Karnataka বিচার করতে গিয়ে আদালত সংবিধানের পদ্ধতি মেনে নিয়মিত নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন। নির্দেশে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আজও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত আছে। এবং এই ঘটনা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অজানা নয়। তা সত্ত্বেও সর্বোচ্চ আদালত আজও মনে করেনি আইনভঙ্গকারী এবং আদালতের নির্দেশ অবমাননাকারী প্রশাসককে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা বা পূর্ব নির্দেশিকা প্রয়োগ নিশ্চিত করার। উদাসীনতার সুযোগে আজও সরকারি দপ্তর থেকে শুরু করে সরকার অধীনস্ত বিভিন্ন সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অব্যাহত আছে। যে রাষ্ট্রের সংবিধান মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার কথা বলে সেই রাষ্ট্রই স্থায়ী নিয়োগের পরিবর্তে স্বল্প মূল্যে কার্যসিদ্ধির বাসনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে চলেছে। রাষ্ট্র কর্তৃক এই অবমূল্যায়ন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন উপরে উল্লেখিত Uma Devi-র রায় রাষ্ট্রকে শোষণ করার ছাড়পত্র দেয় না।

আদালতের হস্তক্ষেপ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্সের’ কাজ করলেও স্বাধীনতা-উত্তর সময়কালে দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় শোষণ থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে যে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন তা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। হ্যাঁ, ‘সক্রিয়তা’ শব্দটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তার কারণ আজকের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। পরিণতি ভয়ংকর, রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। সারদা-নারদা-র মতো দুর্নীতির ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ সাময়িক স্বস্তি দিলেও, সক্রিয়তার অভাবে অপরাধীরা অতি সক্রিয় হয়েছেন। আস্থা হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ, যাদের গচ্ছিত অর্থ আজও উদ্ধার হয়নি। আবার আমাদের রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতিতে আদালতের ভূমিকা, আদালতের তত্ত্বাবধানে যে তদন্তের কাজ চলছে, তা সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দেশের রাজনীতির উপর আধিপত্য যে ব্যবসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা জোগায় পরাধীন ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেই ইতিহাস আমাদের সকলের জানা। বর্তমান ভারতের রাজনীতি সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি বলা চলে। তার সুদূরপ্রসারী ফল শুধুমাত্র দেশের এক শতাংশ মানুষকে বিত্তশালী করে তোলেনি, একটু তলিয়ে বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় সংবিধান স্বীকৃত রাষ্ট্রীয় কাঠামো আজ ভেঙে পড়ার উপক্রম। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখার তাগিদে চলেছে বিভাজনের রাজনীতি। যে দেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে, জাতি ভাষা ধর্মের ভিত্তিতে সে দেশের মানুষকেই বিভাজিত করে ক্ষমতার অলিন্দে সংকীর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি। করপোরেট পরিচালিত সংকীর্ণ রাজনীতি দাবি করে এই বিভাজনের, যাতে ৮০ শতাংশ নিপীড়িত মানুষ সমস্বরে সাংবিধানিক অধিকারের কথা দাবি না করে। এই রাজনীতি টিকিয়ে রাখতেই ধ্বংস হয় বাবরি মসজিদ। আবার বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রদত্ত নথি ও আইনের বিশ্লেষণের উপর ভরসা না করে রায় ঘোষণা করে অনুভূতির উপর নির্ভর করে। আমরা সকলেই জানি বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়া বিচার না পাওয়ার সামিল। দীর্ঘদিন যখন সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়া সংক্রান্ত মামলার বিচার হয় না, অথচ কাশ্মীরের সিনেমা হলের মালিকেরা ভেতরে বাইরের খাবার নিতে দেবেন কিনা তার বিচার হয়। প্রশ্ন জাগে মানুষের মনে।

প্রতিনিয়ত বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়া যে কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অশনি সংকেত। সেই দায় ঘাড়ে নিয়ে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকেই যেমন উদ্যোগী হতে হবে মানুষের আস্থা ফেরানোর, তেমনই সাধারণ মানুষেরও দায়িত্ব সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে, সংবিধান স্বীকৃত অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে টিকিয়ে রাখার তাগিদে সক্রিয় হওয়া।