৫৯ বর্ষ ৩৮ সংখ্যা / ৬ মে, ২০২২ / ২২ বৈশাখ, ১৪২৯
ধর্মনিরপেক্ষ ভারত নির্মাণ ও কাজের অধিকার সুনিশ্চিত করার বার্তা নিয়ে
অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ডিওয়াইএফআই’র একাদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন
অর্ণব ভট্টাচার্য
ডিওয়াইএফআই-র সর্বভারতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে কলকাতায় বাইক মিছিল।
আগামী ১২ থেকে ১৫ মে আমাদের রাজ্যে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন (ডিওয়াইএফআই)-এর একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের বিগত সর্বভারতীয় সম্মেলন ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরালার কোচিতে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড মহামারীর জন্য নির্ধারিত সময়ে সর্বভারতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। সারা দেশেই মহামারীর প্রকোপ স্তিমিত হওয়ায় প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এই সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সল্টলেকে অবস্থিত ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে (ইজেডসিসি)। সম্মেলনস্থলের নামকরণ করা হয়েছে প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার নামে, আর সম্মেলন মঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে শহিদ মঞ্চ। বিগত পাঁচ বছরে ডিওয়াইএফআই’র যে সাত জন কর্মী শহিদের মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সম্মেলন মঞ্চকে শহিদ মঞ্চ হিসেবে নামাঙ্কিত করা হয়েছে।এমন এক সময়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যখন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের ওপর হিন্দুত্ববাদী শক্তির আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে, ক্রমশ কমছে কর্মসংস্থানের হার এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি করপোরেটের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দেশের মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে ও দেশি-বিদেশি একচেটিয়া পুঁজির বিপুল মুনাফা অর্জনের পথ প্রশস্ত করছে। তাই সম্মেলন থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়া এবং কাজের অধিকার সুনিশ্চিত করার দাবিতে যুবদের সংগ্রাম তীব্রতর করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
আজ থেকে সাতাশ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে ডিওয়াইএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলন হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপে সমাজতন্ত্রের পতনের পর যখন সমাজতন্ত্রকে অচল, অকেজো বলে প্রতিপন্ন করবার চেষ্টা চলছিল তখন ডিওয়াইএফআই’র পঞ্চম সর্বভারতীয় সম্মেলন দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করে ‘‘সমাজতন্ত্রই ভবিষ্যৎ, ভবিষ্যৎ আমাদেরই’’। সাতাশ বছর পরেও সে প্রত্যয় অটুট রয়েছে।করোনা অতিমারী পুঁজিবাদের নগ্ন চেহারা উন্মোচিত করেছে এবং সমাজতন্ত্রের শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিওয়াইএফআই’র একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলন এই মতাদর্শগত বোঝাপড়াকে অটুট রেখে ভারতের বুকে সমাজ পরিবর্তনের লড়াইকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
ভারতে এই মুহূর্তে সর্ববৃহৎ প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ও তার রাজনৈতিক শাখা বিজেপি। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে হিন্দুত্ববাদী শক্তির আস্ফালন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশজুড়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ তীব্রতর হচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে দুর্বল করবার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। ভারতীয় সভ্যতার মর্মবাণী যে ‘‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’’ তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে এক ছাঁচে সব কিছু ঢেলে ফেলবার চক্রান্ত চলছে। শাসক হিন্দুত্ববাদীরা ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান’ স্লোগানকে এদেশের মাটিতে কার্যকর করবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একদিকে ঘর ওয়াপসি, লাভ জিহাদের জিগির তুলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে কোণঠাসা করবার চেষ্টা চলছে এবং তাদের পোশাক, খাদ্যাভ্যাসের ওপর বর্বর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। অন্যদিকে পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে, প্রগতিশীলতা ও যুক্তিবাদের চর্চাকে খর্ব করে তরুণ প্রজন্মের মনকে বিষিয়ে দেওয়ার লাগাতার প্রয়াস জারি রেখেছে মোদি সরকার ও বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারগুলি।ধর্মনিরপেক্ষতার মূল্যবোধের উপরে এমন বহুমুখী আক্রমণ স্বাধীন ভারতে আর কখনো হয়নি। তাই ডিওয়াইএফআই’র একাদশতম সম্মেলনে ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়ার সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করবার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী ধ্যান ধারণার পৃষ্ঠপোষক আরএসএস এবং বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে একজোট করবার লক্ষ্যে এই সম্মেলন নিশ্চয়ই এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এসময় যারাই সরকারের বিভেদকামী নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মোদি সরকার বা আরএসএস-বিজেপির বিরোধিতা করলেই দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষত আরএসএস-এর পক্ষ থেকে যে ঘৃণার সংস্কৃতি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা গোটা সমাজ জীবনকে কলুষিত করছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। আর সবটাই করা হচ্ছে আরএসএস’র নির্দিষ্ট রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকঅ্যাজেন্ডা রূপায়ণ করবার জন্য। আরএসএস সারাদেশে এমন এক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তৈরি করতে চাইছে যেখানে উচ্চবর্ণের ব্রাহ্মণ্যবাদী ভাবনা চিন্তা নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যকে স্বাভাবিক বলে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আরএসএস বদ্ধপরিকর, আর তাই তারা গোটা দেশে বিভেদের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। এর সামনে বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াতে চায় ডিওয়াইএফআই।
এই হিন্দুত্ববাদী শক্তির সাথে কর্পোরেট গোষ্ঠীগুলির নিবিড় সম্পর্ক। তাদের স্বার্থেই উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়নের নীতিকে বেপরোয়াভাবে বলবৎ করে চলেছে মোদি সরকার। কর্পোরেটের হাতে দেশের সম্পদ জলের দরে তুলে দেওয়া হচ্ছে। দেশের জল, জঙ্গল, জমি সবই গ্রাস করবার পরিকল্পনা করেছে মুষ্টিমেয় কর্পোরেট গোষ্ঠী। আর সেই উদ্দেশ্য সফল করার ক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করছে মোদি সরকারকে। জনগণের সেবক হতে চেয়ে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি এখন কর্পোরেটের সেবাদাসে পরিণত হয়েছেন। কর্পোরেটের মুনাফা নিশ্চিত করাই যে সরকারের প্রধান লক্ষ্য সে সরকার কখনোই জনকল্যাণে মনোনিবেশ করতে পারেনা। তাই করোনার অতিমারীর আগেথেকেই ভারতীয় অর্থনীতি যে সংকটের মধ্যে পড়েছিল, তা করোনা অতিমারীর পরবর্তী সময়ে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশজুড়ে সংকট তীব্রতর হয়েছে। শিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত নির্বিশেষে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে তীব্র গতিতে। অথচ সরকার এনিয়ে নির্বিকার।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিয়ে দেশে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে অথচ তা পূরণ করার ব্যাপারে সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। আসলে সারা দেশে বেকারদের এক বিপুল মজুত বাহিনী রেখে মালিকপক্ষকে দরকষাকষির সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই সরকার ইচ্ছাকৃত কর্মসংস্থানের পথকে রুদ্ধ রেখেছে। আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থানের এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মোদি সরকারের আমলে ক্রমাগত বাজেট বরাদ্দ সংকোচন করা হয়েছে। বিশেষ করে অতিমারীর সময় এই কাজের চাহিদা অত্যন্ত বেড়েছে, তা সত্ত্বেও বিগত কেন্দ্রীয় বাজেটে এই খাতে লক্ষ্যণীয়ভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।ডিওয়াইএফআই দাবি তুলেছে যে ১০০ দিনের কাজ কে বাড়িয়ে ২০০ দিন করতে হবে এবং দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।
কর্মসংস্থানের প্রশ্নে সারা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্গীন।নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা, কৃষির বিকাশ -কোনো দিকেই নজর নেই সরকারের। স্বাভাবিকভাবেই নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছেনা। তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ একেবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। একদিকে স্কুল-কলেজে, সরকারি দপ্তরে কয়েক লক্ষ শূন্যপদ পূরণে সরকারের অনীহা, অন্যদিকে যেটুকু নিয়োগ হচ্ছে সেখানেও লাগামহীন দুর্নীতি। এরাজ্যে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যপক অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তা নজিরবিহীন। গ্রামাঞ্চলে ১০০দিনের কাজে ভয়াবহ দুর্নীতি হচ্ছে। ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে প্রকল্পের টাকা পকেটে ঢোকাচ্ছে শাসক দলের নেতারা। গ্রাম, শহর সর্বত্র তাই এখন কাজের হাহাকার। বাংলা থেকে লাখো লাখো যুবক-যুবতী ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে রোজগারের আশায়। করোনা অতিমারীর সময়ে এই বিপুলসংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার সাক্ষী থেকেছে সারা দেশ।
পরিস্থিতিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব। বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করার ক্ষেত্রে মোদি ও মমতা সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কোথাও কেউ শাসকদলের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেই তার ওপর নেমে আসছে বর্বরোচিত আক্রমণ। কর্মসংস্থান নিয়ে ডিওয়াইএফআই’র আন্দোলনের ওপর বর্বর পুলিশি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কমরেড মইদুল ইসলাম মিদ্যা। শাসকদলের কুকীর্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় খুন হয়ে গেছেন ডিওয়াইএফআই কর্মী বিদ্যুৎ মণ্ডল।সম্প্রতি হাওড়ার আমতায় তরতাজা প্রতিবাদী যুবক, ছাত্রনেতা আনিস খানকে যেভাবে ছাদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে উর্দিধারী গুন্ডারা, তা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে নৈরাজ্য আর বর্বরতার সমস্ত নজির ছাপিয়ে গিয়েছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যা কাণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বখরার দ্বন্দ্ব কী ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে পারে তা দেখেছে সারা রাজ্য। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, বোমা মেরে, আগুন লাগিয়ে পাশবিক উল্লাসের সাথে হত্যা করা হলো সাধারণ গ্রামবাসীদের। অন্ততপক্ষে বারো জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও আরও কতজন যে লাশ হয়ে গেছেন তার হদিশ কেউ জানেনা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী টাকা ছড়িয়ে, চাকরি দিয়ে আর শাসক দলের এক নেতাকে লোকদেখানো গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইলেও বাংলার মানুষ এই সীমাহীন নৃশংসতার বিচার চান। এর সাথে গোটা রাজ্যে নারী নিরাপত্তা চরম বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিনিয়ত রাজ্যের কোনো না কোনো প্রান্তে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সব মিলিয়ে এরাজ্যে জঙ্গলের শাসন চলছে। আর এই সর্বব্যাপী নৈরাজ্য, নীতিহীনতা, হিংসার সবথেকে বড়ো শিকার এরাজ্যের তরুণ প্রজন্ম। পশ্চিমবঙ্গের এই বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গণশত্রুদের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে সংগঠিত করতে ডিওয়াইএফআই’র সর্বভারতীয় সম্মেলন সংগ্রামের বার্তা বহন করে আনছে।
সারাদেশে এই সময়কালে ডিওয়াইএফআই’র সদস্য পদ ৪ লক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শাসকদলের সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে পশ্চিমবঙ্গেও সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সংগঠনের এই প্রভাব বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। করোনা অতিমারীর সময়ে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে ডিওয়াইএফআই'র কর্মীরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তা এই সংগঠনের সামাজিক দায়বদ্ধতাকে মানুষের কাছে স্পষ্ট করেছে। সংগ্রাম ও সহমর্মিতার এই যুগলবন্দি ডিওয়াইএফআইকে তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্রমশ জনপ্রিয় করে তুলছে।
রাজ্যের যুব সমাজের মধ্যে সর্বভারতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ করা গিয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে দেওয়াল লেখা, পোস্টারিং এর মতো প্রচারের পাশাপাশি রক্তদান শিবির, সেমিনার, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ ইত্যাদি নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে সম্মেলনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এরাজ্যের যুব সংগঠকরা। রাজ্যের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা এবং যুব আন্দোলনের কর্মীদের উদ্দীপনার মিশেলে এই সম্মেলন রাজ্য তথা দেশের যুব আন্দোলনে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।