E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ৩৪ সংখ্যা / ৭ এপ্রিল, ২০২৩ / ২৩ চৈত্র, ১৪২৯

মুক্ত বাতাসে মহিলা


বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে অরণ্যের অধিকার আইন ২০০৬। ২৭ হাজারের বেশি আদিবাসী পরিবার পাট্টা পেয়েছেন স্বভাবতই উপকৃত হয়েছেন মহিলারা।

● ৩৫ বছরে ১১ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৭৬ একর জমি কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বণ্টন করা হয়েছে। ভেঙে গেছে জমির কেন্দ্রীভবন, যার সুফল পেয়েছিল মহিলারা।

● ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭৮ একর জমির পাট্টা বিলি হয়, যাতে ছিলেন মহিলারাও।

● ১৯৮৮ সালে যৌথ পাট্টা বামফ্রন্ট সরকার চালু করেছিল। ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৭৪টি পাট্টা পেয়েছেন শুধু মহিলারা, যা ছিল অভাবনীয়।

● ২০০১ সালে অসংগঠিত শিল্পের প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুর মধ্যে দিয়ে ৩৫ লক্ষ শ্রমিক উপকৃত হয়, যার মধ্যে ছিলেন মহিলারাও।

● প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় একের পর এক - তৈরি হয় উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাই স্কুল - পড়তে আসে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী যার এক বিশাল অংশ ছিল ছাত্রী।

● ১৯৮৫ সালে নারী শিক্ষা বিকাশে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার।

● আদিবাসী ছাত্রছাত্রীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা সমস্তটাই বিনামূল্যে এমনকী হোস্টেল পর্যন্ত ব্যয়ভার বহন করেছে বামফ্রন্ট সরকার।

● স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায় মহিলাদের গড় আয়ু, জাতীয় স্তরে প্রসূতি মৃত্যুর হার যখন ছিল ১ লক্ষ পিছু ১৫৪ জন, পশ্চিমবঙ্গে ছিল ১৪১।

● প্রসূতি মায়েদের সুব্যবস্থার জন্য আদিবাসী, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ আইসিডিএস কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে মা ও শিশুর পুষ্টি পরিচালিত হতো সুষ্ঠুভাবে।

● বামপন্থীদের লড়াই-আন্দোলনেই চালু হয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প যা এমজিএনরেগা নামে আইনি স্বীকৃতি লাভ করে। যা ছিল যুগান্তকারী।

● মাটি কাটার কাজকে রেগার কাজের অন্তর্ভুক্ত করার অবদান ছিল বামপন্থীদের। একাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন মহিলারা।

● বনসৃজন-নার্সারির কাজে যুক্ত হন মহিলারা।

● ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান যখন গোটা ভারতে কমছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে গ্রামাঞ্চলে কৃষিতে মহিলাদের কর্মসংস্থান বেড়ে হলো ৬৮.৭ শতাংশ থেকে ৮৪.৭ শতাংশ।

এভাবেই প্রতি ক্ষেত্রে মহিলাদের সামনে এগিয়ে এনেছিল বামফ্রন্ট সরকার।