৬০ বর্ষ ৩৪ সংখ্যা / ৭ এপ্রিল, ২০২৩ / ২৩ চৈত্র, ১৪২৯
সময় পালটেছে আরও পালটাবে
সলিল আচার্য
সময় পালটেছে। কিন্তু অভিমুখ একই আছে। গণস্বার্থে দৈনন্দিন কাজে থাকা, অন্যতম কাজ। শ্রেণিস্বার্থেই সেই কাজ। দ্বন্দ্ব শ্রমের সাথে পুঁজির। আশু দাবিদাওয়া নিয়ে পথে থাকাটাই ধারাবাহিকতা। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা উদাহরণ নয়, নয় দৃষ্টান্ত। দূরবর্তী অভিপ্সার কোনো বদল নেই, ওটা রণনীতি। শুধু নজরে রেখে, কাছেরগুলো নিয়ে নাড়াঘাটা, শুধু মানুষ, সাধারণ মানুষ, যেন একটু আশ্বস্ত হতে পারেন এই দেখে যে আমরা বসে নেই, লড়ছি মানুষের জন্য, সংগ্রামের ময়দানেই আছি, অবিরাম। তথাপি বলতে বাধা নেই, বলাই উচিত, আরও আন্তরিকভাবে আরও জ্ঞানগর্ভ সত্তা নিয়ে প্রয়োগের ধারালো অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে আমাদের। কারণ আমরা ক্ষয়িষ্ণু নই আমরা বেড়ে ওঠার শক্তি। আমাদের গতি পেছনের দিকে নয়, সামনের দিকে, এগিয়ে চলার ছন্দ নিয়েই আমরা এগিয়ে চলেছি, সম্মুখে।
দেশের মানুষ, দেশ, বিপদের মধ্যে আছে। রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদীরা কুসংস্কার, জাত-পাত, সামন্ততান্ত্রিকতা, পিতৃতান্ত্রিকতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশকে পেছনের দিকে টানছে একটা অবৈজ্ঞানিক পথ ধরে। আবার একই সাথে দেশের সংহতি, সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বিপদ সৃষ্টির বেলাতেও ওদের গুণপনার শেষ নেই। এগুলো প্রতিক্রিয়াশীল ভাবনাচিন্তার অন্যতম, কিছু উল্লেখ মাত্র। এই শক্তির অন্যতম অংশ, সুপ্রিম কোর্টকে তোয়াক্কা না করে, সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের রাষ্ট্রে, তোমরা মসজিদে ব্যবহারের জন্য মাইক পাবে না। মাইকে আজান দেবে? বন্ধ করে দেব! সরকার মানি না। আইন আদালত মানি না। তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতা টি রাজা সিং মহারাষ্ট্রের পুনেতে, বক্তৃতা দিয়ে এসব কথা বলেছে তার ভিডিয়ো ওরা নিজেরাই, সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ভাইরাল করে দিয়েছে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতেও সে খবর চাপা থাকছে না। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা মহারাষ্ট্রের সরকার নীরব, নীরব সেখানকার পুলিশ প্রশাসন, নীরব সাধারণ প্রশাসন। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, বিদেশের মাটিতেও। বলা হচ্ছে, সকল হিন্দু সমাজ তাদের যুক্ত মঞ্চ সেই ব্যানারে এসব চলছে। লাভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ, ধর্মান্তরের সাজানো অভিযোগ, এসব নিয়ে ওদের চর্চা, অপপ্রচার, বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ চলছে। আরএসএস পরিচালিত হিন্দু জন আক্রোশ মোর্চা এসব করে বেড়াচ্ছে। সংখ্যালঘু মানুষদের আর্থিক বয়কটের ডাক দিতে চেষ্টা করছে। আমাদের নজরে আসছে, ঠিক এই সময়টাতেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদী ধর্মীয় ফ্যাসিস্ত আরএসএস বাজারজাত করেছে কুসংস্কারাচ্ছন্ন নতুন এক প্রকল্প, নাম দিয়েছে ‘গর্ভ সংস্কার’ এমন অযৌক্তিক অবৈজ্ঞানিক ভাবনা মুখ বুজে সয়ে যেতে হবে? বজরং দলে যোগ দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ কাজকর্ম করার আহ্বান জানাচ্ছে সংঘ পরিবারের নেতা-নেত্রীরা। আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে। মুসলিম মৌলবাদীদেরও উসকানি দিয়ে, বিদ্বেষের পথে নতুন করে আক্রমণ শানাতে প্ররোচিত করছে। ভারতের মানুষের কাছে আজকের এই সময়টা অবশ্যই বিপজ্জনক। আসুন আমরা সতর্ক হই এবং মানুষকে সতর্ক করি। এটা একটি অন্যতম দেশপ্রেমিক কাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিন্দুত্ববাদীদের বিনা বাঁধায় অগ্রসর হবার সুযোগ দিলে, ওরা সংখ্যালঘু মৌলবাদকে আরও সক্রিয়, হিংসাশ্রয়ী, জঙ্গি করে তুলতে মারাত্মক সহায়ক ভূমিকা নিয়ে নেবে।
দেশে বিপদের শেষ নেই। ওদিকে, আদানি শেয়ার কেলেঙ্কারি, অর্থাৎ মোদি-আদানি শেয়ার কেলেঙ্কারি, তাই নিয়ে দেশে-বিদেশে শোরগোল পড়ে গেছে। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য, যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি সরকার অমান্য করছে। সরকার পক্ষ কায়দা করে সংসদের অধিবেশনকে ভণ্ডুল করে দিয়ে নিজেদের অপরাধকে আড়াল করতে চেষ্টা করছে। ওরা মানুষের দাবি গ্রাহ্য করছে না। চারদিকেই প্রতিবাদ হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এত বড়ো কেলেঙ্কারি ভারতে আর ঘটেনি।
কেন এসব হচ্ছে প্রশ্ন করবেন না? প্রশ্ন তো করতেই হবে। কেন জম্মু-কাশ্মীর ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের নিরাপত্তা জেট প্লাস থেকে একেবারে নিচে নামিয়ে দেওয়া হলো? ডাউনগ্রেডেড কেন হলো সিকিউরিটি? ও, উনি বুঝি, ৩৭০ ধারা লাগু হওয়াটাকে সমর্থন করতে পারেননি, এটাই অপরাধ? এভাবে রাজনৈতিক এবং ভাবাদর্শগত অবস্থানে দাঁড়িয়ে, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে থাকলে ভারতের গণতন্ত্র আরও অনেক বেশি বিপন্ন হয়ে যাবে। ধর্মনিরপেক্ষতার মর্মবস্তু কেঁপে উঠবে আক্রমণে! স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে স্পর্শকাতরতা দিয়েই দেখা উচিত।
প্রশ্ন করবেন না, কেন আমাদের দেশে বহুত্ববাদ আক্রান্ত? প্রশ্ন করবেন না, কেন ধর্মনিরপেক্ষতা আক্রান্ত? প্রশ্ন করবেন না, অর্জিত অধিকার শ্রমিক-কৃষক কেন হারাচ্ছেন? প্রশ্ন করবেন না, যৌবনের দু’হাতে কাজ দিতে পারছে না কেন? প্রশ্ন করবেন না, সামাজিক ন্যায় কেন আক্রান্ত? প্রশ্ন করবেন না, জল জঙ্গল মাটির অধিকার আদিবাসীদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র কেন হচ্ছে? প্রশ্ন করবেন না, জাতীয় সম্পত্তি জলের দরে করপোরেটের হাতে উৎসর্গ করা হচ্ছে কোন অধিকারে? প্রশ্ন করবেন না, সংবিধান প্রদত্ত রাজ্যের ক্ষমতায় কেন্দ্র কেন অযথা হস্তক্ষেপ করছে? দেশের অর্থনীতি, দেশের বিদেশনীতি এসব নিয়েও প্রশ্নের শেষ নেই, কেন?
পশ্চিমবাংলার নৈরাজ্যের ভূমিতে শিশুমৃত্যু, ফসলের দাম না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা, ১০০ দিনের কাজের মজুরি এবং কাজ না পেয়ে খেতমজুরের গলায় দড়ি, চাকরি চুরির ইতিহাসের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ নাজেহাল, সমাজের বেশিরভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা প্রতিদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে বেকার, শিল্প কলকারখানা বন্ধ, নতুন শিল্পস্থাপনের নাম গন্ধ নেই, লুটতন্ত্রের বিস্তার, সমাজে লুম্পেনাইজেশন ঘটানো হচ্ছে, মিথ্যার বিস্তার, বিভ্রান্তি ও চতুরালি চলছে, স্বাভাবিক জনজীবন রক্ষা করতে না পারার বিপদ, শিক্ষাব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার পরিক্রমণ, আদালতকে সন্ত্রস্তকরণের প্রয়াস, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে টুপি চিপে ধরা - ইত্যাদি ইত্যাদি অসংখ্য বিষয় মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। আন্দোলনের ময়দানে তার প্রতিফলন ঘটছে। কাজের অধিকারের দাবিতে কথা বলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করার কথা বলায় গভীর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে। শহিদের তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। পশ্চিমবাংলায় অনাকাঙ্ক্ষিত ধিক্কারযোগ্য নতুন নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হচ্ছে। এমন অসংখ্য বিষয় যা প্রতিদিন সাধারণ মানুষ সমস্যার মুখোমুখি, তাঁরা প্রশ্ন তুলবেন না, কেন এমন হচ্ছে? প্রশ্ন করবেন না, আলু চাষিরা আলুর ন্যূনতম ১০ টাকা কিলো দর পাচ্ছেন না কেন? সরকার এই দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনবে না কেন? বাজারে বিক্রি করতে গেলেও জলের দাম আর অন্যদিকে হিমঘরে রাখার জন্য ব্যবস্থাপনাতেও অসংখ্য ছিদ্র। প্রশাসনের ভূমিকা সমালোচনার বাইরে নয়। লাভবান হচ্ছে কালোবাজারিরা। জলপাইগুড়িতে আলু চাষিদের উপর কাঁদুনে গ্যাস কেন? কেন লাঠিচার্জ? প্রশ্ন করবেন না। আলু চাষিদের বাঁচাবার জন্য ১৪ তলা থেকে আসছে না কোনো বার্তা যা বিশ্বাসযোগ্য, যা গ্রহণযোগ্য। কেন?
রাজ্যের চা শিল্প শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে টালবাহানা কেন? কেন চা বাগানের উদ্বৃত্ত জমি নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার। এসব জমি কী তাহলে করপোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে? বিভিন্ন জনজাতির প্রান্তিক মানুষেরা চা বলয়ে পাবেন না জমির অধিকার, কেন? প্রশ্ন করুন। রাজত্ব চালাবার সুযোগ নিয়ে, ব্যক্তি বা পরিবারের স্বার্থে, অসামাজিক, অবৈধ, বেআইনি, কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তুলবেন না? হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তুলে দিয়ে, লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত করা হচ্ছে কেন? প্রশ্ন করবেন না? - প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার করে দেবার সময় সম্ভবত সমাগত। এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে আরও বৃহদাকারে রাস্তায় থাকতে হবে গোটা মানচিত্র জুড়ে, একক এবং যৌথভাবে, এ প্রান্তে ও প্রান্তে সর্বত্র।
কী হলো পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে না? অনেক তো লুটপাট হয়েছে পঞ্চায়েতের সব স্তরে। এবার নির্বাচনটা হোক সুষ্ঠুভাবে। নির্বাচন কমিশন একটা নির্বাচন করে দেখাক যে, সুষ্ঠুভাবে পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্রের প্রতি মান্যতা দেওয়া হয়। কেন এত বিলম্বিত লয়ে চলা? বিক্ষুব্ধ মানুষ জানতে চাইছেন কেন এই মন্থরতা? অপরাধীদের পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দেবার জন্য নয়তো? ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, যদি আগাপাশতলা জুড়ে দুষ্কৃতকারীদের অবস্থান থাকে, তাহলে নাকি এমনটাই হয়ে থাকে। চাছাছোলা প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় ঠেলা সামলাতে না পেরে, পালিয়ে যাবার উপক্রম, তারও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনটাই আজকের বাংলার গ্রামীণ মহল্লার হালহকিকত। নজরে আসছে, এসব নিয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষের কণ্ঠস্বর তীব্রতা লাভ করছে। অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়, গ্রামীণ মহল্লায় সর্বহারা ও আধা-সর্বহারা মানুষের জোট অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে।
শুধু অযথা কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই, দোষ থাকলে আরোপ হবেই। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অবশ্যই গণতন্ত্রের সপক্ষে, উন্নয়নের সপক্ষে, প্রান্তিক মানুষের মর্যাদা ফিরে পাবার প্রয়োজনে, আর্থ-সামাজিক সম্ভাবনা অর্জনের জন্য, ‘বিকল্পের বার্তা’ পুরনো দিনের উজ্জ্বল অভিজ্ঞতা, আগামীদিনের পরিকল্পনা সোচ্চারে বলবার সম্ভবত প্রকৃষ্ট সময় এটাই। এসব নিয়ে আলাপচারিতার পরিসরটাকে চলুন আরও একটু বিস্তৃততর করে তুলি, আরও বেশি, অনেক বেশি মানুষের সান্নিধ্য নিয়ে। বলয়টাকে আরও একটু বড়ো করে নিতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই।
মাথা তুলে দাঁড়াবার শক্তি, মাথা তুলে দাঁড়াবার সামর্থ্য, মাথা তুলে দাঁড়াবার সক্ষমতা নিয়ে বিকল্পের ভাবনা রূপায়ণের দ্বারা প্রান্তিক মানুষের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা, আজকের সময়ের অন্যতম চাহিদা। শ্রেণি অভিমুখ ঠিক রেখে পায়ে পায়ে এগিয়ে চলা এই সময়ে আমাদের কাজ, অন্যতম কাজ। যাঁরা স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে আসছেন তাঁদের সমাদর করে আবাহনী সঙ্গীতে ভরিয়ে তুলে, নতুন পরিবেশকে উজ্জ্বল করে তুলতে হবে। বসন্ত সমাগমে বর্ণময় হয়ে উঠুক, এই ফিরে আসার বা যোগ দেবার অঙ্গন।
সামনে লড়াই। বড়ো লড়াই। রাজনৈতিক লড়াই। আজ আমি যা আছি, যেমন আছি, কাল তার চাইতে একটু বেশি উন্নত প্রাণী হতে চাই। কোন ক্ষেত্রে? কর্ম সম্পাদনে। কোন কর্ম? রাজনৈতিক-সংগঠনিক-আদর্শগত কর্মসম্পাদনে উন্নত হতে চাই। আমরা আশাবাদী, সেটা পারব আমরাই। পারব, পারতেই হবে। তা না হলে এই আলোচনা অর্থহীন। সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সমাধানের পথ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। শুধু বাস্তবায়নে থাকা সাফল্যের উদ্দেশ্য নিয়ে। আর নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে যেন বলা নয় করতে পারি, করণীয় সময়োপযোগী হয়ে। মানুষের সান্নিধ্যের স্মরণ ঘটিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানো বড্ড জরুরি বিষয়।
তাই বলতে চাই, আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে, সুদৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাওয়ার কাজে আরও বেশি মনোযোগ, আরও বেশি সচেতনতা, আরও বেশি আন্তরিকতা, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাজেন্ডা। বাংলার মাটিতে অসংখ্য সংগ্রামের সূর্যমুখী ফোটাবার ঐতিহ্য রয়েছে, তাকে হাতেকলমে আরও বর্ণময় করবার দায়বদ্ধতা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে চলাই হোক আজকের অঙ্গীকার।