৬০ বর্ষ ৪৭ সংখ্যা / ৭ জুলাই, ২০২৩ / ২১ আষাঢ়, ১৪৩০
লালঝান্ডার মিছিল সমাবেশে বাঙ্ময় হয়েছে প্রতিরোধের চেহারা
মথুরাপুরে প্রচার মিছিলে কান্তি গাঙ্গুলি এবং নৌসাদ সিদ্দিকি।
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দুর্নীতি, লুঠ আর শাসকদলের মৌরসিপাট্টা কায়েমের পঞ্চায়েতের অবসান ঘটিয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার প্রস্তুতিতে এখন লড়ছেন মানুষ। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলগুলিতে ছোটো বড়ো নানা আকারের সভা-বৈঠক-সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গ্রামীণ এলাকায় এমনকী দীর্ঘদিন শাসকদলের সন্ত্রাসে অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলিতেও লালঝান্ডার তুমুল সমারোহ ৮ই জুলাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করছে। দীর্ঘদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ভয়, ভীতি, সন্ত্রাসে একেবারে বিপর্যস্ত মানুষও এবারে মেরুদণ্ড সোজা করে, মাথা উঁচিয়ে, সমস্ত ভয়-ভীতি-সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অকুতোভয়ে এগিয়ে আসছেন। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের সূচনা থেকেই তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এবারে আর ২০১৮’র নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না শাসকদল। এবারেও নির্বাচন কমিশনের স্থবিরতার সুযোগ নিয়ে প্রশাসন ও পুলিশের মদতে বিরোধী বিশেষ করে বামপন্থীদের মনোনয়নপত্র জমা আটকাতে নানা চক্রান্ত ও অপচেষ্টা চালিয়েছিল তৃণমূল। এজন্য ওরা হিংসা-সন্ত্রাসেরও আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু পোড়খাওয়া মানুষ এবারে অদম্য সাহস ও দৃঢ় মনোভাব নিয়ে প্রতিরোধে শামিল হয়েছেন। এই প্রতিরোধের চেহারা দেখা গেছে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। এতদিন দুমড়ে মুচড়ে থাকা মানুষদের এই প্রতিরোধী মেজাজে জেগে ওঠা এবং তাদের মোকাবিলা করার সাহস না পেয়ে শাসকদলের দুর্বৃত্তরা পিছু হটেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে পেরেছেন বিরোধী প্রার্থীরা। তবে সেটা একশো শতাংশ না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়েছে।
এটা যেমন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনী পর্বে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক, আবার অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের শাসক দলের প্রতি নির্লজ্জ তাঁবেদারি ও দলদাসত্বের কুৎসিত ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছেন রাজ্যবাসী। এই অপকীর্তিতে বিভিন্ন জেলায় বিডিও অফিসগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হয়েছে। বামপন্থী সহ বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেবার সময়ে নানা অজুহাত খাঁড়া করে বাধা তৈরি করা হয়েছে। অকারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের দু’টি ব্লক অফিস এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই সমস্ত কাজে কয়েকটি জেলার বিডিও এবং পুলিশ তৃণমূলের প্রায় ক্যাডারের ভূমিকা পালন করেছে। হাওড়ার এক বিডিও’র বিরুদ্ধে বামপন্থী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে, এনিয়ে তদন্তে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁর একটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের একজন হজে গিয়ে সেখান থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই ঘটনাতেও সংশ্লিষ্ট বিডিও-কে সরানো হয়েছে। আবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি’র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী যেভাবে সিপিআই(এম)’র...