E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৩৮ সংখ্যা / ৭ মে, ২০২১ / ২৩ বৈশাখ, ১৪২৮

কমরেড আবুল হাসনাত খানের জীবনাবসান


করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার শ্রমিক আন্দোলন ও গণআন্দোলনের অন্যতম নেতা, প্রাক্তন সাংসদ কমরেড আবুল হাসনাত খান। কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭-৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্য মিশ্র এবং পার্টির মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক নৃপেন চৌধুরি কমরেড আবুল হাসনাত খানের জীবনাবসানে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বাবা মুসলিম আলি খান, মা দিলআফরোজ খানমের সন্তান আবুল হাসনাত খানের জন্ম ১৯৪৬ সালের ৫ ডিসেম্বর বিহারের দুমকা জেলায়। পরে মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায় তাঁরা বসবাস শুরু করেন। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র আবুল হাসনাত খান খুব অল্প বয়স থেকেই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে রোকেয়া খানমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের ২ ছেলে এবং তিন মেয়ে বর্তমান।

১৯৭০ সালে তিনি সিপিআই(এম)’র সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন। জঙ্গীপুর মহকুমা এলাকায় বিড়ি শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে তিনি যুক্ত ছিলেন। বিড়ি শ্রমিকদের সর্বভারতীয় সংগঠন গড়ে তোলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এলাকায় গরিব শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে তিনি খুবই জনপ্রিয় সংগঠক হিসাবে পরিচিত ছিলেন। কমরেড আবুল হাসনাত খান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ফরাক্কা কেন্দ্র থেকে পরপর চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি জঙ্গীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের নির্বাচনেও তিনি এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি পার্টির মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কমরেড আবুল হাসনাত খান মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন।