৫৮ বর্ষ ৩৮ সংখ্যা / ৭ মে, ২০২১ / ২৩ বৈশাখ, ১৪২৮
কার্ল মার্কস - সম্ভাবনার বিজ্ঞান ও দর্শন
শুভময়
জন্মঃ ৫ মে, ১৮১৮
মৃত্যুঃ ১৪ মার্চ, ১৮৮৩
ক্ষমতাতন্ত্র ও অন্যায় মুনাফার মধ্যে নিপাট আত্মীয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যিনি প্রথম যৌবন থেকেই নিয়োজিত রাখলেন তাঁর মেধা ও দার্শনিক অনুশীলন; পুঁজি ও পুঁজিবাদ কীভাবে মানবতা ও মানবতার সম্ভাবনাকে বিনাশ করে যায় নিরন্তর, এবং সম্ভাবনাও গড়ে তোলে শ্রমজীবী ঐক্যের - সেই বিনাশ ও বিকাশের বৈজ্ঞানিক সূত্রায়ন করলেন যিনি; মেহনতি মানুষ ও তার সহযাত্রীদের অনাগত সকল সংগ্রাম ও বিজয়ের জন্য যে সংগঠন ও পার্টি প্রয়োজন, তা গড়ে তোলবার জন্য, তার তত্ত্বগত বুনিয়াদ রচনার জন্য যিনি বিরামহীন থাকলেন প্রতিটি সম্ভাবনা এবং পরাজয়েও, তিনি কিন্তু তাঁর ৬৫ বছরের সামান্য কম জীবৎকালে শ্রমজীবী মানুষের সংগঠনের হাতে কোনো বিজয় দেখে যেতে পারেননি।
বরং কার্ল হাইনরিশ মার্কস-এর জীবনে বারংবার অনিবার্যত ঘটেছে ঠিক উলটোটা। হ্যাঁ, প্রতিবার। ইয়োরোপ জুড়ে যে বিপ্লবের সম্ভাবনা তিনি দেখেছেন, দেখে প্রাণিত হয়ে তিনি ও তাঁর অবিচ্ছেদ্য সখা ও সহযোদ্ধা ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস দুনিয়া জুড়ে শ্রমজীবী ঐক্যের ডাক দিয়েছেন, ইয়োরোপে সে সম্ভাবনাকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শাসকজোটের নৃশংসতার রক্তপাতের বন্যায়, প্রতিক্রিয়ার প্রবল প্রতাপে এবং দমননীতির নিখুঁত নিপাট বুননে। মানবতার পরিত্রাতা হিসাবে শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যকেই তিনি নিশ্চিত নির্ণয় করে রেখে গিয়েছিলেন, অথচ ২৫ বছরের মধ্যে খেটে-খাওয়া মানুষের রক্তে ভেসে যাচ্ছে সময় - অন্তত দু’দুবার দেখতে হয়েছে তাঁকে। বারংবার দেখতে হয়েছে সম্ভাবনার বিনাশ। অথচ শ্রমজীবী মানুষের বিজয়ের সম্ভাবনাই যে বিজ্ঞান, সেই নির্ণয় থেকে মুহূর্তমাত্র বিচ্যুত হয়েছেন কী তিনি? অন্তত কিছুমাত্র অভিমান ও হতাশার দীর্ঘশ্বাস!
না। বরং প্রতিটি পরাজয়ের পরই অনাগত বিজয়ের সম্ভাবনায়, তার বিজ্ঞানে দৃঢ়তর তিনি - কার্ল হাইনরিশ মার্কস। রচনা করেছেন পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও দর্শনের সেই পরিসর যা নিয়ে মানুষ এগিয়ে যাবে পরবর্তী লড়াইয়ের দিকে।
বিজয়ের জন্যে বিজ্ঞান তিনি নির্মাণ করে চলেছেন, তখন কি জানতেন না তিনি সমাসন্ন পরাজয়ের সম্ভাবনাও প্রবল! ১৮৪৮-এর বিপ্লবের উষাকালে যখন তিনি লিখতে বসেছেন ‘কমিউনিস্ট ইস্তাহার’, প্রথম পঙ্ক্তিতেই তাঁর সারাজীবন শেকস্পিয়র-মগ্নতার আভাস - সারা ইয়োরোপে প্রেতের পদচারণা। সে প্রেতভীতি কমিউনিজম-এর। সুতরাং কমিউনিজমের আতঙ্ক তাড়াতে পুরানো ইয়োরোপের সকল শক্তি একজোট - পোপ এবং জার, মেটারনিখ এবং গুইজো, ফরাসি র্যাশডিকাল এবং জার্মান পুলিশ গুপ্তচর।
১৯৪৮-এর সেই শুরুর দিকটার পর কত বছর যেন কেটে গেল বেশ? এই অতি সামান্য পাটিগণিতটুকুও কষার জন্যে সময় ব্যয় করতে ইচ্ছে হয় না, কারণ এই মুহূর্তেও কী দেখি না কমিউনিস্ট আতঙ্ক পুরোপুরি তাড়াতে কত সহজে কত মসৃণভাবে এক হয়ে যায় দেশজ ফ্যাসিস্ট থেকে রাজ্যের লিবারেল দল। লিবারেল কিন্তু ফ্যাসিস্ট হিংস্রতায় ভরপুর। মিলে যায়, মিলে যায়, কী মোলায়েম মিলে যায় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দুর্গাকল্পের নেতৃত্বাধীন শক্তি থেকে বঙ্গ সংস্কৃতি ও সত্তা বাঁচানোর দায় নিয়ে বসা বুদ্ধিবৃত্তিধারীরা কিংবা তাদেরই মতামতপুষ্ট সংবাদমাধ্যম! রাজ্য থেকে কমিউনিস্ট আতঙ্ক ঝাড়াতে কী মসৃণ মণ্ডিত হয়ে যায় পুঁজি ও শিক্ষিত(!) বুদ্ধির পুষ্টি।
গ্রিক দর্শন বিষয়ে অমন দুর্ধর্ষ সন্দর্ভ রচনা এবং সেই সন্দর্ভের ডক্টরেট উপাধি প্রাপ্তির পরও অধ্যাপনার পেশার আশা ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর শিক্ষক ও বন্ধু ব্রুনো বাওয়ারের রাজনৈতিক বহিষ্কারের পরই তিনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন প্রুশীয় রাজতন্ত্রের অধীন জার্মানিতে তাঁর মতো যুবার জন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খোলা থাকবে না। অগত্যা সংবাদপত্রে বৃত্তিগ্রহণ, দ্রুত উচ্চপদপ্রাপ্তি। কিন্তু তাঁর মতো চির-প্রতিবাদীর জন্যে সে পেশাও টিকবে কতক্ষণ!
মার্কস-এঙ্গেলস-এর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিমান বসু।
দেশ ছেড়ে ফ্রান্স। ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার, কারণ পঁচিশ-ছাব্বিশ বছর বয়সেই প্রুশীয় সরকারের জাতশত্রু হিসাবে চিহ্নিত তিনি। প্রুশীয় সরকারের নির্দেশেই ফ্রান্স থেকে বহিষ্কার। সেখান থেকে ব্রুসেলস। তাঁর বড়ো প্রিয় কবি ছিলেন দান্তে। দান্তেরই মতো বারংবার নিরাশ্রয় হতে হতে কার্ল মার্কস অস্ফুটে উচ্চারণ করতেন ‘দিভিনা কমেদিয়া’-র সেই পঙ্ক্তি - তুমি জানো, অন্যের দরজায় নুন খাওয়ার স্বাদ কেমন! তারপর ১৯৪৮-এর সেই ফেব্রুয়ারি। দেশে দেশে জন্ম নেওয়া সাম্যবাদী সংগঠনগুলির জন্যে ইস্তাহার রচনার বড়ো প্রয়োজন। বন্ধু ও সহযোদ্ধারা তাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু সব লেখা লিখতেই বড়ো দেরি হয়ে যায় তাঁর। ১৮৪৮-এর ২৬ জানুয়ারি, এমনকি কমিউনিস্ট লিগ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁকে হুঁশিয়ারিও পাঠানো হলো এই বলে, ‘যদি ইস্তাহার ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লন্ডনে না পৌঁছায় তাঁর বিরুদ্ধে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ জানুয়ারির শেষে ২৩ পাতার পাণ্ডুলিপি তিনি পাঠালেন লন্ডনে। লেসনার-এর হাতে জে ই বুর্গহার্ড - লন্ডনের জার্মান প্রিন্টশপ থেকে যখন প্রকাশিত হলো তাঁর ও এঙ্গেলস-এর যৌথ নির্মিতি সেই মহা-ইস্তাহার, প্রথম ৮০০ কপিতে লেখকদের কোনো নাম ছাপা ছিল না।
সে-সব অন্যতর ইতিহাস, বিস্তৃততর প্রসঙ্গ। আপাতত আমরা শুধু এইটুকু বলে নিতে পারি ১৮৪৮-এর ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যখন প্রথম প্রকাশিত হলো কমিউনিস্ট ইস্তাহার জার্মান ভাষায়, ততদিনে বিপ্লবের আগুন ডানা ঝাপটাচ্ছে ইয়োরোপের নানা দেশে। প্রথমে প্যারিস। ভিভে লা রিপাবলিক।
ব্রুসেলস-এ যখন খবর পৌঁছাল যে, প্যারিসে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ, তার এক সপ্তাহ আগেই যখন ফরাসি সমাজতন্ত্রী জাক ইমবার সতর্ক থাকতে বলেছিলেন কার্লকে, তিনি নিশ্চয় স্পন্দিত হয়েছিলেন রোমাঞ্চে - দুনিয়া জোড়া খেটে-খাওয়া মানুষের হিম্মত গাথা তো তাঁরা রচনা করে রাখলেনই। সে রোমাঞ্চ তিনি যাপন করারই বা সুযোগ পেয়েছেন কতদিন!
ব্রুসেলস্-এ নির্বাসিত জার্মানদের বিরুদ্ধে ক্রমশ খেপিয়ে তোলা হচ্ছে জনমত। মায়ের কাছ থেকে যে ৬ হাজার ফ্রাঁ তিনি পেয়েছেন সদ্য, তার একটা অংশ ব্যয় হচ্ছে আত্মরক্ষার অস্ত্র ছোরা-রিভলবার কিনতে। তাঁর বাড়িতে পুলিশের হানাদারি। জিজ্ঞাসাবাদ, অতঃপর বহিষ্কার।
আবার প্যারিস। বিপ্লবতীর্থ প্যারিস। মার্কস পরিবার আশ্রয় পেয়েছিলেন বাস্তিলের খুব কাছেই। সেই বাস্তিল, যার দিকে জনতার ছুটে যাওয়া আসলে প্রত্যাঘাত ও প্রতিস্পর্ধারই প্রতীক। বিপ্লব-স্পন্দিত বুকে রোমাঞ্চই যাপন করছিলেন মার্কস। গুস্তাভ ফ্লবেয়ার ঘর ছেড়ে প্যারিসের পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিপ্লব-উদ্যত জনতার সৌন্দর্য দেখবেন বলে, জর্জ স্যান্ড প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রীসভার জন্য প্রচারপত্র লিখছেন, ভিক্তর উগোকে আহ্বান করা হচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর পদ গ্রহণের জন্য।
কিন্তু কতদিনের জন্য প্রজাতন্ত্রের এই বিজয়? বিজয় রোমাঞ্চ? মার্কসকে প্যারিস ছাড়তে হয়েছিল এক মাসের মধ্যেই। ততদিনে অবশ্য বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে গেছে প্যারিস থেকে ভিয়েনা, ভিয়েনা থেকে বার্লিন। আর জুন মাসে পৌঁছোতেই সমগ্র প্যারিসের খেটে-খাওয়া মানুষ সশস্ত্র। পথে পথে ব্যারিকেড, নারীরা তৈয়ার করছে, সরবরাহ করছে গোলাবারুদ। পুরুষরা সেনাবাহিনীর হাতে খুন হয়ে গেলে, নারীরা ব্যারিকেডের প্রতিরক্ষায়। নারীরা ব্যারিকেডের উপরে উঠলে বন্দুকের ঘোড়ায় আঙুল শিশুদের।
২৬ জুনের মধ্যে সব শেষ।
ওই ২৬ জুনই কার্ল মার্কস লিখেছিলেনঃ ‘রক্তে স্নান করেছে প্যারিস; বিদ্রোহ আজ পর্যন্ত ঘটা সর্বোচ্চ বিপ্লবে জন্মান্তরিত হয়েছে, বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে সর্বহারার বিপ্লবে পরিণত হয়েছে।’ এরই সঙ্গে আরও কয়েকটি অসামান্য বাক্য যোজনা করেছিলেন ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসঃ ‘যা জুন বিপ্লবকে পূর্বতন সকল বিপ্লব থেকে স্বতন্ত্র করেছে তা হলো মোহ এবং অনুপ্রেরণার অবসান। ...২৩ জুনের শ্রমজীবীরা তাদের অস্তিত্বের জন্যে লড়াই করছে, এবং পিতৃভূমি তাদের কাছে আজ অর্থহীন।’
এই ব্যাখ্যানকেই স্পষ্টতর করেছেন মার্কস। তিনি বলেছেন, সেদিনের সংগ্রাম ফ্রান্সের সমস্ত সমাজবাস্তবতাকে নগ্ন করে দিয়েছে যা বুর্জোয়ারা গোপন করে রেখেছিল এবং শ্রমজীবীরা হয়তো পুরোপুরি বুঝতে পারেনিঃ ফ্রান্স ছিল দু’টো রাষ্ট্র - একটি মালিকের রাষ্ট্র, অন্যটা শ্রমজীবীর রাষ্ট্র।
আমরা কবে এমন করে বলতে পারব? আসলে এই মুহূর্তে আমাদের যা স্বদেশ, তা আসলে দু’টো দেশ, ফিন্যান্স পুঁজি কর্পোরেট পুঁজির মালিকের দেশ আর অসহায় অগণিত জনতার দেশ।
১৮৪৮-এর সেই জুনের ২৩ বছরের মাথায় জেনিচেন - কন্যা জেনি তাঁর বাবাকে চিঠি লিখছেন প্যারিস কমিউনকে নিকেশ করে দিতে ফ্রান্সের সরকারি বাহিনীর বীভৎসতা দেখতে দেখতে। ১৮৭১ সালে প্যারিস কমিউন গড়ে তোলা ফ্রান্সের শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে কতজনকে খুন করা হয়েছিল? নরনারী শিশু নির্বিশেষে? কিভাবে খুন করা হয়েছিল? সে-কথা বলার তিলমাত্র পরিসর এখন আপাতত আর নেই। সেই সংখ্যাটা, সেই বর্বরতা মানুষতার কোনো গণিতেই হয়তো মাপা যায় না। আপাতত সেই চিঠি, কন্যা জেনি লিখছেন কার্ল মার্কসকেঃ ‘তুমি হয়তো কষ্ট পাচ্ছ খুব। তুমি দেখেছ (১৮৪৮-এর) জুন মাসের সেই দিনগুলি, তারপর এই ২০ বছরেরও বেশি পরে। ...তুমি কি মনে কর না এই গণহত্যা বিপ্লবীদের জীবনকে গুঁড়িয়ে দেবে এবং ফিরে আসতে সময় লাগবে বছরের পর বছর?’
হয়তো তাই জানতেন মার্কস।
তার আগে একটি কথা। নানা মহল থেকে এমনকি ইয়োরোপের নানা সংবাদপত্রে প্যারিস কমিউনের জন্য মূলত দায়ী করা হয়েছিল কার্ল মার্কসকে। ১৮৭১-এর বিপ্লবের পরাজয়ের পর, অমন গণহত্যা, অমন নির্বাসন, কয়েদখানা, আগুন ও দমনের পর মূল অপরাধী তো একজনকে খুঁজে নিতে হবে।
তিনি কার্ল মার্কস।
এমনকি যারা পরাজিত হলো, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ দোষারোপের জন্য একজন বা কয়েকজনকে তো বেছে নেবে।
সেই দোষের ভাগী কার্ল মার্কস। এবং তাঁর সংগঠনঃ ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনের মধ্যে থেকেও লুই ব্লাঁ বললেন, কমিউনে ছিল ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরাই, তারাই সরবরাহ করেছে গোলাবারুদ।
তাঁর বিরুদ্ধে এই দোষারোপকে উপভোগ করেছেন মার্কস। কুগেলমানকে একটি চিঠিতে লিখেছেনঃ ‘সমস্ত মিথ্যার লক্ষ্য হিসাবে আমি এখন সব থেকে সম্মানিত মানুষ, লন্ডনের সব থেকে বিপজ্জনক মানুষও বটে।’
তাঁর জীবৎকালে তাঁর স্বপ্নের বিপ্লবগুলির একটি বিজয়ও দেখে যেতে পারেননি কার্ল মার্কস। বরং পরাজয়ের পর শত্রু ও মিত্র - উভয়পক্ষেরই প্রধানতম শিকার তিনি। ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জার্মান সোশ্যাল ডেমোক্রাটিক পার্টি। তার নিষিদ্ধ হওয়া দেখেছিলেন। বিজয় দেখে যেতে পারেননি।
তবু প্রতিটি বিপর্যয়ের পর তিনি রচনা করেছেন সম্ভাবনার আধুনিকতম দর্শন ও বিজ্ঞান। আজও তাই তাঁর মতো করেই তো বলতেই হয় - আমাদের স্বদেশও আসলে দু’টো দেশ। একটি আধুনিকতম পুঁজির, অন্যটি অসহায় জনতার।
এবং এই জনতার সকল অংশকে সকল মোহ ও অনুপ্রাণিত প্রতারণার ফাঁদ থেকে বার করে আনাই আমাদের কাজ। চিরদিনের কাজ। নিরন্তর কাজ।