৬১ বর্ষ ৫ সংখ্যা / ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ / ২১ ভাদ্র, ১৪৩০
পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগামী লড়াইয়ের পথ দেখিয়েছেন মহিলারা
সোমা চক্রবর্তী দাশ ও সিক্তা জোয়ারদার
পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে, তবুও ভোট লুঠ সহ নানা বিষয়ে কৈফিয়ত দিতে আদালতে এখনও বহু মামলায় এসডিও থেকে থানার আইসি এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের দৌড়াতে হচ্ছে। সমগ্র নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস, অবাধ লুটের জন্য ক্ষমতা দখলে রাখতে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার, কমিশন ও পুলিশকে ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। বর্তমান রাজ্য প্রশাসনের দ্বারা পরিচালিত অন্য নির্বাচনের মতই গ্রামের ভোটেও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভয়ংকর সন্ত্রাস নামিয়া আনা হয়। বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধা, রিটার্নিং অফিসারদের দিয়ে মনোনয়নপত্রে কারচুপি, ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে সন্ত্রাস ও লুট, গণনায় কারচুপি ইত্যাদি অজস্র ঘটনার সাক্ষী গ্রাম বাংলা। বাম প্রার্থীদের জাতিগত শংসাপত্র প্রদানে অস্বীকৃতি আর তৃণমূলের প্রার্থীদের জাল শংসাপত্র প্রদান, পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানো, প্রচার করতে না দেওয়া, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে ভয় দেখানো, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, পুলিশ পাহারায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ভোটকেন্দ্র দখল করে ছাপ্পা ভোট দেওয়া, বোমা-গুলি, হামলা, নৃশংস আক্রমণ অজস্র হতাহতের পরেও মানুষ প্রতিরোধের চেষ্টা করেছে। বিপুলসংখ্যক মহিলা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন, প্রতিরোধ করেছেন, ব্যালট বক্স ফেলে দিয়েছেন, মার খেয়েও লড়েছেন। ২০১১ সালের পর এই প্রথম এত বড়ো লড়াই হয়েছে বাংলার গ্রামে গ্রামে। পরিস্থিতি অনুকূল নয় তা বুঝেও গ্রামের প্রান্তিক মহিলারা বামফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন, গুন্ডাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে তার চেষ্টা করেছেন। গণনা কেন্দ্রের কারচুপি রুখতেও মহিলাদের ভূমিকাকে কুর্নিশ করতে হয়। বহুদিনের বাধার প্রাচীর ভেঙেছেন মেয়েরা। গ্রামে গ্রামে একজোট হয়েছেন তারা গ্রামীণ নব্য ধনীদের বিরুদ্ধে। এই নব্য ধনীরা কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপি’র হয়ে সক্রিয় থেকেছে নিজেদের হীন স্বার্থে। তৃণমূলের গুন্ডারাজ রেহাই দেয়নি গ্রামের মহিলাদের। এবারের নির্বাচনে প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই নারীদের ওপর আক্রমণ, নির্যাতনের খবর এসেছে।
জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, রেগার কাজের টাকা না পাওয়া, আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়া, ঘরের পুরুষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়া, গ্রামের অর্থনৈতিক ভিতকে ক্রমশ দুর্বল করেছে। ফলে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন প্রান্তিক মহিলারা তারা বেছে নিয়েছেন বামপন্থীদের। নির্বাচনী লড়াইয়ে তারা শামিল হয়েছেন অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে, দুর্নীতির নির্মূল করতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহিলারা সংরক্ষিত আসনে এবং বহু ক্ষেত্রে সাধারণ আসনেও লড়েছেন। আজকের পরিস্থিতিতে ভোটে লড়াই করাটাও অসীম সাহসের ব্যাপার। মহিলারা ভয় কাটিয়ে প্রতিরোধের বাংলা গড়তে এক অতুলনীয় ভূমিকা এবার নিয়েছেন। এক কথায় এ লড়াই ঐতিহাসিক। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গ্রামের গরিবদের শ্রেণিস্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্র অর্জন করেছিল বাম আমলে। নির্বাচিত সদস্যদের ৮৫ ভাগ ছিলেন গরিব চাষি, খেতমজুর। যে সমস্ত গবেষণামূলক কাজ এবং সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে তাতেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৮ সাল থেকে পঞ্চায়েতে গরিব মানুষের প্রতিনিধিত্বই ছিলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। বেশিরভাগ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ভূমিহীন, বাস্তুহীন, স্বল্প জমির মালিক, আদিবাসী তফশিলি ও সংখ্যালঘু মানুষ। এদিক থেকে বিচার করলে পশ্চিমবঙ্গ দেশের বাকি অংশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পঞ্চায়েতের সামাজিক গঠনের ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। দরিদ্র জনগণই প্রকৃত শাসক এই ভাবনাতেই পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার জনগণের রায়ে নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৭৮ সালে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন সংঘটিত হয়। প্রথম ত্রিস্তর নির্বাচনে পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন ৫৫ হাজার ৯৭১ জন। এদের মধ্যে কেবল ২০০ জন ছিলেন মহিলা। শুরু হয় বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাজের অর্ধেক অংশ মহিলাদের সামাজিক মর্যাদা স্থাপনের লড়াই। বামফ্রন্ট সরকার সর্ব প্রথম মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন পঞ্চায়েতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে। ১৯৯৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একে অনুসরণ করে ৭৩ তম সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা কার্যকর করা হয়। ২০০৬ সালে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার মহিলাদের জন্য ন্যূনতম ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করেছিল। বামফ্রন্ট সরকার শুধুমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সংরক্ষণ করেনি, পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করে। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে পঞ্চায়েতে তিনটি পর্যায়ে নির্বাচিত মোট সদস্য ছিলেন একান্ন হাজার ৪৯৯। মোট মহিলা সদস্য ছিলেন পনের হাজার। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে মহিলাদের প্রশাসনে সরাসরি অংশগ্রহণ বেড়েছে এবং সচেতনভাবেই গ্রাম উন্নয়নের কাজের তদারকি ও রূপায়ণে সচেষ্ট হয়েছেন মহিলারাও। তাঁরা অধিকার বুঝে নিতে পিছ পা হয়নি।
কিন্তু যে লক্ষ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তা ধ্বংস করা হল তৃণমূল আমলে। লুম্পেন, দুষ্কৃতী, লুটেরাদের হাতে গেল পঞ্চায়েত। আউসগ্রাম ২ ব্লকের বিষ্ণুপুর, শহিদ কমরেড রাজিবুল হকের গ্রাম। ওই গ্রামের পাশের বুথে বামফ্রন্ট প্রার্থী মাশকুরা খাতুন সন্ত্রাস মোকাবিলা করেই ২২৯ টি ভোটে জিতেছেন আক্রান্ত হয়েও। মাটি আগলে জয় ছিনিয়ে নদীয়ার কালিগঞ্জ ব্লকের সন্ত্রাসবলিত পালিতবেগিয়া পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে বামফ্রন্ট। প্রধান হয়েছেন ২২ বছরের হালিমা খাতুন এবং উপপ্রধান পদে রেশমি খাতুন নির্বাচিত হন। গত ১৫ বছর নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে ভোট লুটের মাধ্যমে তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করে এসেছে এই পালিতবেগিয়া পঞ্চায়েতে। মহিলারা অদম্য জেদ নিয়ে জিতেছে। কেশপুরের নাম রাজ্যের সবাই জানেন। যেখানে গত ১২ বছর ধরে তৃণমূলের বর্বর শাসন চলছে। এখানে এবার পঞ্চায়েতে নির্বাচনে সিপিআই(এম) একটি আসন জিতেছে, জয়ী প্রার্থীর নাম সুষমা মল্ল। ৪০ ভোটে সুষমা মল্ল জিতে যান। বিডিও তৃণমূল নেতাকে ফোন করে কাকে জেতাবেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই বিজয়ীর সার্টিফিকেট নিয়ে বাড়ির পথ ধরেন সুষমা মল্ল। নির্বাচনের আগেও তিনি ঘর ছাড়া ছিলেন। খড়গপুর গ্রামীণ ২নম্বর ব্লকেও বামফ্রন্ট কংগ্রেস আইএসএফ-এর সম্মিলিত শক্তি তৃণমূল, বিজেপি’র বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই করেছে। জয়ী হয়েছেন ফারজিয়া বিবি, আলেমা বিবি, রোজেদা খাতুন, মিনু রানা, ছবি খাতুনের মতো অনেক বাম প্রার্থী। কেশবচকে পঞ্চায়েত সমিতির বিজয়ী সিপিআই(এম) প্রার্থী রাখি রায় বলেন, প্রার্থী হওয়া থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত তৃণমূলের হুমকি, গ্রামের গরিব মানুষের বাড়ি বাড়ি হুমকি, বাড়ি ভাঙচুর সবই হয়েছে। এরপরেও মানুষ সিপিআই(এম)কে ভোট দিয়েছেন।
তৃণমূলের ঘোষণা ছিল কোন্ প্রার্থীকেই জিততে দেওয়া হবে না, তা সত্ত্বেও কেশব চক পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) প্রার্থী জিতেছেন। গোঘাটের বদনগঞ্জ ১পঞ্চায়েতের ফুলুই গ্রামের ৯৫ নম্বর বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী বনশ্রী বাগ অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়েও মাত্র ৩ ভোটে পরাজিত হন। গণনা কেন্দ্রে ভোট লুট করেও তৃণমূল পেয়েছে ৫০৫টি ভোট বনশ্রী পেয়েছে ৫০২টি ভোট। ভোট লুট না হলে বনশ্রীই এই কেন্দ্রে জয়লাভ করতেন। ৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কাঁথি ৩ ব্লকের বেতালিয়ায় ব্যাপক রিগিং সন্ত্রাস থাকা সত্ত্বেও এবারের সিপিআই(এম) প্রার্থী রুবিনা বিবি অসম লড়াই লড়ে ৩৭ ভোটে জয়লাভ করেন। ভাঙড়ে গুলি বোমাবাজি উপেক্ষা করেই ছোট্ট অনিককে কোলে নিয়ে নমিনেশন জমা দিয়েছিল রিঙ্কু মামনি মন্ডল। চরম সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করেই জয়লাভ করেছে ভাঙড়ে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের রাখি দাস এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রবল হিংসা সত্ত্বেও লড়াই করেছেন। রাখী দাস স্বরূপনগর, বাঁকভা গোকুলপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হলেও তাঁকে শংসাপত্র দেয়নি প্রশাসন। চলছে আইনি লড়াই। নির্বাচনের হিংসায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহিলারা সাহসের সঙ্গে সামনে থেকেই লড়াই করেছেন। সব দিক থেকেই আজ মহিলারা আক্রান্ত, গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় মেয়েরা চরম সংকটের সম্মুখীন। গ্রামীণ মহিলাদের মাত্র ১৮ শতাংশে কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় ৭০ শতাংশের কোনো আয় নেই। গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করবার লক্ষ্যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করে বিপুল সংখ্যক মহিলাদের সংসার চালানোর দায়িত্ব নেওয়ার দিশা দেখিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। যে প্রচেষ্টা ২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকার শুরু করেছিল মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য। বর্তমানে মাইক্রো ফিন্যান্স ভিত্তিক ব্যক্তির ঋণের বার্ষিক গড় প্রায় ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। এই ঋণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৮ থেকে ৩০ শতাংশ হারের সুদ। ফলে প্রান্তিক মহিলারা প্রতিদিন জড়িয়ে পড়ছেন ঋণের জালে। মহিলাদের এই বিপন্নতাই বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনের লড়াইয়ের শক্তি জুগিয়েছে।
কোন্ অংশের মহিলা লড়লেন এবারের নির্বাচনে? গরিব খেটে খাওয়া প্রান্তিক অংশের অর্থাৎ প্রতিদিন যাঁদের জীবন যুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তাঁরা। যদি শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা যায় তাহলেও বলা যায় বামপন্থীরা তো এদের অর্থনৈতিক সামাজিক অধিকারের জন্যই লড়াই করছেন৷ ফলত এই অংশের মহিলাদের নির্বাচনে লড়াই তৃণমলের ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শিরদাঁড়া সোজা করে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। রেগার টাকা বকেয়া থাকছে। গাঁ উজাড় করে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে গ্রামের ছেলেরা, এমনকি মেয়েরাও। পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। আবাস যোজনার দুর্নীতি বঞ্চিত করেছে গরিব মানুষকে। বাড়ছে স্কুল ছুট ছাত্রীদের সংখ্যা, নারী পাচার। যে জমিতে মহিলাদের একা চাষ করতে হয়, সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা একেবারেই ভাবা হয় না। রাজ্যে কাজ নেই, জব কার্ড বাতিল করা হচ্ছে। ছাঁটাই হচ্ছে মিড ডে মিলের বরাদ্দ। বাড়ছে নারী নির্যাতন। নারীর উপর হিংস্রতা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। মানুষে মানুষে ধর্মের নামে, জাতের নামে, সম্প্রদায়ের নামে বিভেদ বাড়িয়ে ঘৃণার রাজনীতি চলছে বিজেপি আরএসএস-এর নেতৃত্বে। এর শিকার হচ্ছেন মেয়েরা। এই অবস্থা চলতে পারেনা। দিন বদলের লড়াইকে জোরদার করতে হবে। এই লড়াইয়েরই পথ দেখিয়েছেন গ্রামের মহিলারা গুন্ডারাজ সিন্ডিকেট রাজ কাটমানিরাজ সন্ত্রাসের দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের লড়াই আগামীর লড়াইয়ের পথকে প্রশস্ত করেছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, বাংলার অকুতোভয় মহিলারা আবারো নতুন ইতিহাস রচনা করবেন।