E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৭ সংখ্যা / ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ / ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

সংগঠন ও সংগ্রামের বৃত্তকে বড়ো করে বাইরে থাকা মহিলাদেরও আন্দোলনে শামিল করতে হবে

সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সম্মেলনের আহ্বান

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়


মঞ্চে নবনির্বাচিত সভানেত্রী জাহানারা খান, সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ, অঞ্জু কর, মালিনী ভট্টাচার্য।

পথে নামতে হবে জান কবুল করে। জনবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল স্বৈরাচারী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে বামপন্থী গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাসম্পন্ন মহিলাদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সন্ত্রাস রুখে নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বৃত্তটা আরও বড়ো করতে হবে। রক্ষা করতে হবে সংবিধানকে। উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ, জাতপাত, কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ২৯ তম সম্মেলন থেকে উঠে এলো এমনই নির্যাস।

প্রতিনিধি অধিবেশন পর্ব

সম্মেলনের প্রতিনিধি পর্বের অধিবেশন আয়োজিত হয় চন্দননগরের রবীন্দ্র ভবনে (বিভা ঘোষ গোস্বামী নগর, সাধনা মল্লিক মঞ্চে)। প্রতিনিধি অধিবেশন পর্বের উদ্বোধন করে মরিয়াম ধাওয়ালে বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ। প্যালেস্তাইনে যখন নারীরা বলছেন পিতৃতন্ত্র থেকে মুক্তি দিতে হবে, তখন আমাদের দেশে মনুস্মৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মনুবাদী দর্শনের ভিত্তিতে নিশানা করা হচ্ছে মহিলাদের। বলা হচ্ছে পণপ্রথা ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ। তাই যে মেয়ের বাবা-মা পণ দেবেন না তারা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী, এমন কী দেশবিরোধী বলা হচ্ছে। আমাদের এই পিছিয়ে দেওয়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে যে মহিলা একটু কম পড়াশোনা করেছেন তাঁর কাছে গিয়ে তার জীবনের মধ্যে ঢুকে পড়তে হবে। তাঁর প্রতিদিনকার সমস্যার কথা শুনে তাঁকে বোঝাতে হবে। তার চেতনার মান উন্নত করতে হবে। উদ্বোধনী পর্বের পর সম্পাদিকা কনীনিকা ঘোষ খসড়া রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন।

রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদন

রাজ্য সম্মেলনে রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে এই সময়ের বিশ্ব পরিস্থিতির নিরিখে দেশ এবং এই রাজ্যের সংকট এবং লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করার কথা, পিছিয়ে রাখার মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মুক্তির মতাদর্শকে সাথে নিয়ে বৃত্ত বড়ো করে সব অংশের সব মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয়তার কথা। শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের সাথেই লিঙ্গ বৈষম্যের অবসানে গণআন্দোলনের বহমান গতিধারায় নিজেদের মৌলিকতাকে অক্ষুণ্ণ রেখে তীব্র লড়াইয়ের পথে এগোতে হবে দিন বদলের প্রশ্নে।

দেশের পরিস্থিতির প্রসঙ্গে নয়া-উদারবাদের পথ ধরে এখানে ধান্দার ধনতন্ত্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, বিশ্ব পুঁজিবাদ তার সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপর অন্যায় বোঝা চাপানোর ফলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মহিলারা। গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলা হয়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে লাগাতার আক্রমণ নামিয়ে আনা, জাতীয় শিক্ষানীতির নামে শিক্ষার গৈরিকীকরণের কথা, মনুবাদ চাপানোর কথা, বিলকিস বানুর ধর্ষকদের রেহাই দেওয়ার প্রসঙ্গে। অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল বৈষম্য তৈরির প্রশ্নে তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক ও গরিব অংশের ছাত্রীদের বেশি সংখ্যায় স্কুলছুট হওয়ার খতিয়ান। উল্লেখ করা হয়েছে, কোভিড অতিমারীতে কাজ হারানো মানুষের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা বেশি থাকার কথা, রেগায় বরাদ্দ কমায় মহিলাদের কাজ না পাওয়া, সংসার চালাতে মাইক্রোফিন্যান্স ইনস্টিটিউশনের খপ্পরে পড়ার কথাও।

রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এখানে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই, বাড়ছে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা। রেশন গ্রাহকের সংখ্যা কমানোর পরিস্থিতিতে গরিব মানুষের অসহায়তার কথার পাশাপাশি রিপোর্টে বাংলার বেকার যুবকদের চপ শিল্প, চা ও ঘুগনি বিক্রি করার নিদান দেওয়ার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। কন্যাশ্রী সত্ত্বেও মিড ডে মিলের লাইনের প্রথম সারিতে স্কুলছুট মেয়েরা। বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়া, নাবালিকা মায়েদের সন্তান ধারণ করার নজিরে এ রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে গ্রামে-গঞ্জে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে আক্রান্তদের পাশে থাকার বিষয়ে।

৬টি কমিশন পেপার উত্থাপিত

রাজ্য সম্মেলনে মনুবাদ এবং বিজেপি’র ভূমিকা ও মহিলাদের ওপর তার প্রভাব; ক্ষুধা; দারিদ্র্য; বেকারত্ব; নারী নিরাপত্তা মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন; মাইক্রোফিন্যান্স-এর হাত থেকে মহিলাদের রক্ষা করা; পরিবেশ ও নারীর অধিকার; অতিমারীতে শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য-এই ছ’টি বিষয়ে কমিশন পেপার উত্থাপিত করা হয়েছে। সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে আলোচনার মধ্যদিয়ে এ সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন।

প্রতিনিধিদের আলোচনা

উত্তরের দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে আসে চা বাগানের মজুরির সমস্যা, নারী পাচারের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতিদিনই ঘর ছাড়া পরিস্থিতি, বাড়তে থাকা নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা, গঙ্গার ভাঙনে মানুষের গৃহহারা হওয়া, মাইক্রোফিন্যান্স থেকে ধর্মীয় সংগঠনের দাপাদাপি। সব প্রতিনিধির বক্তব্যের মধ্যেই উঠে এসেছে বৃত্তের বাইরে থাকা মহিলাদের সংগঠনের পরিধির মধ্যে সংলগ্ন করার চিন্তা ভাবনার কথা।

জলপাইগুড়ির পার্বতী ছেত্রী তুলে ধরেছেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা। পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে ২০১৮ সালে গ্রামে জয়ী হওয়ার পর তাঁকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা। কোনোক্রমে তাদের হাত ছাড়িয়ে দুর্গম পাহাড়ি পথে তিনি যখন দৌড়ে পালাচ্ছেন তখন প্রশাসনের কাছে ফোন করে কোনো সাহায্য পাননি। তিনি জানান, প্রতিরোধের মুখে দুষ্কৃতীরা পিছু হটে। এদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারলে জয় নিশ্চিত। উত্তরের প্রতিনিধিরা বলেছেন, যে পাড়ায় মহিলা সমিতির সংগঠন নেই সেই পাড়া থেকেও আমাদের কাছে বার্তা পাঠানো হচ্ছে, আসুন আমরা বসতে চাই আপনাদের সঙ্গে।

বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা দেবার প্রশ্নে হেনস্তা-প্রতারণা, থানার সহযোগিতা না পাওয়ার ঘটনা প্রতিনিধিদের আলোচনায় উঠে এসেছে। তাঁরা জানিয়েছেন রাজ্য থেকে যুবকদের ভিন রাজ্যে চলে যাওয়া বাড়ছে। রেগা সহ অন্যান্য সরকারি গ্রামীণ প্রকল্পে মজুরি অমিল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে এই সমস্ত বঞ্চনা এবং ক্ষোভের পরিস্থিতিকে সংগঠিত করার সাংগঠনিক উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিধিরা আরও বলেছেন রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িকতার চোরাবালির স্রোত বইছে। তাই বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় প্রথাকে পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রে নিজেদের পুনর্শিক্ষিত এবং মতাদর্শে আত্মশিক্ষিত হওয়ার প্রশ্নে জোর দেওয়া দরকার।

খড়্গপুরে বিকল্প পাঠশালা এবং ক্যান্টিন মূলত মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, উঠে এসেছে সে কথা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পদযাত্রা যখন জেলার সন্ত্রাস কবলিত কেশপুর, পিংলা, সবং এলাকা পরিক্রমা করছিল তখন তৃণমূলের হুমকির মুখে সংগঠনের মহিলারা রুখে দাঁড়িয়ে চোর তাড়াও লেখা ফেস্টুন তুলে ধরে স্লোগানে স্লোগানে মোকাবিলা করেছেন তাদের - সে কথাও তাঁরা বলেছেন। সমকাজে সমবেতন তো দূরের কথা ১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে মূলত মহিলাদেরও। তার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে।

প্রতিনিধিরা বলেন, বামফ্রন্ট আমলে তৈরি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে চাপে রাখা হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে হাতিয়ার করে তৃণমূলীরা ভয় দেখাচ্ছে নাম কেটে দেওয়া হবে বলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ তৈরি করা গেছে।

প্রতিনিধিরা বলেছেন, পেট্রোল পাম্প থেকে শপিং মল সর্বত্র যে মহিলা কর্মীরা কাজে যুক্ত রয়েছেন তাঁদেরকে সংগঠনের মধ্যে নিয়ে আসা, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়ে এগোনোর কথা। বলেছেন অরাজনীতির মোকাবিলা করার প্রশ্নে আরও বেশি বৈচিত্র্যময় কর্মসূচি মানুষের সামনে নিয়ে আসতে হবে। আলোচনায় উঠে এসেছে ইরানের তরুণী মাসা আমিনের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীকে পরিণত হওয়ার কথা।

বোলপুরের সৌভাগিনী মুর্মু তুলে ধরেছেন দেউচা থেকে বগটুইয়ের ঘটনাবলির কথা। দেউচার মানুষ ধরে ফেলেছেন রাজ্য সরকারের ভাঁওতা, তাঁরা ছাড়বেন না জল জঙ্গল জমির অধিকার। জেলার রামপুরহাট থেকে প্রান্তিক এলাকায় বেড়েছে আদিবাসী মহিলাদের অত্যাচার, ধর্ষণের ঘটনা। তাঁরা শামিল মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, কুলতলি এলাকা সন্ত্রাস কবলিত। সেখানকার প্রতিনিধি চন্দনা বাগচী বললেন, আমরা প্রতিরোধে আছি। বললেন, অতিমারীর দিনগুলিতে তাঁরা বারুইপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালিয়েছেন ২৫১ দিন ধরে। উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিনিধি বললেন জেলায় কীভাবে প্রশাসনের দ্বারা সংগঠিত রামনবমীর সাম্প্রদায়িক মিছিলে শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর প্রতিরোধ হয়েছে।

বাঁকুড়ার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তালড্যাংরার ধর্ষণের ঘটনায় তাদের প্রশাসনের উপর সঠিক তদন্তের প্রশ্নে চাপ সৃষ্টি করার প্রসঙ্গে থানা ঘেরাও করার কথা। উঠে এসেছে বেকার যুবকদের কাজ চাওয়ার আন্দোলনে শহিদ হওয়া মইদুল মিদ্দার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রসঙ্গ।

মালদহের প্রতিনিধি গঙ্গা ভাঙনের জেরে অসহায় মানুষের কথা তুলে বলেন, সরকার তাদের পুনর্বাসন দেয়নি। জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসার সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে গৃহহারা মহিলাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এর পাশাপাশি বিড়ি শ্রমিক, আইসিডিএস প্রকল্প শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে সমন্বয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।

অমর শহিদ শালকু সরেনের নবতিপর বৃদ্ধা মা ছিতামনি সরেন সম্মেলনের পাশে থেকে দিন বদলের লড়াইয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন চিঠি লিখে।

প্রতিনিধি অধিবেশন পর্বের শেষে বক্তব্য রাখেন মালিনী ভট্টাচার্য।

সম্মাননা

সম্মেলন থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়েছে মহিলা আন্দোলনের প্রবীণ নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতিদের। ফুল্লরা মণ্ডল, পিয়ালী বসাক সহ মন্দাক্রান্তা সেন, ডাক্তার বৈজয়ন্তী বাউড়ি, সুনীল গান্ধী, দীপালি ভট্টাচার্য, জয়রাজ ভট্টাচার্য এবং সায়রা শাহ হালিমকে সম্মেলন মঞ্চে অভিনন্দিত করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সম্মেলন উপলক্ষে তোরণ এবং সুদৃশ্য স্তম্ভে সেজে ওঠা চন্দননগরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় গান, আলোচনা সভা এবং নাটক। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, মালিনী ভট্টাচার্য, মধুজা সেন রায়, মীনাক্ষী মুখার্জি প্রমুখ। সম্মেলন উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণের বইয়ের স্টল থেকে কনক মুখোপাধ্যায়ের ‘ভারতবর্ষে নারী আন্দোলনের ধারা’, জ্যোতি বসুর ‘যতদূর মনে পড়ে’ সহ অন্যান্য পত্রপত্রিকা ও বই পাঠকরা কিনেছেন ভিড় করে।

প্রস্তাব সমূহ

সম্মেলনে শোক প্রস্তাব সহ মোট ২৫টি প্রস্তাব পেশ করা হয়। সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, ভারতের সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার পক্ষে, বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে, নারীর প্রতি হিংসার বিরুদ্ধে, নারীর মর্যাদা রক্ষার দাবিতে, প্রকৃতি ও পরিবেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা, দেউচা পাচামির খোলামুখ কয়লা খনির বিরুদ্ধে সহ অন্যান্য বিষয়ে পেশ করা প্রস্তাব সমূহ পাশ হয় সর্বসম্মতিতে।