E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৬০ বর্ষ ১৭ সংখ্যা / ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ / ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯

এশিয়া ও ফুটবলঃ বৈষম্যের বিচিত্র আখ্যান

সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়


এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলে এশিয়ার দেশগুলি তুল্যমূল্য লড়াই দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া ১-২ গোলে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। জাপান ১২০ মিনিট অবধি গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে ১-১ গোলে আটকে রাখে। শুধু তাই নয় ৫৪ মিনিট অবধি ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল জাপান। শেষে টাইব্রেকারে ১-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয়। এই লেখা চলা অবধি ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ৩৬ মিনিটে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও দক্ষিণ কোরিয়া শেষ অবধি আর গোল খায়নি, উলটে ৭৬ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করেছে। কিন্তু তাঁদেরও বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।

ঘটনা হলো (ফিফার মতো একটা চেম্বার অফ কমার্সের কাছে এই আশা করা যদিও অন্যায়) ফিফা যদি বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের নিয়ম কানুনে ‘ইয়োরোপীয় ধাঁচ’ সর্বত্র বজায় রাখে তাহলে এশীয় ফুটবলের ম্যাজিক আরও বেশি করে দেখতে পাওয়া যাবে।

১৯৩০ ও ১৯৩৪-এর বিশ্বকাপে কোনো এশিয়ার দল ছিল না। ১৯৩৬-এর অলিম্পিকে অবশ্য চীন ও জাপান খেলে এবং জাপান পঞ্চম হয়। ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ (ইন্দোনেশিয়া) প্রথম খেলতে যায় এশীয় দেশ হিসেবে । কিন্তু সেবারের ফাইনালিস্ট হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ০-৬ গোলে হেরে বিদায় নেয়।

১২ বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য বন্ধ ছিল বিশ্বকাপ। অলিম্পিকও বন্ধ ছিল। ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে আফগানিস্তান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার (পঞ্চম) ও চীন খেলতে যায়। ভারত ১৯৬০ অবধি চারবার খেলে। ১৯৫৬ সালে চতুর্থ হয়, আজ অবধি অলিম্পিক ফুটবলে এশীয় দেশগুলির সেরা পাররম্যান্স।

১৯৫০-এর বিশ্বকাপের আসর বসে ব্রাজিলে। বার্মা, ফিলিপিন্স ও ইন্দোনেশিয়া প্রাথমিক পর্ব থেকে নাম তুলে নেওয়ার ফলে ভারত সরাসরি ডাক পায়। সম্পূর্ণ ভুল বুঝে (পেশাদার বিশ্বকাপে খেললে যদি আর অপেশাদার ‘মহান’ অলিম্পিকে না ডাকে) দলই পাঠায়নি ভারত।

১৯৫৪ সালে দ্বিতীয় এশীয় দল হিসেবে সুযোগ পায় দক্ষিণ কোরিয়া। হাঙ্গেরি (০-৯) ও তুর্কি (০-৭) দলের বিরুদ্ধে হেরে প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয়।

১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বের ডামাডোলে কোনো এশীয় দল খেলেনি। ১৯৬৬ সালে খেলতে যায় ওয়ার্কার্স পার্টির সরকারের দেশ উত্তর কোরিয়া। প্রথম মার্কসীয় পথে বিপ্লব হওয়া দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হারলেও চিলির বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে তাঁরা। এরপর ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে চলে যায় প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে। কিন্তু পর্তুগালের বিরুদ্ধে ২৫ মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে ইউসেবিয়র ৪ গোলের জন্য ৩-৫ এ হেরে বিদায় নেয় তাঁরা।

১৯৭০ সালে খেলতে আসে তখনও অবধি এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের অন্তর্গত ইজরায়েল। উরুগুয়ের বিরূদ্ধে ০-২ গোলে হারলেও সুইডেন ও ইতালির বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে, যদিও বিদায় নেয় তাঁরা প্রথম রাউন্ডেই।

১৯৭৪ কোনোও এশীয় দেশ না এলেও ১৯৭৮ সালে ইরান আসে খেলতে। এই দলে ১৯৭০ সালের যুব এশীয় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ইরানের ৯ জন সদস্য ছিল, যাঁরা পেনাল্টির মাধ্যমে ২-২ করে ড্র করেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। আর সেই ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা হয়তো দূরদর্শনে কিছু খেলার সম্প্রচার দেখেছিলেন মাত্র ১৯৭৮ সালে।

১৯৮২ সালে কুয়েত খেলতে আসে এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের কাছে ০-১ ব্যবধানে দুই ম্যাচেই হেরে যায়, কেবল চেকোস্লোভাকিয়ার বিরূদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে।

১৯৮৬ সালে ইরাক ও দক্ষিণ কোরিয়া খেলতে আসে। ইরাক সব খেলায় হারে। দক্ষিণ কোরিয়া আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ১-৩ গোলে প্রথম ম্যাচ হারলেও বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে এবং ইতালির বিরুদ্ধে শেষ অবধি লড়ে ২-৩ এ হেরে যায়।

১৯৯০ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও আরব আমিরশাহি সব ম্যাচ হেরে যায়। কোরিয়া তাও তিন ম্যাচে ১-৬ ব্যবধান করে, আরব দলটি সেখানে তিন ম্যাচে ২ গোল করলেও ১১ গোল খায়।

১৯৯৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়া স্পেন (২-২) ও বলিভিয়ার (০-০) বিরুদ্ধে ড্র করলেও জার্মানির বিরুদ্ধে খুব লড়াই করে (২-৩) হেরে গিয়ে বিদায় নেয়। কিন্তু প্রথম খেলতে আসা সৌদি আরব নেদারল্যান্ডের বিরূদ্ধে ১-২ গোলে হেরে গেলেও মরক্কো (২-১) ও বেলজিয়াম (১-০) গোলে হারিয়ে দেয়। ২৮ বছর ৭ টা বিশ্বকাপে এসে কোনো এশীয় দেশ আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে। এবার সুইডেনের বিরুদ্ধে ১-৩ গোলে হেরে বিদায়।

১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে ইরান, জাপান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া সুযোগ পায়। ইরান যুগোস্লাভিয়া ও জার্মানির কাছে হারলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দেয়। জাপান তিনটি ম্যাচেই হারে। সৌদি আরব কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ড্র করে, ফ্রান্স ও ডেনমার্কের বিরুদ্ধে হেরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়াও শুধু বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে, নেদারল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে হেরে যায়।

২০০২ সালে বিশ্বকাপের আসর বসে এশিয়ায় প্রথমবারের জন্য। আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ছাড়াও চীন ও সৌদি আরব সুযোগ পায়। চীন তিনটি ম্যাচেই হেরে যায় ও ৯ গোল খায় (উল্লেখ করা যায়, ১৯৯০-এ সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ অংশগ্রহণের ১২ বছর চীন একমাত্র কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত দেশ যারা বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায়)। সৌদি আরবও তিন ম্যাচেই হারে ও ১২ গোল খায়।

জাপান রাশিয়া ও তিউনিশিয়াকে হারিয়ে দেয়, বেলজিয়ামের সঙ্গে ড্র করে দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছায় এবং সেখানে তুরস্কের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়েনি। পোল্যান্ড ও পর্তুগালকে হারিয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ড্র করে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়। সেখানে ইতালিকে ২-১ এ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে প্রথম এশীয় দল হিসেবে। সেখানে স্পেনকে ১২০ মিনিট ০-০-য় আটকে রেখে টাইব্রেকারে ৫-৩ এ হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে প্রথম এশীয় দল হিসেবে। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে যায়। তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে তুর্কির কাছে ২-৩ গোলে হার মানে তুল্যমূল্য লড়াই করে। এটাই এখনো অবধি কোনো এশীয় দলের সেরা পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে।

২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ইরান, জাপান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেয়। এরমধ্যে প্রথম তিনটি দেশ একটি করে ড্র ও দুটি করে হার স্বীকার করে, কেবল দক্ষিণ কোরিয়া টোগোকে হারায়, ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র করে ও সুইৎজারল্যান্ডের কাছে হেরে যায়।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনের দেশ হিসেবে ওসিয়ানিয়া থেকে চলে আসা অস্ট্রেলিয়া, ৪৪ বছর বাদে খেলতে আসা উত্তর কোরিয়া ছাড়াও জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ছিল। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া জার্মানির কাছে (০-৪) হারলেও, ঘানার বিরুদ্ধে ড্র করে(১-১) ও সার্বিয়াকে হারায় (২-১)। এদিকে উত্তর কোরিয়া ১২ গোল খায় তিন ম্যাচে। কিন্তু জাপান ক্যামেরুন ও ডেনমার্ককে হারায়, নেদারল্যান্ডের কাছে হেরে যায় কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে আসে। সেখানেও নিষ্পত্তি হয়নি। আবার টাইব্রেকারে হার হলো প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে। ১২০ মিনিট ০-০ চলার পরে খেলার নিষ্পত্তি হয় জাপানের। দক্ষিণ কোরিয়া ঘানাকে হারিয়ে, নাইজেরিয়ার সঙ্গে ড্র করে, আর্জেন্টিনার কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়, সেখানে উরুগুয়ে ২-১ গোলে জিতে যায়।

২০১৪ সালে এশীয় দেশগুলির ফল খুব খারাপ ছিল। অস্ট্রেলিয়া তিনটি ম্যাচেই হারে ও ৯ গোল খায়। ইরান শুধু নাইজেরিয়ার সঙ্গে ড্র করে, আর্জেন্টিনার ও বসনিয়া- হার্জেনিয়ার সঙ্গে হারে। মাত্র ৪টে গোল খায় ও দুটি গোল করে। জাপান গ্রিসের সঙ্গে ড্র করলেও, আইভরি কোস্ট ও কলম্বিয়ার বিরূদ্ধে হেরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া রাশিয়ার সঙ্গে ড্র করে, আলজেরিয়া ও বেলজিয়াম-এর কাছে হারে।

২০১৮ ছিল এশিয়ার জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ। ৫টি এশীয় দল খেলতে আসে। অস্ট্রেলিয়া ডেনমার্কের সঙ্গে ড্র করলেও ফ্রান্স ও পেরুর কাছে হেরে যায়। ইরান মরক্কোকে হারায়, স্পেনের কাছে হারে, পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করে।

দক্ষিণ কোরিয়া জার্মানিকে হারালেও মেক্সিকো ও সুইডেনের বিরুদ্ধে হেরে যায়। সৌদি আরব রাশিয়া ও উরুগুয়ের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও মিশরকে হারিয়ে দেয়।

জাপান কিন্তু ছাড়েনি। কলম্বিয়াকে হারিয়ে, সেনেগালের সঙ্গে ড্র করে, পোল্যান্ডের কাছে হেরে যায়। দ্বিতীয় পর্বে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ২-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয়।

২০২২-এর বিশ্ব মান অনেক এগিয়েছে। দ্বিতীয়বার এশিয়ায় বিশ্বকাপের আয়োজন করা কাতার প্রথম রাউন্ডের সব ম্যাচে হেরে যায়। সৌদি আরব শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়ে হইচই ফেলে দেয়। জাপান হারিয়ে দেয় জার্মানি ও স্পেনকে। ইরান ওয়েলসকে, অস্ট্রেলিয়া তিউনিশিয়া ও ডেনমার্ককে হারিয়ে দেয়।

এরপরেও এশিয়ার ফুটবলকে পিছিয়ে রেখে দেওয়ার সর্বাধিক আয়োজন চলছে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থাগুলি মারফত।

যেখানে ইয়োরোপে উয়েফার দেশ সংখ্যা ৫৫, সুযোগ পায় ১৩টি, সেখানে এশিয়া থেকে পায় ৫টি। দেশ সংখ্যা? ৪৬। এর মধ্যে শেষ ১২ র‌াঙ্ক-এর দেশকে হোম অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে দুটি করে ম্যাচ খেলিয়ে তোলা হয় ৬টি দেশকে। বাকি ৩৪ এর সঙ্গে এই ছয়টি দেশ মিলিয়ে ৪০টি দলকে ৮টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। একেকটা গ্রুপে ৫টে করে দল অর্থাৎ ৪×২= ৮টি করে ম্যাচ। এই ৮ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ৪টি সেরা রানার্সদের নিয়ে ১২ টি দল ওঠে। তাদের দুটো গ্রুপে ভাগ করানো হয়। একেকটা দল ৫×২=১০টি ম্যাচ পায়। এবার এখান থেকে দুটি চ্যাম্পিয়ন ও দুটি রানার্স বিশ্বকাপে যায়। অর্থাৎ কম করে ১৮টি বা সর্বোচ্চ ২২টি ম্যাচ (এইটা হয়না, ১৮ টাই হয়) খেলে বিশ্বকাপ। এরপরে একটি পঞ্চম দল সুযোগ পায় প্লে অফ মারফত। এরফলে বড়ো দল আর ছোটো দলের সাক্ষাৎ খুব কম হয়। ছোটো দলের অভিজ্ঞতা বাড়ে না, বড়ো দলের গোল সংখ্যাও বাড়ে না।

ইয়োরোপের ৫৫টা দলের মধ্যে কম করে ১৫টা দলের র‌াঙ্ক ৯০-এর নিচে। এখানে কোনো বড়ো ছোটো ভেদ নেই। যে কেউ যার তার সঙ্গে খেলতে পারবে। ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান সহজে সৌদি আরব, ইরান, জাপানের বিরুদ্ধে সুযোগ পাবে না। কিন্তু ২০০- এর পরে র‌াঙ্ক-এ থাকা সানমারিনো খেলেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে। জিব্রাল্টারের র‌াঙ্কও ২০০ এর নিচে। খেলেছে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

কেন এই বৈষম্য? কারণ ফিফা নামক চেম্বার অফ কমার্সের কোনো লক্ষ্য নেই ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তারা শুধু ব্যবসা চায়। ইয়োরোপে গোল না হলে আন্তর্জাতিক খেলায় লোক হবে না, আর এশিয়ার বড়ো দলগুলোর মধ্যে খেলা না হলে ইয়োরোপের ক্লাবগুলোর সাপ্লাই লাইনে টান পড়বে। শুধু এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিটুলি গোলা জল হিসেবে তারা এশিয়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকেই চিনেছেন।

তবে যে হারে পুরস্কারের অর্থ ও ইয়োরোপীয় ফুটবলে চুক্তি মূল্য বাড়ছে তাতে অচিরেই সংকট তৈরি হতে বাধ্য।