E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪৭ সংখ্যা / ৯ জুলাই, ২০২১ / ২৪ আষাঢ়, ১৪২৮

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতি কালোবাজারির বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বামফ্রন্টের প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ

রাম শংকর চক্রবর্তী


এগরায় বামফ্রন্টের প্রতিবাদ মিছিল।

পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সকলের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিতে, ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহে কালোবাজারি এবং ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে, কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে আয়কর আওতার বাইরে সমস্ত পরিবারকে ৬ মাসব্যাপী প্রতিমাসে ৭,৫০০ টাকা করে দেওয়ার দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্টের ডাকে প্রতিবাদ মিছিল ও সভা সংগঠিত হলো জেলার চারটি মহাকুমায়। ৪ থেকে ৬ জুলাই হলদিয়া, কাঁথি, এগরা এবং তমলুকে কোভিডবিধি মেনে এই কর্মসূচি হয়েছে। তিন দিনের এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন অগণিত মানুষ।

৪ জুলাই হলদিয়া মহকুমার গিরিশ মোড় থেকে দুর্গাচক পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন সিহি, পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস, ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি প্রমুখ। মিছিল শেষে সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন রবীন দেব, নিরঞ্জন সিহি, মীনাক্ষী মুখার্জি, হিমাংশু দাস ছাড়াও আরএসপি নেতা অমৃত মাইতি, সিপিআই(এম) নেতা ভরত মাইতি, পরিতোষ পট্টনায়েক, অচিন্ত্য শাসমল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবীন দেব এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান। তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকেই মহামারী ও লকডাউনের জেরে এদেশ তথা রাজ্যের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী থেকে সমস্ত অংশের মানুষের আয় কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। পেট্রোল, ডিজেল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার মতো সামর্থ্য সাধারণ মানুষের ক্রমশ কমছে। অথচ সরকার সেসব দিকে দৃষ্টি দেওয়ার মতো সময় পাচ্ছে না। রাজ্যের সাম্প্রতিক নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এ সরকারকেও গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। আর বামপন্থীরা পরাজিত হয়েও মানুষের প্রয়োজনে রাস্তায় থেকে প্রতিবাদ করছে। তিনি আরও বলেন, এ মিছিল থেকে দাবি উঠেছে সর্বজনীন টিকাপ্রদান, জাল ভ্যাকসিন কাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি। কিন্তু কে কাকে শাস্তি দেবে? নিরপেক্ষ তদন্ত যদি হয় তবে একগুচ্ছ তৃণমূল নেতা যে জড়িত তা প্রমাণিত হবে।

সভায় মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, করোনা আক্রান্ত মানুষদের পাশে যখন রেড ভলান্টিয়াররা প্রয়োজনে ছুটে যাচ্ছে, তখন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কয়েকশো মানুষকে রাজ্যজুড়ে টিকাকরণের নামে জালিয়াতি করতে দেখা যাচ্ছে। এটাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আসলে তৃণমূলের মন্ত্রী ভুয়ো, নেতা ভুয়ো, নীতি ভুয়ো। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিতোষ পট্টনায়েক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন সিহি, আর এস পি নেতা অমৃত মাইতি, স্বপন দাস।

অন্যদিকে কাঁথি ও এগরাতে একই দাবিতে মিছিল সভা সংগঠিত হয় ৫ জুলাই। এদিন কাঁথির জুনপুট মোড় থেকে দীর্ঘ মিছিল সুপার মার্কেট, বড়ো পোস্ট অফিস, রাজাবাজার, কাঁথি থানা হয়ে মেচেদা বাইপাসের মোড়ে শেষ হয়। সেখানেই মিছিল শেষে সভা হয়। কাঁথি শহরের রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ মিছিল দেখে যেন প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে পায়। মিছিল থেকে কাজের দাবিতে, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রতিবাদে স্লোগান ওঠে। এদিনের মিছিল এবং সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি সমাবেশে বলেন, এই মহামারীর সময় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশে সবচেয়ে কম ভ্যাকসিন দিচ্ছে সরকার। একদিকে ভ্যাকসিনের আকাল এবং অন্যদিকে তা কালোবাজারি করছে এরাজ্যের শাসকদলের নেতারা। এমনকী দেবাঞ্জন দেবের মতো লোকেদের জালিয়াতির সুবিধা করে দিয়েছে রাজ্যের সরকার। ১৯৮৬ সালে জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পালস পোলিও টিকাকরণ শুরু হয়েছিল সরকারি তত্ত্বাবধানে। আর এখন ভ্যাকসিনের কাজ করছে দেবাঞ্জন কোম্পানি। তিনি আরও বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় সমস্ত জিনিসপত্রের দাম যেমন বাড়ছে, তেমনি মানুষের আয় কমেছে। এখানকার সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস। বক্তব্য রাখেন নিরঞ্জন সিহি, যুবনেতা ইব্রাহিম আলি, পরিতোষ পট্টনায়েক, কৃষক নেতা পরেশ পাল, আরএসপি নেতা অমৃত মাইতি। উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতা সুব্রত পন্ডা, ভরত মাইতি, আশিস প্রামাণিক প্রমুখ।

অন্যদিকে এদিন বিকালে এগরায় সিআইটিইউ অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বাজার এলাকা হয়ে স্বর্ণময়ী স্কুলের কাছে শেষ হয়। এদিনের মিছিল ও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি সমাবেশে বলেন, মানুষ সব দেখছেন। যা বিজেপি তাই তৃণমূল। করোনার অতিমারীতেও সর্বজনীন টিকাকরণের ব্যবস্থা আজও করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রের সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ টিকা দিয়ে করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হলেও পারলো না শুধু আমাদের দেশের সরকার। দেশের মানুষ টিকা পেলেন না। এতটাই অপদার্থ কেন্দ্রের মোদী সরকার। এদিকে টিকার সার্টিফিকেটে মোদীর ছবি থাকবে নাকি দিদির ছবি থাকবে তাই নিয়ে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের টানাপোড়েন চলছে। আর বামপন্থীরা দাবি তুলছেন সবার জন্য টিকা, জিনিসপত্রের দাম কমানোর। পার্থক্যটা স্পষ্ট।

এই সভায় ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, বিধানসভার বাইরে অসংখ্য রাস্তা, মাঠ পড়ে রয়েছে লড়াই করার। গরিব মানুষ, নিপীড়িত মানুষের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে বামপন্থীরা অতীতেও ছিলেন এবং আগামীতেও থাকবেন। তাই বিধানসভায় শূন্য হলেও লড়াইয়ের মাটি ছেড়ে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টি নেতা সুব্রত পন্ডা। বক্তব্য রাখেন নিরঞ্জন সিহি, অমৃত মাইতি। সভায় কালিপদ দাসমহাপাত্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৬ জুলাই তমলুক মহকুমার বামফ্রন্টের সভা অনুষ্ঠিত হয় তমলুক হাসপাতাল মোড়ে। এর আগে তমলুকের মানিকতলা থেকে মিছিল হয়। সহস্রাধিক মানুষ সেই মিছিলে অংশ নেন।

মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা মিনতি ঘোষ, এসএফআই’র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস, জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নিরঞ্জন সিহি, হিমাংশু দাস, সিপিআই’র নির্মল বেরা, আরএসপি’র অমৃত মাইতি, ফরওয়ার্ড ব্লকের অশ্বিনী সিনহা সহ সুব্রত পন্ডা, কাঞ্চন মুখার্জি, রীতা দত্ত, মহাদেব মাইতি, ভরত মাইতি, সেখ ইব্রাহিম আলি, সত্যরঞ্জন দাস, অমল কুইলা, পরিতোষ পট্টনায়েক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সভায় মিনতি ঘোষ বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নিজেরা পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা করছে। বামপন্থীরা তা কখনোই মানতে পারে না, তাই রাস্তায় নেমেই প্রতিবাদ করছেন বামপন্থী ছাত্র-যুব-মহিলা-কৃষক-শ্রমিক সহ অন্যান্য অংশের মানুষ। করোনা মহামারীতে সারাদেশ ও রাজ্যে বিপর্যস্ত জনজীবন। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শ্রমজীবী ও অন্যান্য অংশের মানুষজন কাজ হারিয়েছেন। গত লকডাউনের সময় এদেশ দেখেছে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতায়। সেই মানুষদের জন্য যেমন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি সরকার, তেমনি এখনো করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনও জোটেনি এদেশের মানুষের। আর অন্যদিকে এ রাজ্যের শাসকদলের কর্মীরা আমফানের সময় ত্রিপল, চাল যেমন চুরি করেছিল, তেমনি এখন ভ্যাকসিনেরও দেদার কালোবাজারি চলছে। রাজ্যের মানুষ দেখলো একজন মানুষ আইএএস সেজে কীভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে বেড়ালো কয়েকশো মানুষকে। অথচ রাজ্য সরকারের কেউই নাকি টের পাননি। এটা হাস্যকর। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় বামপন্থীদের কাছে একমাত্র আলোচনার বিষয় হয়না। বামপন্থীদের কাছে প্রথম লক্ষ্য নির্যাতীত, নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা। যে অংশের মানুষ প্রতিবাদ করতে ভয় পায়, সেই মানুষদের সংগঠিত করে সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাদের ব্যর্থতার দিকগুলি তুলে ধরে লড়াই আন্দোলনে শামিল হওয়াই আমাদের কাজ। তাই এখন যখন নির্বাচনে জেতার পর তৃণমূল কংগ্রেস দল ভাঙানোর খেলায় মেতে উঠেছে, তখন বামপন্থী ছাত্র-যুব রেড ভলান্টিয়ারের নামে আক্রান্ত অসহায় মানুষদের পাশে থাকছে প্রতিনিয়ত। সরকারের যা করার কাজ সেই কাজ রেড ভলান্টিয়ার্স করছে। সভায় মিনতি ঘোষ বলেন, নির্বাচনে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র দু’মাস হয়েছে রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই অল্পদিনেই রাজ্যের সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্ত তা আবারও প্রমাণিত হচ্ছে আদালতে। শুধু তাই নয়, সরকারের পরোক্ষ মদতেই বারে বারে দুর্নীতি চলছে বিভিন্ন চাকরির নিয়োগে। বিশেষ করে আপার প্রাইমারি ক্ষেত্রে। যাতে আদালতে মামলা হয় আর নিয়োগ না হয়। এই দ্বিচারিতা সাধারণ মানুষ আগামী দিনে মেনে নেবে না।

সভায় এসএফআই নেতা ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, মানুষের অধিকারের দাবিতে রাস্তায় থাকছি আমরা বামপন্থীরা। তৃণমূল যখন জেতার আনন্দে খেলা হবে স্লোগানে উদ্দাম নৃত্যে মেতেছিল, তখন বামপন্থী ছাত্র যুবরা জীবন বাজি রেখে অসহায় মানুষের পাশে থেকেছে নিরন্তর। বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতিতে বেসামাল এ দেশ। এই সময়েই দেখছি দেশের প্রধানমন্ত্রীর বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে গেছে পেট্রোপণ্যের দাম। কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের ট্যাক্স, কর্পোরেটদের মুনাফার জন্য পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে করোনায় ভ্যাকসিনের আকাল। এই দুইভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ছাত্রছাত্রীরা দুই বছর স্কুল যেতে পারলো না। সরকার এতটাই অপদার্থ যে, পরীক্ষা পর্যন্ত নিতে পারলো না। ছাত্রছাত্রীদের মনের অবস্থা কী চলছে সে বিষয়ে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

সভায় নিরঞ্জন সিহি বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আমফান ও ইয়াসে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। এত বড়ো বিপর্যয় সাম্প্রতিককালে হয়নি। কিন্তু বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে সরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি বললেই চলে। সরকারি রিপোর্টে মাত্র তিনটি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই সময় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে বামপন্থী সংগঠন ও রেড ভলান্টিয়াররা যদি ওই বিপর্যস্ত পরিবারগুলির পাশে না দাঁড়াত তবে না খেতে পেয়ে রাস্তায় পড়ে মরতে হতো হাজার হাজার মানুষকে। করোনার সময় যেমন ভ্যাকসিনের আকালে এ জেলাতেও কালোবাজারি চলছে, তেমনি পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিআই(এম) নেত্রী রীতা দত্ত।

জেলাব্যাপী তিন দিনের এই কর্মসূচি থেকে জনজীবনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সমস্ত অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আরও বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার ডাক দিয়েছে জেলা বামফ্রন্ট।