E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৮ বর্ষ ৪৭ সংখ্যা / ৯ জুলাই, ২০২১ / ২৪ আষাঢ়, ১৪২৮

একুশ কাহন

বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়


গলার কাছে দলা পাকিয়ে আটকে আসছে দম। করোনা মহামারী আবহে করোনার ধাক্কা ছাড়াও যে এভাবে দম আটকে আসতে পারে সে অনুভূতি আগে কখনও হয়নি। গত কয়েক মাসে যারা অক্সিজেনটুকু না পেয়ে মারা গেছেন তাঁরা মৃত্যুর আগে না জানি কতটা কষ্ট পেয়েছিলেন! আগ্রার পারশ হাসপাতালের ভরতি থাকা অসহায় কোভিড সংক্রমিতদের মতো ‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখা আম দেশবাসীকেও যে প্রতিদিন অক্সিজেন বন্ধ রাখার মক ড্রিলের মুখোমুখি হতে হবে তা আগে কে ভেবেছিল! নোটবাতিল, বেসরকারিকরণ, করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়া, জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম, ভ্যাকসিন দুর্নীতি - ধাপে ধাপে ধৈর্য, সহন ক্ষমতার পরীক্ষা দিতে দিতে দম আটকানো এবার সত্যিই শুরু হয়েছে। কারো কারো মালুম পড়ছে, কেউ কেউ এখনও নেশায় বুঁদ। কুম্ভকর্ণের ঘুম কবে আর সহজে ভেঙেছে!

এপ্রিল মাসের শেষ দিকের ঘটনা। ২৬ এপ্রিল। আগ্রার পারশ হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখার জন্য মিনিট পাঁচেক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অক্সিজেনের জোগান। তার জেরে মৃত্যু হয় প্রায় ২২ জন রোগীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দেড় মিনিটের অডিয়ো ক্লিপে এক ব্যক্তি নিজেকে আগ্রার পরশ হাসপাতালের মালিক আরিঞ্জয় জৈন বলে দাবি করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অক্সিজেনের জন্য ২২ জন রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁদের শরীর নীল হতে শুরু করে। আমরা বুঝতে পারি যে তাঁরা বাঁচবেন না।’ ২২ জন অসহায় মানুষের মৃত্যুর পর (পড়ুন হত্যা) এত সরল, নিষ্পাপ স্বীকারোক্তি এর আগে কেউ কখনও দিয়েছেন কী? জানিনা। সময় কি আমাদের নির্লিপ্ত করে তুলছে?

৫ জুলাই এনআইএ-র হাতে গত ৯ মাস আটক থাকা আদিবাসী অধিকার রক্ষা কর্মী, মানবাধিকার কর্মী ৮৪ বছর বয়স্ক স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। যে মৃত্যুকে অনেকেই বলেছেন ‘ঠান্ডা মাথার খুন’। বলতে এবং শুনতে খারাপ লাগলেও এই মৃত্যুও একটা বড়ো অংশের মানুষের কাছেই কোনো বিপদসংকেত বলে মনে হয়নি। দেশের কিছু মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আর প্রতিবাদ, সমালোচনা ধেয়ে এসেছে বিদেশ থেকে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে। ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে।

এলগার পরিষদ কাণ্ডে মাওবাদীদের যোগাযোগের অভিযোগে গত বছর ৮ অক্টোবর রাঁচি থেকে এনআইএ গ্রেফতার করে স্ট্যান স্বামীকে। তারপর থেকে মুম্বইয়ের তালোজা জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ক্ষয় হতে থাকে শরীরে। আগেই থাবা বসিয়েছিল পারকিনসন্স, সঙ্গে করোনাও। হারান শ্রবণশক্তি। জেলের মধ্যে কোনো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেন তিনি, প্রতিবারই তা খারিজ করে দেয় আদালত। এমনকী সামান্য একটা স্ট্র-এর জন্যও একাধিকবার আদালতে আবেদন করতে হয়েছে তাঁকে। বারবার জামিনের আবেদন করেও জামিন মেলেনি। তাঁর আইনজীবী মিহির দেশাই আদালতে জানান, ‘তাঁর বাড়ি থেকে কোনো অস্ত্র বা কোনো আপত্তিজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। তবুও ৮৪ বছর বয়স্ক এই ব্যক্তিকে ইউএপিএ এবং আইপিসি-র একাধিক ধারায় যুক্ত করা হয়েছে।’ শেষ পর্যন্ত গত ৩০ মে বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে পাঠানো হয় মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে।

এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বিশেষ সাক্ষাৎকারে স্ট্যান বলেছিলেন, ‘আপনি এই মুহুর্তে একজন দেশদ্রোহীর সঙ্গে কথা বলছেন। সরকার আমাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু, আমি সরকারের ভুল নীতির বিরুদ্ধে জনসংঘর্ষে শামিল। মানুষকে জাগিয়ে তুলছি। তাই আমাকে অপরাধী বলে দেওয়া হয়েছে।’ স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব লিখেছেন, “স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখিত। আমাদের সিস্টেম এত নিষ্ঠুর ও অনুভূতিহীন হয়ে গেছে। গরিব মানুষের জন্য উনি যা করেছেন, আমি মনে করি না তারপর এগুলো তাঁর প্রাপ্য ছিল। যদিও আমাদের দেশের সরকার দেশে বিদেশে কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে যে বিবৃতি দিয়েছে তার সারমর্ম - স্ট্যান স্বামী একজন অপরাধী। তাঁকে নির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সরকার যা বলেনি তা হলো এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।’’

কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষে বলা হয়েছে, “ভারতের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক রাষ্ট্রনীতি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার দ্বারা সম্পূর্ণ, যেখানে দেশীয় ও রাজ্যস্তরের মানবাধিকার কমিশন যেকোনো ভায়োলেশনের ওপর নজর রাখে, মিডিয়া মুক্তভাবে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে এবং একটি প্রাণবন্ত, সোচ্চার নাগরিক সমাজ রয়েছে। ভারত তার সমস্ত নাগরিকের মানবাধিকারের উন্নতি ও সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সাজানো গোছানো বক্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ধন্যবাদ অবশ্যই প্রাপ্য।’’

যে কথা দিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম। দম আটকে আসা। এই দম আটকে আসা দলে থেকে কাজ না করতে পারার জন্য নয়। এই দম আটকে আসা ক্ষমতার খোঁজে দলবদলের ধান্দাবাজি করার জন্য নয়। এই দম আটকে আসা বোধহয় অন্য কিছু। গত ১০ বছর বা গত ৭ বছরে রাজ্যে, দেশে সুস্থ চিন্তার মানুষরা বারবার যে দম আটকে আসা অনুভব করছেন। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হচ্ছে প্রতি পদে, প্রতি ক্ষণে। চারপাশটা অনেক বদলে গেছে। যে বদল ভীষণ চোখে পড়ছে। মাথায় ধাক্কা মারছে।

বদলটা ঠিক কী ধরনের তার জন্য আরও একটা ঘটনা টেনে আনা দরকার। রামভক্ত গোপালের নাম কার কার মনে আছে জানিনা। এই যুবক গত বছর ৩০ জানুয়ারি দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলা তার ‘ইয়ে লো আজাদি’ ভাইরাল হয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ওই ঘটনার পর তাকে ২৮ দিনের জন্য জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, তার বয়স ১৭ বছর এবং তিনি নাবালক। সেই সময় তার নামও প্রকাশ করা হয়নি। আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে সেই রামভক্ত। এবার ঘটনাস্থল হরিয়ানার পাতৌদি।

গত ৪ জুলাই পাতৌদিতে ‘লাভ জিহাদ’ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে আলোচনার জন্য এক মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। যে সভায় রাম ভক্ত গোপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিল কর্নি সেনার প্রধান এবং বিজেপি’র মুখপাত্র সূরয পাল আমু। ওই মহাপঞ্চায়েতের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এখন। যেখানে নাবালক রামভক্ত গোপালকে মুসলিম মহিলাদের অপহরণ করার জন্য জনতাকে উৎসাহিত করতে দেখা গেছে। তিনি আরও বলেছেন - ‘যখন আমরা মুসলমানদের আক্রমণ করব, তখন মুসলমানরা ‘রাম রাম’ বলে চিৎকার করবে।’ আর কর্নি সেনার প্রধান তথা বিজেপি নেতা সূরয পাল আমু বলেছেন - দেশে যাতে কোনো তৈমুর, ঔরঙ্গজেব, বাবর, হুমায়ুন জন্ম নিতে না পারে তা দেখতে হবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “কোনো পাকিস্তানিকে এখানে বাড়ি ভাড়া দেব না আমরা। এই দেশ থেকে প্রত্যেক পাকিস্তানিকে সরানো হোক। এই প্রস্তাব পাশ করতেই হবে।” এর পাশাপাশি গতকালের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ঢেলে সাজানোতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ‘দেশ কে গদ্দারোকো গোলি মারো শালোকো’ স্লোগান দেওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও পদোন্নতি হয়েছে। আচ্ছে দিনের এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেওয়াল লিখন ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটাই বোধহয় সেই সময়। যখন ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;’ নাকি জীবনানন্দ দাশের লিখে যাওয়া সেই সময় পুরোপুরি আসতে এখনও কিছুটা বাকি?

এই আলোচনায় মোহন ভাগবতকেও একবার টেনে আনা যায়। টেনে আনা যায় কথায় ও কাজে পার্থক্য বোঝার জন্য। গেছোদাদা কখন কোথায় থাকেন তা যেমন বোঝা সম্ভব নয়, তেমনই অন্য এক দলের নেত্রীর মধ্যে দুর্গা খুঁজে পাওয়া সংগঠনের কৌশলী রাজনীতির মারপ্যাঁচ চটজলদি বুঝে ওঠাও সহজ নয়। ‘আগে রাম পরে বাম’ অথবা হালের ‘নো ভোট টু বিজেপি’ - কার কোথায় শেকড় লুকিয়ে আছে কে জানে? প্রায় বছর ৪৫ আগে পুরুলিয়ার বরাভূমে মামাবাড়ির সামনের মাঠে খাকি হাফপ্যান্ট পরে প্যারেড করা, লাঠিখেলা দেখেছিলাম। শিশুমনে সেই খেলা বেশ ভালো লেগেছিল। সে যাত্রায় পথভ্রষ্ট হওয়া আটকে দিয়েছিলেন বাবা। সে প্রসঙ্গ থাক। আমরা ছিলাম মোহন ভাগবতের কথায়। সেখানেই ফিরি।

গত রবিবার, ৪ জুলাই এক অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, ‘যে বা যাঁরা গো-রক্ষার দোহাই দিয়ে গণরোষ তৈরি করে কাউকে কাউকে আক্রমণ করছেন, তাঁরা হিন্দুত্বের বিরোধী। এই মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।... যদি একজন হিন্দু বলেন মুসলিমরা এখানে থাকতে পারবেন না, তাহলে সে ব্যক্তি হিন্দুই নন। গোরু একটি পবিত্র প্রাণী। কিন্তু গো-রক্ষার কারণে যাঁরা গণরোষ তৈরি করে অন্যকে আক্রমণ করছেন, তাঁরা হিন্দুত্ব থেকে বিচ্যুত হচ্ছেন। আইন আইনের পথেই চলবে।’ খাকি হাফপ্যান্টের প্যারেড দেখতে যতটা ভালো, এ কথাগুলো শুনতেও ততটাই ভালো। যদিও কথাগুলো আদপে কতটা ভালো সে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বিগত কয়েক বছরে গো রক্ষার নামে হোক, বা অন্য কোনো কারণে - দেশে যতগুলো মব লিঞ্চিং-এর ঘটনা ঘটেছে তার সিংহভাগের শিকার হয় মুসলিমরা, নয়তো নিম্নবর্ণের মানুষরা। গত কয়েক বছরে দেশ আমাদের শিখিয়েছে, না পসন্দ হলে কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলাই যায়। মুসলিমকে গো রক্ষার অজুহাতে, লাভ জিহাদের অজুহাতে, আর দলিতদের ‘জুতো পরেছে কেন’, ‘ঘোড়ায় চেপেছে কেন’ এই অজুহাতে। এখানে তথাকথিত সংখ্যাগুরুর ইচ্ছে, সন্দেহ হওয়া বা মনে হওয়াই শেষ কথা।

এতগুলো কথা বললাম কারণ, যেদিন মোহন ভাগবত একথা বলেছেন, সেদিনই ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের নাম সেলিম মিয়াঁ। বয়স ১৯ বছর। গত ২০ জুন পশ্চিম ত্রিপুরার খোয়াই জেলায় গোরু চোর সন্দেহে চার যুবককে আটক করে স্থানীয় মানুষ। এরপর শুরু হয় গণপিটুনি। ভালো ভাষায় যেটাকে মব লিঞ্চিং বলে আর কী! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জায়েদ হোসেন (২৮), বিলাল মিয়াঁ (৩০), সাইফুল ইসলাম (২৮)-এর। নিখোঁজ হয়ে যান সেলিম মিয়াঁ। যার দেহ উদ্ধার হয় ৪ জুলাই। ভাগবত বাণীর অসারত্ব প্রমাণে এটুকুই যথেষ্ট।

রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় গত ২৪ মে এক দলিত যুবককে পিটিয়ে মারে চার যুবক। নিহত যুবক বিনোদ বানিয়া তাঁর বাড়ির দেওয়ালে বি আর আম্বেদকরের একটি ছবি লাগিয়েছিলেন। সেই ছবি ছিঁড়ে দেয় গ্রামেরই অনিল সিহাগ, রাকেশ সিহাগ এবং তাদের দলবল। বচসা বাধে দুই পক্ষে। এই ঘটনার জেরে গত ৫ জুন বিনোদ বানিয়াকে পিটিয়ে মারে অনিল, রাকেশ, সক্ষম সহ আরও কয়েকজন। গত ১ জুলাই একইভাবে রাজস্থানেই পিটিয়ে মারা হয়েছে কৃষ্ণ বাল্মিকী নামের এক দলিত যুবককে। এই ঘটনা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে।

এখন বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ থেকে গোটা কয়েক উদ্ধৃতি দেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কতটা হবে সে সন্দেহ থেকেই যাবে। বিষবৃক্ষে যে ফল ধরার কথা ছিল সে ফল ধরে গেছে। নিজেদের চারপাশে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই বিষবৃষ্টির ঝাপটা গায়ে লাগে। তাই লেখাটা আর বাড়িয়ে লাভ নেই। কারণ শুধু শুধু আরও গোটাকয়েক ঘটনার কথা লিখতে গিয়ে নিজের এবং আমার মতো আরও বেশ কিছু মানুষ - যাঁরা এখনও ভাবনা চিন্তা করতে সক্ষম - তাঁদের অক্সিজেনের অভাব আরও বাড়বে। শিকড় ধরে না উপড়াতে পারলে এর শেষ নেই। বরং শেষ করা যাক সেই মানুষটার কথা দিয়ে। ৮ জুলাই যাঁর জন্মদিন। জ্যোতি বসু। যিনি বলেছিলেন - ধর্মীয় মৌলবাদ, জাতিভেদ প্রথা এবং মিথ্যে দ্বিচারিতার রাজনীতিকে ঘৃণা করতে হবে অন্তর থেকে। লক্ষ্য থাকুক সেদিকেই।