৫৮ বর্ষ ৯ম সংখ্যা / ৯ অক্টোবর ২০২০ / ২২ আশ্বিন ১৪২৭
উত্তরপ্রদেশের দলিত তরুণী হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিরোধীদের
ধিক্কার দেশজুড়ে
হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা সহ নেতৃবৃন্দ।
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গুজরাট থেকে ত্রিপুরা আর দিল্লি থেকে কেরালা - তর্জনী উঁচিয়ে কথা বলতে অভ্যস্ত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই এখন গোটা দেশের অভিযোগের আঙুল উদ্যত। হাথরসের খেতমজুর পরিবারের দলিত তরুণীর দলবদ্ধ ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধিক্কারের মুখে স্পষ্টতই চাপে পড়ে গেছে যোগী আদিত্যনাথ সহ গোটা বিজেপি দলটাই। শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়, আরএসএস-বিজেপি এখন বেকায়দায় পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অগণতান্ত্রিক নানা পদক্ষেপ করে টুঁটি টিপে ধরতে চাইছে প্রতিবাদী জনমতের। তাই লাগাতার প্রতিবাদের মুখে হিন্দুত্ববাদীদের পুরনো রেওয়াজ অনুযায়ী নজর ঘোরানোর জন্য প্রতিবাদী রাজনীতিবিদ থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এবং ইউএপিএ’র মতো দানবীয় আইন প্রয়োগ করতেও কসুর করছে না। তার সঙ্গে চলছে নির্যাতিতার নামে কুৎসা আর উচ্চবর্ণের চার ধর্ষকের পক্ষে মিছিল করার নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা। এই পরিস্থিতিতে প্রবল বাধা পেরিয়ে হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন রাহুল গান্ধী,প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাত, ডি রাজা সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন বামপন্থী নেতারা। পরিস্থিতি আরও ইঙ্গিতবহ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মন্তব্যে। ৬ অক্টোবর নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষে এক আবেদনকারীর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে এবং বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চ-এর পর্যবেক্ষণ, হাথরস কাণ্ড বিস্ময়কর এবং ভয়াবহ! রাজ্য সরকারকে শীর্ষ আদালত ওই পরিবারকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
৬ অক্টোবর দুপুরে সিপিআই(এম) এবং সিপিআই নেতৃবন্দ হাথরসের ভুলাগড়ি গ্রামে নির্যাতিতার বাড়ি যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিআই(এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাত, পার্টির উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সম্পাদক হীরালাল যাদব, সিপিআই নেতা ডি রাজা, অমরজিৎ কাউর, পার্টির রাজ্য সম্পাদক গিরিশ শর্মা প্রমুখ। বামপন্থী নেতাদের কাছে পেয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট মন খুলে কথা বলেন পরিবারের সদস্যরা। নির্মম হলেও ঘটনা কী ঘটেছিল, তার বিবরণ দেন। খেতমজুর এই পরিবারটির নিজেদের বাড়ির জমিটুকু ছাড়া আর কিছুই নেই। তথাকথিত উঁচুজাতের লোকেদের জমিতে রোজের ভিত্তিতে কাজ করেই পেট চালান তাঁরা। এই ঘটনার পর ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সেইসব জমির মালিকরা। প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের ইয়েচুরি বলেন, আমাদের কন্যা নৃশংস দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। পরিবারকে না জানিয়েই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাঝরাতে। একবিংশ শতাব্দীতে এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, ভাবাই যায় না। ভারতের সংবিধান নাগরিকদের যে নিশ্চয়তা দিয়েছে, তার সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমরা সমবেদনা জানাতে এখানে আসিনি, এসেছি আক্রান্ত পরিবারের প্রতি সংহতি জানাতে। এসেছি আমাদের কন্যার বিরুদ্ধে ঘটা চরমতম অপরাধের বিচার চাইতে। আমরা সংবিধানের জন্যও বিচার চাইছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের দাবি, স্বাধীন বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।... এই দাবিতে আমরা লড়াই চালাব।
বিজেপি নেতাদের ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সম্পর্কে ইয়েচুরি বলেন, এখন নতুন অজুহাত সামনে আনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে জাতপাতের সংঘাত, বলা হচ্ছে এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা দেখার জন্য আইন আছে। জাতপাতের সংঘাত হলে তার জন্যও আইন আছে। কিন্তু বিচারে কালক্ষেপ বা বিচারে বঞ্চনার জন্য এই অজুহাত ব্যবহার করা চলবে না। এখন মূল প্রশ্ন বিচার চাই। এ শুধু হাথরসের বা উত্তর প্রদেশের দাবি নয়, সারা ভারতের দাবি হয়ে উঠেছে।
বৃন্দা কারাত বলেন, পরিবারের সদস্যরা আমাদের বলেছেন তাঁরা নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন। এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যেখানে তাঁরা সুরক্ষিত নন। সিবিআই তদন্ত সম্পর্কে তাঁদের আপত্তি আছে।
ডি রাজা বলেন, নির্বাচিত সরকার হিসাবে আদিত্যনাথ সরকার তার কর্তব্য পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। সংবিধান, মানবাধিকার, দলিতদের সম্ভ্রম রক্ষায় তিনি ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালানোর নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন প্রথম কয়েকদিন সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাদের গ্রামে ঢুকতেই দেয়নি। তারপর বাধ্য হয়েই অনুমতি দেয়। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসে দেখা করেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। এসেছিলেন বামপন্থী কৃষক, খেতমজুর, মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরস জেলায় নিজের গ্রামেই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন ১৯ বছরের এক দলিত তরুণী। তাঁর জিভ কেটে নেওয়া এবং শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার মতো অভিযোগও সামনে আসে। দেশজোড়া উদ্বেগের মধ্যেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই দলিত তরুণীর। তারপরেই অভিযোগ ওঠে, অভিযুক্তরা তথাকথিত উঁচু জাতি হওয়ার কারণেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে চাইছে না এবং তরুণীর চিকিৎসারও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে ৬ অক্টোবর নির্যাতনের যাবতীয় ঘটনা নিয়ে প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে জমা পড়ার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত ওই পরিবারকে সুরক্ষা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৯ অক্টোবর উত্তর প্রদেশ সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং নির্যাতিতার পরিবার কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেছেন কিনা।
৪ অক্টোবর কড়া পুলিশি পাহারার মধ্যে দিয়েই কোনোরকমে নিহত তরুণীর গ্রামে তাঁর মা-বাবার কাছে সিআইটিউ, এআইকেএস, এআইডিডব্লিউএ, এআইএডব্লিউইউ’র প্রতিনিধিরা যান। তাঁরা শুনেছেন যন্ত্রণার কথা। তরুণীর বাবা জোরের সঙ্গে বলেছেন, বিজেপি সরকারের উপর তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। ওঁরা চান, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নজরদারিতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত হোক। তরুণীর পরিবারের সমস্ত দাবিতে সমর্থন জানিয়েছে প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিআইটিইউ নেত্রী এ আর সিন্ধু, কৃষক নেতা বিজু কৃষ্ণান, খেতমজুর ইউনিয়নের বি ভেঙ্কট, বিক্রম সিং, মহিলা নেত্রী আশা শর্মা, পুণ্যবতী। দলিত, মহিলাদের উপর ঘটে চলা লাগাতার অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামার বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রতিনিধিদলের তরফে।
এদিন ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদও হাথরসে গিয়ে দেখা করেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে। যোগীর সরকারকে নিন্দা করে তিনি বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না পারলে তিনি তাঁর সঙ্গে নিয়ে যাবেন তাঁদের। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরি সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিদলও হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে।
ঘটনায় হাথরসের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে বৈঠকের পর অভিযুক্তদের সমর্থনে বেরিয়েছে মিছিলও। হাথরসের নির্যাতিতা তরুণীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির বিতর্কিত এবং সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তব। অভিযুক্তদের নির্দোষ দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের (অর্থাৎ নির্যাতিতার মতো) মেয়েদের মৃতদেহ খেতের মধ্যেই পাওয়া যায়। রঞ্জিতের ধারণা, হাথরসের তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা ‘অনার কিলিং’। হাথরসে অভিযুক্ত উচ্চবর্ণের চার অভিযুক্ত যুবকদের ব্যাপারে যথেষ্ট সংবেদনশীল বিজেপি’র ওই নেতা। অভিযুক্তদের পক্ষে তাঁর সওয়াল, ‘‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ছেলেগুলো নির্দোষ।’’ সিবিআই চার্জশিট না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেলে না রাখারও দাবি করেছেন তিনি।
অন্য দিকে বিজেপি-আরএসএস অবশ্য থেমে নেই। তারা দেশ জুড়ে দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে। ৭ অক্টোবর হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে ন্যায়বিচারের দাবিতে আহমেদাবাদের কোচরাব আশ্রম থেকে সবরমতী আশ্রম পর্যন্ত ‘প্রতিকার যাত্রা’র মিছিল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল, জিগনেশ মেভানি ও গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভদাকে। প্যাটেল-মেভানি ছাড়াও গুজরাটে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভদা সহ অন্তত ১২ জনকে আটক করা হয়।জিগনেশ জানান, হাথরসের কাণ্ড নিয়ে যখন গোটাদেশ সরগরম, তখন গুজরাটেই তিনটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেছে। তার প্রতিবাদে মিছিল থেকে গ্রেপ্তারির মধ্য দিয়ে তাঁদের স্বৈরাচারের বার্তাই স্পষ্ট হচ্ছে।
হাথরসে যাওয়ার পথে কেরালার এক সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক সিদ্দিকী কাপ্পান সহ আরও তিন জনের বিরুদ্ধেও ৭ অক্টোবর ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট) মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মথুরার কাছে টোল প্লাজায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া ও এর ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে। ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে সাংবাদিক মহল।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিরোধীদের নিশানা করে বলেছেন বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে, জাতিগত দাঙ্গা বাধাতে চাইছে তারা। তার দলের এক বিধায়ক মেডিকেল রিপোর্টে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বলেছেন কোনো ধর্ষণ হয়নি। জাতীয়স্তরেও এই প্রচারে মনোযোগী বিজেপি। বালিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং বলেছেন, ছোটো থেকে মা-বাবারা মেয়েদের সংস্কারি করে তুললে কমে যাবে ধর্ষণ।
যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটিকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং বিদেশ থেকে অর্থ ঢালা হচ্ছে এমন মন্তব্য করার পর রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে দায়ের করা তাঁর সরকারের অভিযোগনামায়। পুলিশের অভিযোগে রয়েছে সমাজবিরোধী লোকজন সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র অনুযায়ী কাজ করেছে এমন কথা। নাম না করে একগুচ্ছ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন রাজনীতিক এবং একজন সাংবাদিকও।
আদিত্যনাথের সরকার সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলফনামায় রাতের শেষকৃত্য করে দেওয়ার কারণ হিসেবে বলেছে, সকাল হলে বড়ো মাপের লোক সমাবেশ হয়ে যেত তা এড়াতেই এবং বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘিরে গণ্ডগোল হতে পারে গোয়েন্দা সূত্রে এমন তথ্য এসেছিল বলেই এটা করা হয়েছে। অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা যে রাজ্য সরকারের নেই তা কার্যত স্বীকার করেছে যোগী সরকার।
এদিকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে ১৪ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের আদালতে তলব করেছে।
সুপ্রিমকোর্টে করা মামলায় মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেছেন, মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তারা চান উত্তরপ্রদেশের বাইরে কোনো জায়গায় মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষার আর্জি জানিয়েছেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে মামলার সব পক্ষের পরামর্শ শুনতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের অভিযোগ, হাথরসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা কার্যত দলিত বিরোধিতার হিন্দুত্ববাদী বার্তাকেই আতঙ্কে পরিণত করেছে।