৬০ বর্ষ ৫ সংখ্যা / ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ২৩ ভাদ্র, ১৪২৯
দূষণ হ্রাসে সমাজতান্ত্রিক বিকল্প
তপন মিশ্র
মুক্ত বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করছে চীন সহ আরও কয়েকটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। এই দেশগুলির সমস্ত ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির অর্থ হলো অধিক দূষণ। কিন্তু পরিকল্পনার মধ্যদিয়ে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা হলো পরিবেশ রক্ষার আসল লড়াই। পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এই লড়াইয়ে প্রথম ধাপের চ্যালেঞ্জ পরিবহণ ক্ষেত্রে যে বিপুল দূষণ হয় তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাই পারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে জরুরি অবস্থা পৃথিবী জুড়ে তৈরি হয়েছে কার্যকরভাবে তার মোকাবিলা করতে।
গ্রিনহাউস গ্যাস জিএইচজি নির্গমনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎসগুলির মধ্যে পরিবহণ শিল্পের এক বড়ো ভূমিকা রয়েছে। সারা বিশ্বে পরিবহণ শিল্প থেকে দূষণের পরিমাণ ছিল মোট বায়ুদূষণের প্রায় ২০ শতাংশ। স্টাটিস্টা (জার্মানি ভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক তথ্য সংগ্রহ এবং তার বিশ্লেষণের সংস্থা)-র ২০২০ সালের একটা হিসাব বলছে যে, সারা বিশ্বে পরিবহণ শিল্প থেকে প্রায় ৭.৩ বিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড (Co2) নির্গমন হয়। চীন এই সমস্যা ১৯৯০-এর দশকেই অনুভব করে এবং তা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে।
সারা বিশ্বে পরিবহণ শিল্পে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে শক্তির ব্যবহারের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে এবং অন্যান্য অপ্রচলিত শক্তির উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা পৃথিবীতে ১৯৬০-এর দশকে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা ছিল প্রায় ৯৪ শতাংশ। ১৯৮০-র দশকে তা সামান্য কমে দাঁড়ায় ৮৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে এই পরিমাণ আরও কিছুটা নেমে ৮৫ শতাংশে আসে। শতাংশের হিসাবে হ্রাস পেলেও আসলে পরিবহণ শিল্পে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের পরিমাণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীন এবং ইয়োরোপের বেশ কিছু দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অপ্রচলিত শক্তির উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য সাধারণভাবে গ্রিন হাউস গ্যাসের হ্রাসের প্রবণতা লক্ষ করা যায়। কিন্তু অন্যদিকে পৃথিবী জুড়ে পরিবহণ শিল্প থেকে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন বাড়ছে। স্টাটিস্টা বলছে যে, মার্কিন মুলুকে দূষণ হ্রাসের অনেক ঢাকঢোলের শব্দ শোনা গেলেও পরিবহণ শিল্পে ১৯৯০ থেকে ২০২১-র মধ্যে ১৩ শতাংশেরও বেশি দূষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে মার্কিন মুলুকে পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে বায়ুমণ্ডলে জিএইচজি নির্গমন ১.৮ বিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ডাই-অক্সাইড (MtCo2)–এর সমতুল্য হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহণ ব্যবস্থা এখন জিএইচজি নির্গমনের সবচেয়ে বড়ো উৎস এবং ২০১৬ সাল থেকে শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্র থেকেও এর নির্গমনের পরিমাণ বেশি। ভারতে চিত্রটা একটু ভিন্ন। ভারতে ২০১৯ সালের স্টাটিস্টা’র হিসাব বলছে যে, পরিবহণ শিল্প বায়ুদূষণের মাত্র ৯ শতাংশের জন্য দায়ী যেখানে শক্তি উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে ৩৭ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, আমাদের দেশে শক্তি উৎপাদনের জন্য কয়লা ব্যবহৃত হয়।
দূষণ হ্রাসের পরিকল্পনা শুরু
চীনে পরিবহণ শিল্পে ১৯৯০-র দশকের দূষণ বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সড়ক পরিবহণ দূষণের দেশ হিসাবে গণ্য হতো। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন যে, এই প্রবণতা বজায় থাকলে ২০৫০’র তুলনায় চীন এবং ভারত মিলে গাড়ির মালিকানা ২০১৫ সালের তুলনায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পাবে। অবশ্য বিমান চলাচল এবং সামুদ্রিক জাহাজ পরিবহণকে এই হিসাব থেকে বাদ রাখা হয়েছে।
এমন একটি অবস্থায় ১৯৯০-র দশকের শেষ থেকে চীন কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ডিকার্বনাইজেশনের পদক্ষেপ সাফল্যের সঙ্গে রূপায়ণ করতে বিজ্ঞানীরা যে রোডম্যাপ তৈরি করেন অল্প কথায় সেগুলি হলো -
১। বিদ্যৎচালিত যানবাহনের উপর গুরুত্বদান। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক যানবাহনে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহারের গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপ করা। এমনটা নয় যে, এই পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন শূন্য হয়ে যাবে। তবে এই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে হিসেব মতো বর্তমান যে পরিবহণ ব্যবস্থা রয়েছে ২০৬০ সাল নাগাদ সর্বাধিক ৪৮ শতাংশ ডিকার্বনাইজেশন সম্ভব হবে।
২। পাশাপাশি কয়েকটি কাঠামোগত পরিবর্তন ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। যেমন ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ট্রাকের পরিমাণ কম করে যথাক্রমে সমষ্টিগত এবং সরকারি উদ্যোগে স্বল্প গ্যাস নির্গমন বাস এবং রেলপথে মাল পরিবহণের মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে চীন ২০৬০ সাল নাগাদ সড়ক পরিবহণ থেকে নির্গমন ২৩ শতাংশ কমাতে সক্ষম হবে। এই হিসেব মতো এগোলে এই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে ২০৩৫ সাল নাগাদ এই কাঠামোগত পরিবর্তনের বেশ কয়েকটি ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
৩। যানবাহনের জ্বালানি-দক্ষতার উন্নতি সাধনের যে প্রক্রিয়া ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে তার ফলে ২০৬০ সাল নাগাদ নির্গমন হ্রাস আরও অতিরিক্ত ১৭ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
এই তিনটি কাঠামোগত পদ্ধতি গ্রহণের ফলে সম্মিলিতভাবে ৮৮ শতাংশ ডিকার্বনাইজ হওয়া সম্ভব। যদি সড়ক পথের আরও উন্নয়ন সম্ভব হয় তাহলে দূষণ হ্রাসের ক্ষেত্রে তা আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একে সফল করার জন্য ২০৬০ সালের মধ্যে চীনের সড়ক পরিবহণ সংস্কারে ৩৯ থেকে ৮৩ ট্রিলিয়ন চাইনিজ উয়ান (৫.৯ থেকে ১২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের পরিকল্পনা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে ২০৬০ সাল পর্যন্ত এই ব্যয় ধাপে ধাপে করা হবে। পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বিনিয়োগের চাহিদা এখন থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হবে এবং সময়ের সাথে সাথে ক্রমাগতভাবে এই পরিমাণ হ্রাস পাবে।
চীনের গাড়ি, বাস, ট্রাক, জাহাজ পরিবহণ এবং অন্যান্য পরিবহণ থেকে ২০১৪ সালে ৮২৮ মিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার তথ্য সামনে আসে। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, সেই সময়ে যৌথভাবে ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের পরিবহণ থেকে বায়ুদূষণের প্রায় সমতুল্য ছিল চীনের গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন। ২০১৮ সালে বিশ্বের পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ১১ শতাংশের জন্য চীন দায়ী ছিল এবং নির্গমনের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিল। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে নির্গমনের পরিমাণ ছিল বিশ্বের পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে নির্গমনের ২১ শতাংশ। ২০১৮ সালে ভারতের পরিবহণ ক্ষেত্রে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ছিল ৩০১ মিলিয়ন মেট্রিক টন অর্থাৎ প্রায় ৭.২ শতাংশ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বায়ুর গুণমান উন্নত হলে হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের এবং স্নায়বিক রোগের প্রকোপ কমাতে পারে এবং অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতে পারে।
ইতিমধ্যে যে সাফল্য পাওয়া গেল
১৯৯৩ সালে হার্ভার্ড জন এ পলসন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস চীন সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে হার্ভার্ড-চীন প্রজেক্ট অন এনার্জি, ইকোনমি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সংক্ষেপে ‘‘হার্ভার্ড-চীন প্রজেক্ট’’) নামে এক গবেষণা প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো, বিশ্বায়নের পরবর্তী সময়ে চীনের জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ুর গুণমান, শক্তি ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলির সমীক্ষা করা এবং সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সমাধান সূত্র বার করা।
এই প্রকল্পের রুপায়ণের ফলশ্রুতি হিসাবে চীন ১৯৯০-র দশকের শেষের দিকে ট্র্যাফিক দূষণ প্রশমিত করার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নেয় এবং তার বাস্তবায়ন শুরু করে। এই প্রকল্পের সমস্ত দিক নিয়ে আলোচনা করা এই পরিসরে সম্ভব নয়। যানবাহন থেকে দূষিত গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বায়ুদূষণের উপর প্রভাব বিশ্লেষণের কিছুটা ব্যাখ্যা এই প্রবন্ধে করা যেতে পারে।
কেবল বায়ুমণ্ডলে ভাসমান বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম কণার মধ্যে PM2.5 (বায়ুতে ভাসমান কণা যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রো মিটার) এবং ওজোন গ্যাস (O3)-এর নির্গমনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসাবে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর যে কুপ্রভাব পড়ে তার বিশদ মূল্যায়ন করে একটি গবেষণা প্রবন্ধ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। Haikun Wang, John Evans সহ আরও ১০ জন গবেষক এই প্রবন্ধ লেখেন এবং প্রবন্ধের নাম “Health benefits of on-road transportation pollution control programs in China”। প্রকাশিত হয় Proceedings of the National Academy of Sciences, ১১৭ তম সংখ্যায়)। গবেষণার প্রথমদিকে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে দেখা যায় যে, মানুষের স্বাস্থ্যের উপর এগুলির প্রভাব যথেষ্ট ছিল। যেহেতু সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে যানবাহন অনেক বেড়েছে তাই হিসেব মতো ২০১৫ সালে এই প্রভাবগুলি প্রায় তিনগুণ হওয়া উচিত ছিল। পরিবহণ শিল্পে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে যেমন নির্গমন হ্রাস পেয়েছে তেমনই এগুলির প্রভাবও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
যেভাবে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদি দূষণ বিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হতো চীনে, তাহলে ২০১৫ সালে PM2.5 এবং O3 সারা বছরের গড় ঘনত্ব সহ্যমাত্রার যথাক্রমে ১১.৭ μg/m3 এবং ৮.৩ ppb (অংশ প্রতি বিলিয়ন)-এর বেশি হয়ে যেত এবং এর ফলে বায়ুদূষণজনিত কারণে বছরে মৃত্যু ৫১০,০০০ হতে পারত। কিন্তু পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট (WRI) বিভিন্ন দেশের পরিবহণ দূষণের ক্ষেত্রে গৃহীত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি সমীক্ষা করে। ওই সমীক্ষা বলছে যে, যদি চীন পরিবহণ শিল্পে দূষণ হ্রাসের এই প্রবণতা বজায় রাখতে পারে তাহলে আগামী ৪০ বছরে বিমান এবং জাহাজ পরিবহণ বাদ দিলে সড়ক পরিবহণের ক্ষেত্রে চীন ৯৫ শতাংশ দূষণ হ্রাস করে ফেলতে পারবে। ডব্লিউআরআই আরও বলেছে যে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ শক্তি চালিত গাড়ি এবং হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টার কারণে এই ডিকার্বনাইজেশন (বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইডের আধিক্য কমানো) সম্ভব হবে। ফলে বায়ুর গুণমান উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের পরিবহণ ব্যবস্থায় ডিকার্বনাইজেশনের কৌশল যেমন দেশের অভ্যন্তরীণ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে তেমনই সারা বিশ্বে অনুসরণযোগ্য নজির হিসাবে তা চিহ্নিত হচ্ছে। ডব্লিউআরআই-এর বিশ্লেষণ বলছে যে, সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থায় সম্পূর্ণভাবে না হলেও কার্বন নিরপেক্ষতা (carbon neutrality)-র কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব। মানুষের জীবনযাত্রায় যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয় যদি প্রাকৃতিক পদ্ধতির মধ্যদিয়ে তা শোষিত হয় তাহলেই কেবল আমরা কার্বন নিরপেক্ষতার দিকে এগোতে পারি। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, বিশ্বব্যাপী পরিবহণ ব্যবস্থা থেকে নির্গমন অবশ্যই ২০৫০-র মধ্যে সর্বোচ্চ হবে। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এ সীমাবদ্ধ রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে, চীনের সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থায় যে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হচ্ছে তা সুস্পষ্টভাবে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন-হ্রাসের দিকে এক বড়ো পদক্ষেপ।