৫৯ বর্ষ ১৭ সংখ্যা / ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ / ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বান
মূল্যবৃদ্ধি, বুভুক্ষা ও বেকারির বিরুদ্ধে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলো
স্বপ্না ভট্টাচার্য
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় মালিনী ভট্টাচার্য, মরিয়ম ধাওয়ালে সহ নেত্রীবৃন্দ।
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা থেকে দেশজোড়া মূল্যবৃদ্ধি, বুভুক্ষা ও বেকারির বিরুদ্ধে তীব্র জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। গত ২০-২১ নভেম্বর, ২০২১ নয়াদিল্লির হরকিষান সিং সুরজিৎ ভবনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিন ব্যাপী সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড অতিমারীর কারণে বিগত ২০১৯-এর মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের সারা ভারত সম্মেলনের পর মূলত এই প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা শারীরিকভাবে উপস্থিত হন এই সভায়। ২১টি রাজ্য থেকে সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ দু’বছর বাদে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে সভার কাজ শুরু হয়। একদিকে সকলের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ, অপরদিকে সভার দু’দিন আগে তিন কালা কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার বিজয় অর্জন - সদস্যদের উদ্বেলিত করে তোলে। সংগঠনের সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য ও সহ সভানেত্রী রামপরি সভা পরিচালনা করেন। সভার প্রথমে শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য। এছাড়া সংগঠনের প্রবীণ নেত্রী প্রমীলা পান্ধের স্মরণে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর প্রমীলা পান্ধে প্রয়াত হন। প্রয়াতা প্রমীলা পান্ধের বর্ণময় সংগ্রামী জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন - বৃন্দা কারাত, সুহাসিনী আলি, সুধা সুন্দররমন, তাপসী প্রহরাজ, ইন্দু অগ্নিহোত্রী, দীপ্তি ভারতী (ভাইঝি), সোনালী শর্মা (নাতনী) ও পুষ্প রাজ (নাতি) প্রমুখ। শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করেন মরিয়ম ধাওয়ালে এবং এই স্মরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মালিনী ভট্টাচার্য।
সাধারণ সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে গত জুলাই-নভেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত সমসাময়িক ঘটনাবলি সম্পর্কিত রিপোর্ট পেশ করেন। এই রিপোর্টের ওপর ২২ জন সদস্য প্রায় দু’ঘণ্টা সময় ধরে আলোচনায় অংশ নিয়ে রিপোর্টকে সমৃদ্ধ করেন।
রিপোর্ট পেশ করতে গিয়ে সাধারণ সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের সাথে আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে মহিলারা ভয়ঙ্কর সংকট ও বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি-আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রের মোদি সরকারের নয়াউদারীকরণ ও কর্পোরেটমুখী নীতি গ্রহণের ফলে এই বিপদ আজ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। বেকারি, বুভুক্ষা, অসাম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবন জীবিকার ওপর ক্রমাগত আক্রমণ নেমে আসছে। ধান্দার পুঁজির আক্রমণের ফলে জাতীয় সম্পদ লুট হয়ে যাচ্ছে। সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া অংশের ওপর আক্রমণ বেড়ে চলেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক অধিকার এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আক্রমণ বেড়ে চলেছে। শহর ও গ্রামীণ ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে প্রকাশ - সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হচ্ছেন না। সঞ্চয়ের পরিমাণ কমেছে, অপরদিকে ঋণগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গরিব মানুষ বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাচ্ছেন না। এর ফলে এই দারিদ্র্য পীড়িত মানুষ যে কোনো জায়গায় ন্যূনতম পারিশ্রমিকে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আবার অপরদিকে জনগণ এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন এই সময়কালে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
সাধারণ মহিলা বিশেষত গরিব মহল্লা, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত অংশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, যানবাহনের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম, এমনকি স্কুল কলেজের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন - সদস্যদের আলোচনার মধ্য দিয়ে এই মত উঠে এসেছে। এমএনরেগাতে কাজ কমে যাওয়া ও এই কাজে যুক্ত থেকে মাসের পর মাস মজুরি না পাওয়ার ফলে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষ বিশেষত মহিলারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাধ্য হচ্ছেন চড়া সুদের ঋণ গ্রহণ করতে, কাজ না থাকার ফলে ঋণশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। গৃহ পরিচারিকাসহ গৃহে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষ ও মহিলারা এক্ষেত্রে ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই গুরুতর সমস্যা লক্ষিত হচ্ছে।
ডিজিটাল শিক্ষাঃ
গরিব ছেলেমেয়েদের থেকে শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। লক্ষ্ণৌতে ১১টি স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলেমেয়েদের স্মার্ট ফোন কিনে দেওয়ার জন্য মায়েরা তাঁদের মঙ্গলসূত্র বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ওপর কেন্দ্রের সরকারের নতুন শিক্ষানীতি শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেবে - এ বিষয়ে সদস্যরা তাদের আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যঃ
স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে দায়িত্ব নেওয়ার দাবি ওঠে, সাথে সাথে বিভিন্ন রাজ্যের সংগঠনের কর্মীরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। বিশেষত, কানপুর, গোয়ালিয়র সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই কাজ সংগঠিত হচ্ছে।
হিংসাঃ
এই সময়কালে নারীর ওপর ক্রমবর্ধমান হিংসা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। নারী ধর্ষণ, নারী হরণ, নারী পাচারের মতো ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ঘটনাবলির প্রায় এক তৃতীয়াংশ হিংসার ঘটনা কন্যা শিশুর ওপর ঘটছে। ৬ মাসের শিশুকন্যা থেকে সমস্ত অংশের মহিলারা প্রতিদিনই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, বাদ যাচ্ছে না সংখ্যালঘু, দলিত আদিবাসী মহিলারা। বিহারের বৈশালী, দিল্লি, কর্ণাটক, পশ্চিমবাংলা সহ সারা দেশেই নারীর ওপর হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। এক্ষেত্রে সংগঠনের কর্মীরা নারীদের ওপর এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করছেন।
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিঃ
মনুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিচালিত শক্তির দ্বারা আক্রান্ত সংখ্যালঘু মুসলিম, খ্রিস্টান, দলিত এবং মহিলা সমাজ - বিভিন্ন রাজ্যের সদস্যরা এই আক্রমণের কথা তুলে ধরেন, একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে হৃদয় স্পর্শ করা ঘটনার কথা আলোচনায় উঠে আসে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের প্রার্থনা করার জায়গা যখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি বন্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন বিভিন্ন জায়গায় গুরুদ্বার ও হিন্দুদের মধ্যে উদার চেতনার মানুষ তাদের প্রার্থনা করার জায়গা করে দিচ্ছেন। এই ঘটনাগুলি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন।
কৃষি ক্ষেত্রে মহিলাঃ
সংগঠনের সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য এই বিষয়ে একটি নোট উপস্থিত করেন। জাতীয় মহিলা কমিশন ২০০৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য একটি খসড়া নীতি প্রণয়ন করে দেশের কৃষিমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছিল। নোটে বলা হয় এটিকে গ্রহণ করার সুপারিশ সহ এই খসড়া নীতির গুরুত্বকে কৃষকদের ঐতিহাসিক প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা প্রয়োজন। কৃষকদের উল্লিখিত প্রতিবাদ কর্মসূচি দেশ জুড়ে ব্যাপক সংখ্যক মহিলাদের শামিল করতে সক্ষম হয়েছে। সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে প্রচারে কৃষক ও শ্রমিক হিসাবে তাদের অধিকার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করে চলেছে। একই সাথে জমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অধিকার, খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তার অধিকার, জীবিকা ও নিরাপদ কাজের অধিকার, ঋণ থেকে মুক্তি, নিয়ন্ত্রিত বাজার, সঠিক মূল্যের অধিকার ও মৌলিক পরিষেবা অধিকারের দাবিও উত্থাপন করেছে।
সদস্য সংগ্রহের কাজঃ
সর্বভারতীয় কোষাধ্যক্ষ এস পূণ্যবতী সদস্য সংগ্রহ সম্পর্কিত রিপোর্ট রাখেন। ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সংগৃহীত সদস্য সংখ্যা হলো - ৭১,২৫,৩৬৫। এর মধ্যে ৫৪,৭৪,৪৮৫টি সদস্য সংগ্রহ করেছে কেরালা রাজ্য কমিটি। এটি একটি রেকর্ড তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কেরালা রাজ্য কমিটিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন সমস্যাসংকুল পরিস্থিতিতে যেভাবে সদস্য সংগ্রহের কাজটি চলছে, সে বিষয়ে অবহিত করানো হয় এবং সমস্ত রাজ্য কমিটিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে ২০২০ সালের সদস্য সংগ্রহের পুনর্নবীকরণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী সম্মেলনের রূপরেখাঃ
২০২২ সালের শেষ ভাগে সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২১ সালের সংগৃহীত সদস্যর ওপর প্রতিনিধি স্থির হবে। ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকেই প্রতিটি রাজ্যকে প্রাথমিক স্তরের সম্মেলন শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
আগামী কর্মসূচিঃ
বহুমুখী কাজের ধারার সঙ্গে সংগঠনকে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সমস্ত অংশের মহিলাদের কাছে সংগঠনকে নিয়ে যাওয়ার কাজে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি এই সভা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এই সমস্ত কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে সংগঠনের সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব ও কর্মীদের সাধারণ মহিলাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এই কাজ একেবারে নিচুতলা থেকেই শুরু করতে হবে।
কর্মসূচি-১: মূল্যবৃদ্ধি ও বুভুক্ষার বিরুদ্ধে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলো। এরজন্য প্রচারপত্র তৈরি করে প্রতিটি পরিবারের দরজায় পৌঁছাতে হবে। এই পরিকল্পনা প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু করতে হবে। প্রচার পত্র বিলির পর সেই নির্দিষ্ট এলাকায়, গ্রাম, মহল্লায় ছোটো ছোটো আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে।
বিষয়ঃ (১) মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, (২) মোদি সরকারের কর্পোরেটমুখী নীতি গ্রহণের বিরুদ্ধে। এই সভাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত চালাতে হবে। বাজেট অধিবেশন চলাকালীন মহিলাদের সমাবেশ ঘটিয়ে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কর্মসূচি-২: এমএনরেগা কর্মসূচিতে গ্রাম ও শহর উভয় ক্ষেত্রেই কাজে যুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের কাজ দেওয়া ও সঠিক সময়ে মজুরি প্রদান করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
কর্মসূচি-৩: ১ ডিসেম্বর, ২০২১ সংখ্যালঘুদের ওপর সমস্ত ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দিবস পালন করতে হবে।
কর্মসূচি-৪: ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্যই এই দিবস পালনের জন্য সেমিনার, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, হিংসার বিরুদ্ধে ও সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে দিবসটিকে পালন করার ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
কর্মসূচি-৫: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ‘সুশীলা গোপালন স্মৃতি’ আলোচনা সভা পালন করা হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটি এই বছর ওডিশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেরালার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজাক সভার প্রধান আলোচক। ‘‘কোভিড অতিমারী ও উদারীকরণের ফলে ঋণগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাবৃদ্ধি এবং মহিলাদের ওপর তার প্রভাব’’ - এই শীর্ষক আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশজুড়ে ঋণগ্রস্ত মহিলাদের মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। এই সমীক্ষা রিপোর্টটি ১৯ ডিসেম্বর, ’২১-এর সভায় উত্থাপিত হবে।
সভার প্রায় শেষভাগে সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে সংগঠনের পক্ষে একটি উল্লেখযোগ্য কাজের কথা বলেন। যে বিষয়টি আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে, তা হলো সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির চলার পথের চল্লিশ (৪০) বছরের ইতিহাস ও ঘটনাবলিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীসহ সংগঠনের নেতৃত্বকে নিয়ে টিম গঠিত হয়েছে। আর্কাইভ বিভাগ ইতিমধ্যে তিনটি পুস্তিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। যার দায়িত্বে রয়েছেন - মালিনী ভট্টাচার্য, ইন্দু অগ্নিহোত্রী, সুধা সুন্দররমন। এই কাজ আগামীদিনে আমাদের সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করবে।