৫৯ বর্ষ ১৭ সংখ্যা / ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ / ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
‘মেঘে মেঘে রং লাগে’
বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ বিশ পেরিয়েছিলাম গতবছর। তার সাথে ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, সংস্কৃতির পেছোনোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অক্ষরমালা থেকে তালব্য শ-ও এক অক্ষর পিছিয়ে গেছিল। ফলে বিশ বিশ হয়েছিল বিষ বিষ। সেই হিসেবে এবছরটা ছিল বিষক্ষয়ের। বছরের শেষে একবুক দম নিয়ে বলা যেতে পারে বিষক্ষয় দীর্ঘজীবী হোক। যদিও এখনই সবকথা বলে ফেলার সময় আসেনি, তবু কেন জানিনা এমনিই একবার সহজপাঠ প্রথম ভাগের দ্বিতীয় পাঠ-এর পাতা উলটে নিতে ইচ্ছে হচ্ছে। কোনো কারণ নেই। মনে হচ্ছে একবার গলা ছেড়ে বলি, ‘কালো রাতি গেল ঘুচে,/ আলো তারে দিল মুছে।/ পুব দিকে ঘুম-ভাঙা/ হাসে উষা চোখ-রাঙা।’
এক
৯ নভেম্বর সকালে যখন এই লেখা লিখতে শুরু করেছিলাম তখনও বেলা বারোটা বাজেনি। আজই বেলা বারোটায় সিঙ্ঘু সীমান্তে আলোচনায় বসেছিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা। গতকাল সরকারের পাঠানো সংশোধিত খসড়া প্রস্তাবে সহমত হবার পর অপেক্ষা ছিল সরকারি লেটারহেডে সেই প্রস্তাবগুচ্ছ হাতে পাওয়ার। সরকারিভাবে সেই প্রস্তাব এসে যাবার পরই ৩৭৮ দিনের আন্দোলনের পথ থেকে আপাতত সরে আসার কথা ঘোষণা করলেন কৃষক নেতৃত্ব। ‘খালিস্তানিদের আন্দোলন’, ‘দেশদ্রোহীদের আন্দোলন’, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’-এর আন্দোলন গোছের হাজারো তকমা এঁটেও আন্দোলনের পথ থেকে যে কৃষকদের সরানো যায়নি। ৭০২ জন শহিদের প্রাণের বিনিময়ে দাবি আদায় করেই ছেড়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের দৃঢ়তার সামনে বিপাকে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আজকের সকাল তো তাই অবশ্যই ‘পুব দিকে ঘুম ভাঙা’র সকাল। যে সকালে ‘হাসে উষা চোখ-রাঙা’।
দুই
লেখার এই পর্বটা ‘বিনা মন্তব্যে’ পর্ব। ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ঐতিহাসিক রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। ২৬ বছরের আইনি যুদ্ধের পর চূড়ান্ত আইনি নিষ্পত্তি। সুপ্রিম কোর্টে ৮ বছর ৫ মাস ১২৩ দিন ধরে মামলা। একদম শেষ পর্যায়ে একটানা ৪০ দিন শুনানি। অবশেষে রায় দেন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। যে বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ধর্ম, রাজনীতি, রামলালা, মসজিদ, জন্মভূমি - সে রায়ের কথা সকলেরই জানা। তাই এখানে টানা অপ্রয়োজনীয়। তবুও হঠাৎ করে রামমন্দিরের পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটার কারণটা একটু অন্য।
সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা বর্তমান রাজ্যসভা সাংসদ রঞ্জন গগৈ। ‘জাস্টিস ফর দ্য জাজ’ নামক ওই বইতে রায় দেওয়ার পরের সন্ধ্যার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘‘রায় ঘোষণার পর, ১ নম্বর কোর্টের বাইরে অশোক চক্রের নীচে একটি ফটো সেশনের আয়োজন করেছিলেন জেনারেল সেক্রেটারি। সন্ধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে আমার সাথে থাকা বিচারকদের নিয়ে তাজ মানসিংহ হোটেলে ডিনারের জন্য যাই আমি। সেখানে চাইনিজ খাবার খেয়েছি আমরা। সেখানকার সবথেকে দামি-ভালো এক বোতল ওয়াইন পান করেছি আমরা। আমি সব থেকে বড়ো হওয়ার কারণে পুরো বিষয়টির দায়িত্ব নিয়েছিলাম।’’ আগেই বলেছিলাম ‘বিনা মন্তব্যে’। তাই কোনো ফুটনোট থাকছে না। সহজপাঠ বলেছিল - ‘রাতে হবে আলো। লাল বাতি। নীল বাতি। কত লোক খাবে। কত লোক গান গাবে। সাত দিন ছুটি। তিন ভাই মিলে খেলা হবে।’ রবিঠাকুর সেই কবেই লিখে গেছিলেন ‘খেলা হবে’। খেলা হয়েই চলেছে। আমরাও দেখেই চলেছি।
তিন
বেনিনকাসা হিসপিডা। এটা বৈজ্ঞানিক নাম। ইংরেজিতে ট্যালো গোর্ড, ওয়াক্স গোর্ড গোছের একাধিক নামে ডাকা হয়। সংস্কৃতে ‘কুষ্মাণ্ড’। খাঁটি বাংলায় চালকুমড়ো। চালকুমড়ো বলতেই সুকান্ত ভট্টাচার্যর একটা কবিতা মনে পড়ে গেল। ‘ঘরে আমার চাল বাড়ন্ত/তোমার কাছে তাই,/এলাম ছুটে, আমায় কিছু/চাল ধার দাও ভাই।’ ‘মিঠেকড়া’-র ‘খাদ্য সমস্যার সমাধান’ নামক ওই কবিতার শেষে বলা আছে - ‘এই নাও ভাই চালকুমড়ো/আমায় খাতির করো,/চালও পেলে কুমড়ো পেলে/লাভটা হল বড়।।’ সত্যিই তো। শুধু চাল চেয়ে যদি চালকুমড়ো পাওয়া যায় তাহলে চাল এবং কুমড়ো দুটোর সমস্যাই মিটে যায়। চালেও আছি কুমড়োতেও আছি। সাপ হয়ে কাটাতেও আছি আবার ওঝা সেজে ঝাড়াতেও।
এই যেমন দিন কয়েক আগে গত ৩ ডিসেম্বর আচমকাই নবান্নে হাজির হয়েছিলেন শিল্পপতি আদানি। প্রায় দেড় ঘণ্টা গভীর আলোচনায় শিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেন তিনি। একদিকে কৃষক আন্দোলন সমর্থন, মোদি বিরোধিতা, আদানি বিরোধিতা, অন্যদিকে প্রায় চুপিসাড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্ন বৈঠক। ইনিই সেই মুখ্যমন্ত্রী, যিনি তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কৃষকদের দাবি ছিল - আদানি, আম্বানিদের মতো কর্পোরেটদের সুবিধার জন্য কৃষি আইন এনেছে কেন্দ্র সরকার। আদানি, আম্বানিদের পণ্য বাতিলের ডাক দিয়েছিল কৃষকরা। কৃষকদের এই সমস্ত দাবিকে সমর্থন করে আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের সাথে সাক্ষাতও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে অবশ্য তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন, তাঁর কৃষকদেরও চাই আবার আদানিদেরও চাই।
আদানি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বেশ কিছু পুরোনো ট্যুইট আছে। যার স্ক্রিনশট এখন বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই বছরের ২৩ জুন, ২৪ জুন, ২৭ জুন, ২৯ জুন, ১৬ আগস্ট, ২১ আগস্ট তারিখে এই ট্যুইটগুলো করা। যেমন ২৭ জুনের করা ট্যুইটে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছিলেন, ‘দু সপ্তাহ চলে গেছে এবং আমরা এখনও জানিনা আদানির কোম্পানিতে কার টাকা আছে? মুম্বাই বিমানবন্দর নেবার জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র অপরিহার্য। যদি তাই হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিষ্কারভাবে জানে কে সেই শেয়ারের মালিক। দেশ অবশ্যই জানতে চাইবে। হয়তো ভারত সরকার শুধু সংসদেই উত্তর দেবে।’ কিংবা তাঁর ২৯ জুনের ট্যুইট। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘সুবিধাভোগী কে তা আমরা জানি। আদানি। এবং তিনিই এখন মূল চালক। কিন্তু পয়সা কার? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চই জানে। দয়া করে আমাদেরও জানাক।’ উদাহরণ আরও টানা যেতে পারে। সে চেষ্টা থাক। আমরা চালকুমড়ো পেলেই খুশি। তাতে চাল এবং কুমড়ো দুটোই তো পাওয়া গেল। তাই না!
চার
ব্রিটিশরা অনেকদিন দেশ ছেড়েছে। সেই ১৯৪৭। কঙ্গনার মতো কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন ১৯৪৭ নয়, ২০১৪ তেই দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে। সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। কে কবে মুচলেকা টুচলেকা দিয়েছে আমার আলোচ্য নয়। আমি বলতে চাইছি অন্য কথা। সম্প্রতি প্যারিস স্কুল অব ইকনমিকস-এর ‘ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি ল্যাব’-এর এক রিপোর্ট সামনে এসেছে। দ্য ওয়ার্ল্ড ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক এই রিপোর্ট সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি। রিপোর্টের মুখবন্ধ লিখেছেন নোবেলজয়ী দুই অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও এস্থার ডুফলো। যাঁরা জানিয়েছেন, বিশ্বের যে সব দেশে অসাম্য চরমে, ভারত এখন তার মধ্যে পড়ছে।
এই রিপোর্টেই বলা আছে - ব্রিটিশ আমলে ভারতে অর্থনৈতিক বৈষম্য চরমে ছিল। ১০ শতাংশ উচ্চবিত্ত মানুষের কাছেই দেশের মোট আয়ের অর্ধেক চলে যেত। স্বাধীনতার পর ‘‘সমাজতন্ত্রের’’ অনুপ্রেরণায় এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ফলে এই বৈষম্য কমতে থাকে। কিন্তু সরকারি নিয়ন্ত্রণ তুলে উদারীকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে আবার ভারতে আয়-সম্পদের বৈষম্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়। মূলত সমাজের উপরের সারির ১ শতাংশ মানুষ এই আর্থিক সংস্কারের লাভ পেয়েছেন। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গেছে - কোভিড-সংকটের সময় বিশ্বজুড়ে কোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। এখন বিশ্বের মাত্র ২,৭৫০ জন বিলিয়নেয়ার পৃথিবীর ৩.৫ শতাংশ সম্পদের মালিক। অথচ ১৯৯৫ সালে এঁদের হাতে বিশ্বের ১ শতাংশ সম্পদ ছিল। এই রিপোর্টই জানিয়েছে - চলতি বছরে দেশের মোট আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগই গিয়েছে দেশের উপরের সারির এক শতাংশ মানুষের হাতে। অন্যদিকে নিচুতলার ৫০ শতাংশ মানুষের হাতে আছে দেশের মোট আয়ের মাত্র ১৩ শতাংশ। ‘চুপ ক’রে ব’সে ঘুম পায়। চলো, ঘুরে আসি। ফুল তুলে আনি।’
পাঁচ
দেশে করোনাকালে অপরিকল্পিত লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের যা ক্ষতি হবার হয়ে গেছে। তার কিছুটা আমরা বুঝেছি। কিছুটা বুঝিনি। কিছুটা বুঝতে পেরেও গায়ে মাখিনি। নীল আকাশ আর রাস্তায় ময়ূর দেখেই মোহিত হয়ে গেছি। অথচ এই সময়েই দেশ জুড়ে বেড়ে গেছে ড্রপ আউটের সংখ্যা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, সরকারি স্কুলের প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী 'ড্রপআউট'। রিপোর্ট জানাচ্ছে - শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ জায়গা হলো স্কুল। এই সত্যকে কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ রাখায় শিশু শ্রম, যৌন হয়রানি, অসুস্থতা, নাবালিকা বিয়ে প্রভৃতি সামাজিক কুফলের শিকার হয়েছে শিশুরা। ওই রিপোর্টের শেষে প্রশ্ন তোলা হয়েছে - করোনা আনলক পর্বে যখন অন্যান্য সমস্ত কাজ শুরু হয়ে গেছে তখন কেন স্কুল শুরু হচ্ছে না?’’
অল ইন্ডিয়া প্যারেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সারা দেশে স্কুল ছুট প্রায় দু’কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ লাখেরও বেশি শুধুমাত্র দিল্লি থেকেই। রাজধানী শহরে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে ‘‘২০ লক্ষেরও বেশি’’ শিক্ষার্থী শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে এক লাখেরও বেশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষাবিদ সিএস কান্দপাল জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, শিক্ষক, সহপাঠী এবং নিয়মিত ক্লাসের সাথে শিক্ষার্থীদের সংযোগ না থাকার কারণে ড্রপ আউটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাঁর মতে, এই সমস্যা আরও গভীর। বিশেষ করে সেইসব ক্ষেত্রের জনসাধারণের মধ্যে যাদের কাছে অনলাইন ক্লাসের সুবিধা এবং সংস্থান সম্পূর্ণভাবে পাওয়া সম্ভব নয়। ‘কাল ছিল ডাল খালি,/আজ ফুল যায় ভ’রে।/বল দেখি তুই মালী,/হয় সে কেমন ক’রে।’
ছয়
এত যখন সমীক্ষা নিয়ে বলে যাচ্ছি তখন আরও একটা সমীক্ষার কথা বলেই ফেলি। মন্দ হবেনা। এটা সরকারি রিপোর্ট। কাজেই কোনো দায় নেই। নীতি আয়োগ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে মাল্টিডায়মেনশনাল পোভার্টি ইনডেক্স (এমপিআই)। অক্সফোর্ড পোভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (ওপিএইচআই) এবং ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)-এর পদ্ধতি মেনে নীতি আয়োগ এই সমীক্ষা চালিয়েছে। মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনযাত্রার মানের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সবথেকে দারিদ্র্য কম কেরালায়।
ওই রিপোর্ট অনুসারে বাম শাসিত কেরালার ১৪ জেলার মধ্যে ওয়ানাডে দারিদ্র্যের হার সবথেকে বেশি - ৩.৪৮ শতাংশ । অন্যান্য জেলার মধ্যে এরনাকুলামে ০.১০ শতাংশ, কোঝিকোড়ে ০.২৬ শতাংশ, ত্রিশূরে ০.৩৩ শতাংশ, কান্নুরে ০.৪৪ শতাংশ, পালাক্কাডে ০.৬২ শতাংশ, আলাপুঝাতে ০.৭১ শতাংশ, কোল্লামে ০.৭২ শতাংশ এবং পাঠানামিঠিট্টাতে ০.৮৩ শতাংশ। ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ-র মধ্যে দারিদ্র্য হার কাসারগড়ে ১ শতাংশ, তিরুবনন্তপুরমে ১.০৮ শতাংশ, মালাপ্পুরামে ১.১১ শতাংশ এবং ইদুক্কিকে ১.৬ শতাংশ । অন্যদিকে, এই তালিকায় সব থেকে নিচে থাকা বিহারে দারিদ্র্যের হার ৫১.৯১ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে এই হার ৪২.১৬ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশে ৩৭.৭৯ শতাংশ । মধ্যপ্রদেশে এই হার ৩৬.৬৫ শতাংশ, মেঘালয়ে এই হার ৩৬.৬৫ শতাংশ । এর মধ্যে বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসিত। সর্বভারতীয় গড় ২৭.৯ শতাংশ । ‘ছোটো খোকা বলে অ আ/শেখে নি সে কথা কওয়া।’
অতএব
বছরটাকে বিষে বিষে বিষক্ষয়ের বছর বলে লেখাটা শুরু করেছিলাম। অনেকগুলো কথা পরপর বলে যাবার পর এখন মনে হচ্ছে হয়তো একুশে সত্যিই নতুন কিছু দিশা মিলেছে। অন্তত মেলার ইঙ্গিত দিয়েছে। কৃষক আন্দোলনের সাফল্য তার সবথেকে বড়ো প্রমাণ। এই সাফল্যকে সঙ্গী করেই আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের আহ্বান। এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের সব কর্মী সংগঠন নিয়ে গঠিত ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন (ইউএফবিইউ)। ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এই ধর্মঘট। এখন নাহয় আরও একবার সহজপাঠের প্রথম ভাগে ফেরা যাক। ‘বায়ু দিকে দিকে ফেরে/ডেকে ডেকে সকলেরে।/বনে বনে পাখি জাগে,/মেঘে মেঘে রং লাগে।/জলে জলে ঢেউ ওঠে,/ডালে ডালে ফুল ফোটে।’ রং লাগুক। তীব্র চোখ ঝলসে দেওয়া। লাল...