৫৯ বর্ষ ১৭ সংখ্যা / ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ / ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪২৮
বিজ্ঞান আলোচনা
প্রাচ্য বিজ্ঞানের উপাসক জোসেফ নিডহাম
তপন মিশ্র
ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জোসেফ নিডহাম (Noel Joseph Terence Montgomery Needham) তখন জৈবরসায়ন বিজ্ঞান গবেষণায় বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। সময়টা ১৯৩৭ সাল। তিনজন চীন গবেষক ছাত্র-ছাত্রী জৈবরসায়ন বিজ্ঞানের বেশ কিছু পদ্ধতি আয়ত্ত করার জন্য নিডহামের সঙ্গে গবেষণায় উৎসাহ প্রকাশ করে। নির্দ্বিধায় তাদের ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করার পর তাদের মধ্যে এক ছাত্রীর কাছে চৈনিক ভাষা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন নিডহাম। ছাত্রী লু গ্বে-যেন (Lu Gwei-djen) থেকে তিনি ভাষা শিক্ষা শুরু করেন। এভাবেই ছাত্রী লু হয়ে ওঠেন নিডহামের শিক্ষক। চীনা ভাষা শিখতে শিখতে নিডহাম চীনের সংস্কৃতি, বিশেষ করে চীনের ঐতিহ্যমণ্ডিত বিজ্ঞান চর্চার সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষিত হন। প্রাচ্যের ঐতিহ্যমণ্ডিত বিজ্ঞান চর্চার ধারা সম্পর্কে আধুনিক পৃথিবী তেমনভাবে অবহিত ছিল না। নিডহামের গবেষণা জ্ঞানের এক নতুন ধারা উন্মোচিত করে।
চীনের মতো ভারতবর্ষেও আর্যভট্ট, ব্রহ্মপুত্র, ভাস্করাচার্য, কণাদ, বরাহমিহির, নাগার্জুন, চরক, সুশ্রুত প্রমুখ বিজ্ঞানসাধক বিজ্ঞান গবেষণার জগৎকে বিকশিত করেছেন। আমাদের দেশে এই ঐতিহ্যকে জানার গবেষণা যে একদম হয়নি তা নয়। তবে এই গবেষণা থেকে ধর্মান্ধ হিন্দুত্ববাদীদের রামায়ণ ও মহাভারতের মিথ নিয়ে চর্চা করার উৎসাহ বেশি।
বড়ো হওয়া ও গবেষণা
১৯০০ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডন শহরে নিডহামের জন্ম। তাঁর বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক এবং মা একজন সঙ্গীত পরিচালক। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৪ সালে নিডহাম বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ওখানেই ১৯২৮ সালে কেমব্রিজ বায়োলজিক্যাল ল্যাবোরেটরির ডেমোন্সট্রেটার (কেবল ল্যাবোরেটরির শিক্ষক) হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৩৩ সালে তিনি বায়োকেমিস্ট্রিতে উইলিয়াম দুন অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। নিডহামের আগে এই চেয়ারে অধ্যপক হিসাবে জে বি এস হলডেন নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত এই চেয়ারে তিনি আসীন ছিলেন। গবেষণার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেন যে, ভ্রূণের বিকাশ আদপে একটি জৈবরাসায়নিক প্রক্রিয়া। এর আগে কেউ কেউ মনে করতেন যে, ভ্রূণ থেকে পুর্ণাঙ্গ একটি জীব বিকাশের ধারা - মরফোজেনেসিস (Morphogenesis) এক অজ্ঞাত জৈবিক স্ফুলিঙ্গের মধ্যদিয়ে হয়ে থাকে।
নিডহামের লেখা এবং বক্তৃতাগুলি প্রবন্ধ আকারে সংকলিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ৪টি বই আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয় ‘দ্য সেপটিক্যাল বায়োলজিস্ট’ (‘The sceptical biologist’), যেটি ১০টি প্রবন্ধের সংকলন। ১৯৩১ সালে তাঁর আর একটি বই ‘দ্য গ্রেট অ্যামফিবিয়ান’ (‘The Great Amphibium’) প্রকাশিত হয়। বইটিতে ওই সময়কালে বিজ্ঞানের যুক্তির সঙ্গে ধর্মের বিরোধের সম্পর্কে তাঁর ৩টি বক্তৃতা সংকলিত হয়েছে। আরও ২টি বই ‘টাইমঃ দ্য রিফ্রেশিং রিভার’ (‘Time: The refreshing river’) প্রকাশিত হয় ১৯৪৩ সালে এবং’ হিস্ট্রি ইজ অন আওয়ার সাইড ‘(‘History is on our side’) প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে।
তাঁর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার কাজ ছিল ডিম থেকে ভ্রূণ তৈরি প্রক্রিয়ায় pH (অম্লত্ব-ক্ষারত্ব)-এর পরিবর্তন অনুধাবন করা। এই পরিবর্তন পদ্ধতিতে শক্তির উৎস কী সেটা খুঁজে বার করাও ছিল তাঁর গবেষণার অন্যতম লক্ষ্য। তাঁর এই পরীক্ষার জন্য কম করে তিনি ৩৩০০ ডিম ব্যবহার করেন।
আমরা নিডহামের বিজ্ঞান চর্চার দিকে তাকালে দেখব যে, তিনি যেমন ছিলেন একজন বিশ্ববন্দিত জৈবরসায়নবিদ তেমনই ছিলেন একজন বিজ্ঞান-ইতিহাসের গবেষক। বিজ্ঞান-ইতিহাসের গবেষক হিসাবে তিনি অনেক বেশি খ্যাতি অর্জন করেন। ভ্রূণ-বিকাশের জৈবরাসায়নিক গবেষণায় বিশ্বে তিনি ছিলেন একজন পথিকৃৎ। ১৯৩১ এবং ১৯৩৪ সালে যথাক্রমে তাঁর দুটি বই ‘কেমিক্যাল এমব্রায়োলজি' এবং ‘এ হিস্ট্রি অব এমব্রায়োলজি' (Chemical Embryology এবং A History of Embryology) ভ্রূণ বিজ্ঞানের গবেষণায় অনেক নতুন তথ্য যোগ করে। প্রাণীদের ভ্রূণের বিকাশ এবং অভিব্যক্তির বিজ্ঞান গবেষণায় এত নিখুঁত পর্যবেক্ষণ আগে কেউ করেননি।
বিজ্ঞানের ইতিহাসকার
৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ইতিহাসের উপর জোসেফ নিডহামের অনুসন্ধানমূলক গবেষণা এক অনন্যসাধারণ কাজ। বিজ্ঞান চর্চার অতীতকে যুক্তিবাদী এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যদিয়ে বিশ্লেষণ করা এমনটা আগে কোনো দিন হয়নি। পূর্ব এশিয়ায় আদিবাসীদের প্রাক্-আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশের ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে নিডহামের অবদান একটি প্রধান ক্ষেত্র খুলে দিয়েছিল, যা অধিকাংশ ‘‘প্রাচ্যবিদ’’ এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদের দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে গৃহীত হয়েছে। এটি স্পষ্ট যে, পূর্ব এশীয় বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তি বিকাশের সাফল্যের সোপান বেয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের উত্থান ঘটেছে। আধুনিক সময়ে পাশ্চাত্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সাফল্য আসার অনেক আগেই প্রাচ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের খবর পাওয়া যায়। এভাবেই পশ্চিমী সভ্যতার চিরন্তন এবং একচেটিয়া অধিকার খণ্ডিত হয়।
জীবনের শেষ ৪৫ বছর (১৯৫০ থেকে ১৯৯৫) বছর তিনি ব্যবহার করেন চীনের বিজ্ঞানের ইতিহাস গবেষণায়। ‘সায়েন্স অ্যান্ড সিভিলাইজেশন ইন চায়না’ বইতে জোসেফ নিডহাম লিখছেনঃ “Interest in Nature was not enough, controlled experimentation was not enough, empirical induction was not enough, eclipse-prediction and calendar calculation were not enough-all of these the Chinese had. Apparently only a mercantile culture alone was able to do what agrarian bureaucratic civilization could not-bring to fusion-point the formerly separated disciplines of mathematics and nature-knowledge.” (Science and Civilization in China , Vol. III, p. 168)। চীনদেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত বিজ্ঞানের জ্ঞানের ধারায় কেবল প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে উৎসাহ বা ছোটো খাটো পরীক্ষা, অভিজ্ঞতামূলক জ্ঞান, সূর্য চন্দ্রের গ্রহণ এবং ক্যালেন্ডার তৈরির জ্ঞানই শুধু ছিল না, বরং তার চেয়েও অনেক বেশি জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিল। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, যা কৃষিনির্ভর আমলাতান্ত্রিক সভ্যতা করতে পারেনি, শুধুমাত্র একটি বাণিজ্য নির্ভর সংস্কৃতি একাই তা করতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টা শুধু তা নয়, বরং গণিত এবং প্রকৃতিনির্ভর জ্ঞানের সম্মিলিত ধারা এই ধরনের বিপুল জ্ঞানের ভাণ্ডার তৈরি করতে সক্ষম হয়।
ডক্টর নিডহামের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল চীনের সভ্যতার বৈজ্ঞানিক চিন্তার ইতিহাস সম্পর্কিত গবেষণা। কনফুসিয়াশের সময় (৫৫১ থেকে ৪৭৯ খ্রিস্ট পুর্ব) থেকে শুরু করে তাওবাদী (Tao Te Ching) চিন্তার জৈব প্রকৃতিবাদ (organic naturalism), মোহিস্ট যুক্তিবাদ এবং বৈজ্ঞানিক দর্শন (an ancient Chinese philosophy of logic, rational thought and scientific values)-এর উদ্ভব হয়েছিল। মোহিজম (মোহিস্ট যুক্তিবাদ) হলো একটি প্রভাবশালী দার্শনিক মতবাদ, সামাজিক এবং ধর্মীয় আন্দোলন যা প্রাচীন চীনে (৪৭৯ থেকে ২২১ খ্রিস্ট পুর্ব) বিকাশ লাভ করেছিল। মো দি (Mo Di), বা ‘‘মোজি’’ (‘‘মাস্টার মো,’’ আনুমানিক ৪৩০ খ্রিস্ট পুর্ব)-র চিন্তা থেকে মোহিজমের উৎপত্তি হয়। মোজি এবং তাঁর অনুগামীরা চীনে দার্শনিক তর্ক-বিতর্কের সূচনা করেন। ভারতীয় দর্শন বিকাশের ইতিহাসে সমকালীন চার্বাক দর্শন ঠিক একই ধরনের এক ধারা।
১৯৪৭ সালের ১২ মে ‘কনওয়ে মেমোরিয়াল’ (Conway Memorial) বক্তৃতা দেন নিডহাম। বক্তৃতার বিষয় ছিল সায়েন্স অ্যান্ড সোসাইটি ইন অ্যানসিয়েন্ট চায়না’ (‘Science and Society in Ancient China)। বক্তৃতাটি ১৯৪৮ সালে ‘নেচার’পত্রিকায় প্রকাশিত হয় (Nature 161, 305,1948)। নিডহাম এই বক্তৃতা শুরু করতে গিয়ে যা বলেছিলেন তার ভাবার্থ করলে দাঁড়ায়ঃ “ইতিহাসের প্রকৃত তথ্য উন্মোচন এই সময়কালের এক বড়ো চাহিদা, কারণ এটা না করতে পারলে অনেক ধরনের ভ্রান্ত চিন্তা তৈরি করা হয়। অতীতে প্রকৃতিকে জানা এবং তার উপর প্রভাব বিস্তার করার ইতিহাস বর্তমানের বিজ্ঞান গবেষকদের জানা এবং সে সম্পর্কে গর্ববোধ করা জরুরি। কেবল এর মধ্য দিয়েই আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভব বোঝা সম্ভব। আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান কেবল ইয়োরোপীয় সভ্যতার দান নয়, বরং সর্বসাধারণের জ্ঞানের সম্মিলিত কৃষ্টির ফসল। বস্তুবাদী চিন্তা বিজ্ঞান চিন্তার অনুসারী ছিল। তিনি তথ্য দিয়ে প্রমাণ করেন যে, মধ্যযুগে চীনের সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বিজ্ঞান প্রযুক্তির গবেষণার জন্য উপযুক্ত ছিল না। এই কারণেই অতীতের বিজ্ঞান সাধনার প্রকৃত ইতিহাস জানার অধিকার আমাদের আছে। বর্তমান ভারতবর্ষের পুরাণের ‘মিথ’ (Myth)-কে বিজ্ঞান হিসাবে চালানোর চেষ্টা এবং বিজ্ঞানের প্রকৃত ইতিহাসকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা যে কতটা ভ্রান্তির কারণ তা নিডহামের এই কথা থেকে বোঝা যায়।
নাজিবাদের বিরুদ্ধে
নাজিবিরোধী বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি পরিচিত ছিলেন এবং বিশ্বে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের তিনি ছিলেন একজন সৈনিক। বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জুলিয়ান হাক্সলে-র সাথে বিশ্বযুদ্ধে এবং নাজিদের দ্বারা বিধ্বস্ত দেশগুলিতে শিক্ষা এবং বিজ্ঞান চিন্তার বিকাশের লক্ষ্যে ইউনেস্কো (United Nations Educational, Scientific, and Cultural Organization বা UNESCO) গঠন করতে অগ্রণী ভূমিকা নেন। ওঁদের মূল লক্ষ্য ছিল, ইয়োরোপ এবং আমেরিকার মতো বিজ্ঞান শিক্ষায় আলোকিত অঞ্চলের বাইরে শিক্ষা ও বিজ্ঞান গবেষণার বিকাশ। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দ্য হিস্ট্রি অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অব ম্যানকাইন্ড’ (‘The History of Scientific and Cultural Development of Mankind’) বা অল্প কথায় ‘হিস্ট্রি অব ম্যানকাইন্ড’ (‘History of Mankind’) বা ‘মানবজাতির ইতিহাস প্রকল্প’, ইয়োরোপ এবং আমেরিকার বাইরে অর্থাৎ মূলত প্রাচ্যে বিজ্ঞান গবেষণার ইতিহাস পঠন পাঠন ও লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করে। এই প্রকল্পে শতাধিক গবেষক কাজ করেন এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাও হয়।
নিডহাম একইসঙ্গে ছিলেন লন্ডনের রয়াল সোসাইটির নির্বাচিত সদস্য (১৯৪১ সালে), ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ একাডেমির ফেলো এবং ইংল্যান্ডের রানির দ্বারা ‘কম্পানিঅনশিপ অব অনর’ সম্মানে ভূষিত হন। জীবিত অবস্থায় একইসঙ্গে এই তিনটি সম্মানে আগে কেউ কোনো দিন ভূষিত হননি। ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসের ২৪ তারিখে এই বহু প্রতিভাধর বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ হিস্ট্রি অফ সায়েন্স’-এ থমাস মুগে নামে একজন গবেষক লিখছেনঃ “Needham himself did not even join the British Communist Party as his friend Bernal did. But his distance from orthodoxy did not imply a rejection of Marxist historical interpretation, and his use of the notions of an Asiatic mode of production and Asiatic bureaucratism does testify to a Marxist historiographical framework, however dissenting or heterodox”। ঠিকই যে নিডহাম তাঁর বন্ধু জন ডেসমন্ড বার্নালের মতো ব্রিটিশ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হননি কিন্তু তাঁর গোঁড়ামির বিরুদ্ধে স্পষ্ট মত, এশীয় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং এশীয় আমলাতান্ত্রিকতা সম্পর্কে তাঁর মত ছিল মার্কসবাদের অনুসারী। বিজ্ঞানের ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে তিনি মার্কসবাদী ইতিহাস চর্চার পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই অর্থে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল এবং তাঁর সময় থেকে অনেক এগিয়ে।