৬০ বর্ষ ২৬ সংখ্যা / ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ / ২৬ মাঘ, ১৪২৯
২০২৩-২৪ বাজেটঃ অর্থনীতির বুনিয়াদি সমস্যা উপেক্ষিত
প্রভাত পট্টনায়েক
বর্তমান সময়ে ভারতীয় অর্থনীতির সবচেয়ে লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো প্রকৃত ভোগব্যয়ের মন্থরগতিতে বৃদ্ধি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১৯-২০ থেকে ২০২২-২৩ সময়পর্বে মাথাপিছু গড়পড়তা প্রকৃত ভোগব্যয়ের বৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র ৫ শতাংশেরও কম। যা মোট গার্হস্থ উৎপাদন (জিডিপি)’র বিকাশ-হারের থেকে নিচে। এমনকী, মহামারীর ক্ষত থেকে যে নিতান্তই সামান্য উপশম মিলেছে সেটাও সংক্ষেপে বলা যায়, ভোগ-অভিমুখী নয়, তুলনায় অনেকটাই বিনিয়োগ-অভিমুখী। এর থেকে দুটো সমস্যা খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথমত, মহামারী থেকে অর্থনীতির এইভাবে সামলে-ওঠাটা নিঃসন্দেহে অস্থায়ী। এটা খুব সাধারণভাবেই উৎপাদন ক্ষমতার অব্যবহৃত অংশকে বাড়াতে থাকবে এবং অব্যবহৃত হতে থাকবে পরিকাঠামোও। এর ফলে আর্থিক-ব্যবস্থার নিজস্ব স্থায়িত্বের প্রতি বিপদ ঘটা ছাড়াও একইসাথে এরফলে সৃষ্ট ব্যাঙ্কের অনাদায়ী-ঋণ মহামারী-ক্ষত থেকে ওই সামান্য সামলে-ওঠা অর্থনীতিকে অবশ্যাম্ভাবীভাবে চুপসে দেবে। দ্বিতীয়ত, বিকাশের বুনিয়াদি যুক্তিগত ভিত্তিই হচ্ছে, জনগণের জীবনমানের উন্নতি ; তাই, যদি জনগণের ভোগ-স্তর একই জায়গায় থাকে তাহলে এই বিকাশও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।
এই কারণে ২০২৩-২৪ সালের বাজেটের প্রথমিক কাজ ছিল, অর্থনীতিতে জনগণের ভোগক্ষমতাকে উদ্দীপিত করা। এর জন্য যেটা দরকার তা হলো, সবার আগে সামাজিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি। এটা অবশ্যই হওয়া দরকার তার স্পষ্ট কারণ, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটা দেশ যখন ক্ষুধার প্রভাবে টলমল খাচ্ছে তখন ফুড করপোরেশন ইন্ডিয়ায় খাদ্যশস্য স্তূপ হয়ে পড়ে আছে; তার কোনো ব্যবহার নেই। আসলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন এবং জীবনধারণের অন্যান্য আবশ্যকীয় প্রয়োজনগুলিকে মেটাতে অস্বাভাবিক পরিমাণ ব্যয় হবার ফলে জনগণের হাতে আর ক্রয়ক্ষমতা থাকছে না। সংক্ষেপে বলা যায়, এই বিষয়টা নিয়ে বাজেটে কিছুই করা হয়নি। এর পরিবর্তে যেটা করা হয়েছে তা হলো, মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই লক্ষ্যে সম্পদ সরবরাহের জন্য সামাজিক খাতে সরকারি ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানো তো হয়েইনি, এমনকী তাকে আরও সংকুচিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা হলো, এমজিএনরেগা-য় ব্যয়বরাদ্দ বিরাটভাবে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। রেগায় এই পরিমাণ অর্থবরাদ্দ হয়েছিল আজ থেকে এক দশক আগে। ২০২১-২২ সালে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লক্ষ ১২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এবারের বাজেটে বরাদ্দ এর প্রায় অর্ধেক। এখন এই প্রকল্পে কাজের প্রমাণের জন্য যে নতুন নিয়ম করা হয়েছে তার জন্য জরুরি হলো ইন্টারনেট সংযোগ। এই সংযোগ ভারতের বেশিরভাগ গ্রামাঞ্চলেই নেই। এর মধ্যদিয়ে নিঃসংশয়াতীতভাবে যে উপসংহার টানা যায় তাহলো, সামগ্রিকভাবে সরকার চাইছে এই প্রকল্পকে গুটিয়ে ফেলতে।
এমনকী সরকারের বিরাট সাফল্য বলে প্রচারিত - ৮১ কোটি মানুষকে প্রতি মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রকল্পও এই বাজেটে ধাক্কা খাবে। ২০২২-২৩ সালের সংশোধিত হিসেবে খাদ্যে ভরতুকিতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছিল, এবারের বাজেটে তার পরিমাণ হ্রাস ঘটেছে ৩১ শতাংশ। অর্থাৎ নামমাত্র অর্থে প্রস্তাবিত হয়েছে। এর অর্থ দাঁড়ায়, আগামীদিনে এক বৃহৎ অংশের গরিব মানুষকে ভরতুকিতে খাদ্য পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে অন্য একটি অতি ক্ষুদ্র অংশের গরিব মানুষকে ভরতুকি-যুক্ত খাদ্য দেওয়া হবে। একইভাবে গ্রামোন্নয়নেও বরাদ্দ কমেছে, এই খাতেও নামমাত্র অর্থ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ খুবই সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যখন মুদ্রাস্ফীতিকে বিবেচনায় আনা হবে, তখন দেখা যাবে প্রকৃতঅর্থে এই দুটি ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমই হয়েছে।
এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, এসব পদক্ষেপ সাধারণ জনগণের ভোগক্ষমতা-বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং তা সরকারের গরিব-বিরোধী অবস্থানকেই স্পষ্ট করছে। ২০২৩-২৪ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের বৈশিষ্ট্যসূচক দিক হলো - রাজ্যকে কেন্দ্রের অর্থ হস্তান্তর সহ সামগ্রিক সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির হার অনুমিত জিডিপি’র বৃদ্ধির হারের থেকে কম। সরকারি ব্যয়ের অংশ ২০২২-২৩ বাজেটে (সংশোধিত) ছিল ১৫.৩ শতাংশ; এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে তা হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ। আর্থিক ঘাটতির হ্রাসের সাথে প্রায় সামঞ্জস্য রেখেই এই অবনমন ঘটানো হয়েছে। আর্থিক ঘাটতির অনুপাত ২০২২-২৩ (সংশোধিত) সালের বাজেটে হয়েছে ৬.৪ শতাংশ, এবারে এর পরিমাণ ৫.৯ শতাংশ। জনগণের ভোগ-ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করতে যে কৃপণতা কেন্দ্রীয় বাজেটে দেখা গেছে তা রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত অর্থ হস্তান্তরের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। এর পরিমাণও কমানো হয়েছে।
২০২১-২২ সালে রাজ্য সরকারগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ সালে সেটা কমে হয় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। এই পরিমাণ আরও কাটছাঁট হয়ে গত বাজেটে সংশোধিত হিসেবে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৭ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে এই খাতে ব্যয় প্রস্তাবিত হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩-এ যে ঘাটতি ছিল তা মেটানো থেকে এই বরাদ্দ অনেক দূরে। এমনকী এই বরাদ্দ গত বাজেটে এই খাতে অনুমিত ব্যয়ের থেকেও কম। যদিও সামাজিক খাতে ব্যয়ের দায়ভার মূলত রাজ্য সরকারগুলির ওপরই পড়ে। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্র নিজেও নিতান্ত অল্প পরিমাণ বরাদ্দ করে এবং রাজ্য সরকারগুলির ওপর নানা সমস্যা চাপিয়ে দেয়। সম্পদের কেন্দ্রীকরণের এই মরিয়া প্রয়াস স্পষ্টভাবেই দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে খর্ব করছে।
জিডিপি’র তুলনায় কেন্দ্রীয় ব্যয়ের এই হ্রাসের মধ্যেই মূলধনী ব্যয়ের তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি ঘটেছে। এই বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতার বড়ো অংশ ব্যয় করেছেন। বাজেটে মূলধনী খাতে ব্যয় প্রস্তাবিত হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা, গত বাজেটে যা ছিল ৭ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি সময়ে ভারত যে সমস্যায় জর্জরিত সেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির সর্বরোগহর ওষুধ হিসেবে মূলধনী খাতে এই ব্যয়বরাদ্দ বৃদ্ধিকে অর্থমন্ত্রী বিবৃত করেছেন। যতই তিনি দোষ ঢাকার চেষ্টা করুন, আসলে এক্ষেত্রে চারটি বুনিয়াদি বিষয় আছেঃ প্রথমত, এই পরিমাণ অর্থ যদি সামাজিক খাতে খরচ করা হতো তাহলে অন্ততপক্ষে কর্মসংস্থানের সমপ্রভাব পড়ত। দ্বিতীয়ত, এই অর্থ সামাজিক খাতে খরচ হলে সরাসরি উপকৃত হতেন শ্রমজীবী মানুষরা। বাজেটের আগেরদিন পেশ করা অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এটা মেনে নেওয়া হয়েছে যে, শ্রমজীবী মানুষের প্রকৃত মজুরিতে চূড়ান্ত অবনমন ঘটেছে। তৃতীয়ত, সরকারি ব্যয়ে (সামাজিক খাতে ব্যয়ের মধ্যদিয়ে)’র গুণোত্তর প্রভাব প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে শ্রমজীবী জনগণের হাতে ক্রয়ক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটায়। মূলধনী খাতে সরকারি ব্যয়ের প্রভাবের থেকে এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। এবং চতুর্থত, মূলধনী ব্যয়ের অনেকটাই মূলধনী দ্রব্য আমদানির মধ্যদিয়ে বিদেশে চলে যাবে। তবে শ্রমজীবী মানুষের ভোগব্যয়কে বৃদ্ধি ঘটাতে পারলে সেটা কিন্তু হয় না। সমগ্র প্রক্রিয়াটি সামাজিক খাতে ব্যয় এবং মূলধনী খাতে ব্যয়ের প্রভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই অসামঞ্জস্যতার বিষয়টিকেই আরও দৃঢ় করে।
নয়া-উদারনীতির বিধানে সম্প্রতি সময়ে মূলধনী খাতে ব্যয়ে আমদানি-নির্ভরতা বেড়েছে। মহামারীর সংকট থেকে পরিত্রাণে বিনিয়োগ-মুখী পথ গ্রহণ সত্ত্বেও এটাই দেখা যাচ্ছে যে, এই আমদানি নির্ভরতাই দেশের নিজস্ব মূলধনী দ্রব্য-ক্ষেত্রের উৎপাদনে বদ্ধদশার পেছনে মূল কারণ। দেশের মূলধনী দ্রব্য উৎপাদন ক্ষেত্রে বর্ধিত সুরক্ষার অনুপস্থিতির পরিস্থিতিতে বাজেটে অধিকতর মূলধনী ব্যয় লক্ষণীয়ভাবে দেশে বেশি সংখ্যায় কর্মসংস্থান তৈরি করবে - এটা একেবারেই একটা আকাশকুসুম ভাবনা। আমদানি থেকে এই ক্ষেত্রকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করার পরিবর্তে এই বাজেটে মূলধনী দ্রব্য আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মূলধনী খাতে খরচের প্রস্তাবিত বৃদ্ধি কর্মসংস্থানের বাজারকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উদ্দীপিত করবে বলে যে দাবি বাজেটে করা হয়েছে সেটা নিছক ছলচাতুরি ছাড়া কিছুই নয়।
তাহলে দেখা যাচ্ছে,মূলধনী কিংবা সামাজিক - এই দুই খাতে অধিকতর ব্যয়ের মধ্যে প্রথমটি অর্থাৎ মূলধনী ব্যয় হলো অনেকবেশি আমদানি-নিবিড়। এটা শুধুমাত্রই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যকে আরও খারাপ করবে। ইতিমধ্যেই বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতিতে দেশ সমস্যায় রয়েছে। ভারতীয় মুদ্রার বিরাট অবমূল্যায়ন সত্ত্বেও বিশ্বমন্দার জন্য রপ্তানি-বৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে। হালফিলের যে ত্রৈমাসিকের তথ্য আমাদের হাতে আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি খাতে ঘাটতি জিডিপি’র ৪ শতাংশকে অতিক্রম করে গেছে। সরকার অন্ততপক্ষে এক ঢিলে তিন পাখি মারতে পারত যদি তারা মূলধনী ব্যয়কে উদ্দীপিত করার বদলে সামাজিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটাত। এটা সরসরি জনগণের অনেক উন্নতি করতে পারত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি আরও অধিকতর হারে চাঙ্গা হতো; এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের চলতি ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। এই সব না করে এমন একটা পথ নেওয়া হলো যা নিঃসন্দেহে খুবই খারাপ।
এখন পর্যন্ত আমি সরকারের সামনে থাকা দুটি পথের তুলনা করেছি। এবং যুক্তি দিয়ে দেখানো হয়েছে, সরকার ক্ষতিকর পথটাই বেছে নিয়েছে, তবে অবশ্যই সরকার এর মধ্যেই নিজেদের আবদ্ধ রাখেনি। সরকারের নিজস্ব হিসেবে চলতি আর্থিক বছরের তুলনায় আগামী বছরে সরকারের রাজস্ব আদায় এবং জিডিপি’র অনুপাত প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এটা সবাই জানেন যে, আয় ও সম্পদ-বৈষম্যের এক বিরাট বৃদ্ধি ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের সময়ে, সম্পদ কর না থাকলে জিডিপি’র সাথে করবাবদ আয়ের অনুপাতের অবধারিত বৃদ্ধি দেখায়। সম্পদ কর বসালে বা ধনীদের থেকে অন্য কোনো উপায়ে রাজস্ব সংগ্রহ করলে এই বিষয়টি আরও বেশি প্রকট হয়। যেটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো, এই বাজেটে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এটা ঠিক যে, এই বাজেট বেতনভোগী শ্রেণির কিছু অংশকে আয়করে সুরাহা দিয়েছে। কিন্তু দুটি দিকদিয়ে দূরদৃষ্টিহীনতা খুবই আশ্চর্যের। প্রথমটি হলো, আয় ও সম্পদ-বৈষম্যের তীক্ষ্ণ বৃদ্ধির এই সময়কালে সরকারি রাজস্ব ও জিডিপি’র অনুপাত বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বাজেটে সম্পূর্ণ নিস্পৃহ থাকা হয়েছে। এবং দ্বিতীয়টি, সামাজিক খাতে অধিকতর ব্যয় বৃদ্ধি যা শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে বাড়াত - তার প্রতিও এই বাজেট সম্পূর্ণ উদাসীন থেকেছে। এটা না করে এই বাজেটে আসলে কেন্দ্রীয় সরকার যা করেছে তা আগেই বিবৃত হয়েছেঃ মূলধনী খরচের ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে, ফলত এর প্রভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে মূলত বিদেশে।
অবশ্য এই বাজেটকে দূরদৃষ্টিহীন বলার অর্থ মূল বিষয়টাকে এড়িয়ে যাওয়া। পরিকাঠামো ক্ষেত্র যেখানে ‘লুঠেরা পুঁজিপতিদের’ বিশেষ নজর আছে, সেই কারণে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় এই ‘লুঠরাদের’ সাহায্য করার একটা উপায়; এবং বিশেষকরে এই সরকারের আগের কাজকর্ম থেকে এটা আশা করা খুবই দূরহ যে, তারা দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক স্বার্থের ওপর জোর দেবে কিংবা লুঠেরা পুঁজিপতিদের স্বার্থের ওপরে শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থকে স্থান দেবে।
ভাষান্তরঃ শংকর মুখার্জি