E-mail: deshhitaishee@gmail.com  | 

Contact: +91 33 2264 8383

৫৭ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা / ১০ জুলাই ২০২০ / ২৫ আষাঢ় ১৪২৭

সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো’র দাবি

পি এম কেয়ারস তহবিলের হিসাব দিতে হবে


নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পি এম কেয়ারস তহবিলের বিষয়ে কোনোরকম তথ্য দিতে একগুঁয়েভাবে অস্বীকার করে চলায় সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো গভীর অসন্তোষ ব্যক্ত করছে। সরকার ঘোষণা করেছে যে, এই তহবিল একটি বেসরকারি ট্রাস্ট দ্বারা তৈরি যার সভাপতি প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও অর্থ বিভাগের মন্ত্রীগণ এই ট্রাস্টের সদস্য। সরকার দাবি করেছে যে, এটি একটি বেসরকারি ট্রাস্ট যা তথ্যের অধিকার রক্ষার আইন এবং সরকারি অডিটের আওতায় পরে না। এটা তাই স্পষ্ট যে, এই তহবিলের কোনো স্বচ্ছতা বা দায়বদ্ধতা নেই।

মার্চ মাসে যখন সংসদের অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন এই তহবিলের কথা ঘোষণা করা হয়। কোভিড অতিমারী মোকাবিলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই তহবিলে অর্থ দান করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানানো হয়। সরকারি কর্মচারী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের একদিনের আয় বাধ্যতামূলকভাবে এই তহবিলে জমা করানো হয়।

সাংসদদের স্থানীয় এলাকা উন্নয়ন তহবিলের দুই বছরের টাকা এই তহবিলে স্থানান্তরিত করা হয়। ২০১৩ সালের কোম্পানি আইন পরিবর্তন করে এই তহবিলে অর্থ দানকে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির অন্তর্ভুক্ত করানো হয়। এই তহবিলের প্রচারে জাতীয় প্রতীক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যথেচ্ছভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এখানে অর্থ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের কর্মীদের কাছে সরকারি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এই তহবিলে অর্থদানকে করছাড়ের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

পলিট ব্যুরো বলেছে, আমাদের দেশে স্বাধীনতার সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল রয়েছে যা কিনা স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর দ্বারা পরীক্ষিত। এই তহবিল থাকা সত্ত্বেও কেন একটি বেসরকারি ট্রাস্টের মাধ্যমে তহবিল খোলা হলো তার কোনো জবাব এখনও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী দশ হাজার কোটি টাকা এই তহবিলে সংগৃহীত হয়েছে।এর মধ্যে চার হাজার কোটিরও বেশি টাকা বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে সংগৃহীত হয়েছে যা কেবলমাত্র এই তহবিলে সরকারি শিলমোহর ছিল বলে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে ।

এই তহবিলের টাকা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাব দূর করার চেষ্টা করে আরও বেশি সংখ্যক টেস্ট ও কোরোনা ভাইরাস আক্রান্ত রুগীদের চিকিৎসা করানোর জন্য সিপিআই(এম) আবেদন জনিয়েছে। ওপেন টেন্ডার না ডেকে এই তহবিলের টাকা ব্যবহার করে ভেন্টিলেটর কেনা নিয়ে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ ও বিতর্কের কথা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে।

সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো এই দৃঢ় মনোভাব পোষণ করে যে, এই পি এম কেয়ারস তহবিলকে অবশ্যই স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করতে হবে। কোভিড অতিমারী মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যেহেতু রাজ্য সরকারগুলি লড়াই করছে তাই অবিলম্বে এই তহবিলের টাকা রাজ্য সরকারগুলিকে দিতে হবে।এই তহবিলের বিস্তারিত হিসেব জনগণকে জানাতে হবে এবং সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।