৫৭ বর্ষ ৪৬ সংখ্যা / ১০ জুলাই ২০২০ / ২৫ আষাঢ় ১৪২৭
হাজার বার বলবো
সুপ্রতীপ রায়
গভীর সঙ্কটের মুখোমুখি আমরা। করোনা জনিত পরিস্থিতিতে আগামীদিনে আরও সঙ্কট বাড়বে। ভয়ঙ্কর আর্থিক সঙ্কট ও সামাজিক বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কায় দেশবাসী। এই সঙ্কটের সময় সরকারের পাশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবাংলায় সরকার আহূত সর্বদলীয় বৈঠকে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যতম বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিআই(এম) গঠনমূলক, ইতিবাচক প্রস্তাব দিয়েছে। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু অস্বাভাবিকত্ব হলো যখন মূল ধারার মিডিয়াকুল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ইতিবাচক ভূমিকা বেমালুম চেপে যায় তখন। ‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়’ - ভাষ্যের আড়ালে আসলে সুকৌশলে শাসকদলের রাজনৈতিক এজেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ প্রচারমাধ্যম। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় চকের দাগ কাটছেন বা মানুষের পাশে থাকার নাম করে হৈ চৈ করে বেরাচ্ছেন, তার প্রচার ২৪ ঘণ্টা টেলিভিশনের পর্দায় চলছে। কিন্তু বামকর্মীরা যখন নিজেদের উদ্যোগে মানুষের পাশে থাকছেন নানাভাবে, তার জন্য এক সেকেন্ডও বরাদ্দ হয় না চ্যানেলগুলিতে।
২০০০-এর বন্যা - তৃণমূল-বিজেপি এবং মিডিয়া
এ রাজ্যে দীর্ঘদিন বিরোধী রাজনৈতিক দলের অবস্থানে ছিল তৃণমূল। ৩৪ বছরের বাম আমলে রাজ্যে অনেকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ঘটেছে। এর মধ্যে ১৯৭৮ সালের বন্যা, ২০০০ সালের বন্যা, ২০০৯ সালের আইলা অন্যতম। ১৯৭৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়নি। কিন্তু ২০০০, ২০০৯ সালে তৃণমূল বাংলায় প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল। দুর্দিনের সময় বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসাবে তৃণমূলের ভূমিকা কি ছিল? ওদের কদর্য ভূমিকাকে মহিমান্বিত করার প্রাণপণ প্রচেষ্টায় নিয়োজিত ছিল মিডিয়া।
২০০০ সালে আমাদের রাজ্যের ৯টি জেলার ১৭১টি ব্লক ও ৬৯টি পৌরসভার ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ সর্বগ্রাসী বন্যার কবলে পড়ে। জীবন ও সম্পত্তিহানির বিচারে এই বিপর্যয় ছিল নজিরবিহীন। ক্ষতির পরিমাণ ছিল কমবেশি ৫,৬৬০ কোটি টাকা। শতাব্দীর ভয়ঙ্করতম বন্যা। অতিবৃষ্টি বন্যার প্রধানতম কারণ ছিল। ২০০০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে মাত্র ৪ দিনে ১,৪৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ১৯৭৮ সালে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৬৩৬ মিলিমিটার। বিগত ১০০ বছরে এত বৃষ্টি হয় নি।
নদী ভাঙন ও বন্যা প্রতিরোধে বহুবার বামফ্রন্ট সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তাতে কর্ণপাত করেনি দিল্লির সরকার। ১৯৯৬ সালে দেবেগৌড়া সরকার পশ্চিমবঙ্গের নদীভাঙন ও বন্যা প্রতিরোধের জন্য ৯৭২ কোটি টাকার মাস্টার প্ল্যান করেছিল। কিন্তু এনডিএ জোট (যার অন্যতম শরিক ছিল তৃণমূল) ক্ষমতায় আসার পর তা কার্যকর করেনি। ১৯৯৯ সালে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি বাবদ রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছিল ৭৫০ কোটি টাকা। অনেক পরে কেন্দ্র দিয়েছিল মাত্র ২৯ কোটি টাকা।
সব জেনে বুঝেও ২০০০ সালের বন্যাকে ‘মনুষ্যসৃষ্ট বন্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ২৮ নভেম্বর লোকসভায় বামপন্থী সাংসদরা যখন বন্যাত্রাণে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ করে দ্রুত পশ্চিমবাংলার বন্যার্ত মানুষকে সাহায্যের আবেদন জানায় তখন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয়, বিক্রম সরকার, আকবর আলি খোন্দকার বলেছিলেন এই বন্যা মনুষ্য সৃষ্ট ‘ম্যান মেড’। তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছিল একমাস পরে। তিনি ২৫ অক্টোবর বনগাঁ ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে গিয়েছিলেন। ৬টি বগির একটি বিশেষ ট্রেনে চেপে রেলওয়ে ওমেন্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে।
রাজ্যে যখন বন্যা শুরু হয়েছিল তখন‘শ্রীমতি’ছিলেন দিল্লিতে। রাজ্যে মানুষ যখন বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছেন তখন বঙ্গবাসীর পাশে না থেকে দৌড়ে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদে। কেন?
পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির যৌক্তিকতা বোঝাতে তিনি চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে গিয়েছিলেন। হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের এই বন্যা ‘ম্যান মেড’, তারপর একমাস তিনি পেট্রোপণ্য নিয়ে পদত্যাগের নাটকে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি ২৫ অক্টোবর (বুধবার) বনগাঁয় বলেছিলেন, “অতিবৃষ্টি হয়নি। নিম্নচাপও ছিল না। তাহলে বন্যা হলো কি করে? কী করে ইছামতীর জল-প্লাবন ঘটলো? আসলে বিভিন্ন জলাধার থেকে বেহিসেবি প্রচুর জল ছাড়া হয়েছে। সেই জলেই প্লাবন। জলাধার থেকে জল ছেড়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছে রাজ্য সরকার। এই বন্যার জন্য তাই তদন্ত হওয়া দরকার।”
২৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মেট্রো সিনেমা হলের সামনে দলীয় ধিক্কার সভায় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী বলেন, “উন্নয়নে পড়েছে তালাচাবি। রাজ্যে তৈরি হয়েছে গৃহযুদ্ধের পরিবেশ”। শুধু তাই নয় সমাবেশে তিনি দাবি করলেন, “অতকিছুর দরকার নেই। সিপিএম পাঁচ বছর আমাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিক। আমরা দেখিয়ে দেব।”
বন্যাত্রাণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে চেয়েছিল ১,৪৮৭ কোটি টাকা। দাবি করা হয়েছিল জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার। কিন্তু পশ্চিমবাংলার মানুষের কপালে জুটেছিল বঞ্চনা। অন্ধ্রপ্রদেশে বন্যার পর বাজপেয়ী সরকার কালক্ষেপ না করে ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই সময় আমাদের রাজ্য থেকে কেন্দ্রের বিজেপি-জোট সরকারের চারজন মন্ত্রী ছিলেন (দু’জন তৃণমূল, দু’জন বিজেপি)। তাঁদের ভূমিকা কি ছিল?
ওরা সেই সময় পশ্চিমবঙ্গকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে বাংলার মানুষকে ভাতে মারার খেলায় লিপ্ত ছিলেন এবং ৩৫৬ ধারা জারি করে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্নে মশগুল ছিলেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয়ের সময় মিডিয়া দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এমন আশা জনগণ করেন। ২০০০ সালের বন্যার সময় মিডিয়ার ভূমিকা ছিল খারাপ। উদাহরণ বাড়িয়ে লাভ নেই। বন্যার সময় মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ ছিল, “গত বছরের বন্যার ত্রাণের টাকা রাজ্য সরকার খরচ করতে পারেনি।’’ তাকে সমর্থন করে ‘বর্তমান’ লিখেছিল। ‘বর্তমান’ ও মমতা ব্যানার্জির মুখে ঝামা ঘষে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছিলেন, “গতবারের বন্যাত্রাণের টাকা রাজ্য খরচ করতে পারেনি এমন কথা আমি বলিনি। আমি শুনিওনি। কারণ এমন কোনো ঘটনা ঘটেইনি।”।
আইলাঃ মমতা, মিডিয়া
২০০৯ সালের ২৫ মে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আইলার তাণ্ডবে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে প্রচুর মানুষের প্রাণ কাড়ে আইলা। আইলা শুধু দক্ষিণবঙ্গেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দক্ষিণ ছেড়ে উত্তরবঙ্গেও হানা দেয় আইলা। ঝড় ও বৃষ্টির ফলে ক্ষতি হয় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি অঞ্চলে। গোটা বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভা মানুষকে রক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গে আইলার তাণ্ডবে যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। ২৮মে ’০৯ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রধানমন্ত্রীকে এক চিঠিতে, ক্ষয়ক্ষতি সামলে পুনর্গঠনের সাহায্যে কেন্দ্রের ন্যাশনাল ব্যালামিটি কনটিনজেন্সি ফান্ড থেকে এক হাজার কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের আবেদন জানান।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা ব্যানার্জির কি ভূমিকা ছিল আইলা নিয়ে? ২৬মে ২০০৯, মমতা ব্যানার্জি কলকাতাতে বসেই রেলমন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহণ করেন। তারপর তিনি রেলের গাড়ি ‘চেতনা’র সঙ্গে সেলুনকার লাগিয়ে কাকদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হন। প্রচার ছিল কাকদ্বীপে মমতা যাচ্ছেন।‘আইলা’ দুর্গতদের পরিদর্শনে। কিন্তু কাকদ্বীপ ষ্টেশনে সেই ট্রেন থামতেই দেখা গেল ‘আইলা’ দুর্গতদের বদলে তৃণমূলীদের ভিড়। ধ্বনি উঠছে ‘রেলমন্ত্রী জিন্দাবাদ’। এই ছিল মমতা দেবীর আইলা দর্শন। মমতা ছড়া কেটেছিলেন - আইলা আইলা সিপিএম নাইলা। আইলার সময় মমতা ব্যানার্জি মন্ত্রী। তিনি শুধু একা মন্ত্রী নন। হাফডজন প্রতিমন্ত্রীসমেত মন্ত্রী। কিন্তু কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা তৃণমূল নেয়নি। চরম দুর্দিনের সময় রাজ্যে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল তৃণমূল। দুর্যোগ নিয়ে তৃণমূল সংকীর্ণ রাজনীতি করেছিল। ২৬ মে ২০০৯, জয়নগরে প্রশাসনিক আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে জেলাশাসক ছিলেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা খাতুনকে। কিন্তু তিনি সভায় যাননি। এবিষয়ে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমার কাজ ছিল।’’
আইলা বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সামরিক বাহিনী আনেন। অথচ মমতা ব্যানার্জি বলেন, তিনিই সামরিক বাহিনী এনেছেন। সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্য না চাইলে সামরিক বাহিনী রাজ্যে প্রবেশ করে না। মুখ্যমন্ত্রীকে চাইতে হয়। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে জটিল করতে ২৭মে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করা হয়। বলা হলো সাধারণ মানুষের অবরোধ। কিন্তু অবরোধকারীরা বিভিন্ন জায়গায় গালিগালাজ করে বলতে থাকেন “মমতা মন্ত্রী, এবার দেখে নেবো।’’
এমন কি আইলা দুর্গত মানুষদের চিকিৎসার জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় যে মেডিক্যাল টিম গিয়েছিল তাদের উপর হামলাও চালায় তৃণমূল। ২৭মে, ২০০৯ জয়নগর ও বাসন্তীর তিন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হন ডাঃ অরবিন্দ হালদার, ডাঃ শৈলজা কুন্দরিয়া, স্বাস্থ্যকর্মী শুভদীপ ঘোষ।
আইলার তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাজ্য সরকার ত্রাণ ও পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ১,০০০ কোটি টাকার দাবি জানিয়েছিল। মমতা ব্যানার্জি এর বিরোধিতা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আইলা বিধ্বস্ত মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে সরাসরি জেলা শাসকদের হাতে দেওয়ার কথা বলেছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। পিএম টু ডিএম।
আইলা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সহ মন্ত্রীসভার সদস্যরা যেতেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন। ত্রাণের কাজ তদারকি করতেন। মিডিয়া, মমতার এগুলি পছন্দ ছিল না। মিডিয়ার একটি অংশ বামফ্রন্ট সরকারের বিরূদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ছিল।
৩১ মে, ২০০৯ মুখ্যমন্ত্রী গোসাবা, বাসন্তীতে যান। বাসন্তী ব্লক অফিসে কোলাপসিবল গেট লাগানো একটি অস্থায়ী ঘর ছিল। ঐ ঘরটিতে ত্রাণকর্মীরা ছিলেন। কিন্তু একটি নিউজ চানেল প্রচার করল বানভাসিদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। আসল সত্য, নিউজ চ্যানেলের সংবাদিকই কোলাপসিবল গেটটি টেনে ছবি তুলেছিলেন। ২ জুন, ২০০৯ হিঙ্গলগঞ্জের একটি ত্রাণ শিবিরে সিপিআই(এম) বিধায়ক গোপাল গায়েনকে নিগ্রহ করে তৃণমূলীরা। প্রবীণ বিধায়ককে তৃণমূলীরা মারতে মারতে জল কাদার মধ্যে ফেলে দেয়।
৭ জুন, ২০০৯ আইলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের বিষয়ে মহাকরণে সর্বদলীয় বৈঠকও তৃণমূল বয়কট করে। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল - ত্রাণের কাজে রাজ্য সরকার ব্যর্থ। সেই ব্যর্থতার ওপর তৃণমূল কোনো সিলমোহর লাগাবে না। ৭ জুনের সর্বদলীয় বৈঠকে স্থির হয় ১৪ জুন আবার দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক হবে। দ্বিতীয় বৈঠকটি ডাকার উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্য সরকারের দেওয়া রিপোর্টের উপর প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল যাতে সুনির্দিষ্ট মতামত দিতে পারে। কিন্তু ৭ জুন রাতে তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দেন এ বৈঠকেও তৃণমূল যাবে না। সিপিআই(এম) বরাবর তার রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে চলেছে। আজও করছে, আগামী দিনেও করবে। মানুষকে বাঁচানোই এখন মুল কাজ। এই কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের অতীতের ভূমিকাকে বারবার স্মরণে রাখতে হবে।